দ্বীনের বিষয়ে কোন নির্দিষ্ট ইমাম বা আলেমের 'তাকালিদ' অন্ধানুকরন করা বৈধ নয়। যারা বলেন, চার মাজহাবের মধ্যে কোন এক মাজহাবের তাকালিদ করা ফরয, তাঁদের নিকট ‘ইজম’ ছাড়া কোন দলীল নেই। অথচ এ ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহর ‘ইজম’ (ঐকমত্য) হয়নি। পড়ন্ত আয়েম্মায়ে আরবাআহ তাঁদের তাকালিদ করতে নিষেধ করে গেছেন এবং প্রত্যকেই বলেছেন, “সহিহ হাদিস হলে, সেটাই আমার মাজহাব। তাঁরা নিজেরও কারও তাকালিদ করেননি। ইমাম শাফেয়ী ইমাম মালেকের ছাত্র, তিনি নিজ ওস্তাদের তাকালিদ করেননি। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল ইমাম শাফেয়ীর ছাত্র, তিনিও নিজ ওস্তাদের তাকালিদ করেননি। যেহেতু সঠিকার্থে তাকালিদ করতে হলে একমাত্র মহানবী (সঃ) এরই করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেছেন,
“যে বিশ্বাসীগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস কর, তাহলে তোমরা আল্লাহর অনুগত হও, রাসুল ও তোমাদের নেতৃবর্গ (ও উলামা) দের অনুগত হও। আর যদি কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটে, তাহলে সে বিষয়কে আল্লাহ ও রাসুলের দিকে ফিরিয়ে দাও। এটিই হল উত্তম এবং পরিণামে প্রকৃষ্টতর । (নিসাঃ ৫৯)
তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ কর না কেন --- ওর মীমাংসা তো আল্লাহরই নিকট। (শূরাঃ ১০ )
তবে তাকালিদ বৈধ নয় বলেই যে সকলেই মুজতাহিদ হয়ে যাবে, তা নয়। যে মুজতাহিদ হতে পারবে না, সে মুজতাহিদ উলামাগনের ইত্তিবা করবে। যার মত কুরআন ও সহিহ সুন্নাহর কাছাকাছি হবে, তার মতকে মেনে নেব। কোন নির্দিষ্ট আলেম বা ইমামের ইত্তিবা করবে না। প্রত্যেক ইমামের ফিকাহ থেকে উপকৃত হবে তালেব ইলম। যারা ফিকাহ সহিহ হাদিসের অনুসারী তারই ফিকাহকে গ্রহণ করে নেবে। যাদের ফিকাহ সহিহ হাদিস বিরোধী হবে, তাঁদের কোন অজুহাত অবশ্যই আছে। সুতরাং তাঁদের এবং সকল আহলে সুন্নাহর ইমামের নাম উল্লেখের সময় ‘রাহিমাহুল্লাহ’ বলবে। তাঁদের প্রতি কোন কুমন্তব্য করবে না। এরাই তো তাঁরা, যাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেছেন,
“যারা তাগুতের পূজা হতে দুরে থাক এবং আল্লাহর অনুরাগী হয়, তাঁদের জন্য আছে সুসংবাদ। অতএব সুসংবাদ দাও আমার দাসদেরকে --- যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে এবং উত্তম তার অনুসরণ করে। ওরাই তাঁরা, যাদেরকে আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং ওরাই বুদ্ধিমান।” (জুমারঃ ১৭-১৮)