পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৭০. হারিছ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা মসজিদে প্রবেশ করে দেখলাম কতক লোক সেখানে কথাবার্তায় নিমগ্ন। তখন আমি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট গিয়ে বললাম, আপনি কি দেখছেন না যে, মসজিদে লোকেরা বাকবিতণ্ডায় নিমগ্ন হয়ে আছে? তখন তিনি বললেন, তারা কি তাই করছে? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, শোন, নিশ্চয়ই আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “অচিরেই ফিতনাসমূহ আবির্ভাব হবে।” আমি বললাম, তা হতে বের হওয়ার উপায় কি? তিনি বললেন, “আল্লাহর কিতাব। আল্লাহর কিতাবে তোমাদের পূর্ববর্তীগণের সকল সংবাদ রয়েছে এবং তোমাদের পরবর্তীদের সংবাদও রয়েছে, এবং তোমাদের মধ্যকার প্রয়োজনীয় হুকুম-আহকাম রয়েছে। আর তা হলো চুড়ান্ত সত্য, এটি কোনো ঠাট্টা-তামাশার বস্তু নয়। দাপট-অহংকারবশত: যে ব্যক্তি একে বর্জন করবে, আল্লাহ তাকে ধ্বংস করবেন। আর যে ব্যক্তি এ ব্যতীত অন্য কোথাও হেদায়েত-পথনির্দেশনা অন্বেষণ করবে, আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করবেন।
আর এ হলো আল্লাহর মজবুত রশি; আর এ হলো প্রজ্ঞাপুর্ণ যিকির; আর এ হলো সিরাতুল মুস্তাক্বীম-সরল-সোজা পথ। এ হলো সেই বস্তু যার মাধ্যমে প্রবৃত্তি-মনমর্জি বক্র হয় না, আর এর দ্বারা জবান অস্পষ্ট হয় না। আর এ থেকে উলামাগণ কখনো পরিতৃপ্ত হয় না; বার বার পাঠেও তা কখনো জীর্ণ ও পুরাতন হয় না; এর বিস্ময়সমূহ কখনো শেষ হয় না; এ হলো সেই কুরআন যা শুনে জ্বিনেরা এ কথা না বলে পারেনি যে, إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآناً عَجَباً (অর্থ: “আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি।” সুরা জ্বিন: ১) আর এ হলো সেই কুরআন, যার দ্বারা কেউ কথা বললে সত্য বলে; যার দ্বারা কেউ বিচার-ফায়সালা করলে, সে ন্যায়বিচার করে; এর দ্বারা যে আমল করে, সে প্রতিদান লাভ করলো; আর এর দিকে যে আহ্বান করলো, সে ’সিরাতুল মুস্তাক্বিম’ বা সরল পথের দিশা পেল।” (আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে বললেন,) হে আওয়ার, তুমি এ কুরআনকে অবলম্বন-অনুসরণ করো।[1]
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرِّفَاعِيُّ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ الْجُعْفِيُّ عَنْ حَمْزَةَ الزَّيَّاتِ عَنْ أَبِي الْمُخْتَارِ الطَّائِيِّ عَنْ ابْنِ أَخِي الْحَارِثِ عَنْ الْحَارِثِ قَالَ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَإِذَا أُنَاسٌ يَخُوضُونَ فِي أَحَادِيثَ فَدَخَلْتُ عَلَى عَلِيٍّ فَقُلْتُ أَلَا تَرَى أَنَّ أُنَاسًا يَخُوضُونَ فِي الْأَحَادِيثِ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ قَدْ فَعَلُوهَا قُلْتُ نَعَمْ قَالَ أَمَا إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ سَتَكُونُ فِتَنٌ قُلْتُ وَمَا الْمَخْرَجُ مِنْهَا قَالَ كِتَابُ اللَّهِ كِتَابُ اللَّهِ فِيهِ نَبَأُ مَا قَبْلَكُمْ وَخَبَرُ مَا بَعْدَكُمْ وَحُكْمُ مَا بَيْنَكُمْ هُوَ الْفَصْلُ لَيْسَ بِالْهَزْلِ هُوَ الَّذِي مَنْ تَرَكَهُ مِنْ جَبَّارٍ قَصَمَهُ اللَّهُ وَمَنْ ابْتَغَى الْهُدَى فِي غَيْرِهِ أَضَلَّهُ اللَّهُ فَهُوَ حَبْلُ اللَّهِ الْمَتِينُ وَهُوَ الذِّكْرُ الْحَكِيمُ وَهُوَ الصِّرَاطُ الْمُسْتَقِيمُ وَهُوَ الَّذِي لَا تَزِيغُ بِهِ الْأَهْوَاءُ وَلَا تَلْتَبِسُ بِهِ الْأَلْسِنَةُ وَلَا يَشْبَعُ مِنْهُ الْعُلَمَاءُ وَلَا يَخْلَقُ عَنْ كَثْرَةِ الرَّدِّ وَلَا تَنْقَضِي عَجَائِبُهُ وَهُوَ الَّذِي لَمْ يَنْتَهِ الْجِنُّ إِذْ سَمِعَتْهُ أَنْ قَالُوا إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا هُوَ الَّذِي مَنْ قَالَ بِهِ صَدَقَ وَمَنْ حَكَمَ بِهِ عَدَلَ وَمَنْ عَمِلَ بِهِ أُجِرَ وَمَنْ دَعَا إِلَيْهِ هُدِيَ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ خُذْهَا إِلَيْكَ يَا أَعْوَرُ
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৮২ নং ১০০৫৬; তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন ২৯০৮; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ১৯৩৫, ১৯৩৬; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১১৮১। (তিরমিযী বলেন: হাদীসটি গারীব। হামযা আয যিয়াত হতে ব্যতীত এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। এর সনদ মাজহুল বা অজ্ঞাত। হারিছের বর্ণনা সম্পর্কে সমালোচনা রয়েছে।”