কথাটি ঠিক। কারণ নিজে নিজে সঠিক পথ পাওয়ার চেষ্টা করলে ভ্রষ্টতাই স্বাভাবিক। তবে পীর মানে ওস্তাদ। পীর মানে বিদআতি মুর্শিদ নয়, প্রচলিত তরীকার কোন সূফীপন্থী নয়। যেমন ওস্তাদ কেবল একটা ধারাই বাঞ্ছনীয় নয়। শিক্ষার্থী মুসলিমের উচিৎ, যাকে হকপন্থী অভিজ্ঞ আলেম দেখবে, তাকেই ওস্তাদ বলে গণ্য করবে। যেহেতু মুসলিম কোন ব্যক্তি দেখে হক চেনে না, বরং হক দেখে ব্যক্তি চেনে। সুতরাং যে পীর বা ওস্তাদ পিরানে পীর অ উস্তাজুল আসাতিজাহ নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর অনুসারী নয়, তাকে নিজের পীর বা ওস্তাদ বানানো বৈধ নয়। পক্ষান্তরে যিনিই কুরআন ও সহিহ সুন্নাহর অনুসারী, তিনিই মুসলিমের ওস্তাদ হওয়ার যোগ্য। অতএব প্রত্যেক হক পন্থী আলেমই মুসলিমের ওস্তাদ। মহান আল্লাহ বলেছেন,
“তোমরা যদি না জান, তাহলে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা কর।” ( নাহলঃ ৪৩, আম্বিয়াঃ ৭)
“হে বিশ্বাসীগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস কর, তাহলে তোমরা আল্লাহর অনুগত হও, রাসুল ও তোমাদের নেত্রীবর্গ (ও উলামা) দের অনুগত হও। আর যদি কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটে, তাহলে সে বিষয়কে আল্লাহ ও রাসুলের দিকে ফিরিয়ে দাও। এটিই হল উত্তম ও পরিণামে প্রকৃষ্টতর । (নিসাঃ ৫৯)
লক্ষণীয় যে, মহান আল্লাহ আমাদেরকে কোন নির্দিষ্ট পীর বা ওস্তাদ ধরতে নির্দেশ দেননি। বলা বাহুল্য, বিদাতিদের উক্ত কথা বলে তথাকথিত ‘পীর ধরা’র কাজে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা বিভ্রান্তি ছাড়া আর কিছুই নয়। (ইবনে বায )