মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী ১৩. কিতাবুল ঈদাইন (দুই ঈদের নামায) (كتاب العيدين) - The Two Festivals (Eids)
৫১৯

পরিচ্ছেদঃ ঈদের দিন বর্শা এবং ঢাল নিয়ে খেলা করা

৫১৯) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। তখন দু’টি বালিকা বুআছের যুদ্ধের বীরত্ব গীত গাচ্ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরে প্রবেশ করে শুয়ে পড়লেন এবং অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে রাখলেন। ইতিমধ্যে আবু বকর (রাঃ) প্রবেশ করে আমাকে ধমকাতে শুরু করলেন। তিনি বললেনঃ নবীর ঘরে শয়তানের বাদ্যযন্ত্র বাজানো হচ্ছে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন আবু বকরের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ তাদেরকে ছেড়ে দাও। আবু বকর (রাঃ) যখন অন্য মনস্ক হলেন তখন আমি তাদেরকে ইঙ্গিত করলাম। তারা বের হয়ে চলে গেল।

باب الْحِرَابِ وَالدَّرَقِ يَوْمَ الْعِيدِ

৫১৯ـ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ الله عَنْهَا قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ الله وَعِنْدِي جَارِيَتَانِ، تُغَنِّيَانِ بِغِنَاءِ بُعَاثَ، فَاضْطَجَعَ عَلَى الْفِرَاشِ وَحَوَّلَ وَجْهَهُ، وَدَخَلَ أَبُو بَكْرٍ فَانْتَهَرَنِي، وَقَالَ: مِزْمَارَةُ الشَّيْطَانِ عِنْدَ النَّبِيِّ ؟ فَأَقْبَلَ عَلَيْهِ رَسُولُ الله فَقَالَ دَعْهُمَا. فَلَمَّا غَفَلَ غَمَزْتُهُمَا فَخَرَجَتَا. (بخارى:৯৪৯)

৫১৯ـ عن عاىشة رضي الله عنها قالت: دخل علي رسول الله وعندي جاريتان، تغنيان بغناء بعاث، فاضطجع على الفراش وحول وجهه، ودخل ابو بكر فانتهرني، وقال: مزمارة الشيطان عند النبي ؟ فاقبل عليه رسول الله فقال دعهما. فلما غفل غمزتهما فخرجتا. (بخارى:৯৪৯)

A display of spears and shields on 'Eid Festival day


Narrated Aisha:

Allah's Messenger (ﷺ) came to my house while two girls were singing beside me the songs of Buath (a story about the war between the two tribes of the Ansar, the Khazraj and the Aus, before Islam). The Prophet (ﷺ) lay down and turned his face to the other side. Then Abu Bakr came and spoke to me harshly saying, "Musical instruments of Satan near the Prophet (ﷺ)?" Allah's Messenger (ﷺ) turned his face towards him and said, "Leave them." When Abu Bakr became inattentive, I signaled to those girls to go out and they left.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৩. কিতাবুল ঈদাইন (দুই ঈদের নামায) (كتاب العيدين) The Two Festivals (Eids)
৫২০

পরিচ্ছেদঃ ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে কিছু খেয়ে নেয়া

৫২০) আনাস বিন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন কয়েকটি খেজুর না খেয়ে বের হতেন না। আনাস (রাঃ) থেকে অপর বর্ণনায় এসেছে বেজোড় সংখ্যায় খেতেন।

باب الأَكْلِ يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ الْخُرُوجِ

৫২০ـ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ الله لا يَغْدُو يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَأْكُلَ تَمَرَاتٍ. وفي رواية عنه قال: وَيَأْكُلُهُنَّ وِتْرًا

৫২০ـ عن انس بن مالك قال: كان رسول الله لا يغدو يوم الفطر حتى ياكل تمرات. وفي رواية عنه قال: وياكلهن وترا

Eating on the day of Fitr before ethe 'Eid-al-Fitr


Narrated Anas bin Malik:

Allah's Messenger (ﷺ) never proceeded (for the prayer) on the Day of `Id-ul-Fitr unless he had eaten some dates. Anas also narrated: The Prophet (ﷺ) used to eat odd number of dates.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৩. কিতাবুল ঈদাইন (দুই ঈদের নামায) (كتاب العيدين) The Two Festivals (Eids)
৫২১

