মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী ৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) - Times of the Prayers
৩২১

পরিচ্ছেদঃ নামাযের সময় এবং তার ফযীলত

৩২১) আবু মাসউদ আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি একদা মুগীরা ইবনে শু’বার নিকট গেলেন। সে সময় মুগীরা একদিন দেরী করে নামায আদায় করলেন। তখন তিনি ইরাকে ছিলেন। আবু মাসউদ মুগীরাকে বললেনঃ হে মুগীরা! আপনি এটি কি করলেন? আপনি কি জানেন না জিবরীল ফেরেশতা অবতরণ করে নামায আদায় করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও তাঁর সাথে নামায পড়লেন। অতঃপর জিবরীল ফেরেশতা নামায পড়লেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও তাঁর সাথে নামায পড়লেন। অতঃপর জিবরীল ফেরেশতা নামায পড়লেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও তাঁর সাথে নামায পড়লেন। অতঃপর জিবরীল ফেরেশতা নামায পড়লেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও তাঁর সাথে নামায পড়লেন। অতঃপর জিবরীল ফেরেশতা নামায পড়লেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও তাঁর সাথে নামায পড়লেন। পরিশেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ আমাকে এরূপভাবে নামায পড়ার আদেশ করা হয়েছে।

টিকাঃ নির্ধারিত সময় হতে দেরী করে নামায আদায় করার কারণে আবু মাসউদ আনসারী (রাঃ) মুগীরা ইবনে শু’বা (রাঃ)কে স্বরণ করিয়ে দিলেন যে, একবার জিবরীল ফেরেশতা অবতরণ করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাথে নিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করার মাধ্যমে আমাদের জন্য নামাযের নির্ধারিত সময় বর্ণনা করে দিয়েছেন।

باب مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ وَفَضْلِهَا

৩২১ـ عَنْ أَبِيْ مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ : أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى المُغِيْرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَقَدْ أَخَّرَ الصَّلاةَ يَوْماً، وَهُوَ بِالْعَرَاقِ، فَقَالَ: مَا هَذَا يَا مُغِيرَةُ، أَلَيْسَ قَدْ عَلِمْتَ أَنَّ جِبْرِيلَ نَزَلَ فَصَلَّى، فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ، ثمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ثمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ، ثمَّ صَلَّى، فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ، ثمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ، ثمَّ قَالَ بِهَذَا أُمِرْتُ. (بخارى:৫২১).

৩২১ـ عن ابي مسعود الانصاري : انه دخل على المغيرة بن شعبة وقد اخر الصلاة يوما، وهو بالعراق، فقال: ما هذا يا مغيرة، اليس قد علمت ان جبريل نزل فصلى، فصلى رسول الله ، ثم صلى فصلى رسول الله ثم صلى فصلى رسول الله ، ثم صلى، فصلى رسول الله ، ثم صلى فصلى رسول الله ، ثم قال بهذا امرت. (بخارى:৫২১).

The times of As-Salat (the prayers) and the superiority of offering Salat (prayers) in time


Narrated Abu mas'ud al-ansari "Once in 'Iraq, Al-Mughira bin Shu`ba delayed his prayers and Abi Mas`ud Al-Ansari went to him and said, 'O Mughira! What is this? Don't you know that once Gabriel came and offered the prayer (Fajr prayer) and Allah's Messenger (ﷺ) prayed too, then he prayed again (Zuhr prayer) and so did Allah's Apostle and again he prayed (`Asr prayers and Allah's Messenger (ﷺ) did the same; again he prayed (Maghrib-prayer) and so did Allah's Messenger (ﷺ) and again prayed (`Isha prayer) and so did Allah's Apostle and (Gabriel) said, 'I was ordered to do so (to demonstrate the prayers prescribed to you)?'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩২২

পরিচ্ছেদঃ নামায গুনাহসমূহের কাফ্ফারা

৩২২) হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা একদা উমার বিন খাত্তাব (রাঃ)এর কাছে বসা ছিলাম। উমার (রাঃ) তখন বললেনঃ ‘‘তোমাদের মধ্যে কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণিত ফিতনার হাদীছ মুখস্থ রেখেছে? হুযায়ফা (রাঃ) বলেনঃ আমি বললামঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে বলেছেন আমি ঠিক সেভাবেই মুখস্থ রেখেছি। উমার (রাঃ) বললেনঃ তাহলে তুমিই ফিতনা সম্পৃক্ত হাদীছ বর্ণনা করার সাহসিকতা দেখাতে পার। হুযায়ফা বলেনঃ আমি বললামঃ মানুষ ধন-সম্পদ, স্ত্রী-পরিবার ও সন্তান-সন্ততি এবং প্রতিবেশী নিয়ে ফিতনায় পড়ে যে গুনাহর কাজে লিপ্ত হবে নামায, সাদকাহ, সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ এবং অন্যান্য সৎকাজ তা মিটিয়ে দিবে। উমার (রাঃ) বললেনঃ আমি আপনাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করছিনা। আপনাকে সে ফিতনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছি, যা সাগরের ঢেউয়ের মত আসতে থাকবে। হুজায়ফা (রাঃ) বললেনঃ হে আমীরুল মু’মিনীন! এরকম ফিতনায় আপনি পতিত হবেন না। কারণ আপনার মাঝে এবং ফিতনার মাঝে একটি বন্ধ দরজা রয়েছে। উমার (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ সেই দরজাটি খুলে দেয়া হবে? না কি (বল প্রয়োগ) করে ভেঙ্গে ফেলা হবে? হুজায়ফা (রাঃ) বললেন; বরং তা ভেঙ্গে ফেলা হবে।

 উমার (রাঃ) বললেনঃ তাই যদি হয় আর কোন দিন তা বন্ধ করা সম্ভব হবেনা। হুজায়ফা (রাঃ) বলেনঃ আমি বললামঃ হ্যাঁ, তাই। সাহাবীগণ বলেনঃ হুজায়ফাকে জিজ্ঞেস করা হলঃ উমার (রাঃ) কি জানতেন সেই বন্ধ দরজা কোনটি? তিনি বললেনঃ দিনের পর রাত্রির আগমণ যেমন নিশ্চিত তেমনি তিনি তা জানতেন। আমি তাঁকে এমন একটি হাদীছ শুনিয়েছি, যা মোটেও ভুল বা মিথ্যা নয়। দরজাটি সম্পর্কে হুযায়ফা (রাঃ)কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃ সেই বন্ধ দরজাটি ছিলেন স্বয়ং উমার (রাঃ)

باب الصَّلاَةُ كَفَّارَةٌ

৩২২- عن حُذَيْفَةَ قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ عُمَرَ ، فَقَالَ: أَيُّكُمْ يَحْفَظُ قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ فِي الْفِتْنَةِ؟ قُلْتُ: أَنَا كَمَا قَالَهُ، قَالَ: إِنَّكَ عَلَيْهِ أَوْ عَلَيْهَا لَجَرِيءٌ، قُلْتُ: فِتْنَةُ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ وَمَالِهِ وَوَلَدِهِ وَجَارِهِ تُكَفِّرُهَا الصَّلاةُ وَالصَّوْمُ وَالصَّدَقَةُ وَالأَمْرُ وَالنَّهْيُ، قَالَ: لَيْسَ هَذَا أُرِيدُ، وَلَكِنِ الْفِتْنَةُ الَّتِي تَمُوجُ كَمَا يَمُوجُ الْبَحْرُ، قَالَ: لَيْسَ عَلَيْكَ مِنْهَا بَأْسٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا بَابًا مُغْلَقًا، قَالَ: أَيُكْسَرُ أَمْ يُفْتَحُ؟ قَالَ: يُكْسَرُ، قَالَ: إِذًا لا يُغْلَقَ أَبَدًا، قيل لحذيفة أَكَانَ عُمَرُ يَعْلَمُ الْبَابَ؟ قَالَ: نَعَمْ، كَمَا أَنَّ دُونَ الْغَدِ اللَّيْلَةَ، إِنِّي حَدَّثتُهُ بِحَدِيث لَيْسَ بِالأَغَالِيطِ فسئل من الباب؟ فَقَالَ: عُمَرُ (بخارى:৫২৫)

৩২২- عن حذيفة قال: كنا جلوسا عند عمر ، فقال: ايكم يحفظ قول رسول الله في الفتنة؟ قلت: انا كما قاله، قال: انك عليه او عليها لجريء، قلت: فتنة الرجل في اهله وماله وولده وجاره تكفرها الصلاة والصوم والصدقة والامر والنهي، قال: ليس هذا اريد، ولكن الفتنة التي تموج كما يموج البحر، قال: ليس عليك منها باس يا امير المومنين، ان بينك وبينها بابا مغلقا، قال: ايكسر ام يفتح؟ قال: يكسر، قال: اذا لا يغلق ابدا، قيل لحذيفة اكان عمر يعلم الباب؟ قال: نعم، كما ان دون الغد الليلة، اني حدثته بحديث ليس بالاغاليط فسىل من الباب؟ فقال: عمر (بخارى:৫২৫)

As-Salat (the prayers) is expiation (of sins)


Narrated Shaqiq:

that he had heard Hudhaifa saying, "Once I was sitting with `Umar and he said, 'Who amongst you remembers the statement of Allah's Messenger (ﷺ) about the afflictions?' I said, 'I know it as the Prophet (ﷺ) had said it.' `Umar said, 'No doubt you are bold.' I said, 'The afflictions caused for a man by his wife, money, children and neighbor are expiated by his prayers, fasting, charity and by enjoining (what is good) and forbidding (what is evil).' `Umar said, 'I did not mean that but I asked about that affliction which will spread like the waves of the sea.' I (Hudhaifa) said, 'O leader of the faithful believers! You need not be afraid of it as there is a closed door between you and it.' `Umar asked, Will the door be broken or opened?' I replied, 'It will be broken.'

`Umar said, 'Then it will never be closed again.' I was asked whether `Umar knew that door. I replied that he knew it as one knows that there will be night before the tomorrow morning. I narrated a Hadith that was free from any misstatement" The subnarrator added that they deputized Masruq to ask Hudhaifa (about the door). Hudhaifa said, "The door was `Umar himself."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩২৩

পরিচ্ছেদঃ নামায গুনাহসমূহের কাফ্ফারা

৩২৩) আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি একজন মহিলাকে চুম্বন করেছিল। অতঃপর সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে এই অন্যায় কাজ সম্পর্কে সংবাদ দিলে আল্লাহ তাআলা এই আয়াত নাযিল করেনঃ


﴿وَأَقِمْ الصَّلَاةَ طَرَفِي النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنْ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ﴾

‘‘আর দিনের দুই প্রান্তে নামায প্রতিষ্ঠা করবে এবং রাতের প্রান্তভাগেও। সৎ কাজ অবশ্যই পাপসমূহকে দূর করে দেয়। (সূরা হুদঃ ১১৪) লোকটি আরজ করল হে আল্লাহর রাসূল! এ বিধান কি আমার জন্যই নির্দিষ্ট? তিনি বললেনঃ আমার উম্মাতের সকলের জন্যই এ বিধান।
অপর বর্ণনায় এসেছে, আমার উম্মতের মধ্যে যে লোক উক্ত আয়াত অনুযায়ী আমল করবে তার জন্য এ সুসংবাদ।

باب الصَّلاَةُ كَفَّارَةٌ

৩২৩ـ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ : أَنَّ رَجُلا أَصَابَ مِنِ امْرَأَةٍ قُبْلَةً، فَأَتَى النَّبِيَّ فَأَخْبَرَهُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تعالى: ﴿أَقِمِ الصَّلاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ﴾ قَالَ الرَّجُلُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلِي هَذَا؟ قَالَ لِجَمِيعِ أُمَّتِي كُلِّهِمْ. (بخارى:৫২৬)

৩২৩ـ عن ابن مسعود : ان رجلا اصاب من امراة قبلة، فاتى النبي فاخبره، فانزل الله تعالى: ﴿اقم الصلاة طرفي النهار وزلفا من الليل ان الحسنات يذهبن السيىات﴾ قال الرجل: يا رسول الله، الي هذا؟ قال لجميع امتي كلهم. (بخارى:৫২৬)

As-Salat (the prayers) is expiation (of sins)


Narrated Ibn Mas`ud:

A man kissed a woman (unlawfully) and then went to the Prophet (ﷺ) and informed him. Allah revealed: And offer prayers perfectly At the two ends of the day And in some hours of the night (i.e. the five compulsory prayers). Verily! good deeds remove (annul) the evil deeds (small sins) (11.114). The man asked Allah's Messenger (ﷺ), "Is it for me?" He said, "It is for all my followers.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩২৪

পরিচ্ছেদঃ নির্দিষ্ট সময়ে নামায আদায়ের ফজীলত

৩২৪) আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলামঃ আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় আমল কোনটি? উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ সময় মত নামায আদায় করা। ইবনে মাসউদ পুনরায় জিজ্ঞেস করলেনঃ তারপর কোনটি? তিনি বললেনঃ পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করা। তারপর তিনি প্রশ্ন করলেনঃ অতঃপর কোনটি? উত্তরে তিনি বললেনঃ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। ইবনে মাসউদ বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে এ কথাগুলো বলেছেন। আমি যদি আরো প্রশ্ন করতাম, তাহলে তিনি আমাকে আরও বাড়িয়ে বলতেন।

باب فَضْلِ الصَّلاَةِ لِوَقْتِهَا

৩২৪ـ عن ابن مسعود قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ : أَيُّ الْعَمَلِ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ؟ قَالَ الصَّلاةُ عَلَى وَقْتِهَا. قَالَ: ثمَّ أَيٌّ؟ قَالَ ثمَّ بِرُّ الْوَالِدَيْنِ. قَالَ: ثمَّ أَيٌّ؟ قَالَ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ. قَالَ: حَدَّثنِي بِهِنَّ، وَلَوِ اسْتَزَدْتُهُ لَزَادَنِي.

৩২৪ـ عن ابن مسعود قال: سالت النبي : اي العمل احب الى الله؟ قال الصلاة على وقتها. قال: ثم اي؟ قال ثم بر الوالدين. قال: ثم اي؟ قال الجهاد في سبيل الله. قال: حدثني بهن، ولو استزدته لزادني.

Superiority of offering As-Salat (the prayers) at the stated times


Narrated `Abdullah:

I asked the Prophet (ﷺ) "Which deed is the dearest to Allah?" He replied, "To offer the prayers at their early stated fixed times." I asked, "What is the next (in goodness)?" He replied, "To be good and dutiful to your parents" I again asked, "What is the next (in goodness)?" He replied, 'To participate in Jihad (religious fighting) in Allah's cause." `Abdullah added, "I asked only that much and if I had asked more, the Prophet (ﷺ) would have told me more."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩২৫

পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামায গুনাসমূহের কাফ্ফা স্বরূপ

৩২৫) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, তোমরা কি মনে কর তোমাদের কারো ঘরের সামনে যদি একটি নদী প্রবাহিত থাকে এবং প্রতিদিন সে উহাতে পাঁচবার গোসল করে, তবে তার শরীরে কোন ময়লা থাকবে? তাঁরা (সাহাবীগণ) বললেনঃ তার শরীরে কোন ময়লাই বাকী থাকতে পারেনা। তিনি বললেনঃ এরূপ উদাহরণ হল পাঁচ ওয়াক্ত নামাযেরও। এভাবে নামাযের বিনিময়ে আল্লাহ্ নামাযীর যাবতীয় পাপ মোচন করে দেন।

باب الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ كَفَّارَةٌ

৩২৫ ـ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ : أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ يَقُولُ أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهَرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسًا، مَا تَقُولُ: ذَلِكَ يُبْقِي مِنْ دَرَنِهِ؟ قَالُوا: لا يُبْقِي مِنْ دَرَنِهِ شَيْئًا، قَالَ فَذَلِكَ مِثلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِ الْخَطَايَا. (بخارى:৫২৮)

৩২৫ ـ عن ابي هريرة : انه سمع رسول الله يقول ارايتم لو ان نهرا بباب احدكم يغتسل فيه كل يوم خمسا، ما تقول: ذلك يبقي من درنه؟ قالوا: لا يبقي من درنه شيىا، قال فذلك مثل الصلوات الخمس يمحو الله به الخطايا. (بخارى:৫২৮)

The five Salat (prayers) are expiations (of sins)


Narrated Abu Huraira:

I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, "If there was a river at the door of anyone of you and he took a bath in it five times a day would you notice any dirt on him?" They said, "Not a trace of dirt would be left." The Prophet (ﷺ) added, "That is the example of the five prayers with which Allah blots out (annuls) evil deeds."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩২৬

পরিচ্ছেদঃ নামাযী ব্যক্তি তাঁর প্রভুর সাথে মুনাজাত করে (নিভৃতে কথা বলে)

৩২৬) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমরা ধীরস্থিরতার সাথে ভালভাবে সেজদা কর। তোমাদের কেউ যেন কুকুরের ন্যায় বাহুদ্বয় প্রশস্ত না করে। নামায অবস্থায় তোমাদের কেউ যেন সামনের দিকে থুথু না ফেলে। ডান দিকেও যেন থুথু না ফেলে। কেননা নামাযী ব্যক্তি তাঁর প্রভুর সাথে মুনাজাত করে (নিভৃতে কথা বলে)।

باب الْمُصَلِّي يُنَاجِي رَبَّهُ عَزَّ وَجَلَّ

৩২৬ـ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، عَنِ النَّبِيِّ أنه قَالَ اعْتَدِلُوا فِي السُّجُودِ، وَلا يَبْسُطْ ذِرَاعَيْهِ كَالْكَلْبِ، وَإِذَا بَزَقَ فَلا يَبْزُقَنَّ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَلا عَنْ يَمِينِهِ، فَإِنَّهُ يُنَاجِي رَبَّهُ. (بخاري:৫৩২)

৩২৬ـ عن انس بن مالك ، عن النبي انه قال اعتدلوا في السجود، ولا يبسط ذراعيه كالكلب، واذا بزق فلا يبزقن بين يديه، ولا عن يمينه، فانه يناجي ربه. (بخاري:৫৩২)

A person in Salat (prayer) is speaking in private to his Lord (Allah)


Narrated Anas:

The Prophet (ﷺ) said, "Do the prostration properly and do not put your forearms flat with elbows touching the ground like a dog. And if you want to spit, do not spit in front, nor to the right for the person in prayer is speaking in private to his Lord."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩২৭

পরিচ্ছেদঃ প্রচন্ড গরমের কারণে যোহরের নামায দেরী করে আদায় করা

৩২৭) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, যখন প্রচন্ড গরম পড়বে তখন তোমরা দেরী করে যোহরের নামায আদায় কর। কেননা গরমের প্রচন্ডতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকেই। জাহান্নামের আগুন তার প্রভুর কাছে অভিযোগ করে বললঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলছে। তখন আল্লাহ তাআলা তাকে দু’টি নিঃশ্বাস ফেলার অনুমতি প্রদান করলেন। একটি শীতের মৌসুমে অন্যটি গরমের মৌসুমে। সুতরাং গরমের মৌসুমে তোমরা যে প্রচন্ড গরম এবং শীতের মৌসুমে প্রচন্ড শীত অনুভব করে থাক তা জাহান্নামের দু’টি নিঃশ্বাসের কারণেই।

টিকাঃ আধুনিক বিজ্ঞানের মতে সকল তাপের উৎস সূর্য। বেহেশত-দোযখ যেহেতু বিজ্ঞানের গবেষণা বহির্ভূত সেহেতু এ সম্পর্কে বিজ্ঞানের সাথে বিরোধের কোন প্রশ্নই উঠেনা। ইসলামের দৃষ্টিতে জ্বরের উৎপত্তি জাহান্নামের উত্তাপ থেকে হয়ে থাকে। কারণ জাগতিক সকল তাপের উৎস জাহান্নাম। সেখান থেকেই আল্লাহর কুদরতে জগতের সকল ধরণের গরম ও উত্তাপের সৃষ্টি হয়। তাই সূর্যের উত্তাপের উৎসও জাহান্নাম। জ্বরে পানি ও বরফের ব্যবহার বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত এবং একটি সাধারণ ব্যবস্থা। জ্বর বেড়ে গেলে মাথায় পানি ঢেলে তাপ নিবারণ একটি ডাক্তারী বিধান, এমন কি অতিমাত্রায় উত্তাপ বেড়ে গেলে রোগীর সারা শরীর পানি দিয়ে ঠান্ডা করা হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী তাই চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্মত।

باب الإِبْرَادِ بِالظُّهْرِ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ

৩২৭ـ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ قَالَ إِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ فَأَبْرِدُوا بِالصَّلاةِ، فَإِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ، وَاشْتَكَتِ النَّارُ إِلَى رَبِّهَا، فَقَالَتْ: يَا رَبِّ أَكَلَ بَعْضِي بَعْضًا، فَأَذِنَ لَهَا بِنَفَسَيْنِ، نَفَسٍ فِي الشِّتَاءِ وَنَفَسٍ فِي الصَّيْفِ، فَهُوَ أَشَدُّ مَا تَجِدُونَ مِنَ الْحَرِّ ،وَأَشَدُّ مَا تَجِدُونَ مِنَ الزَّمْهَرِيرِ(بخارى:৫৩৬ـ৫৩৭)

৩২৭ـ عن ابي هريرة ، عن النبي قال اذا اشتد الحر فابردوا بالصلاة، فان شدة الحر من فيح جهنم، واشتكت النار الى ربها، فقالت: يا رب اكل بعضي بعضا، فاذن لها بنفسين، نفس في الشتاء ونفس في الصيف، فهو اشد ما تجدون من الحر ،واشد ما تجدون من الزمهرير(بخارى:৫৩৬ـ৫৩৭)

In severe heat, offer Zuhr prayers when it becomes (a bit) cooler


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "In very hot weather delay the Zuhr prayer till it becomes (a bit) cooler because the severity of heat is from the raging of the Hell-fire. The Hell-fire of Hell complained to its Lord saying: O Lord! My parts are eating (destroying) one another. So Allah allowed it to take two breaths, one in the winter and the other in the summer. The breath in the summer is at the time when you feel the severest heat and the breath in the winter is at the time when you feel the severest cold."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩২৮

পরিচ্ছেদঃ প্রচন্ড গরমের কারণে যোহরের নামায দেরী করে আদায় করা

৩২৮) আবু যার্ গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে কোন এক সফরে ছিলাম। মুআয্যিন তখন যোহরের নামাযের আযান দিতে চাইলে তিনি বললেনঃ ঠান্ডা হওয়ার অপেক্ষা কর। মুআযযিন পুনরায় আযান দিতে চাইলে তিনি একই কথা বললেন। তিনি এত দেরী করলেন যে, আমরা টিলাসমূহের ছায়া দেখতে পেলাম।

باب الإِبْرَادِ بِالظُّهْرِ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ

৩২৮ـ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ فِي سَفَرٍ، فَأَرَادَ الْمُؤَذِّنُ أَنْ يُؤَذِّنَ لِلظُّهْرِ، فَقَالَ النَّبِيُّ أَبْرِدْ. ثمَّ أَرَادَ أَنْ يُؤَذِّنَ، فَقَالَ لَهُ أَبْرِدْ. حَتَّى رَأَيْنَا فَيْءَ التُّلُولِ. (بخارى:৫৩৯)

৩২৮ـ عن ابي ذر قال: كنا مع النبي في سفر، فاراد الموذن ان يوذن للظهر، فقال النبي ابرد. ثم اراد ان يوذن، فقال له ابرد. حتى راينا فيء التلول. (بخارى:৫৩৯)

In severe heat, offer Zuhr prayers when it becomes (a bit) cooler


Narrated Abu Dhar Al-Ghifar:

We were with the Prophet (ﷺ) on a journey and the Mu'adh-dhin (call maker for the prayer) wanted to pronounce the Adhan (call) for the Zuhr prayer. The Prophet (ﷺ) said, 'Let it become cooler." He again (after a while) wanted to pronounce the Adhan but the Prophet (ﷺ) said to him, "Let it become cooler till we see the shadows of hillocks."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩২৯

পরিচ্ছেদঃ সূর্য ঢলে গেলে যোহরের নামাযের সময় হয়

৩২৯) আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূর্য ঢলে যাওয়ার পর (ঘর হতে) বের হলেন। তিনি যোহরের নামায আদায় করে মিম্বারের উপর উঠে দাঁড়ালেন। মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে তিনি কিয়ামত দিবস সম্পর্কে আলোচনা করলেন এবং কিয়ামত দিবসের বড় বড় কতিপয় ঘটনাও উল্লেখ করলেন। তারপর বললেনঃ তোমাদের কেউ যদি কোন প্রশ্ন করতে চায় তাহলে সে যেন প্রশ্ন করে। এখানে দাঁড়ানো থাকা অবস্থায় তোমরা যে প্রশ্নই আমাকে করবে আমি তার উত্তর দিব। এ কথা শুনে লোকেরা খুব কান্নাকাটি শুরু করল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও খুব বলতে লাগলেনঃ তোমরা আমাকে প্রশ্ন কর। আব্দুল্লাহ ইবনে হুযাফা দাঁড়িয়ে বললঃ আমার পিতা কে? তিনি বললেনঃ তোমার পিতা হল হুযাফা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবারও বলতে লাগলেনঃ তোমরা আমাকে প্রশ্ন কর। তখন উমার (রাঃ) হাঁটু গেড়ে বসে বলতে লাগলেনঃ

رَضِينا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًا

‘‘আমরা আল্লাহকে আমাদের প্রভু হিসেবে, ইসলামকে আমাদের দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমাদের নবী হিসেবে মেনে নিয়েছি। উমার (রাঃ)এর কথা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া  সাল্লাম শান্ত হয়ে গেলেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ আমাকে একটু আগে এই দেয়ালের পার্শ্বে জান্নাত এবং জাহান্নাম দেখানো হয়েছে। আমি জান্নাতের মত উত্তম জিনিষ এবং দোযখের মত নিকৃষ্ট জিনিষ আর কখনও দেখিনি।

এ হাদীছটির কিছু অংশ আবু মূসা আশআরী (রাঃ)এর বর্ণনায় ইল্ম পর্বে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু এখানে অতিরিক্ত ও ভিন্ন শব্দ রয়েছে।

باب وَقْتِ الظُّهْرِ عِنْدَ الزَّوَالِ

৩২৯ـ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ خَرَجَ حِينَ زَاغَتِ الشَّمْسُ، فَصَلَّى الظُّهْرَ، فَقَامَ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَذَكَرَ السَّاعَةَ، فَذَكَرَ أَنَّ فِيهَا أُمُورًا عِظَامًا، ثمَّ قَالَ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَسْأَلَ عَنْ شَيْءٍ فَلْيَسْأَلْ، فَلا تَسْأَلُونِي عَنْ شَيْءٍ إِلا أَخْبَرْتُكُمْ مَا دُمْتُ فِي مَقَامِي هَذَا. فَأَكْثرَ النَّاسُ فِي الْبُكَاءِ، وَأَكْثرَ أَنْ يَقُولَ سَلُونِي. فَقَامَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُذَافَةَ السَّهْمِيُّ فَقَالَ: مَنْ أَبِي؟ قَالَ أَبُوكَ حُذَافَةُ. ثمَّ أَكْثرَ أَنْ يَقُولَ سَلُونِي. فَبَرَكَ عُمَرُ عَلَى رُكْبَتَيْهِ فَقَالَ: رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا، وَبِالإِسْلامِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا، فَسَكَتَ. ثمَّ قَالَ عُرِضَتْ عَلَيَّ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ آنِفًا، فِي عُرْضِ هَذَا الْحَائِطِ، فَلَمْ أَرَ كَالْخَيْرِ وَالشَّرِّ. (بخارى:৫৪০)

৩২৯ـ عن انس بن مالك : ان رسول الله خرج حين زاغت الشمس، فصلى الظهر، فقام على المنبر، فذكر الساعة، فذكر ان فيها امورا عظاما، ثم قال من احب ان يسال عن شيء فليسال، فلا تسالوني عن شيء الا اخبرتكم ما دمت في مقامي هذا. فاكثر الناس في البكاء، واكثر ان يقول سلوني. فقام عبد الله بن حذافة السهمي فقال: من ابي؟ قال ابوك حذافة. ثم اكثر ان يقول سلوني. فبرك عمر على ركبتيه فقال: رضينا بالله ربا، وبالاسلام دينا، وبمحمد نبيا، فسكت. ثم قال عرضت علي الجنة والنار انفا، في عرض هذا الحاىط، فلم ار كالخير والشر. (بخارى:৫৪০)

The time of Zuhr prayer is when the sun declines (just after mid-day)


Narrated Anas bin Malik:

Allah's Messenger (ﷺ) came out as the sun declined at midday and offered the Zuhr prayer. He then stood on the pulpit and spoke about the Hour (Day of Judgment) and said that in it there would be tremendous things. He then said, "Whoever likes to ask me about anything he can do so and I shall reply as long as I am at this place of mine. Most of the people wept and the Prophet (ﷺ) said repeatedly, "Ask me." `Abdullah bin Hudhafa As-Sahmi stood up and said, "Who is my father?" The Prophet (ﷺ) said, "Your father is Hudhafa." The Prophet (ﷺ) repeatedly said, "Ask me." Then `Umar knelt before him and said, "We are pleased with Allah as our Lord, Islam as our religion, and Muhammad as our Prophet." The Prophet then became quiet and said, "Paradise and Hell-fire were displayed in front of me on this wall just now and I have never seen a better thing (than the former) and a worse thing (than the latter).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩৩০

পরিচ্ছেদঃ সূর্য ঢলে গেলে যোহরের নামাযের সময় হয়

৩৩০) আবু বারযা আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন সময় ফজরের নামায আদায় করতেন যখন আমাদের কেউ তার পার্শ্বের সাথীকে চিনতে পারত। তাতে তিনি ষাট থেকে একশ আয়াত পাঠ করতেন। সূর্য (পশ্চিম আকাশে) ঢলে পড়লে তিনি যোহরের নামায পড়তেন। আসরের নামায এমন সময় আদায় করতেন যে, মসজিদে নববীতে নামায শেষ করে আমাদের কেউ মদীনার শেষ প্রান্তে গিয়ে সূর্যের রং পরিবর্তন হওয়ার পূর্বেই পুনরায় ফেরত আসতে পারতেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ মাগরিবের ব্যাপারে আবু বারযা কি বলেছেন, তা আমি ভুলে গেছি। ইশার নামায রাতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত দেরী করে আদায় করতে মোটেও দ্বিধাবোধ করতেন না। আবু বারযা (রাঃ) পুনরায় বলেনঃ অর্ধেক রাত পর্যন্ত দেরী করে আদায় করতে দ্বিধাবোধ করতেন না।

باب وَقْتِ الظُّهْرِ عِنْدَ الزَّوَالِ

৩৩০ـ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ قَالَ:كَانَ النَّبِيُّ يُصَلِّي الصُّبْحَ وَأَحَدُنَا يَعْرِفُ جَلِيسَهُ، وَيَقْرَأُ فِيهَا مَا بَيْنَ السِّتِّينَ إِلَى الْمِائَةِ، وَيُصَلِّي الظُّهْرَ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ، وَالْعَصْرَ وَأَحَدُنَا يَذْهَبُ إِلَى أَقْصَى الْمَدِينَةِ فيرَجَعَ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ، وَنَسِيتُ مَا قَالَ فِي الْمَغْرِبِ، وَلا يُبَالِي بِتَأْخِيرِ الْعِشَاءِ إِلَى ثلُث اللَّيْلِ، ثمَّ قَالَ: إِلَى شَطْرِ اللَّيْلِ

৩৩০ـ عن ابي برزة قال:كان النبي يصلي الصبح واحدنا يعرف جليسه، ويقرا فيها ما بين الستين الى الماىة، ويصلي الظهر اذا زالت الشمس، والعصر واحدنا يذهب الى اقصى المدينة فيرجع والشمس حية، ونسيت ما قال في المغرب، ولا يبالي بتاخير العشاء الى ثلث الليل، ثم قال: الى شطر الليل

The time of Zuhr prayer is when the sun declines (just after mid-day)


Narrated Abu Al-Minhal:

Abu Barza said, "The Prophet (ﷺ) used to offer the Fajr (prayer) when one could recognize the person sitting by him (after the prayer) and he used to recite between 60 to 100 Ayat (verses) of the Qur'an. He used to offer the Zuhr prayer as soon as the sun declined (at noon) and the `Asr at a time when a man might go and return from the farthest place in Medina and find the sun still hot. (The sub-narrator forgot what was said about the Maghrib). He did not mind delaying the `Isha prayer to one third of the night or the middle of the night."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩৩১

পরিচ্ছেদঃ যোহরের নামায আসর পর্যন্ত দেরী করে আদায় করা

৩৩১) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনাতে মাগরিব ও ইশা একসাথে (ভিন্ন সালামে) সাত রাকাত পড়েছেন এবং যোহর ও আসর একসাথে (ভিন্ন সালামে) আট রাকআত পড়েছেন।

টিকাঃ এটি কেবল বিশেষ পরিস্থিতিতে চলবে। কেননা ভয়, রোগ, বৃষ্টি কিংবা সফর ব্যতীত সর্বাবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ে নামায আদায় করা কুরআনের সুস্পষ্ট আদেশ। তবে এ ব্যাপারে বর্ণিত অন্যান্য হাদীছ থেকে এবং আলেমদের বিভিন্ন মন্তব্য থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, উপরে বর্ণিত কারণগুলো ছাড়াও বিশেষ প্রয়োজনে দুই নামায একসাথে পড়া যেতে পারে।

باب تَأْخِيرِ الظُّهْرِ إِلَى الْعَصْرِ

৩৩১ـ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى بِالْمَدِينَةِ سَبْعًا وَثمَانِيًا الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ.

৩৩১ـ عن ابن عباس رضي الله عنهما: ان النبي صلى بالمدينة سبعا وثمانيا الظهر والعصر والمغرب والعشاء.

To delay the Zuhr (prayer) up to the 'Asr (prayer) time


Narrated Ibn `Abbas:

"The Prophet (ﷺ) prayed eight rak`at for the Zuhr and `Asr, and seven for the Maghrib and `Isha prayers in Medina." Aiyub said, "Perhaps those were rainy nights." Anas said, "May be."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩৩২

পরিচ্ছেদঃ আসরের নামাযের সময়

৩৩২) আবু বারযার হাদীছে নামাযের সময় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। যা একটু পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে। এখানে ইশার নামাযের আলোচনার সাথে অতিরিক্ত এ কথা বলা হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইশার পূর্বে ঘুমানো অপছন্দ করতেন এবং ইশার নামাযের পরে কথা-বার্তা বলা অপছন্দ করতেন।

باب وَقْتِ الْعَصْرِ

৩৩২ـ حَدِيْث أَبِي بَرْزَةَ في ذِكْرِ الصَّلَوَاتِ تَقَدَّمَ قَرِيْباً وَقَالَ في هذِهِ الرِّوَايَةِ لَمَّا ذَكَرَ الْعِشَاءَ:كَانَ يَكْرَهُ النَّوْمَ قَبْلَ الْعِشَاءِ وَالْحَدِيث بَعْدَهَا. (بخارى:৫৪১)

৩৩২ـ حديث ابي برزة في ذكر الصلوات تقدم قريبا وقال في هذه الرواية لما ذكر العشاء:كان يكره النوم قبل العشاء والحديث بعدها. (بخارى:৫৪১)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩৩৩

পরিচ্ছেদঃ আসরের নামাযের সময়

৩৩৩) আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা মসজিদে নববীতে আসরের নামায পড়তাম। নামায শেষে কোন লোক বনী আমর বিন আওফের অঞ্চলে গমণ করে তাদেরকে আসরের নামাযরত অবস্থায় পেত।

باب وَقْتِ الْعَصْرِ

৩৩৩ـ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: كُنَّا نُصَلِّي الْعَصْرَ ثمَّ يَخْرُجُ الإِنْسَانُ إِلَى بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، فَنَجِدُهُمْ يُصَلُّونَ الْعَصْرَ. (بخارى:৫৪৮)

৩৩৩ـ عن انس بن مالك قال: كنا نصلي العصر ثم يخرج الانسان الى بني عمرو بن عوف، فنجدهم يصلون العصر. (بخارى:৫৪৮)

The time of the Asr prayer


Narrated Anas bin Malik:

We used to pray the `Asr prayer and after that if someone happened to go to the tribe of Bani `Amr bin `Auf, he would find them still praying the `Asr (prayer).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩৩৪

পরিচ্ছেদঃ আসরের নামাযের সময়

৩৩৪) আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূর্য উপরে দীপ্তমান থাকা অবস্থায় আসরের নামায আদায় করতেন। নামায শেষে কেউ আওয়ালী (মদীনার গ্রাম্য এলাকা) পর্যন্ত গিয়েও দেখতে পেত যে, সূর্য অনেক উপরে আছে। মদীনার কোন কোন আওয়ালী মদীনা থেকে প্রায় চার মাইল দূরে অবস্থিত ছিল।

باب وَقْتِ الْعَصْرِ

৩৩৪ـ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ حَيَّةٌ، فَيَذْهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى الْعَوَالِي، فَيَأْتِيهِمْ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ، وَبَعْضُ الْعَوَالي مِنَ الْمَدِيْنَةِ عَلَى أَرْبَعَةِ أمْيَالٍ، أوْ نَحْوِهِ. (بخارى:৫৫০)

৩৩৪ـ عن انس بن مالك قال: كان رسول الله يصلي العصر والشمس مرتفعة حية، فيذهب الذاهب الى العوالي، فياتيهم والشمس مرتفعة، وبعض العوالي من المدينة على اربعة اميال، او نحوه. (بخارى:৫৫০)

The time of the Asr prayer


Narrated Anas bin Malik:

Allah's Messenger (ﷺ) used to offer the `Asr prayer at a time when the sun was still hot and high and if a person went to Al-`Awali (a place) of Medina, he would reach there when the sun was still high. Some of Al-`Awali of Medina were about four miles or so from the town.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩৩৫

পরিচ্ছেদঃ আসরের নামায ছুটে যাওয়ার গুনাহ

৩৩৫) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তির আসরের নামায ছুটে গেল তার এত বড় ক্ষতি হয়ে গেল, যেন তার পরিবার ও ধন-সম্পদ সবই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।

باب إِثْمِ مَنْ فَاتَتْهُ الْعَصْرُ

৩৩৫ـ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ الَّذِي تَفُوتُهُ صَلاةُ الْعَصْرِ كَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلُهُ وَمَالُهُ.

৩৩৫ـ عن ابن عمر رضي الله عنهما: ان رسول الله قال الذي تفوته صلاة العصر كانما وتر اهله وماله.

The sin of one who misses the 'Asr prayer (intentionally)


Narrated Ibn `Umar:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whoever misses the `Asr prayer (intentionally) then it is as if he lost his family and property."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩৩৬

পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে আসরের নামায ছেড়ে দিল

৩৩৬) বুরায়দাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা বৃষ্টির দিন বুরায়দা (রাঃ) লোকদেরকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমরা তাড়াতাড়ি আসরের নামায পড়ে নাও। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আসরের নামায ছেড়ে দিবে, তার সকল আমলই বাতিল হয়ে যাবে।

باب مَنْ تَرَكَ الْعَصْرَ

৩৩৬ـ عَنْ بُرَيْدَةَ : أَنَّهُ قَالَ فِي يَوْمٍ ذِي غَيْمٍ: بَكِّرُوا بِصَلاةِ الْعَصْرِ فَإِنَّ النَّبِيَّ قَالَ مَنْ تَرَكَ صَلاةَ الْعَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ. (بخارى:৫৫৩)

৩৩৬ـ عن بريدة : انه قال في يوم ذي غيم: بكروا بصلاة العصر فان النبي قال من ترك صلاة العصر فقد حبط عمله. (بخارى:৫৫৩)

One who omits (does not offer) the 'Asr prayer (intentionally)


Narrated Abu Al-Mahh [??]:

We were with Buraida in a battle on a cloudy day and he said, "Offer the `Asr prayer early as the Prophet said, "Whoever leaves the `Asr prayer, all his (good) deeds will be annulled."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩৩৭

পরিচ্ছেদঃ আসরের নামাযের ফজীলত

৩৩৭) জারির বিন আব্দুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ছিলাম। তখন রাতের বেলায় চন্দ্রের দিকে তাকিয়ে তিনি আমাদেরকে লক্ষ্য করে বললেনঃ কোন রকম অসুবিধা ছাড়াই তোমরা যেমন এই চন্দ্রটিকে দেখতে পাচ্ছ অচিরেই সেভাবে তোমরা তোমাদের প্রভুকে দেখতে পাবে। সুতরাং তোমাদের যদি সামর্থ থাকে যে, সূর্য উদয় এবং অস্তের পূর্বের নামায হতে কোন বস্তুই তোমাদেরকে পরাভুত করতে পারবেনা তাহলে উক্ত নামাযদ্বয়কে তোমরা যথাসময়ে আদায় কর। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআনের এই আয়াতটি পাঠ করলেনঃ


﴿وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ الْغُرُوبِ﴾

‘‘তুমি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে পবিত্রতার সাথে তোমার প্রভুর প্রশংসা বর্ণনা কর’’। (সূরা কাফঃ ৩৯)

باب فَضْلِ صَلاَةِ الْعَصْرِ

৩৩৭ـ عَنْ جَرِيرٍ قَالَ: كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ ، فَنَظَرَ إِلَى الْقَمَرِ لَيْلَةً، فَقَالَ إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا الْقَمَرَ، لا تُضَامُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ، فَإِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ لا تُغْلَبُوا عَلَى صَلاةٍ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا فَافْعَلُوا. ثمَّ قَرَأَ: ﴿وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ الْغُرُوبِ﴾. (بخارى:৫৫৪)

৩৩৭ـ عن جرير قال: كنا عند النبي ، فنظر الى القمر ليلة، فقال انكم سترون ربكم كما ترون هذا القمر، لا تضامون في رويته، فان استطعتم ان لا تغلبوا على صلاة قبل طلوع الشمس وقبل غروبها فافعلوا. ثم قرا: ﴿وسبح بحمد ربك قبل طلوع الشمس وقبل الغروب﴾. (بخارى:৫৫৪)

Superiority of the 'Asr prayer


Narrated Qais:

Jarir said, "We were with the Prophet (ﷺ) and he looked at the moon--full-moon--and said, 'Certainly you will see your Lord as you see this moon and you will have no trouble in seeing Him. So if you can avoid missing (through sleep or business, etc.) a prayer before the sunrise (Fajr) and a prayer before sunset (`Asr), you must do so.' He then recited Allah's Statement: And celebrate the praises Of your Lord before the rising of the sun and before (its) setting." (50.39) Isma`il said, "Offer those prayers and do not miss them."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩৩৮

পরিচ্ছেদঃ আসরের নামাযের ফজীলত

৩৩৮) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমাদের নিকট রাতে একদল ফেরেশতা এবং দিনে একদল ফেরেশতা পালাক্রমে আগমণ করেন। তারা ফজর ও আসরের নামাযের সময় এক সাথে একত্রিত হন। অতঃপর তোমাদের কাছে যে দলটি ছিল তারা উপরে উঠে যায়। মহান আল্লাহ জানা সত্ত্বেও তাদেরকে জিজ্ঞেস করেনঃ আমার বান্দাদেরকে কি অবস্থায় ছেড়ে এসেছ? তাঁরা বলেনঃ আমরা তাদেরকে নামাযরত অবস্থায় ছেড়ে এসেছি এবং তাদের কাছে যখন গিয়েছিলাম তখনও তারা নামাযেই ছিল।

باب فَضْلِ صَلاَةِ الْعَصْرِ

৩৩৮ـ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ يَتَعَاقَبُونَ فِيكُمْ مَلائِكَةٌ بِاللَّيْلِ وَمَلائِكَةٌ بِالنَّهَارِ، وَيَجْتَمِعُونَ فِي صَلاةِ الْفَجْرِ وَصَلاةِ الْعَصْرِ، ثمَّ يَعْرُجُ الَّذِينَ بَاتُوا فِيكُمْ، فَيَسْأَلُهُمْ وَهُوَ أَعْلَمُ بِهِمْ: كَيْفَ تَرَكْتُمْ عِبَادِي؟ فَيَقُولُونَ: تَرَكْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ، وَأَتَيْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ. (بخارى:৫৫৫)

৩৩৮ـ عن ابي هريرة : ان رسول الله قال يتعاقبون فيكم ملاىكة بالليل وملاىكة بالنهار، ويجتمعون في صلاة الفجر وصلاة العصر، ثم يعرج الذين باتوا فيكم، فيسالهم وهو اعلم بهم: كيف تركتم عبادي؟ فيقولون: تركناهم وهم يصلون، واتيناهم وهم يصلون. (بخارى:৫৫৫)

Superiority of the 'Asr prayer


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Angels come to you in succession by night and day and all of them get together at the time of the Fajr and `Asr prayers. Those who have passed the night with you (or stayed with you) ascend (to the Heaven) and Allah asks them, though He knows everything about you, well, "In what state did you leave my slaves?" The angels reply: "When we left them they were praying and when we reached them, they were praying."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩৩৯

পরিচ্ছেদঃ যে সূর্য অস্তের পূর্বে আসর নামাযের এক রাকআত পেল

৩৩৯) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন সূর্যাস্তের পূর্বে আসর নামাযের মাত্র এক রাকআত পাবে সে যেন নামায পূর্ণ করে নেয় আর যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে ফজর নামাযের এক রাকআত পাবে সেও যেন তার নামায পূর্ণ করে নেয়।

باب مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الْعَصْرِ قَبْلَ الْغُرُوبِ

৩৩৯ـ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ إِذَا أَدْرَكَ أَحَدُكُمْ سَجْدَةً مِنْ صَلاةِ الْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ، فَلْيُتِمَّ صَلاتَهُ، وَإِذَا أَدْرَكَ سَجْدَةً مِنْ صَلاةِ الصُّبْحِ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ، فَلْيُتِمَّ صَلاتَهُ. (بخارى:৫৫৬)

৩৩৯ـ عن ابي هريرة قال: قال رسول الله اذا ادرك احدكم سجدة من صلاة العصر قبل ان تغرب الشمس، فليتم صلاته، واذا ادرك سجدة من صلاة الصبح قبل ان تطلع الشمس، فليتم صلاته. (بخارى:৫৫৬)

Whoever got (or was able to offer) only one Rak'a of the 'Asr prayer before sunset


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "If anyone of you can get one rak`a of the `Asr prayer before sunset, he should complete his prayer. If any of you can get one rak`a of the Fajr prayer before sunrise, he should complete his prayer."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
৩৪০

পরিচ্ছেদঃ যে সূর্য অস্তের পূর্বে আসর নামাযের এক রাকআত পেল

৩৪০) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, পূর্বের জাতিসমূহের তুলনায় দুনিয়াতে তোমাদের অবস্থানের মেয়াদ হল আসরের নামাযের সময় থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।

আহলে তাওরাতকে তাওরাত কিতাব দেয়া হয়েছে। তারা অর্ধেক দিন পর্যন্ত তাওরাত অনুযায়ী আমল করে অক্ষম হয়ে গেল। তাদেরকে এক কীরাত করে বিনিময় প্রদান করা হল। তারপর ইঞ্জিলের অনুসারীদেরকে ইঞ্জিল কিতাব দেয়া হল। তারা আসরের নামাযের সময় পর্যন্ত আমল করে দুর্বল হয়ে পড়ল। তাদেরকেও এক কীরাত করে ছাওয়াব প্রদান করা হল।

অতঃপর আমাদেরকে কুরআন মজীদ প্রদান করা হয়েছে। আমরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমল করলাম। আমাদেরকে দু’কীরাত করে ছাওয়াব দেয়া হয়েছে। এতে তাওরাত ও ইঞ্জিল কিতাবের অনুসারীরা বললঃ হে আমাদের প্রভু! এদেরকে দু’কীরাত করে ছাওয়াব দিলেন এবং আমাদেরকে এক কীরাত করে দিলেন? অথচ আমরা তাদের তুলনায় অনেক বেশী আমল করেছি। আল্লাহ তাআলা বললেনঃ পারিশ্রমিক দেয়ার ব্যাপারে আমি কি তোমাদের উপর যুলুম করেছি? তারা বললঃ না, আমাদেরকে কম দেয়া হয়নি। তখন আল্লাহ তাআলা বললেনঃ এটি আমার অনুগ্রহ। যাকে ইচ্ছা আমি তাকেই তা প্রদান করে থাকি।

باب مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الْعَصْرِ قَبْلَ الْغُرُوبِ

৩৪০ـ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بن عمر: أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ يَقُولُ إِنَّمَا بَقَاؤُكُمْ فِيمَا سَلَفَ قَبْلَكُمْ مِنَ الأُمَمِ كَمَا بَيْنَ صَلاةِ الْعَصْرِ إِلَى غُرُوبِ الشَّمْسِ أُوتِيَ أَهْلُ التَّوْرَاةِ التَّوْرَاةَ، فَعَمِلُوا حَتَّى إِذَا انْتَصَفَ النَّهَارُ عَجَزُوا، فَأُعْطُوا قِيرَاطًا قِيرَاطًا، ثمَّ أُوتِيَ أَهْلُ الإِنْجِيلِ الإِنْجِيلَ، فَعَمِلُوا إِلَى صَلاةِ الْعَصْرِ، ثمَّ عَجَزُوا، فَأُعْطُوا قِيرَاطًا قِيرَاطًا، ثمَّ أُوتِينَا الْقُرْآنَ، فَعَمِلْنَا إِلَى غُرُوبِ الشَّمْسِ، فَأُعْطِينَا قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ، فَقَالَ أَهْلُ الْكِتَابَيْنِ: أَيْ رَبَّنَا أَعْطَيْتَ هَؤُلاءِ قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ، وَأَعْطَيْتَنَا قِيرَاطًا قِيرَاطًا، وَنَحْنُ كُنَّا أَكْثرَ عَمَلاً؟ قَالَ: قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: هَلْ ظَلَمْتُكُمْ مِنْ أَجْرِكُمْ مِنْ شَيْءٍ؟ قَالُوا: لا، قَالَ: فَهُوَ فَضْلِي أُوتِيهِ مَنْ أَشَاءُ. (بخارى:৫৫৭)

৩৪০ـ عن عبد الله بن عمر: انه سمع رسول الله يقول انما بقاوكم فيما سلف قبلكم من الامم كما بين صلاة العصر الى غروب الشمس اوتي اهل التوراة التوراة، فعملوا حتى اذا انتصف النهار عجزوا، فاعطوا قيراطا قيراطا، ثم اوتي اهل الانجيل الانجيل، فعملوا الى صلاة العصر، ثم عجزوا، فاعطوا قيراطا قيراطا، ثم اوتينا القران، فعملنا الى غروب الشمس، فاعطينا قيراطين قيراطين، فقال اهل الكتابين: اي ربنا اعطيت هولاء قيراطين قيراطين، واعطيتنا قيراطا قيراطا، ونحن كنا اكثر عملا؟ قال: قال الله عز وجل: هل ظلمتكم من اجركم من شيء؟ قالوا: لا، قال: فهو فضلي اوتيه من اشاء. (بخارى:৫৫৭)

Whoever got (or was able to offer) only one Rak'a of the 'Asr prayer before sunset


Narrated Salim bin `Abdullah:

My father said, "I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, 'The period of your stay as compared to the previous nations is like the period equal to the time between the `Asr prayer and sunset. The people of the Torah were given the Torah and they acted (upon it) till midday then they were exhausted and were given one Qirat (of gold) each. And then the people of the Gospel were given the Gospel and they acted (upon it) till the `Asr prayer then they were exhausted and were! given one Qirat each. And then we were given the Qur'an and we acted (upon it) till sunset and we were given two Qirats each. On that the people of both the scriptures said, 'O our Lord! You have given them two Qirats and given us one Qirat, though we have worked more than they.' Allah said, 'Have I usurped some of your right?' They said, 'No.' Allah said: "That is my blessing I bestow upon whomsoever I wish."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. নামাযের সময় (كتاب مواقيت الصلاة) Times of the Prayers
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »