পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২০৩-[৪৫] উমাইয়াহ্ ইবনু মাখশী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি বিসমিল্লা-হ না পড়েই খাওয়া শুরু করল, অবশেষে মাত্র একটি গ্রাস অবশিষ্ট রইল, যখন সে তা মুখের কাছে তুলে বলে উঠল, ’’বিসমিল্লা-হি আও্ওয়ালাহূ ওয়া আ-খিরাহূ’’ (অর্থাৎ- খাবারের প্রথমে এবং শেষে আল্লাহর নামে)। তার অবস্থা দেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে উঠলেন, অতঃপর বললেনঃ এতক্ষণ পর্যন্ত শয়তান ঐ লোকটির সঙ্গে খাচ্ছিল। আর যখনই সে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করল, তখনই শয়তান তার পেটের মধ্যে যা কিছু ছিল বমি করে দিলো। (আবূ দাঊদ)[1]
الْفَصْلُ الثَّانِي
وَعَن أُميَّةَ بن مَخْشِيٍّ قَالَ: كَانَ رَجُلٌ يَأْكُلُ فَلَمْ يُسَمِّ حَتَّى لَمْ يَبْقَ مِنْ طَعَامِهِ إِلَّا لُقْمَةٌ فَلَمَّا رَفَعَهَا إِلَى فِيهِ قَالَ: بِسْمِ اللَّهِ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ فَضَحِكَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: «مَا زَالَ الشَّيْطَانُ يَأْكُلُ مَعَهُ فَلَمَّا ذَكَرَ اسْمَ اللَّهِ اسْتَقَاءَ مَا فِي بَطْنه» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ হলো এর সনদে আছে ‘‘আল মুসান্না ইবনু ‘আবদুর রহমান’’ নামক একজন বর্ণনাকারী যাকে চেনা যায় না (মাজহূল)। দেখুন- ইরওয়া ৭/২৬, ১৯৬৫; শু‘আবুল ঈমান ৫৮৩২, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৮৫২।
ব্যাখ্যাঃ (فَلَمَّا ذَكَرَ اسْمَ اللهِ اسْتَقَاءَ مَا فِىْ بَطْنِه) ‘‘যখনই ‘‘বিসমিল্লা-হ’’ বলা হলো তখনই শয়তান তার পেটে যা ছিল বমি করে বের করে দিল। এখানে বমি করার বিষয়টি প্রকৃত বমি নাও হতে পারে অথবা এ অর্থও হতে পারে যে, ‘‘বিসমিল্লা-হ’’ না বলার ফলে যে বারাকাত চলে গিয়েছিল ‘‘বিসমিল্লা-হ’’ বলাতে ঐ বারাকাত খাদ্যের মধ্যে ফিরে এলো। তূরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ শয়তানের জন্য বা বৈধ হয়েছিল ‘‘বিসমিল্লা-হ’’ না বলার কারণে ‘‘বিসমিল্লা-হ’’ বলার ফলে তা তার বিপদ হয়ে দাঁড়ালো।
হাদীসের শিক্ষা : অত্র হাদীস প্রমাণ করে যে, খাবার সময় ‘‘বিসমিল্লা-হ’’ বলা ওয়াজিব।
(মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৭৬৪)