পরিচ্ছেদঃ ঈদুল আযহার দিন খাওয়ার বিবরণ

৫২১) বারা’ বিন আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে খুতবায় বলতে শুনেছি, আজকের এই দিনে প্রথমে আমরা নামায আদায় করব। অতঃপর ফিরে গিয়ে কুরবানী করবো। যে ব্যক্তি এরূপ করল সে আমাদের সুন্নাত সঠিকভাবে পালন করল।

باب الأَكْلِ يَوْمَ النَّحْرِ

৫২১ـ عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُوْلُ الله يَخْطُبُ، فَقَالَ إِنَّ أَوَّلَ مَا نَبْدَأُ فِي يَوْمِنَا هَذَا أَنْ نُصَلِّيَ، ثُمَّ نَرْجِعَ فَنَنْحَرَ، فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ أَصَابَ سُنَّتَنَا

৫২১ـ عن البراء بن عازب قال: سمعت رسول الله يخطب، فقال ان اول ما نبدا في يومنا هذا ان نصلي، ثم نرجع فننحر، فمن فعل ذلك فقد اصاب سنتنا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৩. কিতাবুল ঈদাইন (দুই ঈদের নামায) (كتاب العيدين) The Two Festivals (Eids)
৫২২

পরিচ্ছেদঃ ঈদুল আযহার দিন খাওয়ার বিবরণ

৫২২) বারা’ বিন আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল আযহার নামায আদায় করে আমাদের জন্য খুতবা দিলেন। তিনি খুতবায় বললেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের নামাযের ন্যায় নামায পড়ল এবং আমাদের কুরবানীর ন্যায় কুরবানী করল সে অবশ্যই আমাদের তরীকা অবলম্বন করল। আর যে ব্যক্তি নামাযের পূর্বে কুরবানী করল তার কুরবানী নামাযের পূর্বে হওয়ার কারণে কুরবাণী হিসেবে গণ্য হবেনা। (বরং; সাধারণ যবেহ হিসেবে গণ্য হবে)। এ কথা শুনে বারা’ বিন আযিব (রাঃ)এর খালু আবু বুরদা (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি নামাযের পূর্বে আমার ছাগল যবেহ করে নিয়েছি। আমার ধারণা ছিল আজকের দিন শুধু পানাহারের দিন। তাই আমি চাইলাম আমার ঘরে সর্বপ্রথম আমার ছাগলই যবেহ করা হোক। সুতরাং ছাগল যবেহ করেছি এবং নামাযে আসার আগে খেয়েও নিয়েছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেনঃ তোমার ছাগল গোশত খাওয়ার ছাগল হিসেবেই পরিণত হয়েছে (কুরবানী হয়নি)। আবু বুরদাহ বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কাছে এমন একটি ভেড়ার বাচ্চা আছে যা আমার নিকট দু’টি ছাগলের চেয়েও অধিক প্রিয়। এটি কি আমার পক্ষ হতে কুরবানী হিসেবে যথেষ্ট হবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তোমার পরে আর কারো জন্য জায়েয হবেনা।

টিকাঃ উক্ত হাদীছে ইজতেহাদের প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়নি। বরং সাহাবী নিজের মতকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্বান্ত নিয়েছেন। ফলে তা সঠিকও হয়নি এবং স্বীকৃতিও পায়নি। চিন্তার বিষয় হচ্ছে, পরবর্তী যুগে কেউ নীতি বহির্ভূত নিয়মে গবেষণা করলে কী না হতে পারে! সঠিক প্রমাণ হাতে না থাকার ফলে বিশ্বস্ত ও মুসলিম জাতির নিকট নির্ভরযোগ্য ইমামগণ যে সমস্ত ইজতেহাদ করেছেন, তারাও ভুলের উর্ধ্বে ছিলেন না। সুপ্রসিদ্ধ চারজন ইমামের উক্তিতে এ কথার প্রমাণ মিলে। তাদের প্রত্যেকেই অত্যন্ত সহজ ভাষায় বলেছেন যে, হাদীছ উপস্থিত হয়ে গেলে তাদের বক্তব্য পরিহার করতে হবে এবং হাদীছ অনুযায়ী আমল করতে হবে। তারা সবাইকে সুস্পষ্ট ও সহজ ভাষায় এই নির্দেশই দিয়েছেন।

