পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা
৫৯৩৭-[৭০] মা’ন ইবনু আবদুর রহমান (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, আমি মাসরূককে প্রশ্ন করলাম, জিনেরা যে রাত্রে মনোনিবেশ সহকারে কুরআন মাজীদ শুনেছিল, এ সংবাদটি নবী (সা.) -কে কে দিয়েছিল? তিনি বললেন, তোমরা পিতা অর্থাৎ ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ আমাকে বলেছেন যে, তাকে [নবী (সা.) -কে] একটি গাছ তাদের উপস্থিতির কথা জানিয়েছিল। (বুখারী ও মুসলিম)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب فِي المعجزا)
وَعَنْ مَعْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي قَالَ: سَأَلْتُ مَسْرُوقًا: مَنْ آذَنَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْجِنِّ لَيْلَةَ اسْتَمَعُوا الْقُرْآنَ؟ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُوكَ يَعْنِي عَبْدَ اللَّهِ ابْن مَسْعُودٍ أَنَّهُ قَالَ: آذَنَتْ بِهِمْ شَجَرَةٌ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
متفق علیہ ، رواہ البخاری (3859) و مسلم (153 / 450)، (1011) ۔
(مُتَّفق عَلَيْهِ)
ব্যাখ্যা: (آذَنَتْ بِهِمْ شَجَرَةٌ) “একটি গাছ তাদের উপস্থিতির কথা তাঁকে [নবী (সা.)-কে] জানিয়েছিল। এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা জড় বস্তুর মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা মর্তবা দান করেন। এর দলীল -
মহান আল্লাহ বলেন: (وَ اِنَّ مِنۡهَا لَمَا یَهۡبِطُ مِنۡ خَشۡیَۃِ اللّٰهِ) “আর তাদের মধ্য থেকে কত্থক আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়”- (সূরা আল বাক্বারাহ ২: ৭৪)। তিনি অন্যত্র বলেন- (.... وَ اِنۡ مِّنۡ شَیۡءٍ اِلَّا یُسَبِّحُ بِحَمۡدِهٖ وَ لٰکِنۡ لَّا تَفۡقَهُوۡنَ تَسۡبِیۡحَهُمۡ...)“...আর প্রত্যেকটা জিনিসই তার (আল্লাহর) প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করে, কিন্তু তোমরা তাদের তাসবীহ বোঝ না...”- (সূরাহ্ বানী ইসরাঈল ১৭: ৪৪)। আর নবী (সা.) -এর বাণী, (عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي لأَعْرِفُ حَجَرًا بِمَكَّةَ كَانَ يُسَلِّمُ عَلَىَّ قَبْلَ أَنْ أُبْعَثَ إِنِّي لأَعْرِفُهُ الآنَ) জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন: নিশ্চয় আমি এখন মক্কার সেই পাথরকে চিনি যে আমি নবী হওয়ার আগেই আমাকে সালাম করত। [সহীহ: মুসলিম ২-(২২৭৭)]
আর সেই দুই গাছের ঘটনা যারা নবী (সা.) -এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার কাছে এসেছিল।
আবার খেজুর গাছের কাণ্ডের ক্রন্দনের সেই বিখ্যাত ঘটনা। আবার মূসা আলায়হিস সালাম-এর কাপড় নিয়ে পাথরের পালানোর সময়ের ঘটনা। (শারহুন নাবাবী হা, ৪৫০)