পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - ভয় ও কান্না
৫৩৪২-[8] যায়নাব বিনতু জাহশ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) এ ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় তাঁর নিকট এসে বললেন, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বুদ নেই। আরবের জন্য মহাবিপদ সেই দুর্যোগের কারণে, যা অতি কাছাকাছি। ইয়াজুজ মাজুজ-এর প্রাচীর আজ এই পরিমাণ খুলে গিয়েছে। এটা বলে তিনি স্বীয় বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তার নিকটবর্তী (তর্জনি) অঙ্গুলি গোল করে (ছিদ্রের পরিমাণটি) দেখালেন। তখন যায়নাব (রাঃ) প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মধ্যে ভালো লোক থাকাবস্থায়ও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাব? তিনি (সা.) বললেন, হ্যা, যখন পাপাচার বেড়ে যাবে। (বুখারী ও মুসলিম)
الفصل الاول (بَاب الْبكاء وَالْخَوْف)
وَعَن زينبَ بنتِ جحشٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دخل يَوْمًا فَزِعًا يَقُولُ: «لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَيلٌ للعربِ مِنْ شَرٍّ قَدِ اقْتَرَبَ فُتِحَ الْيَوْمَ مِنْ رَدْمِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مِثْلُ هَذِهِ» وَحَلَّقَ بِأُصْبَعَيْهِ: الْإِبْهَامَ وَالَّتِي تَلِيهَا. قَالَتْ زَيْنَبُ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَنُهْلَكُ وَفِينَا الصَّالِحُونَ؟ قَالَ: «نَعَمْ إِذا كثُرَ الخَبَثُ» . مُتَّفق عَلَيْهِ
متفق علیہ ، رواہ البخاری (3346) و مسلم (2 / 1880)، (7237) ۔
(مُتَّفق عَلَيْهِ)
ব্যাখ্যা : (وَيلٌ للعربِ مِنْ شَرٍّ قَدِ اقْتَرَبَ) আরবদের জন্য দুর্ভোগ। দুঃখ-কষ্টে পতিত হওয়াকে (وَيلٌ) বলা হয়। আরবদেরকে নির্দিষ্ট করে বলার কারণ হলো : সে সময় অধিকাংশ ‘আরবরাই ইসলাম গ্রহণ করেছিল। ইয়াজুজ মাজুজ বাহিনীর অনিষ্টের কারণে, যারা ‘আরবদের সাথে যুদ্ধ করবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) তার বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তার সংলগ্ন আঙ্গুলকে একত্রিত করে বৃত্ত তৈরি করে দেখিয়ে বললেন, ইয়াজুজ মাজুজ তাদের প্রাচীরের এই পরিমাণ খুলে ফেলেছে। আর প্রাচীর খুলে বাহিরে বের হওয়া কিয়ামতের আলামত। তারা দাজ্জাল বের হওয়ার পরেই এখান থেকে বেরিয়ে পড়বে। মূলত ইয়াজুজ ও মাজুজ আদম 'আলায়হিস সালাম-এর বংশধরের দুটি কাফির সম্প্রদায়।
(قَالَتْ زَيْنَبُ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَنُهْلَكُ وَفِينَا الصَّالِحُونَ؟) যায়নাব (রাঃ) বললেন, আমরা কি ধ্বংসপ্রাপ্ত হব অথচ আমাদের মাঝে অনেক নেক বান্দা থাকবে, বলা হয়েছে সৎ বান্দার ওপর নির্ভর করার ভিত্তিতে। রসূল ও উত্তর দিলেন : হ্যাঁ, ভালো রয়েছে। লোকেরাও ধ্বংস হবে যখন অশ্লীলতা বেড়ে যাবে। অশ্লীলতা বলতে পাপাচার, শিরক, কুফরী ইত্যাদি বুঝানো হয়েছে। আবার কেউ বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যিনা-ব্যভিচার বৃদ্ধি পাওয়া। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহওয়াযী ৬/২১৮৭)।