পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ইবাদতের জন্য হায়াত ও দৌলতের আকাঙ্ক্ষা করা
৫২৯১-[৮] সুফইয়ান আস্ সাওরী (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, অতীতকালে ধন-সম্পদকে অপছন্দ মনে করা হত। কিন্তু আজকাল ধন-সম্পদ হলো মু’মিন ব্যক্তির ঢাল। যদি এ দীনারসমূহ না থাকত এ সমস্ত রাজা-বাদশাহগণ আমাদেরকে হাত মোছার রুমাল বানিয়ে ফেলত (ঘৃণা ও তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখত)। তিনি আরো বলেন : যার হাতে এ ধন-সম্পদের কিছু পরিমাণ আছে, সে যেন অবশ্যই তার সঠিক ব্যবহার করে। কেননা, বর্তমান সময় যদি কেউ অভাবে পতিত হয়, সে ব্যক্তি সর্বপ্রথম স্বীয় দীনের বিনিময়ে দুনিয়া অর্জন করবে। সুফইয়ান আরো বলেছেন : হালালভাবে অর্জিত মালের মধ্যে অপচয়ের অবকাশ নেই। (শারহুস্ সুন্নাহ্)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ اسْتِحْبَابِ الْمَالِ وَالْعُمُرِ لِلطَّاعَةِ)
وَعَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ قَالَ كَانَ الْمَالُ فِيمَا مَضَى يُكْرَهُ فَأَمَّا الْيَوْمَ فَهُوَ تُرْسُ الْمُؤْمِنِ وَقَالَ لَوْلَا هَذِهِ الدَّنَانِيرُ لَتَمَنْدَلَ بِنَا هَؤُلَاءِ الْمُلُوكُ وَقَالَ مَنْ كَانَ فِي يَدِهِ مِنْ هَذِهِ شَيْءٌ فَلْيُصْلِحْهُ فَإِنَّهُ زَمَانٌ إِنِ احْتَاجَ كَانَ أَوَّلَ مَنْ يَبْذُلُ دِينَهُ وَقَالَ: الْحَلَالُ لايحتمل السَّرف. رَوَاهُ فِي شرح السّنة
ضعیف مردود ، رواہ البغوی فی شرح السنۃ (14 / 291 بعد 4098 بدون سند ولم اجدہ مسندًا ۔ وقولہ من اکن المال الی ترس المومن ، رواہ ابو نعیم فی حلیۃ الاولیاء (6 / 381) و سندہ ضعیف جدًا ۔ فیہ داود (رواد) بن الجراح وھو متروک و شطر الثانی رواہ ابو نعیم ایضًا فی الحلیہ (6 / 381) و سندہ ضعیف فیہ جماعۃ لم اجد لھم توثیقًا یعتمد علیہ) ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা : (تُرْسُ الْمُؤْمِنِ) তথা (সম্পদ) মুমিনের ঢালস্বরূপ। কারণ বৈধ সম্পদের অধিকারী ব্যক্তি হারাম ও সন্দেহযুক্ত সম্পদে পতিত হওয়া থেকে বেঁচে থাকতে পারে। আর অত্যাচারী ও যুলুমের সাহচর্য থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। অথবা সর্বসাধারণের নিকট নিজেকে সম্পদের বহিঃপ্রকাশ করা থেকে লুকিয়ে রাখতে পারে।
(لَوْلَا هَذِهِ الدَّنَانِيرُ لَتَمَنْدَلَ بِنَا هَؤُلَاءِ الْمُلُوكُ) যদি আমাদের হাতে কোন টাকা-পয়সা না থাকত তাহলে রাজা-বাদশাহরা আমাদেরকে তাদের পকেটের রুমাল বানাত। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আমাদেরকে অপদস্থ করত অথবা তাদের মন্দ পরিকল্পনার সত্যায়নকারী হিসেবে ব্যবহার করত। তাই বলা হয়েছে, আল্লাহর নিকট হিসাবের ভয়ে তা পরিত্যাগ করার চেয়ে উত্তম হলো মানুষের নিকট হাত না পাতা। অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি মুখাপেক্ষী হওয়া উত্তম, তাকে ছাড়া অন্যের প্রতি মুখাপেক্ষী হওয়া থেকে।
(لْحَلَالُ لايحتمل السَّرف) হালাল সম্পদ কম হওয়ার কারণে বেশি করে খরচ করার অবকাশ নেই। ‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তার দ্বারা দু ধরনের উদ্দেশ্য হতে পারে :
এক : হালাল কম হওয়ার দরুন অপচয় করার সম্ভাবনা রাখে না।
দুই : হালাল জিনিস বেশি করে খরচ করা উচিত নয়। কেননা পরবর্তীতে অন্যের নিকট হাত পাতার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে।
মূলকথা হলো হালাল জিনিস কম হোক বা বেশি হোক প্রয়োজন ব্যতিরেকে অপচয় করা ঠিক নয়। যেমন সুনাম অর্জন বা লোক দেখানো উদ্দেশে বেশি করে খাদ্য দান করা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)