باب الأَكْلِ يَوْمَ النَّحْرِ

৫২২ـ وَعَنْهُ قَالَ: خَطَبَنَا النَّبِيُّ يَوْمَ الاضْحَى بَعْدَ الصَّلاةِ، فَقَالَ: ্مَنْ صَلَّى صَلاتَنَا وَنَسَكَ نُسُكَنَا فَقَدْ أَصَابَ النُّسُكَ، وَمَنْ نَسَكَ قَبْلَ الصَّلاةِ فَإِنَّهُ قَبْلَ الصَّلاةِ وَلا نُسُكَ لَهُ. فَقَالَ أَبُو بُرْدَةَ، خَالُ الْبَرَاءِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَإِنِّي نَسَكْتُ شَاتِي قَبْلَ الصَّلاةِ، وَعَرَفْتُ أَنَّ الْيَوْمَ يَوْمُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ، وَأَحْبَبْتُ أَنْ تَكُونَ شَاتِي أَوَّلَ مَا يُذْبَحُ فِي بَيْتِي، فَذَبَحْتُ شَاتِي وَتَغَدَّيْتُ قَبْلَ أَنْ آتِيَ الصَّلاةَ، قَالَ شَاتُكَ شَاةُ لَحْمٍ. قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَإِنَّ عِنْدَنَا عَنَاقًا لَنَا جَذَعَةً هِيَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ شَاتَيْنِ، أَفَتَجْزِي عَنِّي؟ قَالَ نَعَمْ، وَلَنْ تَجْزِيَ عَنْ أَحَدٍ بَعْدَكَ. (بخارى:৯৫৫)

৫২২ـ وعنه قال: خطبنا النبي يوم الاضحى بعد الصلاة، فقال: ্من صلى صلاتنا ونسك نسكنا فقد اصاب النسك، ومن نسك قبل الصلاة فانه قبل الصلاة ولا نسك له. فقال ابو بردة، خال البراء: يا رسول الله، فاني نسكت شاتي قبل الصلاة، وعرفت ان اليوم يوم اكل وشرب، واحببت ان تكون شاتي اول ما يذبح في بيتي، فذبحت شاتي وتغديت قبل ان اتي الصلاة، قال شاتك شاة لحم. قال: يا رسول الله، فان عندنا عناقا لنا جذعة هي احب الي من شاتين، افتجزي عني؟ قال نعم، ولن تجزي عن احد بعدك. (بخارى:৯৫৫)

Eating on the day of Nahr (10th of Dhul-Hijjah)


Narrated Al-Bara' bin `Azib:

The Prophet (ﷺ) delivered the Khutba after offering the prayer on the Day of Nahr and said, "Whoever offers the prayer like us and slaughters like us then his Nusuk (sacrifice) will be accepted by Allah. And whoever slaughters his sacrifice before the `Id prayer then he has not done the sacrifice." Abi Burda bin Niyar, the uncle of Al-Bara' said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I have slaughtered my sheep before the `Id prayer and I thought today as a day of eating and drinking (not alcoholic drinks), and I liked that my sheep should be the first to be slaughtered in my house. So slaughtered my sheep and took my food before coming for the prayer." The Prophet (ﷺ) said, "The sheep which you have slaughtered is just mutton (not a Nusuk)." He (Abu Burda) said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I have a young she-goat which is dearer to me than two sheep. Will that be sufficient as a Nusuk on my behalf? "The Prophet (p.b.u.h) said, "Yes, it will be sufficient for you but it will not be sufficient (as a Nusuk) for anyone else after you."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৩. কিতাবুল ঈদাইন (দুই ঈদের নামায) (كتاب العيدين) The Two Festivals (Eids)
৫২৩

পরিচ্ছেদঃ মিম্বার ছাড়া ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হওয়া

