পূর্ব দিককার (প্র্যাচের) দেশগুলিতে চাঁদ এক অথবা দুই দিন পর দেখা যায়। এখন ২৯শে রমযান চাঁদ দেখার অথবা ৩০শে রমযান ঐ দিককার কোন দেশে সফর করলে সেখানে গিয়ে দেখবে তাঁর পরের দিনও রোযা। শে ক্ষেত্রে তাকে ঐ দেশের মুসলিমদের সাথে রোযা রাখতে হবে। অতঃপর তাঁরা ঈদ করলে তাঁদের সাথে সেও ঈদ করবে; যদিও তাঁর রোযা ৩১টি হয়ে যায়। কারণ, মহান আল্লাহ বলেন, “অতএব তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে শে যেন এ মাসে রোযা রাখে।” (সূরাহ বাক্বারাহ ২/১৮৫)
আর মহানবী (সঃ) বলেন, “রোযা সেদিন, যেদিন লোকেরা রোযা রাখে। ঈদ সেদিন, যেদিন লোকেরা ঈদ করে।” ২৪৬ (তিরমিযী, ইরওয়াউল গালীল ৯০৫, সিঃ সহীহাহ ২২৪ নং)
কিন্তু যদি কেউ পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ২৮শে রমযান সফর করে, অতঃপর তাঁর পর দিনই সেখানে ঈদ হয়, তাহলে সেও রোযা ভেঙ্গে লকেদের সাথে ঈদ করবে। অবশ্য তাঁর পরে সে একটি রোযা কাযা রাখবে। কারণ, মাস ২৯ দিনের কম হয়না। পক্ষান্তরে যদি ২৯ শে রমযান সফর করে তাঁর পরের দিন ঈদ হয়, তাহলে তাঁদের সাথে ঈদ করার পর তাকে র কোনও রোযা কাযা করতে হবে না। কারণ, তাঁর ২৯ টি রোযা হয়ে গেছে এবং মাস ২৯ দিনেও হয়। ২৪৭ (ইবা, ফাতাওয়াস সিয়াম, মুসনিদ ১৬ পৃঃ)
অনুরূপ ৩০ শের সকালে রোযা অবস্থায় সফর করে নিজ দেশে ফিরে ঈদ দেখলে, তাঁদের সাথে ঈদ করবে। ২৪৮ (লাজনাহ, দায়েমাহ)
পরন্ত যদি কেউ ঈদের দিনে ঈদ করে প্রাচ্যের দেশে সফর করে এবং সেখানে গিয়ে দেখে সেখানকার লোকেদের রোযা চলছে, তাহলে শে ক্ষেত্রে তাকে পানাহার বন্ধ করতে হবে না এবং রোযা কাযাও করতে হবে না। কেননা, সে শরয়ী নিয়ম মতে রোযা ভেঙ্গেছে। অতএব এ দিন তাঁর জন্য পানাহার বৈধ হওয়ার দিন। ২৪৯ (আসইলাহ অআজবিবাহ ফী স্বালাতিল ঈদাইন ২৮ পৃঃ)