পরিচ্ছেদঃ ৫৮. বিড়াল যখন পানির পাত্রে মুখ দেয়
৭৫৯. কাবশা বিনতে কা’ব ইবনু মালিক হতে বর্ণিত। আর তিনি ছিলেন আবু কাতাদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র পুত্রবধূ। একদা আবু কাতাদা (গৃহে) আগমণ করলে তিনি তাঁকে ওযুর পানি দিলেন। তারপর একটি বিড়াল এসে তা থেকে পানি পান করতে লাগলো। তখন (বিড়ালের পান করার সুবিধার্থে) তিনি (আবু কাতাদা) পাত্রটিকে কাত করে ধরলেন। এমনকি বিড়ালটি তৃপ্তি সহকারে পান করলো। কাবশাহ বলেন, তিনি আমাকে এর প্রতি তাকিয়ে থাকতে দেখে বললেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্রী! তুমি কি আশ্চর্যবোধ করছো? জবাবে আমি বললাম, হাঁ। তখন তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয়ই এরা (বিড়াল) অপবিত্র (প্রাণী) নয়। নিশ্চয়ই এরা তোমাদের আশেপাশে ঘোরাফেরাকারী ও অধিক বিচরণকারী প্রাণী।[1]
بَابُ الْهِرَّةِ إِذَا وَلَغَتْ فِي الْإِنَاءِ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ حُمَيْدَةَ بِنْتِ عُبَيْدِ بْنِ رِفَاعَةَ عَنْ كَبْشَةَ بِنْتِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ وَكَانَتْ تَحْتَ ابْنِ أَبِي قَتَادَةَ أَنَّ أَبَا قَتَادَةَ دَخَلَ عَلَيْهَا فَسَكَبَتْ لَهُ وَضُوءًا فَجَاءَتْ هِرَّةٌ تَشْرَبُ مِنْهُ فَأَصْغَى لَهَا أَبُو قَتَادَةَ الْإِنَاءَ حَتَّى شَرِبَتْ قَالَتْ كَبْشَةُ فَرَآنِي أَنْظُرُ فَقَالَ أَتَعْجَبِينَ يَا بِنْتَ أَخِي قُلْتُ نَعَمْ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّهَا لَيْسَتْ بِنَجَسٍ إِنَّمَا هِيَ مِنْ الطَّوَّافِينَ عَلَيْكُمْ وَالطَّوَّافَاتِ
إسناده جيد
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ করেছি মাওয়ারিদুয যামআন নং ১২১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১২৯৯ এ। (মালিক ১৩; শাফিঈ, আল উম্মু ১/৮; আব্দুর রাযযাক ১/১০১ নং ৩৫৩; ইবনু আবী শাইবা ১/৩১; আহমদ ৫/৩০৩, ৩০৯; আবু দাউদ ৭৫; তিরমিযী ৯২; নাসাঈ ১/৫৫, ১৭৮; ইবনু মাজাহ ৩৬৭; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/১৮; বাইহাকী ১/২৪৫; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ২/৬৯ নং ২৮৬; আর একে সহীহ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ইবনু খুযাইমা ১০৪; হাকিম ১/৬০, আর যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন।
হাফিজ তার তালখীসুল হাবীর ১/১৪১ এ বলেন: একে সহীহ বলেছৈন বুখারী, তিরমিযী, উকাইলী, দারুকুতনী...।”
আর এর শাহিদ হাদীস বর্ণনা করেছেন আয়েশা রা: হতে আমাদের তাহক্বীক্বকৃত আবু ইয়ালা নং ৪৯৫১।- মুহাক্কিক্বের তাহক্বীক্বকৃত মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২১ এর টীকা হতে।- অনুবাদক))
আরো বর্ণিত হয়েছে: বাইহাকী, মা’রেফাতুস সুনান ২/৬৭ নং ১৭৭০; আমাদের তাহক্বীক্বকৃত মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৩৪