৫২৩) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহে গমণ করতেন। তিনি প্রথমে নামায আদায় করতেন। অতঃপর মানুষের দিকে ফিরে দাঁড়াতেন। তারা কাতারেই বসা থাকত। তিনি তাদেরকে উপদেশ দিতেন এবং আদেশ দিতেন। কোন সেনা প্রেরণের ইচ্ছা পোষণ করলে তা প্রেরণ করতেন অথবা কোন কাজের ফরমান জারী করতেন। অতঃপর তিনি বাড়ীতে ফিরতেন। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেনঃ মানুষেরা এ নিয়মের উপরই চলছিল। পরিশেষে একদা আমি মারওয়ানের সাথে ঈদুল ফিতর অথবা ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হলাম। তিনি তখন মদীনার আমীর ছিলেন। যখন আমরা ঈদগাহে পৌঁছলাম তখন দেখলাম কাছীর বিন সাল্ত একটি মিম্বার বানিয়ে রেখেছে। মারওয়ানও নামায আদায়ের পূর্বেই মিম্বারের উপর আরোহনের প্রস্ত্ততি নিচ্ছিল। আমি তার কাপড় ধরে টান দিলাম। সেও টান দিল। অতঃপর সে মিম্বারে উঠে নামাযের পূর্বে খুতবা দিলেন। আমি তাকে বললামঃ আল্লাহর শপথ! তোমরা (রাসূলের সুন্নাতকে) পরিবর্তন করে ফেলেছ। সে বললঃ হে আবু সাঈদ! তুমি যা জান তার দিন চলে গেছে। আবু সাঈদ বলেনঃ আমি বললামঃ আল্লাহর শপথ! যা আমি জানি তা ঐ বিষয় হতে উত্তম, যা আমি জানি না। তারপর মারওয়ান বললঃ লোকেরা নামাযের পরে আমাদের খুতবা শুনার জন্য বসেনা। তাই আমি নামাযের পূর্বে খুতবা দিয়েছি।

باب الْخُرُوجِ إِلَى الْمُصَلَّى بِغَيْرِ مِنْبَرٍ

৫২৩ـ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ يَخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ وَالأضْحَى إِلَى الْمُصَلَّى، فَأَوَّلُ شَيْءٍ يَبْدَأُ بِهِ الصَّلاةُ، ثُمَّ يَنْصَرِفُ، فَيَقُومُ مُقَابِلَ النَّاسِ وَالنَّاسُ جُلُوسٌ عَلَى صُفُوفِهِمْ، فَيَعِظُهُمْ وَيُوصِيهِمْ وَيَأْمُرُهُمْ، فَإِنْ كَانَ يُرِيدُ أَنْ يَقْطَعَ بَعْثًا قَطَعَهُ، أَوْ يَأْمُرَ بِشَيْءٍ أَمَرَ بِهِ ثُمَّ يَنْصَرِفُ. قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: فَلَمْ يَزَلِ النَّاسُ عَلَى ذَلِكَ حَتَّى خَرَجْتُ مَعَ مَرْوَانَ، وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ فِي أَضْحًى أَوْ فِطْرٍ، فَلَمَّا أَتَيْنَا الْمُصَلَّى، إِذَا مِنْبَرٌ بَنَاهُ كَثِيرُ بْنُ الصَّلْتِ، فَإِذَا مَرْوَانُ يُرِيدُ أَنْ يَرْتَقِيَهُ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ، فَجَبَذْتُ بِثَوْبِهِ، فَجَبَذَنِي، فَارْتَفَعَ فَخَطَبَ قَبْلَ الصَّلاةِ، فَقُلْتُ لَهُ: غَيَّرْتُمْ وَاللَّهِ. فَقَالَ: أَبَا سَعِيدٍ، قَدْ ذَهَبَ مَا تَعْلَمُ. فَقُلْتُ: مَا أَعْلَمُ وَاللَّهِ خَيْرٌ مِمَّا لا أَعْلَمُ، فَقَالَ: إِنَّ النَّاسَ لَمْ يَكُونُوا يَجْلِسُونَ لَنَا بَعْدَ الصَّلاةِ، فَجَعَلْتُهَا قَبْلَ الصَّلاةِ

৫২৩ـ عن ابي سعيد الخدري قال: كان رسول الله يخرج يوم الفطر والاضحى الى المصلى، فاول شيء يبدا به الصلاة، ثم ينصرف، فيقوم مقابل الناس والناس جلوس على صفوفهم، فيعظهم ويوصيهم ويامرهم، فان كان يريد ان يقطع بعثا قطعه، او يامر بشيء امر به ثم ينصرف. قال ابو سعيد: فلم يزل الناس على ذلك حتى خرجت مع مروان، وهو امير المدينة في اضحى او فطر، فلما اتينا المصلى، اذا منبر بناه كثير بن الصلت، فاذا مروان يريد ان يرتقيه قبل ان يصلي، فجبذت بثوبه، فجبذني، فارتفع فخطب قبل الصلاة، فقلت له: غيرتم والله. فقال: ابا سعيد، قد ذهب ما تعلم. فقلت: ما اعلم والله خير مما لا اعلم، فقال: ان الناس لم يكونوا يجلسون لنا بعد الصلاة، فجعلتها قبل الصلاة

To proceed to a masjid without a pulpit


Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:

The Prophet (ﷺ) used to proceed to the Musalla on the days of Id-ul-Fitr and Id-ul-Adha; the first thing to begin with was the prayer and after that he would stand in front of the people and the people would keep sitting in their rows. Then he would preach to them, advise them and give them orders, (i.e. Khutba). And after that if he wished to send an army for an expedition, he would do so; or if he wanted to give and order, he would do so, and then depart. The people followed this tradition till I went out with Marwan, the Governor of Medina, for the prayer of Id-ul-Adha or Id-ul-Fitr. When we reached the Musalla, there was a pulpit made by Kathir bin As-Salt. Marwan wanted to get up on that pulpit before the prayer. I got hold of his clothes but he pulled them and ascended the pulpit and delivered the Khutba before the prayer. I said to him, "By Allah, you have changed (the Prophet's tradition)." He replied, "O Abu Sa`id! Gone is that which you know." I said, "By Allah! What I know is better than what I do not know." Marwan said, "People do not sit to listen to our Khutba after the prayer, so I delivered the Khutba before the prayer."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৩. কিতাবুল ঈদাইন (দুই ঈদের নামায) (كتاب العيدين) The Two Festivals (Eids)
৫২৪

পরিচ্ছেদঃ পায়ে হেঁটে এবং আরোহন করে ঈদ গাহে গমণ করা এবং খুতবার পূর্বে নামায আদায় করা

৫২৪) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস এবং জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তারা বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার দিন আযান দেয়া হতনা।

টিকাঃ পাঠক যদি প্রশ্ন করেন আলোচ্য হাদীছের সাথে শিরোনামের মিল কোথায়? উত্তর হল যেহেতু পায়ে হেঁটে বা আরোহন করে ঈদগাহে যাওয়ার নিষিদ্ধতা পাওয়া যায়না, তাই ইমাম বুখারী (রঃ) প্রমাণ করতে চাচ্ছেন উভয়ভাবে ঈদগাহে যাওয়া বৈধ। অথবা তিনি পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া মুস্তাহাব হওয়ার পক্ষে যে হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে তা দুর্বল হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। (ফতহুলবারী, ২/৫৮২) খুতবার পূর্বে নামায আদায় করা পূর্বের অধ্যায় এবং পরবর্তী অধ্যায়ে বর্ণিত হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত।

৫২৪ـ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَعَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِاللَّهِ رَضِيَ الله عَنْهُمَا قَالا: لَمْ يَكُنْ يُؤَذَّنُ يَوْمَ الْفِطْرِ وَلا يَوْمَ الأَضْحَى

৫২৪ـ عن ابن عباس وعن جابر بن عبدالله رضي الله عنهما قالا: لم يكن يوذن يوم الفطر ولا يوم الاضحى


`Abbas and Jabir bin `Abdullah, had said, "There was no Adhan for the prayer of `Id-ul-Fitr and `Id-ul-Aqha."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৩. কিতাবুল ঈদাইন (দুই ঈদের নামায) (كتاب العيدين) The Two Festivals (Eids)
৫২৫

পরিচ্ছেদঃ ঈদের নামাযের পর খুতবা

৫২৫) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আবু বকর, উমার এবং উছমান (রাঃ)এর সাথে ঈদের নামাযে হাজির হয়েছি। তাঁরা সকলেই খুতবার পূর্বে নামায আদায় করতেন।

باب الْخُطْبَةِ بَعْدَ الْعِيدِ

৫২৫ـ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنْهُمَا قَالَ: شَهِدْتُ الْعِيدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ رَضِيَ اللَّه عَنْهمْ، فَكُلُّهُمْ كَانُوا يُصَلُّونَ قَبْلَ الْخُطْبَةِ. (بخارى:৯৬২)

৫২৫ـ عن ابن عباس رضي الله عنهما قال: شهدت العيد مع رسول الله وابي بكر وعمر وعثمان رضي الله عنهم، فكلهم كانوا يصلون قبل الخطبة. (بخارى:৯৬২)

The Khutba after the Eid prayer


Narrated Ibn `Abbas:

I offered the `Id prayer with Allah's Messenger (ﷺ), Abu Bakr, `Umar and `Uthman and all of them offered the prayer before delivering the Khutba.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৩. কিতাবুল ঈদাইন (দুই ঈদের নামায) (كتاب العيدين) The Two Festivals (Eids)
৫২৬

পরিচ্ছেদঃ আইয়্যামুত্ তাশরীকে নেক আমলের ফজীলত

৫২৬) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেনঃ জিল হজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের আমলের চেয়ে অন্য কোন দিনের আমল আল্লাহর নিকট অধিক উত্তম নয়। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ আল্লাহর পথে জিহাদও নয়। অবশ্য সেই মুজাহিদ ব্যক্তির কথা ভিন্ন, যে স্বীয় জান-মাল নিয়ে জিহাদে বেরিয়ে পড়ে। অতঃপর উহার কিছুই নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেনা।

باب فَضْلِ الْعَمَلِ فِي أَيَّامِ التَّشْرِيقِ

৫২৬ـ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ أَنَّهُ قَالَ مَا الْعَمَلُ فِي أَيَّامٍ أَفْضَلَ مِنْهَا فِي هَذِهِ. قَالُوا: وَلا الْجِهَادُ؟ قَالَ وَلا الْجِهَادُ إِلا رَجُلٌ خَرَجَ يُخَاطِرُ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ، فَلَمْ يَرْجِعْ بِشَيْءٍ. (بخارى:৯৬৯)

৫২৬ـ عن ابن عباس رضي الله عنهما، عن النبي انه قال ما العمل في ايام افضل منها في هذه. قالوا: ولا الجهاد؟ قال ولا الجهاد الا رجل خرج يخاطر بنفسه وماله، فلم يرجع بشيء. (بخارى:৯৬৯)

Superiority of deeds on the days of Tashriq


Narrated Ibn `Abbas:

The Prophet (ﷺ) said, "No good deeds done on other days are superior to those done on these (first ten days of Dhul Hijja)." Then some companions of the Prophet (ﷺ) said, "Not even Jihad?" He replied, "Not even Jihad, except that of a man who does it by putting himself and his property in danger (for Allah's sake) and does not return with any of those things."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৩. কিতাবুল ঈদাইন (দুই ঈদের নামায) (كتاب العيدين) The Two Festivals (Eids)
৫২৭

পরিচ্ছেদঃ মিনাতে অবস্থানের দিনগুলোতে এবং আরাফার ময়দানে যাওয়ার সময় তাকবীর পাঠ করা

৫২৭) আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তাঁকে তালবীয়া পাঠ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল যে আপনারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে কিভাবে তা পাঠ করতেন? উত্তরে তিনি বললেনঃ তালবীয়া পাঠকারী (তার ইচ্ছা মোতাবেক) তা পাঠ করত, তাকে বাঁধা দেয়া হতনা। এমনি তাকবীর পাঠকারী তাকবীর পাঠ করত, তাকেও বাঁধা দেয়া হত না।

باب التَّكْبِيرِ أَيَّامَ مِنًى وَإِذَا غَدَا إِلَى عَرَفَةَ

৫২৭ـ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ : أَنَّهُ سُئِلَ عَنِ التَّلْبِيَةِ: كَيْفَ كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ مَعَ النَّبِيِّ ؟ قَالَ: كَانَ يُلَبِّي الْمُلَبِّي لا يُنْكَرُ عَلَيْهِ، وَيُكَبِّرُ الْمُكَبِّرُ فَلا يُنْكَرُ عَلَيْهِ. (بخارى:৯৭০)

৫২৭ـ عن انس بن مالك : انه سىل عن التلبية: كيف كنتم تصنعون مع النبي ؟ قال: كان يلبي الملبي لا ينكر عليه، ويكبر المكبر فلا ينكر عليه. (بخارى:৯৭০)

To say Takbir on the days of Mina and while proceeding to Arafat


Narrated Anas bin Malik:

He was asked, "How did he use to say Talbiya in the company of the Prophet?" He said: "People used to say Talbiya and their saying was not objected to and they used to say Takbir and that was not objected to either. "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৩. কিতাবুল ঈদাইন (দুই ঈদের নামায) (كتاب العيدين) The Two Festivals (Eids)
৫২৮

পরিচ্ছেদঃ কুরবানীর দিন ঈদগাহে কুরবানীর পশু নহর ও যবেহ করা

৫২৮) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদগাহে কুরবানীর পশু (উট) নহর করতেন এবং (অন্যান্য পশু) যবেহ করতেন।

টিকাঃ পশুর গলার নিম্নাংশে ধারালো বস্ত্ত ঢুকিয়ে রক্ত প্রবাহিত করাকে নহর বলা হয়। উটের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়ে থাকে। উটের জন্য এটিই আরাম দায়ক।

باب النَّحْرِ وَالذَّبْحِ يَوْمَ النَّحْرِ بِالْمُصَلَّى

৫২৮ ـ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ كَانَ يَنْحَرُ أَوْ يَذْبَحُ بِالْمُصَلَّى

৫২৮ ـ عن ابن عمر رضي الله عنهما: ان النبي كان ينحر او يذبح بالمصلى

An-Nahr and Adh-Dhabh at the Masjid on the day of Nahr


Narrated Ibn `Umar:

The Prophet (ﷺ) used to Nahr or slaughter sacrifices at the Musalla (on `Id-ul-Adha).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৩. কিতাবুল ঈদাইন (দুই ঈদের নামায) (كتاب العيدين) The Two Festivals (Eids)
৫২৯

পরিচ্ছেদঃ ঈদের দিন ঈদগাহ হতে ফেরত আসার সময় রাস্তা পরিবর্তন করা

৫২৯) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদের দিন রাস্তা পরিবর্তন করতেন।

টিকাঃ এক রাস্তা দিয়ে যেতেন এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরত আসতেন

باب مَنْ خَالَفَ الطَّرِيقَ إِذَا رَجَعَ يَوْمَ الْعِيدِ

৫২৯ ـ عَنْ جَابِرٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ إِذَا كَانَ يَوْمُ عِيدٍ خَالَفَ الطَّرِيقَ

৫২৯ ـ عن جابر قال: كان النبي اذا كان يوم عيد خالف الطريق

Whoever returned (after offering the Eid prayer) on the day of Eid through a way different from that by which he went


Narrated Jabir bin `Abdullah:

On the Day of `Id the Prophet (ﷺ) used to return (after offering the `Id prayer) through a way different from that by which he went.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৩. কিতাবুল ঈদাইন (দুই ঈদের নামায) (كتاب العيدين) The Two Festivals (Eids)
৫৩০

পরিচ্ছেদঃ

৫৩০) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদিন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে (আমার ঘরের সামনে দন্ডায়মান) দেখতে পেলাম। তখন হাবশীগণ মসজিদে খেলা করছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে আপন চাদর দিয়ে পর্দা করে রাখছিলেন আর আমি তাদের খেলা অবলোকন করছিলাম। উমার (রাঃ) তাঁদেরকে ধমকালেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তাদেরকে খেলতে দাও। হে বনী আরফেদা (হাবশীদের উপাধী) তোমরা নিরাপদে ও আরামের সাথে খেলতে থাক।

৫৩০- قَالَتْ عَائِشَةُ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ يَسْتُرُنِي وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَى الْحَبَشَةِ، وَهُمْ يَلْعَبُونَ فِي الْمَسْجِدِ، فَزَجَرَهُمْ عُمَرُ، فَقَالَ النَّبِيُّ دَعْهُمْ، أَمْنًا بَنِي أَرْفِدَةَ

৫৩০- قالت عاىشة: رايت النبي يسترني وانا انظر الى الحبشة، وهم يلعبون في المسجد، فزجرهم عمر، فقال النبي دعهم، امنا بني ارفدة


Narrated `Aisha:

"Once the Prophet (ﷺ) was screening me and I was watching the display of black slaves in the Mosque and (`Umar) scolded them. The Prophet (ﷺ) said, 'Leave them. O Bani Arfida! (carry on), you are safe (protected)'."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৩. কিতাবুল ঈদাইন (দুই ঈদের নামায) (كتاب العيدين) The Two Festivals (Eids)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১২ পর্যন্ত, সর্বমোট ১২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে