পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - মদের বর্ণনা ও মধ্যপায়ীকে ভীতিপ্রদর্শন করা
৩৬৪২-[৯] ওয়ায়িল আল হাযরামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ত্বারিক ইবনু সুওয়াইদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মদ ব্যবহারের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা ব্যবহার করতে নিষেধ করলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ তবে আমি যদি তা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তা প্রতিষেধক নয়; বরং স্বয়ং ব্যাধি। (মুসলিম)[1]
بَابُ بَيَانِ الْخَمْرِ وَوَعِيْدِ شَارِبِهَا
وَعَنْ وَائِلٍ الْحَضْرَمِيِّ أَنَّ طَارِقَ بْنَ سُوَيْدٍ سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْخَمْرِ فَنَهَاهُ. فَقَالَ: إِنَّمَا أَصْنَعُهَا لِلدَّوَاءِ فَقَالَ: «إِنَّهُ لَيْسَ بِدَوَاءٍ وَلَكِنَّهُ دَاءٌ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
ব্যাখ্যা: এটা সুস্পষ্ট দলীল যে, মদ পান করা তা দ্বারা সিরকা তৈরি করা হারাম। আর এটাও সুস্পষ্ট যে, এটা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করে চিকিৎসা করাও হারাম। কেননা তা ঔষধ নয়।
অনুরূপ পিপাসিত ব্যক্তির জন্য পান করা হারাম। তবে যদি কোনো গ্রাসে গলায় কোনো কিছু হয় এবং গোঙ্গানি শুরু হয় আর এমতাবস্থায় মদ ব্যতীত অন্য পানীয় বস্তু না থাকে তাহলে মদ গলাধঃকরণ করা বৈধ হবে। (শারহে মুসলিম ১৩শ খন্ড, হাঃ ১৯৮৪)