২০

পরিচ্ছেদঃ ২: তওবার বিবরণ

৭/২০। যির্র ইবনু হুবাইশ বলেন যে, আমি মোজার উপর মাসাহ করার মাসআলা জিজ্ঞাসা করার জন্য সাফওয়ান ইবনু আস্‌সালের নিকট গেলাম। তিনি বললেন, ’হে যির্র! তোমার আগমনের উদ্দেশ্য কি?’ আমি বললাম, ’জ্ঞান অন্বেষণ।’ তিনি বললেন, ’নিশ্চয় ফিরিশতামণ্ডলী ঐ অন্বেষণের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে বিদ্যার্থীর জন্য নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন।’

অতঃপর আমি বললাম, ’পেশাব-পায়খানার পর মোজার উপর মাসাহ করার ব্যাপারে আমার মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। যেহেতু আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একজন সাহাবী, তাই আপনার নিকট জানতে এলাম যে, আপনি এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কিছু আলোচনা করতে শুনেছেন কি না?’ তিনি বললেন, ’হ্যাঁ! যখন আমরা বিদেশ সফরে বের হতাম, তখন তিনি আমাদেরকে (সফরে) তিনদিন ও তিন রাত মোজা না খোলার আদেশ দিতেন (অর্থাৎ আমরা যেন এই সময়সীমা পর্যন্ত মাসাহ করতে থাকি), কিন্তু বড় অপবিত্রতা (সঙ্গম, বীর্যপাত ইত্যাদি) হেতু অপবিত্র হলে (মোজা খুলতে হবে)। কিন্তু পেশাব-পায়খানা ও ঘুম থেকে উঠলে নয়। (এ সবের পর রীতিমত মাসাহ করা জায়েয)।’ আমি বললাম, ’আপনি কি তাঁকে ভালবাসা সম্পর্কে কিছু আলোচনা করতে শুনেছেন?’ তিনি বললেন, ’হ্যাঁ। আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সফরে ছিলাম।

আমরা তাঁর সঙ্গে বসেছিলাম, এমন সময় এক বেদুঈন অতি উঁচু গলায় ডাক দিল, ’’হে মুহাম্মাদ!’’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাকে উঁচু আওয়াজে জবাব দিলেন, ’’এখানে এস!’’ আমি তাকে বললাম, ’’আরে তুমি নিজের আওয়াজ নীচু কর! কেননা, তুমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আছ। তাঁর নিকট এ রকম উঁচু গলায় কথা বলা তোমার (বরং সকলের) জন্য নিষিদ্ধ।’’ সে (বেদুঈন) বলল, ’’আল্লাহর কসম! আমি তো আস্তে কথা বলবই না।’’ বেদুঈন বলল, ’’কোন ব্যক্তি কিছু লোককে ভালবাসে; কিন্তু সে তাদের (মর্যাদায়) পৌঁছতে পারেনি? (এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?)।’’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যুত্তরে বললেন, ’’মানুষ কিয়ামতের দিন ঐ লোকদের সঙ্গে থাকবে, যাদেরকে সে ভালবাসবে।’’ পুনরায় তিনি আমাদের সাথে কথাবার্তা বলতে থাকলেন। এমনকি তিনি পশ্চিম দিকের একটি দরজার কথা উল্লেখ করলেন, যার প্রস্থের দূরত্ব ৪০ কিংবা ৭০ বছরের পথ অথবা তিনি বললেন, ওর প্রস্থে একজন আরোহী ৪০ কিম্বা ৭০ বছর চলতে থাকবে। (সুফইয়ান এই হাদীসের একজন বর্ণনাকারী বলেন যে, এই দরজা সিরিয়ার দিকে অবস্থিত।) আল্লাহ তা’আলা এই দরজাটি আসমান-যমীন সৃষ্টি করার দিন সৃষ্টি করেছেন এবং সেই সময় থেকে তা তওবার জন্য খোলা রয়েছে। পশ্চিমদিক থেকে সূর্য না উঠা পর্যন্ত এটা বন্ধ হবে না।’[1]

(2) - باب التوبة

وعَنْ زِرِّ بْنِ حُبْيشٍ قَال : أَتيْتُ صفْوانَ بْنِ عسَّالٍ رضِي االله عنْهُ أَسْأَلُهُ عن الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ فقال :مَا جَاءَ بِكَ يَا زِرُّ ؟ فقُلْتُ : ابْتغَاءُ الْعِلْمِ ، فقَال: إِنَّ الْملائِكَةَ تَضَعُ أَجْنِحتِها لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضاء بمَا يَطلُبُ ،فَقلْتُ : إِنَّه قدْ حَكَّ في صدْرِي الْمسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ بَعْدَ الْغَائِطِ والْبوْلِ ، وآُنْتَ امْرَءاً مِنْ أَصْحاب النَّبِيِّ صَلّىااللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم ، فَجئْت أَسْأَلُكَ : هَلْ سمِعْتَهُ يذْآرُ في ذَلِكَ شيْئاً ؟ قال : نعَمْ آانَ يأْمُرنا إذا آُنا سفراً أوْمُسافِرين أَن لا ننْزعَ خفافَنا ثلاثة أَيَّامٍ ولَيَالِيهنَّ إِلاَّ مِنْ جنَابةٍ ، لكِنْ مِنْ غائطٍ وبْولٍ ونْومٍ . فقُلْتُ : هَلسمِعتهُ يذآُر في الْهوى شيْئاً ؟ قال : نعمْ آُنَّا مَع رسول االله صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم في سفرٍ ، فبيْنا نحنُ عِنْدهُإِذ نادَاهُ أَعْرابي بصوْتٍ له جهوريٍّ : يا مُحمَّدُ ، فأَجَابهُ رسولُ االله صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم نحْوا مِنْ صَوْتِه :»هاؤُمْ« فقُلْتُ لهُ : وَيْحَكَ اغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ فإِنَّك عِنْد النَّبيِّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم وقدْ نُهِيت عَنْ هذا ،فقال : واللَّه لا أَغضُضُ : قَالَ الأَعْرابِيُّ : الْمَرْءُ يُحِبُّ الْقَوم ولَمَّا يلْحق بِهِمْ؟ قال النَّبِيُّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم: »الْمرْءُ مع منْ أَحَبَّ يَوْمَ الْقِيامةِ « فما زَالَ يُحدِّثُنَا حتَّى ذآر باباً من الْمَغْرب مَسيرةُ عرْضِه أوْ يسِيرالرَّاآِبُ في عرْضِهِ أَرْبَعِينَ أَوْ سَبْعِينَ عَاماً. قَالَ سُفْيانُ أَحدُ الرُّوَاةِ . قِبل الشَّامِ خلقَهُ اللَّهُ تعالى يوْم خلقالسموات والأَرْضَ مفْتوحاً لِلتَّوبة لا يُغلقُ حتَّى تَطلُعَ الشَّمْسُ مِنْهُ « رواه التِّرْمذي وغيره وقال : حديثحسن صحيح

وعن زر بن حبيش قال : اتيت صفوان بن عسال رضي االله عنه اساله عن المسح على الخفين فقال :ما جاء بك يا زر ؟ فقلت : ابتغاء العلم ، فقال: ان الملاىكة تضع اجنحتها لطالب العلم رضاء بما يطلب ،فقلت : انه قد حك في صدري المسح على الخفين بعد الغاىط والبول ، وانت امرءا من اصحاب النبي صلىاالله عليه وسلم ، فجىت اسالك : هل سمعته يذار في ذلك شيىا ؟ قال : نعم اان يامرنا اذا انا سفرا اومسافرين ان لا ننزع خفافنا ثلاثة ايام ولياليهن الا من جنابة ، لكن من غاىط وبول ونوم . فقلت : هلسمعته يذار في الهوى شيىا ؟ قال : نعم انا مع رسول االله صلى االله عليه وسلم في سفر ، فبينا نحن عندهاذ ناداه اعرابي بصوت له جهوري : يا محمد ، فاجابه رسول االله صلى االله عليه وسلم نحوا من صوته :»هاوم« فقلت له : ويحك اغضض من صوتك فانك عند النبي صلى االله عليه وسلم وقد نهيت عن هذا ،فقال : والله لا اغضض : قال الاعرابي : المرء يحب القوم ولما يلحق بهم؟ قال النبي صلى االله عليه وسلم: »المرء مع من احب يوم القيامة « فما زال يحدثنا حتى ذار بابا من المغرب مسيرة عرضه او يسيرالرااب في عرضه اربعين او سبعين عاما. قال سفيان احد الرواة . قبل الشام خلقه الله تعالى يوم خلقالسموات والارض مفتوحا للتوبة لا يغلق حتى تطلع الشمس منه « رواه الترمذي وغيره وقال : حديثحسن صحيح

(2) Chapter: Repentance


Zirr bin Hubaish reported:
I went to Safwan bin 'Assal (May Allah be pleased with him) to inquire about wiping with wet hands over light boots while performing Wudu'. He asked me, "What brings you here, Zirr?" I answered: "Search for knowledge". He said, "Angels spread their wings for the seeker of knowledge out of joy for what he seeks". I told him, "I have some doubts in my mind regarding wiping of wet hands over light boots in the course of performing Wudu' after defecation or urinating. Now since you are one of the Companions of the Prophet (ﷺ), I have come to ask you whether you heard any saying of the Prophet (ﷺ) concerning it?". He replied in the affirmative and said, "He (ﷺ) instructed us that during a journey we need not take off our light boots for washing the feet up to three days and nights, except in case of major impurity (after sexual intercourse). In other cases such as sleeping, relieving oneself or urinating, the wiping of wet hands over light boots will suffice."
I, then, questioned him, "Did you hear him say anything about love and affection?" He replied, "We accompanied the Messenger of Allah (ﷺ) in a journey when a bedouin called out in a loud voice, 'O Muhammad.' The Messenger of Allah (ﷺ) replied him in the same tone, 'Here I am.' I said to him (the bedouin), 'Woe to you, lower your voice in his presence, because you are not allowed to do so.' He said, 'By Allah! I will not lower my voice,' and then addressing the Prophet (ﷺ) he said, 'What about a person who loves people but has not found himself in their company.' Messenger of Allah (ﷺ) replied, 'On the Day of Resurrection, a person will be in the company of those whom he loves.' The Messenger of Allah then kept on talking to us and in the course of his talk, he mentioned a gateway in the heaven, the width of which could be crossed by a rider in forty or seventy years".

Sufyan, one of the narrators of this tradition, said: "This gateway is in the direction of Syria. Allah created it on the day He created the heavens and the earth. It is open for repentance and will not be shut until the sun rises from that direction (i.e., the West) (on Doomsday)".

[At-Tirmidhi, who categorised it as Hadith Hasan Grade: Sahih]

Commentary:

1. We learn from this Hadith that in ablution, it is permissible to wipe over light boots rather than washing the feet.It is called Mash. The period, in which Mash is intact, in case of travellers it is three days and three nights; while forthe residents, it is one day and one night only. A precondition for it is that light boots should be clean and worn afterfull Wudu'. Ankles should also be covered. In case of breach of ablution, the wiping over the socks is sufficient, andthere is no need for washing the feet. Wudu' is invalidated by sleeping, call of nature and passing of wind. This iscalled Hadath Asghar. In the case of Hadath Akbar, which occurs because of coitus, menses and wet dream, washingof the whole body becomes obligatory. It means that the privilege of wiping over the light boots is also finished inthis case, in the same way as it does after the expiry of period specified for it.

2. One should associate himself with the pious people so that he is counted among them. One also comes to knowmany other points from this Hadith which every intelligent person can understand with a little effort.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)