মুয়াত্তা মালিক ৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الوصية)
১৪৮৫

পরিচ্ছেদঃ ১. ওসীয়্যতের নির্দেশ

রেওয়ায়ত ১. আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, কোন মুসলিমের নিকট কিছু সম্পদ থাকিলে যাহার সম্বন্ধে ওসীয়াত করা তাহার কর্তব্য, তবে সেই ক্ষেত্রে তাহার জন্য দুই রাত্রিও দেরী করা উচিত না (কেননা মৃত্যু আসার আশংকা রহিয়াছে)।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহা আমাদের নিকট সর্বসম্মত বিষয় যে, যদি কোন মুসলিম সুস্থ অথবা অসুস্থ অবস্থায় কোন ওসীয়্যত করিয়া যায় যেমন গোলাম আযাদ করা কিংবা অন্যান্য বিষয়, তবে সে মারা যাওয়ার পূর্বে তাহার মধ্যে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করিতে পরিবে এবং ওসীয়্যতকে মওকুফও করিতে পরিবে। অন্য কোন ওসীয়্যতও করিতে পারবে। কিন্তু কোন গোলামকে যদি মুদাব্বের করিয়া থাকে তবে তাহাতে আর কোন পরিবর্তন করিতে পারবে না, কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যে, কোন মুসলিমের এমন কিছু থাকিলে যাহা ওসীয়াত করা কর্তব্য, তবে ওসীয়্যত করা ব্যতীত দুই রাত অতিবাহিত করা তাহার উচিত নয়।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি ওসীয়াতকারীর নিজ ওসীয়্যতে পরিবর্তন করার ক্ষমতা না থাকিত তবে তাহার ইখতিয়ার হইতে বাহির হইয়া আটক থাকিত। যেমন গোলাম আযাদের কথা অথচ মানুষ কোন সময় ভ্রমণে যাওয়ার সময় ওসীয়্যত করে আবার সুস্থ থাকাকালীন ওসীয়্যত করে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট প্রত্যেক ওসীয়্যতই বদলানো যায় কিন্তু গোলামকে মুদাব্বের করা হইলে তাহা পরিবর্তনের ইখতিয়ার নাই।

بَاب الْأَمْرِ بِالْوَصِيَّةِ

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَيْءٌ يُوصَى فِيهِ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ إِلَّا وَوَصِيَّتُهُ عِنْدَهُ مَكْتُوبَةٌ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الْمُوصِيَ إِذَا أَوْصَى فِي صِحَّتِهِ أَوْ مَرَضِهِ بِوَصِيَّةٍ فِيهَا عَتَاقَةُ رَقِيقٍ مِنْ رَقِيقِهِ أَوْ غَيْرُ ذَلِكَ فَإِنَّهُ يُغَيِّرُ مِنْ ذَلِكَ مَا بَدَا لَهُ وَيَصْنَعُ مِنْ ذَلِكَ مَا شَاءَ حَتَّى يَمُوتَ وَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يَطْرَحَ تِلْكَ الْوَصِيَّةَ وَيُبْدِلَهَا فَعَلَ إِلَّا أَنْ يُدَبِّرَ مَمْلُوكًا فَإِنْ دَبَّرَ فَلَا سَبِيلَ إِلَى تَغْيِيرِ مَا دَبَّرَ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَيْءٌ يُوصَى فِيهِ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ إِلَّا وَوَصِيَّتُهُ عِنْدَهُ مَكْتُوبَةٌ قَالَ مَالِك فَلَوْ كَانَ الْمُوصِي لَا يَقْدِرُ عَلَى تَغْيِيرِ وَصِيَّتِهِ وَلَا مَا ذُكِرَ فِيهَا مِنْ الْعَتَاقَةِ كَانَ كُلُّ مُوصٍ قَدْ حَبَسَ مَالَهُ الَّذِي أَوْصَى فِيهِ مِنْ الْعَتَاقَةِ وَغَيْرِهَا وَقَدْ يُوصِي الرَّجُلُ فِي صِحَّتِهِ وَعِنْدَ سَفَرِهِ قَالَ مَالِك فَالْأَمْرُ عِنْدَنَا الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ أَنَّهُ يُغَيِّرُ مِنْ ذَلِكَ مَا شَاءَ غَيْرَ التَّدْبِيرِ

حدثني مالك عن نافع عن عبد الله بن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ما حق امرى مسلم له شيء يوصى فيه يبيت ليلتين الا ووصيته عنده مكتوبة قال مالك الامر المجتمع عليه عندنا ان الموصي اذا اوصى في صحته او مرضه بوصية فيها عتاقة رقيق من رقيقه او غير ذلك فانه يغير من ذلك ما بدا له ويصنع من ذلك ما شاء حتى يموت وان احب ان يطرح تلك الوصية ويبدلها فعل الا ان يدبر مملوكا فان دبر فلا سبيل الى تغيير ما دبر وذلك ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ما حق امرى مسلم له شيء يوصى فيه يبيت ليلتين الا ووصيته عنده مكتوبة قال مالك فلو كان الموصي لا يقدر على تغيير وصيته ولا ما ذكر فيها من العتاقة كان كل موص قد حبس ماله الذي اوصى فيه من العتاقة وغيرها وقد يوصي الرجل في صحته وعند سفره قال مالك فالامر عندنا الذي لا اختلاف فيه انه يغير من ذلك ما شاء غير التدبير


Malik related to me from Nafi from Abdullah ibn Umar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "It is the duty of a muslim man who has something to be given as a bequest not to spend two nights without writing a will about it."

Malik said, "The generally agreed-on way of doing things in our community is that when the testator writes something in health or illness as a bequest, and it has freeing slaves or things other than that in it, he can alter it in any way he chooses, until he is on his deathbed. If he prefers to abandon a bequest or change it, he can do so unless he has made a slave mudabbar (to be freed after his death). If he has made him mudabbar, there is no way to change what he has made mudabbar. He is allowed to change his testament because the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "It is the duty of a muslim man who has something to be given as a bequest not to spend two nights without writing a will about it."

Malik explained, "Had the testator not been able to change his will nor what was mentioned in it about freeing slaves, each testator might withhold making bequests from his property, whether in freeing slaves or other than it. A man gives a bequest in his health and in his travelling." (i.e. he does not wait till his death bed ).

Malik summed up, "The way of doing things in our community about which there is no dispute is that he can change whatever he likes of that except for the mudabbar."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الوصية) 37/ Wills and Testaments
১৪৮৬

পরিচ্ছেদঃ ২. দুর্বল, বালক, পাগল ও নির্বোধের ওসীয়্যত

রেওয়ায়ত ২. আবু বকর ইবন হাযম (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আমর ইবন সুলায়ম যারকী বলিয়াছেন, উমর (রাঃ)-কে বলা হইয়াছে যে, এইখানে গাসসান গোত্রের একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে আছে, তাহার ওয়ারিস সিরিয়াতে এবং তাহার সম্পত্তিও আছে মদীনাতে, তাহার এক চাচাতো বোন ব্যতীত আর কোন ওয়ারিস নাই। উমর (রাঃ) বলিলেন, তাহার জন্যই ওসীয়্যত করা চাই। অবশেষে ঐ ছেলে নিজ মালের ওসীয়্যত চাচাতো বোনের জন্য করিয়াছিল। তাহার সম্পত্তির নাম বীরে জুশাম ছিল। আমর (রাঃ) বলেন যে, ঐ সম্পত্তি ত্রিশ হাজার দিরহামে বিক্রয় হইয়াছিল। আর তাহার চাচাতো বোনের নাম উম্মে আমর ইবন সুলাইমি যারকী ছিল।

بَاب جَوَازِ وَصِيَّةِ الصَّغِيرِ وَالضَّعِيفِ وَالْمُصَابِ وَالسَّفِيهِ

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عَمْرَو بْنَ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ قِيلَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ إِنَّ هَاهُنَا غُلَامًا يَفَاعًا لَمْ يَحْتَلِمْ مِنْ غَسَّانَ وَوَارِثُهُ بِالشَّامِ وَهُوَ ذُو مَالٍ وَلَيْسَ لَهُ هَاهُنَا إِلَّا ابْنَةُ عَمٍّ لَهُ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَلْيُوصِ لَهَا قَالَ فَأَوْصَى لَهَا بِمَالٍ يُقَالُ لَهُ بِئْرُ جُشَمٍ قَالَ عَمْرُو بْنُ سُلَيْمٍ فَبِيعَ ذَلِكَ الْمَالُ بِثَلَاثِينَ أَلْفَ دِرْهَمٍ وَابْنَةُ عَمِّهِ الَّتِي أَوْصَى لَهَا هِيَ أُمُّ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ

حدثني مالك عن عبد الله بن ابي بكر بن حزم عن ابيه ان عمرو بن سليم الزرقي اخبره انه قيل لعمر بن الخطاب ان هاهنا غلاما يفاعا لم يحتلم من غسان ووارثه بالشام وهو ذو مال وليس له هاهنا الا ابنة عم له قال عمر بن الخطاب فليوص لها قال فاوصى لها بمال يقال له بىر جشم قال عمرو بن سليم فبيع ذلك المال بثلاثين الف درهم وابنة عمه التي اوصى لها هي ام عمرو بن سليم الزرقي


Malik related to me from Abdullah ibn Abi Bakr ibn Hazm that Amr ibn Sulaym az-Zuraqi informed his father that it had been said to Umar ibn al-Khattab, "There is here an adolescent boy who has not yet reached puberty. He is from the Ghassan tribe and his heir is in ash- Sham. He has property. Here he only has the daughter of one of his paternal uncles." Umar ibn al-Khattab instructed, "Let him leave her a bequest." He willed her a property called the well of Jusham.

Malik added, "That property was sold for 30,000 dirhams, and the daughter of the paternal uncle to whom he willed it was the mother of Amr ibn Sulaym az-Zuraqi."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الوصية) 37/ Wills and Testaments
১৪৮৭

পরিচ্ছেদঃ ২. দুর্বল, বালক, পাগল ও নির্বোধের ওসীয়্যত

রেওয়ায়ত ৩. আবু বকর ইবন হাযম (রহঃ) হইতে বর্ণিত, গাসসান বংশের একটি ছেলের মৃত্যুর সময় উপস্থিত হইল, আর তাহার ওয়ারিস সিরিয়াতে ছিল। তাহার কথা উমর (রাঃ)-এর কাছে বলা হইল এবং জিজ্ঞাসা করা হইল যে, সে ওসীয়্যত করিবে কি? তিনি বলিলেন হ্যাঁ, সে যেন ওসীয়াত করে। আবু বকর বলেন, ঐ ছেলের বয়স দশ অথবা বার বৎসর ছিল। অতঃপর সে তাহার বীরে জুশাম নামক সম্পত্তি ওসীয়্যত করিয়া গেল, যাহার বিক্রয়মূল্য বাবদ প্রাপ্ত হইয়াছিল ত্রিশ হাজার দিরহাম ।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহা আমাদের নিকট সর্বসম্মত বিষয় যে, দুর্বল বুদ্ধির লোক, নির্বোধ, পাগল যাহার মাঝে মাঝে হুশ ফিরিয়া আসে এমন লোকদের ওসীয়্যত শুদ্ধ হইবে যখন তাহার এতদূর আকল থাকে যে, সে যাহা কিছু ওসীয়্যত করিতেছে তাহা সে বুঝে। আর যদি এতদূর আকলও না থাকে তবে তাহার ওসীয়াত শুদ্ধ হইবে না।

بَاب جَوَازِ وَصِيَّةِ الصَّغِيرِ وَالضَّعِيفِ وَالْمُصَابِ وَالسَّفِيهِ

وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ غُلَامًا مِنْ غَسَّانَ حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ بِالْمَدِينَةِ وَوَارِثُهُ بِالشَّامِ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ فُلَانًا يَمُوتُ أَفَيُوصِي قَالَ فَلْيُوصِ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ أَبُو بَكْرٍ وَكَانَ الْغُلَامُ ابْنَ عَشْرِ سِنِينَ أَوْ اثْنَتَيْ عَشَرَةَ سَنَةً قَالَ فَأَوْصَى بِبِئْرِ جُشَمٍ فَبَاعَهَا أَهْلُهَا بِثَلَاثِينَ أَلْفَ دِرْهَمٍ
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الضَّعِيفَ فِي عَقْلِهِ وَالسَّفِيهَ وَالْمُصَابَ الَّذِي يُفِيقُ أَحْيَانًا تَجُوزُ وَصَايَاهُمْ إِذَا كَانَ مَعَهُمْ مِنْ عُقُولِهِمْ مَا يَعْرِفُونَ مَا يُوصُونَ بِهِ فَأَمَّا مَنْ لَيْسَ مَعَهُ مِنْ عَقْلِهِ مَا يَعْرِفُ بِذَلِكَ مَا يُوصِي بِهِ وَكَانَ مَغْلُوبًا عَلَى عَقْلِهِ فَلَا وَصِيَّةَ لَهُ

وحدثني مالك عن يحيى بن سعيد عن ابي بكر بن حزم ان غلاما من غسان حضرته الوفاة بالمدينة ووارثه بالشام فذكر ذلك لعمر بن الخطاب فقيل له ان فلانا يموت افيوصي قال فليوص قال يحيى بن سعيد قال ابو بكر وكان الغلام ابن عشر سنين او اثنتي عشرة سنة قال فاوصى ببىر جشم فباعها اهلها بثلاثين الف درهم قال يحيى سمعت مالك يقول الامر المجتمع عليه عندنا ان الضعيف في عقله والسفيه والمصاب الذي يفيق احيانا تجوز وصاياهم اذا كان معهم من عقولهم ما يعرفون ما يوصون به فاما من ليس معه من عقله ما يعرف بذلك ما يوصي به وكان مغلوبا على عقله فلا وصية له


Malik related to me from Yahya ibn Said from Abu Bakr ibn Hazm that a boy from Ghassan was dying in Madina while his heir was in Syria. That was mentioned to Umar ibn al-Khattab. It was said to him, "So-and-so is dying. Shall he make a bequest?" He said, "Let him make a bequest."

Yahya ibn Said said that Abu Bakr had said, "He was a boy of ten or twelve years." Yahya said, "He willed the well of Jusham, and his people sold it for 30,000 dirhams."

Yahya said that he heard Malik say, "The generally agreed-on way of doing things in our community is that a simpleton, an idiot, or a lunatic who recovers at times, can make wills if they have enough of their wits about them to recognise what they will. Someone who has not enough wits to recognise what he wills, and is overcome in his intellect, cannot make a bequest."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الوصية) 37/ Wills and Testaments
১৪৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. এক-তৃতীয়াংশের অধিক ওসীয়্যতের ফয়সালা

রেওয়ায়ত ৪. সা’আদ ইবন আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, বিদায় হজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার অসুখের সময় আমাকে দেখিতে আসেন, আমার অসুখ খুব কঠিন ছিল। আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি দেখিতেছেন যে, আমার অবস্থা কি এবং আমি খুব সম্পদশালী, আমার কেহই ওয়ারিস নাই এক মেয়ে ব্যতীত। এখন আমি আমার সম্পদের দুই-তৃতীয়াংশ সদকা করিয়া দিতে পারিব কি? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, না। আমি বলিলাম, তাহা হইলে অর্ধেক দান করিয়া দেই? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, না। অতঃপর তিনি নিজেই বলিলেন এক-তৃতীয়াংশ দান কর, যদিও ইহাও অনেক। মনে রাখিও, তুমি তোমার ওয়ারিসদিগকে ধনী রাখিয়া যাওয়া উত্তম তাহাদিগকে দরিদ্র এবং লোকের কাছে ভিক্ষা করুক এমন অবস্থায় রাখিয়া যাওয়ার চাইতে। তুমি যাহা কিছু আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টির জন্য খরচ করিবে তাহার বিনিময় পাইবেই, চাই নিজ স্ত্রীর মুখে লোকমা উঠাইয়া দাও না কেন। অতঃপর আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমি আমার সঙ্গীদের পিছনে থাকিয়া যাইব। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, যদি তুমি তাহাদের পিছনে পড় এবং নেকী করিতে থাক তবে তোমার সম্মান বুলন্দ হইবে। এমনও হইতে পারে যে, তুমি জীবিত থাকিবে এবং তোমার দ্বারা আল্লাহ্ তা’আলা বহু লোককে উপকৃত করিবেন, আর এক দলের তোমার দ্বারা ক্ষতি হইবে।

হে আল্লাহ আমার সাহাবীগণের হিজরত পূর্ণ কর এবং তাহাদিগকে পশ্চাদপসরণ করিও না। কিন্তু বেচারা সা’আদ ইবন খাওলা যাহার জন্য রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্তর ব্যথিত হইয়াছিল, কেননা তিনি মক্কায় ইন্তিকাল করিয়াছিলেন।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কেহ কাহারও জন্য এক-তৃতীয়াংশ সম্পত্তির ওসীয়্যত করিয়া যায় এবং ইহাও বলে যে, আমার অমুক গোলাম অমুকের খেদমত আজীবন করিবে, অতঃপর সে আযাদ। তাহার পর যদি গোলামের মূল্য সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ হয় তবে গোলামের খেদমত গ্রহণ করা হইবে এবং গোলামের ভাগ বন্টন করা হইবে; যাহার জন্য সম্পদের ওসীয়াত করা হইয়াছে তাহার হিস্যা হইবে এবং যাহার জন্য খেদমত করার ওসীয়াত করা হইয়াছে তাহারও হিস্য খেদমতের মূল্য অনুযায়ী হইবে এবং এই দুইজন লোকই ঐ গোলামের কামাই ও খেদমত হইতে নিজ হিস্যা প্রাপ্ত হইবে। যখন ঐ ব্যক্তি মারা যাইবে যাহার খেদমতের কথা বলা হইয়াছে, তখন গোলাম আযাদ হইয়া যাইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কেহ কয়েক ব্যক্তির নাম লইয়া বলে যে, অমুককে এত অমুককে এত দিবার ওসীয়্যত করিলাম; অতঃপর তাহার ওয়ারিসগণ বলে যে, ওসীয়্যত এক-তৃতীয়াংশের চাইতে অধিক হইয়াছে তবে ওয়ারিসগণের ইখতিয়ার হইবে, হয় তাহারা ওসীয়াত যাহাদেরকে করা হইয়াছে তাহাদের প্রত্যেককেই ঐ পরিমাণ বিনিময় দেবে এবং পূর্ণ সম্পদ নিজেরা লইয়া লইবে অথবা তাহাদিগকে এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ দিয়া দেবে যেন তাহারা বন্টন করিয়া লইতে পারে।

بَاب الْوَصِيَّةِ فِي الثُّلُثِ لَا تَتَعَدَّى

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ جَاءَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُنِي عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ مِنْ وَجَعٍ اشْتَدَّ بِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ بَلَغَ بِي مِنْ الْوَجَعِ مَا تَرَى وَأَنَا ذُو مَالٍ وَلَا يَرِثُنِي إِلَّا ابْنَةٌ لِي أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَيْ مَالِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا فَقُلْتُ فَالشَّطْرُ قَالَ لَا ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَالثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ إِنَّكَ أَنْ تَذَرَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَذَرَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ وَإِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللَّهِ إِلَّا أُجِرْتَ حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِي فِي امْرَأَتِكَ قَالَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَأُخَلَّفُ بَعْدَ أَصْحَابِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّكَ لَنْ تُخَلَّفَ فَتَعْمَلَ عَمَلًا صَالِحًا إِلَّا ازْدَدْتَ بِهِ دَرَجَةً وَرِفْعَةً وَلَعَلَّكَ أَنْ تُخَلَّفَ حَتَّى يَنْتَفِعَ بِكَ أَقْوَامٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ اللَّهُمَّ أَمْضِ لِأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ وَلَا تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ لَكِنْ الْبَائِسُ سَعْدُ بْنُ خَوْلَةَ يَرْثِي لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ مَاتَ بِمَكَّةَ
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يُوصِي بِثُلُثِ مَالِهِ لِرَجُلٍ وَيَقُولُ غُلَامِي يَخْدُمُ فُلَانًا مَا عَاشَ ثُمَّ هُوَ حُرٌّ فَيُنْظَرُ فِي ذَلِكَ فَيُوجَدُ الْعَبْدُ ثُلُثَ مَالِ الْمَيِّتِ قَالَ فَإِنَّ خِدْمَةَ الْعَبْدِ تُقَوَّمُ ثُمَّ يَتَحَاصَّانِ يُحَاصُّ الَّذِي أُوصِيَ لَهُ بِالثُّلُثِ بِثُلُثِهِ وَيُحَاصُّ الَّذِي أُوصِيَ لَهُ بِخِدْمَةِ الْعَبْدِ بِمَا قُوِّمَ لَهُ مِنْ خِدْمَةِ الْعَبْدِ فَيَأْخُذُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِنْ خِدْمَةِ الْعَبْدِ أَوْ مِنْ إِجَارَتِهِ إِنْ كَانَتْ لَهُ إِجَارَةٌ بِقَدْرِ حِصَّتِهِ فَإِذَا مَاتَ الَّذِي جُعِلَتْ لَهُ خِدْمَةُ الْعَبْدِ مَا عَاشَ عَتَقَ الْعَبْدُ قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي الَّذِي يُوصِي فِي ثُلُثِهِ فَيَقُولُ لِفُلَانٍ كَذَا وَكَذَا وَلِفُلَانٍ كَذَا وَكَذَا يُسَمِّي مَالًا مِنْ مَالِهِ فَيَقُولُ وَرَثَتُهُ قَدْ زَادَ عَلَى ثُلُثِهِ فَإِنَّ الْوَرَثَةَ يُخَيَّرُونَ بَيْنَ أَنْ يُعْطُوا أَهْلَ الْوَصَايَا وَصَايَاهُمْ وَيَأْخُذُوا جَمِيعَ مَالِ الْمَيِّتِ وَبَيْنَ أَنْ يَقْسِمُوا لِأَهْلِ الْوَصَايَا ثُلُثَ مَالِ الْمَيِّتِ فَيُسَلِّمُوا إِلَيْهِمْ ثُلُثَهُ فَتَكُونُ حُقُوقُهُمْ فِيهِ إِنْ أَرَادُوا بَالِغًا مَا بَلَغَ

حدثني مالك عن ابن شهاب عن عامر بن سعد بن ابي وقاص عن ابيه انه قال جاءني رسول الله صلى الله عليه وسلم يعودني عام حجة الوداع من وجع اشتد بي فقلت يا رسول الله قد بلغ بي من الوجع ما ترى وانا ذو مال ولا يرثني الا ابنة لي افاتصدق بثلثي مالي قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا فقلت فالشطر قال لا ثم قال رسول الله صلى الله عليه وسلمالثلث والثلث كثير انك ان تذر ورثتك اغنياء خير من ان تذرهم عالة يتكففون الناس وانك لن تنفق نفقة تبتغي بها وجه الله الا اجرت حتى ما تجعل في في امراتك قال فقلت يا رسول الله ااخلف بعد اصحابي فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم انك لن تخلف فتعمل عملا صالحا الا ازددت به درجة ورفعة ولعلك ان تخلف حتى ينتفع بك اقوام ويضر بك اخرون اللهم امض لاصحابي هجرتهم ولا تردهم على اعقابهم لكن الباىس سعد بن خولة يرثي له رسول الله صلى الله عليه وسلم ان مات بمكة قال يحيى سمعت مالك يقول في الرجل يوصي بثلث ماله لرجل ويقول غلامي يخدم فلانا ما عاش ثم هو حر فينظر في ذلك فيوجد العبد ثلث مال الميت قال فان خدمة العبد تقوم ثم يتحاصان يحاص الذي اوصي له بالثلث بثلثه ويحاص الذي اوصي له بخدمة العبد بما قوم له من خدمة العبد فياخذ كل واحد منهما من خدمة العبد او من اجارته ان كانت له اجارة بقدر حصته فاذا مات الذي جعلت له خدمة العبد ما عاش عتق العبد قال وسمعت مالك يقول في الذي يوصي في ثلثه فيقول لفلان كذا وكذا ولفلان كذا وكذا يسمي مالا من ماله فيقول ورثته قد زاد على ثلثه فان الورثة يخيرون بين ان يعطوا اهل الوصايا وصاياهم وياخذوا جميع مال الميت وبين ان يقسموا لاهل الوصايا ثلث مال الميت فيسلموا اليهم ثلثه فتكون حقوقهم فيه ان ارادوا بالغا ما بلغ


Malik related to me from Ibn Shihab from Amir ibn Sad ibn Abi Waqqas that his father said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, came to me to treat me for a pain which became hard to bear in the year of the farewell hajj. I said, 'Messenger of Allah, you can see how far the pain has reached me. I have property and only my daughter inherits from me. Shall I give two thirds of my property as sadaqa?' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'No.' I said, 'Half?' He said, 'No.' Then the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'A third, and a third is a lot. Leaving your heirs rich is better than leaving them poor to beg from people. You never spend anything on maintenance desiring the Face of Allah by it, but that you are rewarded for it, even what you appoint for your wife.' Sad said, 'Messenger of Allah, will I be left here in Makka after my companions have departed for Madina?' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'If you are left behind, and do sound deeds you will increase your degree and elevation by them. Perhaps you will be left behind so that some people may benefit by you and others may be harmed by you. O Allah! complete their hijra for my companions, and do not turn them back on their heels. The unfortunate one is Said ibn Khawla.' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, was distressed on his account for he had died at Makka."

Yahya said that he heard Malik speak about a man who willed a third of his property to a man and said as well, "My slave will serve so-and-so (another man) for as long as he lives, then he is free," then that was looked into, and the slave was found to be a third of the property of the deceased. Malik said, "The service of the slave is evaluated. Then the two of them divide it between them. The one who was willed a third takes his third, as a share, and the one who was willed the service of the slave takes what was evaluated for him of the slave's service. Each of them takes, from the service of the slave or from his wage if he has a wage, according to his share. If the one who was given the service of the slave for as long as he lived dies, then the slave is freed."

Yahya said that he heard Malik speak about someone who willed his third and said "So-and-so has such- and-such, and so-and-so has such-and-such," naming some of his property, and his heirs protested that it was more than a third." Malik said, "The heirs then have an option between giving the beneficiaries their full bequests and taking the rest of the property of the deceased, or between dividing among the beneficiaries the third of the property of the deceased and surrendering to them their third. If they wish, their rights in it reach as far as they reach."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الوصية) 37/ Wills and Testaments
১৪৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৪. গর্ভবতী, রোগী ও মুজাহিদ সম্পর্কে হুকুম তাহারা কত দিবে

মালিক (রহঃ) বলেনঃ গর্ভবতীর হুকুম ও অসুস্থ মানুষের হুকুম একই। যখন সাধারণ অসুখ হয়, মৃত্যুর ভয় না থাকে তখন রোগী তাহার সম্পত্তির মধ্যে যাহা খুশী তাহাই করিতে পারে। আর যদি অসুখ সাংঘাতিক ধরনের হয়, যাহার বাঁচিবার আশা খুব কম, তবে সম্পত্তির মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশি বিক্রয় করিতে পরিবে না। এইরূপই গর্ভবতীর হুকুম। গর্ভবতীর প্রথমাবস্থায় যখন খুব আনন্দে থাকে তখন তাহার সম্পত্তিতে যাহা ইচ্ছা সে তাহাই করিতে পারে, কেননা আল্লাহ্ তা’আলা বলিয়াছেন, “আমি তাহাকে (বিবি সারাকে) ইসহাকের সুসংবাদ দিলাম, আর ইসহাকের পরে ইয়াকুবের সুসংবাদ দিলাম। আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেন যে, “যখন আদম হাওয়ার সাথে সহবাস করিল তখন হাওয়ার সামান্য গর্ভের সঞ্চার হইল এবং চলাফেরা করিতে লাগিল। অতঃপর যখন গর্ভ অধিক ভারী হইয়া গেল তখন দুইজনেই আল্লাহ্ তা’আলার নিকট দোয়া করিলেন যে, যদি আমাদিগকে নেক সন্তান দেন তবে আপনার কৃতজ্ঞ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হইয়া যাইব।” সুতরাং যখন গর্ভবতীর গর্ভ বেশি ভারী হইয়া যায় তখন সে তাহার সম্পদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশির মধ্যে কিছুই করিতে পারিবে না। এই অবস্থা ছয়মাস পরে হয়। যেমন আল্লাহ তা’আলা নিজ কিতাবে বলিয়াছেন যে, মাতাগণ সন্তানদিগকে পূর্ণ দুই বৎসরে দুগ্ধপান করাইবে। যে ব্যক্তি দুগ্ধপানকে পূর্ণ করাইতে চায়। পুনরায় বলেন যে, গর্ভ ধারণ ও দুধ ছাড়ানো ত্রিশ মাস। সুতরাং যখন গর্ভবতী ছয়মাস অতিবাহিত হইয়া যায় গর্ভ সঞ্চারের দিন হইতে, তখন সে তাহার সম্পত্তিতে এক-তৃতীয়াংশের বেশিতে কিছুই করিতে পারিবে না।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি লড়াইয়ের ময়দানে (যোদ্ধাদের) কাতারের মধ্যে থাকে সেও তাহার মালের এক-তৃতীয়াংশের বেশি কিছু করিতে পারিবে না। তাহার হুকুমও গর্ভবতী এবং রোগীর হুকুমের মতো।

بَاب أَمْرِ الْحَامِلِ وَالْمَرِيضِ وَالَّذِي يَحْضُرُ الْقِتَالَ فِي أَمْوَالِهِمْ

قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي وَصِيَّةِ الْحَامِلِ وَفِي قَضَايَاهَا فِي مَالِهَا وَمَا يَجُوزُ لَهَا أَنَّ الْحَامِلَ كَالْمَرِيضِ فَإِذَا كَانَ الْمَرَضُ الْخَفِيفُ غَيْرُ الْمَخُوفِ عَلَى صَاحِبِهِ فَإِنَّ صَاحِبَهُ يَصْنَعُ فِي مَالِهِ مَا يَشَاءُ وَإِذَا كَانَ الْمَرَضُ الْمَخُوفُ عَلَيْهِ لَمْ يَجُزْ لِصَاحِبِهِ شَيْءٌ إِلَّا فِي ثُلُثِهِ قَالَ وَكَذَلِكَ الْمَرْأَةُ الْحَامِلُ أَوَّلُ حَمْلِهَا بِشْرٌ وَسُرُورٌ وَلَيْسَ بِمَرَضٍ وَلَا خَوْفٍ لِأَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ فِي كِتَابِهِ فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَقَ يَعْقُوبَ وَقَالَ حَمَلَتْ حَمْلًا خَفِيفًا فَمَرَّتْ بِهِ فَلَمَّا أَثْقَلَتْ دَعَوَا اللَّهَ رَبَّهُمَا لَئِنْ آتَيْتَنَا صَالِحًا لَنَكُونَنَّ مِنْ الشَّاكِرِينَ فَالْمَرْأَةُ الْحَامِلُ إِذَا أَثْقَلَتْ لَمْ يَجُزْ لَهَا قَضَاءٌ إِلَّا فِي ثُلُثِهَا فَأَوَّلُ الْإِتْمَامِ سِتَّةُ أَشْهُرٍ قَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فِي كِتَابِهِ وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ وَقَالَ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا فَإِذَا مَضَتْ لِلْحَامِلِ سِتَّةُ أَشْهُرٍ مِنْ يَوْمَ حَمَلَتْ لَمْ يَجُزْ لَهَا قَضَاءٌ فِي مَالِهَا إِلَّا فِي الثُّلُثِ قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَحْضُرُ الْقِتَالَ إِنَّهُ إِذَا زَحَفَ فِي الصَّفِّ لِلْقِتَالِ لَمْ يَجُزْ لَهُ أَنْ يَقْضِيَ فِي مَالِهِ شَيْئًا إِلَّا فِي الثُّلُثِ وَإِنَّهُ بِمَنْزِلَةِ الْحَامِلِ وَالْمَرِيضِ الْمَخُوفِ عَلَيْهِ مَا كَانَ بِتِلْكَ الْحَالِ

قال يحيى سمعت مالك يقول احسن ما سمعت في وصية الحامل وفي قضاياها في مالها وما يجوز لها ان الحامل كالمريض فاذا كان المرض الخفيف غير المخوف على صاحبه فان صاحبه يصنع في ماله ما يشاء واذا كان المرض المخوف عليه لم يجز لصاحبه شيء الا في ثلثه قال وكذلك المراة الحامل اول حملها بشر وسرور وليس بمرض ولا خوف لان الله تبارك وتعالى قال في كتابه فبشرناها باسحق ومن وراء اسحق يعقوب وقال حملت حملا خفيفا فمرت به فلما اثقلت دعوا الله ربهما لىن اتيتنا صالحا لنكونن من الشاكرين فالمراة الحامل اذا اثقلت لم يجز لها قضاء الا في ثلثها فاول الاتمام ستة اشهر قال الله تبارك وتعالى في كتابه والوالدات يرضعن اولادهن حولين كاملين وقال وحمله وفصاله ثلاثون شهرا فاذا مضت للحامل ستة اشهر من يوم حملت لم يجز لها قضاء في مالها الا في الثلث قال وسمعت مالك يقول في الرجل يحضر القتال انه اذا زحف في الصف للقتال لم يجز له ان يقضي في ماله شيىا الا في الثلث وانه بمنزلة الحامل والمريض المخوف عليه ما كان بتلك الحال


Yahya said that he heard Malik say, "The best of what I have heard about the testament of a pregnant woman and about what settlements she is permitted in her property is that the pregnant woman is like the sick person. When the illness is light, and one does not fear for the sick person, he does with his property what he likes. If the illness is such that his life is feared for, he can only dispose of a third of his estate."

He said, "It is the same with a woman who is pregnant. The beginning of pregnancy is good news and joy. It is not illness and no fear because Allah the Blessed, the Exalted, said in His Book, 'We gave her good news of Ishaq and after Ishaq, Yaqub.' (Sura ll ayat 71). And He said, 'She bore a light burden and passed by with it, but when she became heavy, they called upon Allah, their Lord, "If you give us a good-doing son, we will be among the thankful." '(Sura 7 ayat 189).

"When a pregnant woman becomes heavy, she is only permitted to dispose of a third of her estate. The beginning of this restriction is after six months. Allah, the Blessed, the Exalted, said in His Book, 'Mothers suckle their children for two complete years.' And He said, 'his bearing and weaning are thirty months.' (Sura 2 ayat 233).

"When six months have passed for the pregnant woman from the day she conceived, she is only permitted to dispose of a third of her property."

Yahya said that he heard Malik say, "A man who is advancing in the row for battle, can only dispose of a third of his property. He is in the same position as a pregnant woman or an ill person who is feared for, as long as he is in that situation."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الوصية) 37/ Wills and Testaments
১৪৯০

পরিচ্ছেদঃ ৫. ওয়ারিসদের জন্য ওসীয়্যত এবং জানাযার হুকুম

মালিক (রহঃ) বলেন ওসীয়তের এই আয়াতটি করাইযের আয়াত বার মনসুখ (রহিত) হইয়া গিয়াছে, আয়াতটি এইঃ

إِن تَرَكَ خَيْرًا الْوَصِيَّةُ لِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট এই নিয়ম (সুন্নত) প্রমাণিত। তাহাতে কোন মতভেদ নাই যে, ওয়ারিসদের অনুমতি ব্যতীত ওসীয়্যত জায়েয নাই। যদি কোন ওয়ারিস অনুমতি দেয় আর কেহ অনুমতি না দেয় তবে যাহারা অনুমতি দিয়াছে তাহাদের মীরাস হইতে তাহা আদায় করা হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কেহ অসুস্থ হয় এবং সে ওসীয়্যত করিতে চাহে এবং ওয়ারিসগণ হইতে অনুমতি চাহে তবে এই অসুস্থ অবস্থায় তাহার জন্য এক-তৃতীয়াংশের বেশি সম্পত্তিতে ওসীয়্যত জায়েয হইবে না। হ্যাঁ, যদি তাহারা এক-তৃতীয়াংশের চাইতে বেশি ওসীয়াতের অনুমতি দেয় তবে তাহাদের এই কথা হইতে ফিরিয়া যাওয়া জায়েয নাই। যদি তাহা জায়েয হইত তবে প্রত্যেক ওয়ারিসই নিজ অংশ ফিরাইয়া লইত, যদি ওসীয়াতকারী মরিয়া যাইত তবে ওসীয়াতকৃত সম্পদ লইয়া লইত। আর ওসীয়্যত এক-তৃতীয়াংশের মধ্যে বন্ধ করিয়া দিত, কিন্তু যদি কেহ সুস্থ থাকা অবস্থায় ওয়ারিসগণের নিকট কোন ওয়ারিসের জন্য ওসীয়্যতের অনুমতি চায় এবং তাহারা অনুমতি দিয়া দেয় তবে তাহা হইতে ফিরিয়া যাইতে পারে এবং তাহা কার্যকর নাও হইতে দিতে পারে। কেননা সে সুস্থ অবস্থায় তাহার পূর্ণ সম্পদের উপরই এদিক-সেদিক করিবার ক্ষমতা রাখে। তাহার ইখতিয়ার আছে, সে সমস্তই ওসীয়্যত করিয়া দিতে পারে অথবা সমস্তই কাহাকেও দিতে পারে তখন মালিকের অনুমতি চাওয়া ও ওয়ারিসদের অনুমতি দেওয়া অনর্থক। আর যদি রোগী ওয়ারিসদিগকে তাহার মৃত্যুর সময় বলে যে, তোমাদের মীরাস আমাকে হেবা (দান) করিয়া দাও, সে হেবাকারীদের প্রদত্ত সম্পদে কিন্তু রোগী কোন পরিবর্তন করে নাই এবং মরিয়া গিয়াছে তবে ঐ সকল অংশ ওয়ারিসগণ পাইবে। কিন্তু যদি রোগী বলে যে, ঐ ওয়ারিস বড়ই দুর্বল। আমি ভাল মনে করি যে, তুমি তোমার অংশ তাহাকে হেবা করিয়া দাও। যদি সে হেবা করিয়া দেয়, তবে তাহা জায়েয হইবে। যদি ওয়ারিস নিজ হিস্যা মৃত ব্যক্তিকে দান করিয়া দেয় এবং মৃত ব্যক্তি সেখান হইতে কাহাকেও কিছু দেয় আর কিছু বাকী থাকে, ঐ বাকী অংশ ঐ ওয়ারিসই পাইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি (ওয়ারিসের জন্য) ওসীয়্যতের পরে জানিতে পারিল যে, সে ওয়ারিসকে যাহা দিয়াছিল তাহা সে গ্রহণ করে নাই এবং অন্য ওয়ারিসগণও তাহার অনুমতি দেয় নাই তবে তাহা ওয়ারিসগণেরই হক, আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী বন্টন হইবে।

باب الْوَصِيَّةِ لِلْوَارِثِ وَالْحِيَازَةِ

قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي هَذِهِ الْآيَةِ إِنَّهَا مَنْسُوخَةٌ قَوْلُ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِنْ تَرَكَ خَيْرًا الْوَصِيَّةُ لِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ نَسَخَهَا مَا نَزَلَ مِنْ قِسْمَةِ الْفَرَائِضِ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ السُّنَّةُ الثَّابِتَةُ عِنْدَنَا الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا أَنَّهُ لَا تَجُوزُ وَصِيَّةٌ لِوَارِثٍ إِلَّا أَنْ يُجِيزَ لَهُ ذَلِكَ وَرَثَةُ الْمَيِّتِ وَأَنَّهُ إِنْ أَجَازَ لَهُ بَعْضُهُمْ وَأَبَى بَعْضٌ جَازَ لَهُ حَقُّ مَنْ أَجَازَ مِنْهُمْ وَمَنْ أَبَى أَخَذَ حَقَّهُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي الْمَرِيضِ الَّذِي يُوصِي فَيَسْتَأْذِنُ وَرَثَتَهُ فِي وَصِيَّتِهِ وَهُوَ مَرِيضٌ لَيْسَ لَهُ مِنْ مَالِهِ إِلَّا ثُلُثُهُ فَيَأْذَنُونَ لَهُ أَنْ يُوصِيَ لِبَعْضِ وَرَثَتِهِ بِأَكْثَرَ مِنْ ثُلُثِهِ إِنَّهُ لَيْسَ لَهُمْ أَنْ يَرْجِعُوا فِي ذَلِكَ وَلَوْ جَازَ ذَلِكَ لَهُمْ صَنَعَ كُلُّ وَارِثٍ ذَلِكَ فَإِذَا هَلَكَ الْمُوصِي أَخَذُوا ذَلِكَ لِأَنْفُسِهِمْ وَمَنَعُوهُ الْوَصِيَّةَ فِي ثُلُثِهِ وَمَا أُذِنَ لَهُ بِهِ فِي مَالِهِ قَالَ فَأَمَّا أَنْ يَسْتَأْذِنَ وَرَثَتَهُ فِي وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا لِوَارِثٍ فِي صِحَّتِهِ فَيَأْذَنُونَ لَهُ فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَلْزَمُهُمْ وَلِوَرَثَتِهِ أَنْ يَرُدُّوا ذَلِكَ إِنْ شَاءُوا وَذَلِكَ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا كَانَ صَحِيحًا كَانَ أَحَقَّ بِجَمِيعِ مَالِهِ يَصْنَعُ فِيهِ مَا شَاءَ إِنْ شَاءَ أَنْ يَخْرُجَ مِنْ جَمِيعِهِ خَرَجَ فَيَتَصَدَّقُ بِهِ أَوْ يُعْطِيهِ مَنْ شَاءَ وَإِنَّمَا يَكُونُ اسْتِئْذَانُهُ وَرَثَتَهُ جَائِزًا عَلَى الْوَرَثَةِ إِذَا أَذِنُوا لَهُ حِينَ يُحْجَبُ عَنْهُ مَالُهُ وَلَا يَجُوزُ لَهُ شَيْءٌ إِلَّا فِي ثُلُثِهِ وَحِينَ هُمْ أَحَقُّ بِثُلُثَيْ مَالِهِ مِنْهُ فَذَلِكَ حِينَ يَجُوزُ عَلَيْهِمْ أَمْرُهُمْ وَمَا أَذِنُوا لَهُ بِهِ فَإِنْ سَأَلَ بَعْضُ وَرَثَتِهِ أَنْ يَهَبَ لَهُ مِيرَاثَهُ حِينَ تَحْضُرُهُ الْوَفَاةُ فَيَفْعَلُ ثُمَّ لَا يَقْضِي فِيهِ الْهَالِكُ شَيْئًا فَإِنَّهُ رَدٌّ عَلَى مَنْ وَهَبَهُ إِلَّا أَنْ يَقُولَ لَهُ الْمَيِّتُ فُلَانٌ لِبَعْضِ وَرَثَتِهِ ضَعِيفٌ وَقَدْ أَحْبَبْتُ أَنْ تَهَبَ لَهُ مِيرَاثَكَ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ فَإِنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ إِذَا سَمَّاهُ الْمَيِّتُ لَهُ قَالَ وَإِنْ وَهَبَ لَهُ مِيرَاثَهُ ثُمَّ أَنْفَذَ الْهَالِكُ بَعْضَهُ وَبَقِيَ بَعْضٌ فَهُوَ رَدٌّ عَلَى الَّذِي وَهَبَ يَرْجِعُ إِلَيْهِ مَا بَقِيَ بَعْدَ وَفَاةِ الَّذِي أُعْطِيَهُ قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِيمَنْ أَوْصَى بِوَصِيَّةٍ فَذَكَرَ أَنَّهُ قَدْ كَانَ أَعْطَى بَعْضَ وَرَثَتِهِ شَيْئًا لَمْ يَقْبِضْهُ فَأَبَى الْوَرَثَةُ أَنْ يُجِيزُوا ذَلِكَ فَإِنَّ ذَلِكَ يَرْجِعُ إِلَى الْوَرَثَةِ مِيرَاثًا عَلَى كِتَابِ اللَّهِ لِأَنَّ الْمَيِّتَ لَمْ يُرِدْ أَنْ يَقَعَ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ فِي ثُلُثِهِ وَلَا يُحَاصُّ أَهْلُ الْوَصَايَا فِي ثُلُثِهِ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ

قال يحيى سمعت مالك يقول في هذه الاية انها منسوخة قول الله تبارك وتعالى ان ترك خيرا الوصية للوالدين والاقربين نسخها ما نزل من قسمة الفراىض في كتاب الله عز وجل قال وسمعت مالك يقول السنة الثابتة عندنا التي لا اختلاف فيها انه لا تجوز وصية لوارث الا ان يجيز له ذلك ورثة الميت وانه ان اجاز له بعضهم وابى بعض جاز له حق من اجاز منهم ومن ابى اخذ حقه من ذلك قال وسمعت مالك يقول في المريض الذي يوصي فيستاذن ورثته في وصيته وهو مريض ليس له من ماله الا ثلثه فياذنون له ان يوصي لبعض ورثته باكثر من ثلثه انه ليس لهم ان يرجعوا في ذلك ولو جاز ذلك لهم صنع كل وارث ذلك فاذا هلك الموصي اخذوا ذلك لانفسهم ومنعوه الوصية في ثلثه وما اذن له به في ماله قال فاما ان يستاذن ورثته في وصية يوصي بها لوارث في صحته فياذنون له فان ذلك لا يلزمهم ولورثته ان يردوا ذلك ان شاءوا وذلك ان الرجل اذا كان صحيحا كان احق بجميع ماله يصنع فيه ما شاء ان شاء ان يخرج من جميعه خرج فيتصدق به او يعطيه من شاء وانما يكون استىذانه ورثته جاىزا على الورثة اذا اذنوا له حين يحجب عنه ماله ولا يجوز له شيء الا في ثلثه وحين هم احق بثلثي ماله منه فذلك حين يجوز عليهم امرهم وما اذنوا له به فان سال بعض ورثته ان يهب له ميراثه حين تحضره الوفاة فيفعل ثم لا يقضي فيه الهالك شيىا فانه رد على من وهبه الا ان يقول له الميت فلان لبعض ورثته ضعيف وقد احببت ان تهب له ميراثك فاعطاه اياه فان ذلك جاىز اذا سماه الميت له قال وان وهب له ميراثه ثم انفذ الهالك بعضه وبقي بعض فهو رد على الذي وهب يرجع اليه ما بقي بعد وفاة الذي اعطيه قال وسمعت مالك يقول فيمن اوصى بوصية فذكر انه قد كان اعطى بعض ورثته شيىا لم يقبضه فابى الورثة ان يجيزوا ذلك فان ذلك يرجع الى الورثة ميراثا على كتاب الله لان الميت لم يرد ان يقع شيء من ذلك في ثلثه ولا يحاص اهل الوصايا في ثلثه بشيء من ذلك


Yahya said that he heard Malik say, "This ayat is abrogated. It is the word of Allah, the Blessed, the Exalted, 'If he leaves goods, the testament is for parents and kinsmen.' What came down about the division of the fixed shares of inheritance in the Book of Allah, the Mighty, the Exalted, abrogated it."

Yahya said that he heard Malik say, "The established sunna with us, in which there is no dispute, is that it is not permitted for a testator to make a bequest (in addition to the fixed share) in favour of an heir, unless the other heirs permit him. If some of them permit him and others refuse, he is allowed to diminish the share of those who have given their permission. Those who refuse take their full share from the inheritance.

Yahya said that he heard Malik speak about an invalid who made a bequest and asked his heirs to give him permission to make a bequest when he was so ill that he only had command of a third of his property, and they gave him permission to leave some of his heirs more than his third. Malik said, "They cannot revoke that. Had they been permitted to do so, every heir would have done that, and then, when the testator died, they would take that for themselves and prevent him from bequeathing his third and what was permitted to him with respect to his property."

Malik said, "If he asks permission of his heirs to grant a bequest to an heir while he is well and they give him permission, that is not binding on them. The heirs can rescind that if they wish. That is because when a man is well, he is entitled to all his property and can do what he wishes with it. If he wishes, he can spend all of it. He can spend it and give sadaqa with it or give it to whomever he likes. His asking permission of his heirs is permitted for the heirs, when they give him permission when authority over all his property is closed off from him and nothing outside of the third is permitted to him, and when they are more entitled to the two-thirds of his property than he is himself. That is when their permission becomes relevant. If he asks one of the heirs to give his inheritance to him when he is dying, and the heir agrees and then the dying man does not dispose of it at all, it is returned to the one who gave it unless the deceased said to him, 'So-and-so - (one of his heirs) - is weak, and I would like you to give him your inheritance.' So he gives it to him. That is permitted when the deceased specified it for him."

Malik said, "When a man gives the dying man free use of his share of the inheritance, and the dying man distributes some of it and some remains, it is returned to the giver, after the man has died."

Yahya said that he heard Malik speak about someone who made a bequest and mentioned that he had given one of his heirs something which he had not taken possession of, so the heirs refused to permit that. Malik said, "That gift returns to the heirs as inheritance according to the Book of Allah because the deceased did not mean that to be taken out of the third and the heirs do not have a portion in the third (which the dying man is allowed to bequeath)."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الوصية) 37/ Wills and Testaments
১৪৯১

পরিচ্ছেদঃ ৬. যে পুরুষ নপুংসক তাহার এবং বাচ্চার মালিক কে হইবে?

রেওয়ায়ত ৫. হিশাম ইবন উরওয়া (রহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন যে, এক নপুংসক ব্যক্তি উম্মুল মু’মিনীন উম্মু সালমার নিকট বসা ছিল। সে আবদুল্লাহ্ ইবন আবু উমাইয়াকে বলিতেছিল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাহার কথা শুনিতেছিলেন; যদি আল্লাহ্ তা’আলা তায়েফে তোমাদিগকে বিজয়ী করেন আগামীকাল, তবে তুমি গাইলানের মেয়েকে নিশ্চয় গ্রহণ করিবে। কারণ যখন সে সম্মুখ দিয়া আসে তখন তাহার পেটে চারিটি (ভাজ) থাকে আর যখন প্রস্থান করে তখন আটটি ভাজ লইয়া প্রস্থান করে। (শুনিয়া) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ এই সকল লোক যেন তোমাদের নিকট আর না আসে।

بَاب مَا جَاءَ فِي الْمُؤَنَّثِ مِنْ الرِّجَالِ وَمَنْ أَحَقُّ بِالْوَلَدِ

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ مُخَنَّثًا كَانَ عِنْدَ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْمَعُ يَا عَبْدَ اللَّهِ إِنْ فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ الطَّائِفَ غَدًا فَأَنَا أَدُلُّكَ عَلَى ابْنَةِ غَيْلَانَ فَإِنَّهَا تُقْبِلُ بِأَرْبَعٍ وَتُدْبِرُ بِثَمَانٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَدْخُلَنَّ هَؤُلَاءِ عَلَيْكُمْ

حدثني مالك عن هشام بن عروة عن ابيه ان مخنثا كان عند ام سلمة زوج النبي صلى الله عليه وسلم فقال لعبد الله بن ابي امية ورسول الله صلى الله عليه وسلم يسمع يا عبد الله ان فتح الله عليكم الطاىف غدا فانا ادلك على ابنة غيلان فانها تقبل باربع وتدبر بثمان فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يدخلن هولاء عليكم


Malik said from Hisham ibn Urwa from his father that an effeminate man was with Umm Salama, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace. He said to Abdullah ibn Abi Umayya while the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, was listening. "Abdullah! If Allah grants you victory over Ta'if tomorrow, I will lead you to the daughter of Ghailan. She has four folds on her front and eight folds on her back." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "This sort of man should not enter freely with you." (It was customary to allow men with no sexual inclination to enter freely where there were women).


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الوصية) 37/ Wills and Testaments
১৪৯২

পরিচ্ছেদঃ ৬. যে পুরুষ নপুংসক তাহার এবং বাচ্চার মালিক কে হইবে?

রেওয়ায়ত ৬. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, একজন আনসারী মেয়েলোক উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর স্ত্রী ছিলেন। তাহার গর্ভে একটি ছেলে সন্তান জন্মিল। তাহার নাম আসিম রাখা হইয়াছিল। ইত্যবসরে উমর (রাঃ) ঐ স্ত্রীকে তালাক দিলেন। একদা উমর (রাঃ) মসজিদে কুবার বারান্দায় এ সন্তানকে অন্যান্য ছেলের সহিত খেলাধুলা করিতে দেখিতে পাইলেন এবং তাহাকে স্বীয় সাওয়ারীতে বসাইয়া লইলেন। আসিমের মাতামহী (নানী) তাহা দেখিয়া উমরকে বাঁধা দিলেন এবং তাহার সঙ্গে ঝগড়া করিতে লাগিলেন। অতঃপর উভয়ে আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর নিকট আসিয়া সন্তানের দাবি জানাইলেন। আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) বলিলেনঃ সন্তানটিকে উভয়ের মধ্যে ছাড়িয়া দাও (সে যাহাকে গ্রহণ করে তাহারই হইবে)। উমর (রাঃ) ইহাতে চুপ হইয়া গেলেন।

بَاب مَا جَاءَ فِي الْمُؤَنَّثِ مِنْ الرِّجَالِ وَمَنْ أَحَقُّ بِالْوَلَدِ

وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ يَقُولُ كَانَتْ عِنْدَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ امْرَأَةٌ مِنْ الْأَنْصَارِ فَوَلَدَتْ لَهُ عَاصِمَ بْنَ عُمَرَ ثُمَّ إِنَّهُ فَارَقَهَا فَجَاءَ عُمَرُ قُبَاءً فَوَجَدَ ابْنَهُ عَاصِمًا يَلْعَبُ بِفِنَاءِ الْمَسْجِدِ فَأَخَذَ بِعَضُدِهِ فَوَضَعَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ عَلَى الدَّابَّةِ فَأَدْرَكَتْهُ جَدَّةُ الْغُلَامِ فَنَازَعَتْهُ إِيَّاهُ حَتَّى أَتَيَا أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ فَقَالَ عُمَرُ ابْنِي وَقَالَتْ الْمَرْأَةُ ابْنِي فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ خَلِّ بَيْنَهَا وَبَيْنَهُ قَالَ فَمَا رَاجَعَهُ عُمَرُ الْكَلَامَ قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ وَهَذَا الْأَمْرُ الَّذِي آخُذُ بِهِ فِي ذَلِكَ

وحدثني مالك عن يحيى بن سعيد انه قال سمعت القاسم بن محمد يقول كانت عند عمر بن الخطاب امراة من الانصار فولدت له عاصم بن عمر ثم انه فارقها فجاء عمر قباء فوجد ابنه عاصما يلعب بفناء المسجد فاخذ بعضده فوضعه بين يديه على الدابة فادركته جدة الغلام فنازعته اياه حتى اتيا ابا بكر الصديق فقال عمر ابني وقالت المراة ابني فقال ابو بكر خل بينها وبينه قال فما راجعه عمر الكلام قال وسمعت مالك يقول وهذا الامر الذي اخذ به في ذلك


Malik related to me that Yahya ibn Said said that he heard al- Qasim ibn Muhammad say, "A woman of the Ansar was married to Umar ibn al-Khattab. She bore Asim ibn Umar to him, and then he separated from her. Umar came to Quba and found his son Asim playing in the courtyard of the mosque. He took him by the arm and placed him before him on his mount. The grandmother of the child saw him and argued with Umar about the child so they went to Abu Bakr as-Siddiq. Umar said, 'My son.' The woman said, 'My son.' Abu Bakr said, 'Do not interfere between a child and its mother.' Umar did not repeat his words."

Yahya said that he heard Malik say, "This is what I would have done in that situation."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الوصية) 37/ Wills and Testaments
১৪৯৩

পরিচ্ছেদঃ ৭. মাল বিক্রয়ের পর উহাতে ক্রটি পরিলক্ষিত হইলে ভর্তুকী কে দিবে?

মালিক (রহঃ) বলেনঃ কেহ যদি কোন জীব কিংবা কাপড় কিংবা অন্য কোন বস্তু খরিদ করিল, অতঃপর উহাতে ক্রটি লক্ষ্য করা গেল যাহাতে বিক্রয় নাজায়েয সাব্যস্ত হইল, তখন ক্রেতাকে বলা হইবে, দোষী মাল বিক্রেতাকে ফিরাইয়া দাও। মালিক (রহঃ) বলেন, বিক্রেতার দোষী মালের ঐ দিনের মূল্য পাওয়ার অধিকার ছিল, যেই দিন তাহা বিক্রয় করা হইয়াছিল, ফেরত দেওয়ার দিনের মূল্য নয়। যেই দিন ক্রেতা তাহা ক্রয় করিয়াছিল, সেই দিন হইতে তাহা ক্রেতার অধীনে ছিল এবং বর্তমানে মাল দোষী সাব্যস্ত হইলে তাহা ক্রেতার উপরই বর্তিবে। মালের মূল্য বৃদ্ধি হইলেও ক্রেতাই মালিক হইবে, কোন সময় এইরূপও হয় যে, মাল ক্রয় করার সময় বাজারে মালের খুবই চাহিদা থাকে অথচ মাল দোষী বলিয়া ফেরত দেওয়ার সময় উহার চাহিদা কমিয়া যায়। বাজারে উহার চাহিদা থাকাকালে এক ব্যক্তি দশ দীনার দ্বারা কোন বস্তু ক্রয় করিল এবং কিছু দিন তাহা আটকাইয়া রাখার পর যখন বাজারে চাহিদা কমিয়া গেল এবং উহার মূল্য মাত্র এক দীনারে উপনীত হইল তখন তাহা ফেরত দেওয়ায় বিক্রেতার নয় দীনার ক্ষতি হইল। তাহা হওয়া উচিত নয় বরং যেই দিন মাল বিক্রয় করিয়াছিল সেই দিনের মূল্য বিক্রেতা পাইবে। অর্থাৎ দশ দীনার।

باب الْعَيْبِ فِي السِّلْعَةِ وَضَمَانِهَا

قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَبْتَاعُ السِّلْعَةَ مِنْ الْحَيَوَانِ أَوْ الثِّيَابِ أَوْ الْعُرُوضِ فَيُوجَدُ ذَلِكَ الْبَيْعُ غَيْرَ جَائِزٍ فَيُرَدُّ وَيُؤْمَرُ الَّذِي قَبَضَ السِّلْعَةَ أَنْ يَرُدَّ إِلَى صَاحِبِهِ سِلْعَتَهُ قَالَ مَالِك فَلَيْسَ لِصَاحِبِ السِّلْعَةِ إِلَّا قِيمَتُهَا يَوْمَ قُبِضَتْ مِنْهُ وَلَيْسَ يَوْمَ يَرُدُّ ذَلِكَ إِلَيْهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ ضَمِنَهَا مِنْ يَوْمَ قَبَضَهَا فَمَا كَانَ فِيهَا مِنْ نُقْصَانٍ بَعْدَ ذَلِكَ كَانَ عَلَيْهِ فَبِذَلِكَ كَانَ نِمَاؤُهَا وَزِيَادَتُهَا لَهُ وَإِنَّ الرَّجُلَ يَقْبِضُ السِّلْعَةَ فِي زَمَانٍ هِيَ فِيهِ نَافِقَةٌ مَرْغُوبٌ فِيهَا ثُمَّ يَرُدُّهَا فِي زَمَانٍ هِيَ فِيهِ سَاقِطَةٌ لَا يُرِيدُهَا أَحَدٌ فَيَقْبِضُ الرَّجُلُ السِّلْعَةَ مِنْ الرَّجُلِ فَيَبِيعُهَا بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ وَيُمْسِكُهَا وَثَمَنُهَا ذَلِكَ ثُمَّ يَرُدُّهَا وَإِنَّمَا ثَمَنُهَا دِينَارٌ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَذْهَبَ مِنْ مَالِ الرَّجُلِ بِتِسْعَةِ دَنَانِيرَ أَوْ يَقْبِضُهَا مِنْهُ الرَّجُلُ فَيَبِيعُهَا بِدِينَارٍ أَوْ يُمْسِكُهَا وَإِنَّمَا ثَمَنُهَا دِينَارٌ ثُمَّ يَرُدُّهَا وَقِيمَتُهَا يَوْمَ يَرُدُّهَا عَشَرَةُ دَنَانِيرَ فَلَيْسَ عَلَى الَّذِي قَبَضَهَا أَنْ يَغْرَمَ لِصَاحِبِهَا مِنْ مَالِهِ تِسْعَةَ دَنَانِيرَ إِنَّمَا عَلَيْهِ قِيمَةُ مَا قَبَضَ يَوْمَ قَبْضِهِ قَالَ وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَنَّ السَّارِقَ إِذَا سَرَقَ السِّلْعَةَ فَإِنَّمَا يُنْظَرُ إِلَى ثَمَنِهَا يَوْمَ يَسْرِقُهَا فَإِنْ كَانَ يَجِبُ فِيهِ الْقَطْعُ كَانَ ذَلِكَ عَلَيْهِ وَإِنْ اسْتَأْخَرَ قَطْعُهُ إِمَّا فِي سِجْنٍ يُحْبَسُ فِيهِ حَتَّى يُنْظَرَ فِي شَأْنِهِ وَإِمَّا أَنْ يَهْرُبَ السَّارِقُ ثُمَّ يُؤْخَذَ بَعْدَ ذَلِكَ فَلَيْسَ اسْتِئْخَارُ قَطْعِهِ بِالَّذِي يَضَعُ عَنْهُ حَدًّا قَدْ وَجَبَ عَلَيْهِ يَوْمَ سَرَقَ وَإِنْ رَخُصَتْ تِلْكَ السِّلْعَةُ بَعْدَ ذَلِكَ وَلَا بِالَّذِي يُوجِبُ عَلَيْهِ قَطْعًا لَمْ يَكُنْ وَجَبَ عَلَيْهِ يَوْمَ أَخَذَهَا إِنْ غَلَتْ تِلْكَ السِّلْعَةُ بَعْدَ ذَلِكَ

قال يحيى سمعت مالك يقول في الرجل يبتاع السلعة من الحيوان او الثياب او العروض فيوجد ذلك البيع غير جاىز فيرد ويومر الذي قبض السلعة ان يرد الى صاحبه سلعته قال مالك فليس لصاحب السلعة الا قيمتها يوم قبضت منه وليس يوم يرد ذلك اليه وذلك انه ضمنها من يوم قبضها فما كان فيها من نقصان بعد ذلك كان عليه فبذلك كان نماوها وزيادتها له وان الرجل يقبض السلعة في زمان هي فيه نافقة مرغوب فيها ثم يردها في زمان هي فيه ساقطة لا يريدها احد فيقبض الرجل السلعة من الرجل فيبيعها بعشرة دنانير ويمسكها وثمنها ذلك ثم يردها وانما ثمنها دينار فليس له ان يذهب من مال الرجل بتسعة دنانير او يقبضها منه الرجل فيبيعها بدينار او يمسكها وانما ثمنها دينار ثم يردها وقيمتها يوم يردها عشرة دنانير فليس على الذي قبضها ان يغرم لصاحبها من ماله تسعة دنانير انما عليه قيمة ما قبض يوم قبضه قال ومما يبين ذلك ان السارق اذا سرق السلعة فانما ينظر الى ثمنها يوم يسرقها فان كان يجب فيه القطع كان ذلك عليه وان استاخر قطعه اما في سجن يحبس فيه حتى ينظر في شانه واما ان يهرب السارق ثم يوخذ بعد ذلك فليس استىخار قطعه بالذي يضع عنه حدا قد وجب عليه يوم سرق وان رخصت تلك السلعة بعد ذلك ولا بالذي يوجب عليه قطعا لم يكن وجب عليه يوم اخذها ان غلت تلك السلعة بعد ذلك


Yahya said that he heard Malik speak about a man who bought goods - animals or clothes or wares, and the sale was found not to be permitted so it was revoked and the one who had taken the goods was ordered to return the owner his goods. Malik said, "The owner of the goods only has their value on the day they were taken from him, and not on the day they are returned to him. That is because the man is liable for them from the day he took them and whatever loss is in them after that is against him. For that reason, their increase and growth are also his. A man may take the goods at a time when they are selling well and are in demand, and then have to return them at a time when they have fallen in price and no one wants them. For instance, the man may take the goods from the other man, and sell them for ten dinars or keep them while their price is that. Then he may have to return them while their price is only a dinar. He should not go off with nine dinars from the man's property. Or perhaps they are taken by the man, and he sells them for a dinar or keeps them, while their price is only a dinar, then he has to return them, and their value on the day he returns them is ten dinars. The one who took them does not have to pay nine dinars from his property to the owner. He is only obliged to pay the value of what he took possession of on the day it was taken ."

He said, "Part of what clarifies this is that when a thief steals goods, only their price on the day he stole them is looked at. If cutting off the hand is necessary because of it, that is done. If the cutting off is delayed, either because the thief is imprisoned until his situation is examined or he flees and then is caught, the delay of the cutting off of the hand does not make the hadd, which was obliged for him on the day he stole, fall from him even if those goods become cheap after that. Nor does delay oblige cutting off the hand if it was not obliged on the day he took those goods, even if they become expensive after that."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الوصية) 37/ Wills and Testaments
১৪৯৪

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রশাসন ও বিচার সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম এবং বিচারকের দায়িত্ব গ্রহণকে অপছন্দ করা

রেওয়ায়ত ৭. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ হইতে বর্ণিত, আবু দারদা (রাঃ) সালমান ফার্সী (রাঃ)-এর নিকট লিখিয়াছেন যে, পবিত্র ভূমিতে চলিয়া আস। উত্তরে সালমান লিখিলেন, ভূমি কাহাকেও পবিত্র করিতে সক্ষম নয়, বরং মানুষকে তাহার আমলই পবিত্র করে। শুনিতে পাইলাম, তোমাকে ডাক্তার (বিচারপতি) নিযুক্ত করা হইয়াছে এবং মানুষকে ঔষধপত্র দিয়া চিকিৎসা করিয়া থাক, যদি তুমি চিকিৎসাশাস্ত্র শিখিয়া তাহা করিয়া থাক এবং ইহাতে রোগ নিরাময় হয় তবে তাহা উত্তম। আর যদি চিকিৎসাশাস্ত্রের জ্ঞান লাভ না করিয়া তুমি চিকিৎসক সাজিয়া থাক তবে সাবধান ও সতর্ক হও— এমন না হয় যে, তোমার ভুল সিদ্ধান্তের দ্বারা মানুষকে মারিয়া ফেলিবে, ফলে তুমি দোযখে প্রবেশ করিবে। অতঃপর তিনি যখন কোন দুই ব্যক্তির মধ্যে ফয়সালা করিতেন এবং উভয়ে চলিয়া যাইতে শুরু করিলে তখন উভয়কে বলিতেন, তোমরা পুনরায় তোমাদের ঘটনা বর্ণনা কর, আমি আবার বিবেচনা করি। কারণ আমি তো তোমাদের মূল উদ্দেশ্য জানি না, কেবল শুনিয়া চিকিৎসা করি।[1]

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কেহ অন্যের গোলামকে মালিকের অনুমতি ব্যতীত কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিযুক্ত করে এবং সেই কাজ পারিশ্রমিকযোগ্য, তদ্বারা হয় তবে গোলামের কোন ক্ষতি হইলে, কর্মে নিয়োগকারীকে ইহার ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে। আর ক্রীতদাস অক্ষত অবস্থায় কর্ম সম্পাদন করিলে এবং তাহার কর্তা পারিশ্রমিক দাবি করিলে তবে পারিশ্রমিক কর্তার প্রাপ্য হইবে, ইহাই আমাদের ফয়সালা।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ গোলামের কিছু অংশ যদি স্বাধীন এবং কিছু অংশ পরাধীন থাকে তবে গোলামের মাল তাহার হাতেই থাকিবে, তাহা সে কোন নুতন কাজে ব্যয় করিতে পারিবে না। কেবল নিজের ভরণপোষণে নিয়ম মুতাবিক ব্যয় করবে। তাহার মৃত্যুর পর যাহা অবশিষ্ট থাকে তাহা যে মালিক তাহার অংশ আযাদ করে নাই সে পাইবে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের ফায়সালা হইল, যে দিন সন্তান ধনবান হইয়া যায়, পিতা ইচ্ছা করেন যে, যাহা তাহার প্রতি খরচ করা হইয়াছে তাহা ফেরত লইবে, তবে যেদিন হইতে তাহার জন্য খরচ করা হইয়াছে সেইদিন হইতে হিসাব করিয়া খরচ আদায় করিয়া লইবে, মাল নগদ অর্থই হউক বা অন্য কোন বস্তু হউক।

بَاب جَامِعِ الْقَضَاءِ وَكَرَاهِيَتِهِ

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ أَبَا الدَّرْدَاءِ كَتَبَ إِلَى سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ أَنْ هَلُمَّ إِلَى الْأَرْضِ الْمُقَدَّسَةِ فَكَتَبَ إِلَيْهِ سَلْمَانُ إِنَّ الْأَرْضَ لَا تُقَدِّسُ أَحَدًا وَإِنَّمَا يُقَدِّسُ الْإِنْسَانَ عَمَلُهُ وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّكَ جُعِلْتَ طَبِيبًا تُدَاوِي فَإِنْ كُنْتَ تُبْرِئُ فَنَعِمَّا لَكَ وَإِنْ كُنْتَ مُتَطَبِّبًا فَاحْذَرْ أَنْ تَقْتُلَ إِنْسَانًا فَتَدْخُلَ النَّارَ فَكَانَ أَبُو الدَّرْدَاءِ إِذَا قَضَى بَيْنَ اثْنَيْنِ ثُمَّ أَدْبَرَا عَنْهُ نَظَرَ إِلَيْهِمَا وَقَالَ ارْجِعَا إِلَيَّ أَعِيدَا عَلَيَّ قِصَّتَكُمَا مُتَطَبِّبٌ وَاللَّهِ
قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ مَنْ اسْتَعَانَ عَبْدًا بِغَيْرِ إِذْنِ سَيِّدِهِ فِي شَيْءٍ لَهُ بَالٌ وَلِمِثْلِهِ إِجَارَةٌ فَهُوَ ضَامِنٌ لِمَا أَصَابَ الْعَبْدَ إِنْ أُصِيبَ الْعَبْدُ بِشَيْءٍ وَإِنْ سَلِمَ الْعَبْدُ فَطَلَبَ سَيِّدُهُ إِجَارَتَهُ لِمَا عَمِلَ فَذَلِكَ لِسَيِّدِهِ وَهُوَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي الْعَبْدِ يَكُونُ بَعْضُهُ حُرًّا وَبَعْضُهُ مُسْتَرَقًّا إِنَّهُ يُوقَفُ مَالُهُ بِيَدِهِ وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُحْدِثَ فِيهِ شَيْئًا وَلَكِنَّهُ يَأْكُلُ فِيهِ وَيَكْتَسِي بِالْمَعْرُوفِ فَإِذَا هَلَكَ فَمَالُهُ لِلَّذِي بَقِيَ لَهُ فِيهِ الرِّقُّ قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ الْوَالِدَ يُحَاسِبُ وَلَدَهُ بِمَا أَنْفَقَ عَلَيْهِ مِنْ يَوْمِ يَكُونُ لِلْوَلَدِ مَالٌ نَاضًّا كَانَ أَوْ عَرْضًا إِنْ أَرَادَ الْوَالِدُ ذَلِكَ

حدثني مالك عن يحيى بن سعيد ان ابا الدرداء كتب الى سلمان الفارسي ان هلم الى الارض المقدسة فكتب اليه سلمان ان الارض لا تقدس احدا وانما يقدس الانسان عمله وقد بلغني انك جعلت طبيبا تداوي فان كنت تبرى فنعما لك وان كنت متطببا فاحذر ان تقتل انسانا فتدخل النار فكان ابو الدرداء اذا قضى بين اثنين ثم ادبرا عنه نظر اليهما وقال ارجعا الي اعيدا علي قصتكما متطبب والله قال وسمعت مالك يقول من استعان عبدا بغير اذن سيده في شيء له بال ولمثله اجارة فهو ضامن لما اصاب العبد ان اصيب العبد بشيء وان سلم العبد فطلب سيده اجارته لما عمل فذلك لسيده وهو الامر عندنا قال وسمعت مالك يقول في العبد يكون بعضه حرا وبعضه مسترقا انه يوقف ماله بيده وليس له ان يحدث فيه شيىا ولكنه ياكل فيه ويكتسي بالمعروف فاذا هلك فماله للذي بقي له فيه الرق قال وسمعت مالك يقول الامر عندنا ان الوالد يحاسب ولده بما انفق عليه من يوم يكون للولد مال ناضا كان او عرضا ان اراد الوالد ذلك


Malik related to me from Yahya ibn Said that Abu'd-Darda wrote to Salman al-Farsi, "Come immediately to the holy land." Salman wrote back to him, "Land does not make anyone holy. Man's deeds make him holy. I have heard that you were put up as a doctor to treat and cure people. If you are innocent, then may you have delight! If you are a quack, then beware lest you kill a man and enter the Fire!" When Abu'd-Darda judged between two men, and they turned from him to go, he would look at them and say, "Come back to me, and tell me your story again. A quack! By Allah!"

Yahya said that he heard Malik say, "If someone makes use of a slave, without permission of its master, in anything important to him, whose like has a fee, he is liable for what befalls the slave if anything befalls him. If the slave is safe and his master asks for his wage for what he has done, that is the master's right. This is what is done in our community."

Yahya said that he heard Malik say about a slave who is part free and part enslaved, "His property is suspended in his hand and he cannot begin anything with it. He eats from it and clothes himself in an approved fashion. If he dies, his property belongs to the one to whom he is in slavery."

Yahya said that he heard Malik say, "The way of doing things in our community is that a parent can take his child to account for what he spends on him from the day the child has property, cash or goods, if the parent wants that."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الوصية) 37/ Wills and Testaments
১৪৯৫

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রশাসন ও বিচার সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম এবং বিচারকের দায়িত্ব গ্রহণকে অপছন্দ করা

রেওয়ায়ত ৮. আমর ইবন আবদির রহমান ইবন দালাক মুযামী (রহঃ) হইতে বর্ণিত, জুহাইনা গোত্রের এক ব্যক্তি (উসাইফ) সকল হাজীর পূর্বে যাইয়া ভাল ভাল উট উচ্চমূল্যে খরিদ করিয়া লইত এবং তাড়াতাড়ি মক্কা যাইয়া পৌছিত। এক সময় সে গরীব হইয়া পড়িল। পাওনাদারগণ স্বীয় টাকা আদায়ের জন্য উমর (রাঃ) ইবন খাত্তাবের নিকট বিচার প্রার্থী হইল। উমর (রাঃ) হামদ ও সালাত পাঠ করার পর সকলকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন উসাইফা “জুহাইনা গোত্রের উসাইফা” টাকা কৰ্জ করিয়াছিল এবং আমানত হস্তক্ষেপ করিয়াছিল। এজন্য যে লোক তাহাকে বলিবে, উসাইফা সকলের পূর্বে মক্কা পৌছিয়াছে। তোমরা জানিয়া রাখ, সে কর্জ করিয়া তাহা আদায় করার মনোবৃত্তি রাখে নাই। বর্তমানে সে দরিদ্র হইয়া পড়িয়াছে, অথচ কর্জ তাহার সমুদয় মাল গ্রাস করিয়া ফেলিয়াছে। পাওনাদারগণ আগামীকল্য সকালে আমার নিকট উপস্থিত হইবে। আমি তাহার মাল সকল পাওনাদারকে বন্টন করিয়া দিব। তোমরা কর্জ লইতে হুঁশিয়ার থাকিও। কেননা, কর্জের প্রারম্ভ হইতেছে দুশ্চিন্তা, পরিশেষ হইতেছে কলহ-বিবাদ।

بَاب جَامِعِ الْقَضَاءِ وَكَرَاهِيَتِهِ

وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ دَلَافٍ الْمُزَنِيِّ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَجُلًا مِنْ جُهَيْنَةَ كَانَ يَسْبِقُ الْحَاجَّ فَيَشْتَرِي الرَّوَاحِلَ فَيُغْلِي بِهَا ثُمَّ يُسْرِعُ السَّيْرَ فَيَسْبِقُ الْحَاجَّ فَأَفْلَسَ فَرُفِعَ أَمْرُهُ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ أَمَّا بَعْدُ أَيُّهَا النَّاسُ فَإِنَّ الْأُسَيْفِعَ أُسَيْفِعَ جُهَيْنَةَ رَضِيَ مِنْ دِينِهِ وَأَمَانَتِهِ بِأَنْ يُقَالَ سَبَقَ الْحَاجَّ أَلَا وَإِنَّهُ قَدْ دَانَ مُعْرِضًا فَأَصْبَحَ قَدْ رِينَ بِهِ فَمَنْ كَانَ لَهُ عَلَيْهِ دَيْنٌ فَلْيَأْتِنَا بِالْغَدَاةِ نَقْسِمُ مَالَهُ بَيْنَهُمْ وَإِيَّاكُمْ وَالدَّيْنَ فَإِنَّ أَوَّلَهُ هَمٌّ وَآخِرَهُ حَرْبٌ

وحدثني مالك عن عمر بن عبد الرحمن بن دلاف المزني عن ابيه ان رجلا من جهينة كان يسبق الحاج فيشتري الرواحل فيغلي بها ثم يسرع السير فيسبق الحاج فافلس فرفع امره الى عمر بن الخطاب فقال اما بعد ايها الناس فان الاسيفع اسيفع جهينة رضي من دينه وامانته بان يقال سبق الحاج الا وانه قد دان معرضا فاصبح قد رين به فمن كان له عليه دين فلياتنا بالغداة نقسم ماله بينهم واياكم والدين فان اوله هم واخره حرب


Malik related to me from Umar ibn Abd ar-Rahman ibn Dalaf al- Muzani from his father that a man from the Juhayna tribe used to buy camels before people set out for hajj and sell them at a higher price. Then he travelled quickly and used to arrive in Makka before the others who set out for hajj. He went bankrupt and his situation was put before Umar ibn al-Khattab, who said, "O People! al-Usayfi, al- Usayfi of the Juhayna, was satisfied with his deen and his trust because it was said of him that he arrived before the others on hajj. He used to incur debts which he was not careful to repay, so all of his property has been eaten up by it. Whoever has a debt against him, let him come to us tomorrow and we will divide his property between his creditors. Beware of debts! Their beginning is a worry and their end is destitution. "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الوصية) 37/ Wills and Testaments
১৪৯৬

পরিচ্ছেদঃ ৯. গোলাম যদি কাহারও ক্ষতি করে কিংবা কাহাকেও আঘাত করে, ইহার হুকুম

মালিক (রহঃ) বলেনঃ গোলাম অপরাধ করিলে আমাদের নিকট স্বীকৃত নিয়ম এই : গোলাম যদি কাহাকেও আঘাত করে কিংবা কাহারও কোন বস্তু গোপনে নেয়, অথবা স্বীয় ঠিকানায় ফিরার পূর্বে চারণ ক্ষেত্র বা পর্বত হইতে মেষ বা বকরী চুরি করে কিংবা কাহারও বৃক্ষের ফল কাটিয়া আনে বা নষ্ট করে কিংবা অন্য বস্তু চুরি করিয়া নেয়, ইহাতে হাত কর্তন করার হুকুম জারি হইবে না। তবে গোলাম ইহার জন্য দায়ী হইবে। এমতাবস্থায় গোলামের মালিক ইচ্ছা করিলে বর্ণিত বস্তুগুলির মূল্য আদায় করিয়া কিংবা আঘাতের ক্ষতিপূরণ আদায় করিয়া গোলামকে মুক্ত করিয়া নিজে গোলাম রাখিয়া দিবে কিংবা উক্ত পণ্যের বিনিময়ে গোলাম তাহাদিগকে দিয়া দিবে। কিন্তু গোলামের মূল্য যদি বিনিময় মূল্যের চাইতে কম হয় তবে বর্ধিত মূল্য দিতে হইবে না।

باب مَا جَاءَ فِيمَا أَفْسَدَ الْعَبِيدُ أَوْ جَرَحُوا

قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ السُّنَّةُ عِنْدَنَا فِي جِنَايَةِ الْعَبِيدِ أَنَّ كُلَّ مَا أَصَابَ الْعَبْدُ مِنْ جُرْحٍ جَرَحَ بِهِ إِنْسَانًا أَوْ شَيْءٍ اخْتَلَسَهُ أَوْ حَرِيسَةٍ احْتَرَسَهَا أَوْ ثَمَرٍ مُعَلَّقٍ جَذَّهُ أَوْ أَفْسَدَهُ أَوْ سَرِقَةٍ سَرَقَهَا لَا قَطْعَ عَلَيْهِ فِيهَا إِنَّ ذَلِكَ فِي رَقَبَةِ الْعَبْدِ لَا يَعْدُو ذَلِكَ الرَّقَبَةَ قَلَّ ذَلِكَ أَوْ كَثُرَ فَإِنْ شَاءَ سَيِّدُهُ أَنْ يُعْطِيَ قِيمَةَ مَا أَخَذَ غُلَامُهُ أَوْ أَفْسَدَ أَوْ عَقْلَ مَا جَرَحَ أَعْطَاهُ وَأَمْسَكَ غُلَامَهُ وَإِنْ شَاءَ أَنْ يُسْلِمَهُ أَسْلَمَهُ وَلَيْسَ عَلَيْهِ شَيْءٌ غَيْرُ ذَلِكَ فَسَيِّدُهُ فِي ذَلِكَ بِالْخِيَارِ

قال يحيى سمعت مالك يقول السنة عندنا في جناية العبيد ان كل ما اصاب العبد من جرح جرح به انسانا او شيء اختلسه او حريسة احترسها او ثمر معلق جذه او افسده او سرقة سرقها لا قطع عليه فيها ان ذلك في رقبة العبد لا يعدو ذلك الرقبة قل ذلك او كثر فان شاء سيده ان يعطي قيمة ما اخذ غلامه او افسد او عقل ما جرح اعطاه وامسك غلامه وان شاء ان يسلمه اسلمه وليس عليه شيء غير ذلك فسيده في ذلك بالخيار


Yahya said that he heard Malik say, "The sunna with us about the crime of slaves is that the hand is not cut off for any harm that a slave causes a man, or something he pilfers, or something guarded which he steals, or hanging dates he cuts down or ruins, or steals. That is against the slave's person and does not exceed the price of the slave whether it is little or much. If his master wishes to give the value of what the slave took or ruined, or pay the blood-price for the injury, he pays it and keeps his slave. If he wishes to surrender him, he surrenders him, and none of that is against him. The master has the option in that."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الوصية) 37/ Wills and Testaments
১৪৯৭

পরিচ্ছেদঃ ১০. যাহা সন্তানকে হেবা (দান) করা জায়েয হইবে

রেওয়ায়ত ৯. সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উসমান (রাঃ) ইবন আফফান বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি নিজের অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানকে কোন বস্তু দান করে, যে সন্তান এখনও উহা গ্রহণ করার উপযুক্ত হয় নাই এবং এই দানের কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করিয়া দেয় এবং উহাতে সাক্ষী নিযুক্ত করে তবে ইহা জায়েয হইবে যদিও তাহার অভিভাবক পিতা থাকেন।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিয়ম মতে যদি কোন ব্যক্তি অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানকে স্বর্ণ কিংবা রৌপ্য দান করে, অতঃপর তাহার সন্তান মারা যায় এবং পিতাই অভিভাবক থাকে তবে ঐ মাল সন্তানের হইবে না বরং পিতারই থাকিবে। হ্যাঁ, যদি পিতা সেই মাল পৃথক করিয়া দিয়া থাকে কিংবা কাহারও নিকট আমানত রাখিয়া থাকে তবে তাহা সন্তানের বলিয়া সাব্যস্ত হইবে।

بَاب مَا يَجُوزُ مِنْ النُّحْلِ

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ قَالَ مَنْ نَحَلَ وَلَدًا لَهُ صَغِيرًا لَمْ يَبْلُغْ أَنْ يَحُوزَ نُحْلَهُ فَأَعْلَنَ ذَلِكَ لَهُ وَأَشْهَدَ عَلَيْهَا فَهِيَ جَائِزَةٌ وَإِنْ وَلِيَهَا أَبُوهُ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ مَنْ نَحَلَ ابْنًا لَهُ صَغِيرًا ذَهَبًا أَوْ وَرِقًا ثُمَّ هَلَكَ وَهُوَ يَلِيهِ إِنَّهُ لَا شَيْءَ لِلْابْنِ مِنْ ذَلِكَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الْأَبُ عَزَلَهَا بِعَيْنِهَا أَوْ دَفَعَهَا إِلَى رَجُلٍ وَضَعَهَا لِابْنِهِ عِنْدَ ذَلِكَ الرَّجُلِ فَإِنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَهُوَ جَائِزٌ لِلْابْنِ

حدثني مالك عن ابن شهاب عن سعيد بن المسيب ان عثمان بن عفان قال من نحل ولدا له صغيرا لم يبلغ ان يحوز نحله فاعلن ذلك له واشهد عليها فهي جاىزة وان وليها ابوه قال مالك الامر عندنا ان من نحل ابنا له صغيرا ذهبا او ورقا ثم هلك وهو يليه انه لا شيء للابن من ذلك الا ان يكون الاب عزلها بعينها او دفعها الى رجل وضعها لابنه عند ذلك الرجل فان فعل ذلك فهو جاىز للابن


Malik related to me from Ibn Shihab from Said ibn al-Musayyab that Uthman ibn Affan said, "If someone gives something to his small child who is not old enough to look after it himself, and in order that his gift might be permitted he makes the gift public and has it witnessed, the gift is permitted, even if the father keeps charge of it."

Malik said, "What is done in our community is that if a man gives his small child some gold or silver and then dies and he has it in his own keeping, the child has none of it unless the father set it aside in coin or placed it with a man to keep for the son. If he does that, it is permitted for the son."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৭. ওসীয়্যত সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الوصية) 37/ Wills and Testaments
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে