১৫২১

পরিচ্ছেদঃ ১০২৪. পুরুষের সাথে মহিলাদের তাওয়াফ করা।

و قَالَ لِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنَا قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ إِذْ مَنَعَ ابْنُ هِشَامٍ النِّسَاءَ الطَّوَافَ مَعَ الرِّجَالِ قَالَ كَيْفَ يَمْنَعُهُنَّ وَقَدْ طَافَ نِسَاءُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ الرِّجَالِ قُلْتُ أَبَعْدَ الْحِجَابِ أَوْ قَبْلُ قَالَ إِي لَعَمْرِي لَقَدْ أَدْرَكْتُهُ بَعْدَ الْحِجَابِ قُلْتُ كَيْفَ يُخَالِطْنَ الرِّجَالَ قَالَ لَمْ يَكُنَّ يُخَالِطْنَ كَانَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا تَطُوفُ حَجْرَةً مِنْ الرِّجَالِ لَا تُخَالِطُهُمْ فَقَالَتْ امْرَأَةٌ انْطَلِقِي نَسْتَلِمْ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَتْ انْطَلِقِي عَنْكِ وَأَبَتْ يَخْرُجْنَ مُتَنَكِّرَاتٍ بِاللَّيْلِ فَيَطُفْنَ مَعَ الرِّجَالِ وَلَكِنَّهُنَّ كُنَّ إِذَا دَخَلْنَ الْبَيْتَ قُمْنَ حَتَّى يَدْخُلْنَ وَأُخْرِجَ الرِّجَالُ وَكُنْتُ آتِي عَائِشَةَ أَنَا وَعُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ وَهِيَ مُجَاوِرَةٌ فِي جَوْفِ ثَبِيرٍ قُلْتُ وَمَا حِجَابُهَا قَالَ هِيَ فِي قُبَّةٍ تُرْكِيَّةٍ لَهَا غِشَاءٌ وَمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَهَا غَيْرُ ذَلِكَ وَرَأَيْتُ عَلَيْهَا دِرْعًا مُوَرَّدًا

[ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন] আমকে ’আমর ইবন ’আলী (রহঃ) ...... থেকে ইবন জুরাইজ (রহঃ) বর্ণনা করেন যে ’আতা (রহঃ) বলেছেন, ইবন হিশাম (রহঃ) যখন মহিলাদের পুরুষের সঙ্গে তাওয়াফ করতে নিষেধ করেন, তখন ’আতা (রহঃ) তাঁকে বললেন, আপনি তাদের কি করে নিষেধ করেছেন, অথচ নবী সহধর্মিণীগণ পুরুষদের সঙ্গে তাওয়াফ করেছেন? [ইবন জুরাইজ (রহঃ) বলেন] আমি তাঁকে প্রশ্ন করলাম, তা কি পর্দার আয়াত নাযিল হওয়ার পরে, না পূর্বে? তিনি [’আতা (রহঃ)] বললেন, হ্যাঁ, আমার জীবনের কসম, আমি পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পরের কথাই বলছি। আমি জানতে চাইলাম পুরুষগন মহিলাদের সাথে মিলে তাওয়াফ করতেন? তিনি বললেন, পুরুষগণ মহিলাগনের সাথে মিশে তাওয়াফ করতেন না। ’আয়িশা (রাঃ) বরং পুরুষদের পাশ কাটিয়ে তাওয়াফ করতেন, তাদের মাঝে মিশে যেতেন না। এক মহিলা ’আয়িশা (রাঃ)-কে বললেন, চলুন, হে উম্মুল মু’মিনীন! আমরা তাওয়াফ করে আসি। তিনি বললেন, “তোমার মনে চাইলে তুমি যাও” আর তিনি যেতে অস্বীকার করলেন। তারা রাতের বেলা পর্দা করে বের হয়ে (সম্পূর্ণ না মিশে) পুরুষদের পাশাপাশি থেকে তওয়াফ করতেন। উম্মুল মু’মিনীনগন বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতে চাইলে সকল পুরুষ বের করে না দেওয়া পর্যন্ত তারা দাঁড়িয়ে থাকতেন। ’আতা (রহঃ) বলেন, ’উবাইদ ইবন ’উমাইর এবং আমি ’আয়েশা (রাঃ)-এর কাছে গেলাম, তিনি তখন “সবীর” পর্বতে অবস্থান করছিলেন। [ইবন জুরাইজ (রহঃ) বলেন] আমি বললাম, তখন তিনি কি দিয়ে পর্দা করছিলেন? ’আতা (রহঃ) বললেন, তখন তিনি পর্দা ঝুলান তুর্কী তাঁবুতে ছিলেন, এ ছাড়া তার ও আমাদের মাঝে অন্য কোন কিছু ছিল না। (অকস্মাৎ দৃষ্টি পড়ায়) আমি তাঁর গায়ে গোলাপী রং-এর চাদর দেখতে পেলাম।


১৫২১। ইসমা’ঈল (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহধর্মিণী উম্মু সালমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট অসুস্থতার কথা জানালে তিনি বললেনঃ বাহনে আরোহণ করে মানুষের পেছনে থেকে তাওয়াফ কর। আমি মানুষের পেছনে পেছনে থেকে তাওয়াফ করছিলাম, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’বা ঘরের পার্শ্বে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিলেন এবং তিনি ‏وَالطُّورِ * وَكِتَابٍ مَسْطُورٍ এই (সূরাটি) তিলাওয়াত করেছিলেন।

بَاب طَوَافِ النِّسَاءِ مَعَ الرِّجَالِ

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ شَكَوْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنِّي أَشْتَكِي‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ طُوفِي مِنْ وَرَاءِ النَّاسِ، وَأَنْتِ رَاكِبَةٌ ‏"‏‏.‏ فَطُفْتُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَئِذٍ يُصَلِّي إِلَى جَنْبِ الْبَيْتِ، وَهْوَ يَقْرَأُ ‏(‏وَالطُّورِ * وَكِتَابٍ مَسْطُورٍ‏)‏

حدثنا اسماعيل، حدثنا مالك، عن محمد بن عبد الرحمن بن نوفل، عن عروة بن الزبير، عن زينب بنت ابي سلمة، عن ام سلمة ـ رضى الله عنها ـ زوج النبي صلى الله عليه وسلم قالت شكوت الى رسول الله صلى الله عليه وسلم اني اشتكي‏.‏ فقال ‏"‏ طوفي من وراء الناس، وانت راكبة ‏"‏‏.‏ فطفت ورسول الله صلى الله عليه وسلم حينىذ يصلي الى جنب البيت، وهو يقرا ‏(‏والطور * وكتاب مسطور‏)‏


Narrated Um Salama:

(the wife of the Prophet) I informed Allah's Messenger (ﷺ) that I was ill. So he said, "Perform the Tawaf while riding behind the people." I did so, and at that time the Prophet (ﷺ) was praying beside the Ka`ba and reciting Surat-at-Tur.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২২/ হাজ্জ (হজ্জ/হজ) (كتاب الحج)