৪০৮৭

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪০৮৭-[২৪] কবীসাহ্ ইবনু হুল্‌ব তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নাসারাদের খাদ্যদ্রব্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। অপর এক রিওয়ায়াত আছে, জনৈক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞেস করল, এমন কিছু খাদ্য আছে যাতে আমি সংকোচবোধ করি। উত্তরে তিনি বললেন, খাদ্যের ব্যাপারে তোমার অন্তরে কোন প্রকারের দ্বিধা-সংকোচ থাকা উচিত নয়, অন্যথায় তুমি এতে নাসারাদের সদৃশ হয়ে যাবে। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ طَعَامِ النَّصَارَى وَفِي رِوَايَةٍ: سَأَلَهُ رَجُلٌ فَقَالَ: إِنَّ مِنَ الطَّعَامِ طَعَامًا أَتَحَرَّجُ مِنْهُ فَقَالَ: «لَا يَتَخَلَّجَنَّ فِي صَدْرِكَ شَيْءٌ ضَارَعْتَ فِيهِ النَّصْرَانِيَّة» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد

وعن قبيصة بن هلب عن ابيه قال: سالت النبي صلى الله عليه وسلم عن طعام النصارى وفي رواية: ساله رجل فقال: ان من الطعام طعاما اتحرج منه فقال: «لا يتخلجن في صدرك شيء ضارعت فيه النصرانية» . رواه الترمذي وابو داود

ব্যাখ্যাঃ এ হাদীসে (لَا يَتَخَلَّجَنَّ فِي صَدْرِكَ شَيْءٌ) এ বাক্যটির ব্যাপারে তূরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ যেসব খাবারের ব্যাপারে আল্লাহ নিষেধ করেননি সেগুলোর ব্যাপারে তোমার অন্তরে যেন কোন সংশয় সৃষ্টি না হয়। কেননা যেগুলোর ব্যাপারে নিষেধ করা হয়নি সেগুলো হালাল।

(ضَارَعْتَ فِيهِ النَّصْرَانِيَّة) অর্থাৎ খাবারের ব্যাপারে সন্দেহ করার কারণে খৃষ্ট ধর্মের অনুসারীদের সাথে সাদৃশ্য রাখা হবে। কেননা তাদের কারো অন্তরে যদি কোন খাবারের ব্যাপারে সংশয় সৃষ্টি হত তাহলে তারা এটা হারাম অথবা মাকরূহ ইত্যাদি বলে হুকুম লাগাতো। এজন্যই এ হাদীসে খাবারের ব্যাপারে সন্দেহ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

খাবারের ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন তিনি হলেন, ‘আদী ইবনু হাতিম। তিনি ইসলাম গ্রহণের আগে খৃষ্ট ধর্মের অনুসারী ছিলেন। আর এজন্যই তার অন্তরে এ ধরনের সংশয় সৃষ্টি হত।

ইমাম ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ তোমার অন্তরে যেন খাবারের ব্যাপারে কোন সংকীর্ণতা এবং সংশয় প্রবেশ করতে না পারে। কারণ তুমি একনিষ্ঠ সঠিক দীনের উপর রয়েছ। সুতরাং তুমি যদি খাবারের ব্যাপারে নিজেকে কাঠিন্যতায় ফেলে দাও তাহলে তুমি এ ক্ষেত্রে খ্রিষ্টানদের পাদ্রীর সাথে সাদৃশ্য রাখলে। কেননা এটাই তাদের চরিত্র ও অভ্যাস। যে বিষয়টি পবিত্র কুরআন খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে। যেমন : وَرَهْبَانِيَّةً ابْتَدَعُوهَا مَا كَتَبْنَاهَا عَلَيْهِمْ ‘‘আর বৈরাগ্যবাদ- তা তারা নিজেরাই নতুনভাবে চালু করেছে যে বিষয়ে আমরা তাদেরকে আদেশ করিনি’’- (সূরাহ্ আল হাদীদ ৫৭ : ২৭)। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৫৬৫)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح)