মুয়াত্তা মালিক ৩৫. শুফ’আ অধ্যায় (كتاب الشفعة )
১৪১১

পরিচ্ছেদঃ ১. কি জিনিসের মধ্যে শুফ’আ চলে

রেওয়ায়ত ১. সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) ও আবু সালমা ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ জিনিসের মধ্যে শুফ’আর ফায়সালা করিয়াছেন যাহা শরীকদারদের মধ্যে বন্টন হয় নাই। সুতরাং যখন তাহদের মধ্যে সীমা নির্ধারিত হইয়া যাইবে তখন আর তাহাতে শুফ’আ চলিবে না। মালিক (রহঃ) বলেন, এই মাসআলাতে কোন মতবিরোধ নাই এবং আমার মতও ইহাই।

بَاب مَا تَقَعُ فِيهِ الشُّفْعَةُ

حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَعَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى بِالشُّفْعَةِ فِيمَا لَمْ يُقْسَمْ بَيْنَ الشُّرَكَاءِ فَإِذَا وَقَعَتْ الْحُدُودُ بَيْنَهُمْ فَلَا شُفْعَةَ فِيهِ
قَالَ مَالِك وَعَلَى ذَلِكَ السُّنَّةُ الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا عِنْدَنَا

حدثنا يحيى عن مالك عن ابن شهاب عن سعيد بن المسيب وعن ابي سلمة بن عبد الرحمن بن عوف ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قضى بالشفعة فيما لم يقسم بين الشركاء فاذا وقعت الحدود بينهم فلا شفعة فيه قال مالك وعلى ذلك السنة التي لا اختلاف فيها عندنا


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Said ibn al- Musayyab and from Abu Salama ibn Abd ar-Rahman ibn Awf that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, decreed for partners the right of preemption in property which had not been divided up. When boundaries had been fixed between them, then there was no right of pre-emption.

Malik said, "That is the sunna about which there is no dispute among us."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫. শুফ’আ অধ্যায় (كتاب الشفعة ) 35/ Pre-emption in Property
১৪১২

পরিচ্ছেদঃ ১. কি জিনিসের মধ্যে শুফ’আ চলে

রেওয়ায়ত ২. সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইয়াছিল শুফ’আ সম্বন্ধে, উহার কি কোন নিয়ম আছে? উত্তরে তিনি বলিলেন, শুফ’আ ঘর ও জমির মধ্যে হয় এবং একমাত্র শরীকদারগণই তাহা পায়।

بَاب مَا تَقَعُ فِيهِ الشُّفْعَةُ

قَالَ مَالِك إِنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ سُئِلَ عَنْ الشُّفْعَةِ هَلْ فِيهَا مِنْ سُنَّةٍ فَقَالَ نَعَمْ الشُّفْعَةُ فِي الدُّورِ وَالْأَرَضِينَ وَلَا تَكُونُ إِلَّا بَيْنَ الشُّرَكَاءِ

قال مالك انه بلغه ان سعيد بن المسيب سىل عن الشفعة هل فيها من سنة فقال نعم الشفعة في الدور والارضين ولا تكون الا بين الشركاء


Malik said that he heard that Said ibn al-Musayyab, when asked about pre-emption and whether there was a sunna in it, said, "Yes. Pre-emption is in houses and land, and it is only between partners."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫. শুফ’আ অধ্যায় (كتاب الشفعة ) 35/ Pre-emption in Property
১৪১৩

পরিচ্ছেদঃ ১. কি জিনিসের মধ্যে শুফ’আ চলে

রেওয়ায়ত ৩. মালিক (রহঃ) বলেনঃ সুলায়মান ইবন ইয়াসার (রহঃ) হইতেও এইরূপ বর্ণিত আছে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি কয়েকজন একযোগে মালিক এমন কোন জমির এক অংশ কোন জন্তু অথবা গোলামের পরিবর্তে কিংবা এই ধরনের কোন মালের (যেমন জিনিসপত্র) পরিবর্তে খরিদ করে, অতঃপর শরীকদার নিজ শুফ’আ নেওয়ার জন্য আসে কিন্তু এই সময়ে ঐ গোলাম অথবা দাসী মারা গিয়া থাকে এবং তাহাদের মূল্য কত ছিল কেহ জানে না। কিন্তু খরিদ্দার বলে যে, তাহার মূল্য একশত দীনার ছিল এবং শুফ’আ দাবিদার পঞ্চাশ দীনার বলে, তবে খরিদ্দার হইতে এই ব্যাপারে কসম (শপথ) গ্রহণ করা হইবে যে, উহার মূল্য একশত দীনার ছিল। তাহার পর শুফ’আ দাবিদারের ইচ্ছা হইলে উহা গ্রহণও করিতে পারে অথবা দাবি ছাড়িয়াও দিতে পারবে। কিন্তু যদি শুফআর দাবিদার তাহার দাবির সপক্ষে প্রমাণ করে যে, উক্ত দাস দাসীর মূল্য খরিদ্দার যাহা বলে তাহা হইতে কম ছিল, তবে তাহার কথা মানিতে হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কেহ একযোগে কয়েক ব্যক্তি মালিক এমন ঘর অথবা জমির নিজ অংশ দান করিয়া দেয় কিন্তু যাহাকে দান করা হইয়াছে সে দানকারীকে তাহার মূল্য দিয়া দেয়, তবে শুফআর দাবি করার অধিকার শরীকদারদের থাকিবে এবং গ্রহীতাকে টাকা-পয়সা ফেরত দিয়া তাহা লইবার ইখতিয়ার শরীকদারদের থাকিবে, দীনার অথবা দিরহাম যাহা দিয়া হউক মূল্য শোধ করিবে।

মালিক (রহঃ) বলেন যে, যদি কেহ তাহার সঙ্গে অন্যেরাও মালিক এমন ঘর অথবা জমি হেবা (দান) করে এবং এখনও কোন বিনিময় গ্রহণ করে নাই এবং বিনিময় তলবও করে নাই, এমন সময় শরীকদার যদি চাহে যে, উহার বিনিময় দিয়া দখল করিবে তবে উহার বিনিময় প্রদান না করিয়া দখল করা জায়েয হইবে না। যদি বিনিময় দিয়া দেয় তবে উহা শুফ’আ দাবিকারীর জন্য বৈধ হইবে এই শর্তে যে, পূর্ণ মূল্য সে দিয়া দিবে ও দখল লইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে কেহ যদি শরীকী জমির এক ভাগ বাকী খরিদ করে, অতঃপর শরীকদারদের কেহ যদি শুফআর দাবি করে যদি সে ধনী হয় তবে ঐ মূল্যেই এবং ঐ ওয়াদা অনুযায়ী নিবে, আর যদি দরিদ্র হয় যে, ঐ মূল্য ওয়াদা অনুযায়ী দিতে পারিবে না তবে কোন একজন নির্ভরযোগ্য মানুষ, যে খরিদ্দারের সমতুল্য, জামিন হইলে লইতে পারিবে।

মালিক (রহঃ) বলেন যে, শুফ’আর দাবিদার যদি জমির বেচাকেনার সময় অনুপস্থিত থাকে তবে তাহার শুফ’আর অধিকার বাতিল হইবে না, যদিও সে অনেক দিন গায়েব থাকে। আর গায়েব থাকার কোন সীমা আমাদের নিকট নাই যে, এতদিন গায়েব থাকিলে শুফ’আর অধিকার থাকিবে না।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তির কয়েকজন সন্তান কোন জমির ওয়ারিসসূত্রে মালিক হইল, তাহার পর তাহাদের কাহারও সন্তান জন্ম হওয়ার পর সে মারা গেল এবং তাহার এক সন্তান মৃত পিতার প্রাপ্য অংশ বিক্রয় করিতে চাহে, তবে বিক্রেতার ভাই তাহার চাচার চাইতে শুফ’আর অধিকার বেশি রাখে। মালিক (রহঃ) বলেন যে, আমাদের নিকটও হুকুম অনুরূপ।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি শুফআর শরীকদারদের মধ্যে কয়েকজন দাবি করে তবে বিক্রীত সম্পদ হইতে প্রত্যেকে হিস্যা অনুযায়ী লইবে। যদি কম হয় কমই নেবে আর বেশি হইলে বেশিই নেবে। ইহা তখনই করিবে যখন তাহাদের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে, অথবা একজন তাহার সঙ্গীর নিকট হইতে তাহার হিস্যা খরিদ করিয়া কোন শরীকদারকে বলিবে যে, আমি আমার হিস্যা পরিমাণ শুফ’আ লইব। অতঃপর খরিদ্দার বলিবে যে, তুমি যদি চাহ তবে সবটুকুরই শুফ’আ লইয়া যাও, আমি তোমাকে সবই দিয়া দিতেছি। কিংবা শুফআর দাবিও পরিহার কর। এই অবস্থায় শুক’আর দাবিদারের উচিত পূর্ণ হিস্যা খরিদ্দার হইতে খরিদ করিয়া লওয়া অথবা শুফ’আর দাবি পরিত্যাগ করা। যদি পূর্ণ নিতে চায় তবে সে বেশি হকদার, অন্যথায় সে হকদার হইবে না।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি কিছু জমি খরিদ করিল, অতঃপর উহা আবাদ করিল ও উহাতে ঘর নির্মাণ করিল অথবা কূপ খনন করিল। তাহার পর এক ব্যক্তি আসিয়া হক দাবি করিল এবং শুফআর মাধ্যমে উহা নেওয়ার ইচ্ছা করিল, তবে তাহার শুফ’আ দাবির কোন অধিকার নাই যতক্ষণ বানানো ঘর অথবা কূপ খননের মূল্য আদায় না করে। যদি উহার মূল্য আদায় করিয়া দেয় তবে তাহার শুফআর দাবি গ্রাহ্য হইবে। অন্যথায় তাহার কোন শুফ’আর দাবি চলিবে না।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি শরীকের ঘর অথবা জমি বিক্রয় করিয়া জানিতে পারিল যে, শুফআর দাবিদার শুফ’আ দাবি করবে। তাই ক্রেতা মূল্যের ব্যাপারে মিথ্যার আশ্রয় লইতে চাহিল এবং বিক্রেতাও তাহাই করিল। তাহাতে শুফ’আর দাবিদারের শুফ’আ নষ্ট হইবে না। এই ব্যাপারে শুফ’আর দাবিদারই শুফআর অধিকারী, যে মূল্যে বিক্রয় করিয়াছে তাহা আদায় করার পর।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কেহ শরীকী ঘর অথবা জমির এক অংশ ও ১টি জন্তু এবং কিছু জিনিসপত্র একই বৈঠকে আফদে (দাম) খরিদ করে, অতঃপর শুফ’আ দাবিকারীর শুফ’আ দাবি করে, শুধু ঘরে অথবা জমিতে, কিন্তু খরিদ্দার বলে যে, আমি যাহা খরিদ করিয়াছি সকলই নিয়া যাও, কারণ আমি সবই খরিদ করিয়াছি। তখন শুফআর দাবিদার জমি ও ঘরেরই শুফ’আ লইবে, তাহার হিস্যা যতদূর আসে। তখন ঐ পূর্বের মূল্যের হিসাবে প্রত্যেকটি জিনিসের মূল্য ধরিতে হইবে পৃথকভাবে। অতঃপর শুফ’আ লইয়া যাইবে ঐ খরিদকৃত আসল দামের হিসাবে, যাহা হয় তাহা দিয়া। জন্তু ও জিনিসপত্র কোনটাই নেবে না, কিন্তু সে যদি ইচ্ছা করিয়া সবগুলি লইয়া যায় তবে উহাও জায়েয।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ শরীকী জমির এক অংশ কেহ বিক্রয় করিল, অতঃপর যাহাদের শুফ’আর অধিকার আছে তাহদের কেহ খরিদ্দারের পক্ষে দাবি প্রত্যাখ্যান করিল কিন্তু তাহাদের আর কেহ তাহা দাবি করিয়া বসিল, এই অবস্থায় খরিদ্দারের পূর্ণ অংশ তাহার নিতে হইবে। ইহা হইবে না যে, সে তাহার ভাগের অংশই নিবে এবং বাকী অংশ ছাড়িয়া দিবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি অনেকেই মালিক এমন একটি ঘরের কোন এক শরীক তাহার অংশ বিক্রয় করিল। একজন শরীকদার ছাড়া আর সকলেই অনুপস্থিত। অতঃপর সেই উপস্থিত শরীকদারকে এই মর্মে জিজ্ঞাসা করা হইবে যে, শুফ’আর দাবিতে আপনি ইহা লইয়া যান অথবা ছাড়িয়া দেন; সে বলিল, আমি আমার অংশ নিতেছি, এবং শরীকদারদের অংশ ছাড়িয়া দিতেছি, তাহারা হাযির হওয়ার পর যদি তাহাদের অংশ তাহারা নেয় তবে তো ভাল, না হয় আমি সবটুকু লইব। এই পন্থা জায়েয নহে, হয়ত সে পূর্ণ হিস্যা নেবে, না হয় পূর্ণ দাবি ছাড়িয়া দেবে। অতঃপর যদি অন্যান্য শরীকদার আসে তবে তাহার নিকট হইতে তাহারা অংশ লইবে অথবা ছাড়িয়া দেবে। আর উক্ত ব্যক্তি যদি তাহা গ্রহণই না করে তবে তাহার আর শুফ’আরর অধিকার থাকিবে না।

بَاب مَا تَقَعُ فِيهِ الشُّفْعَةُ

وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ مِثْلُ ذَلِكَ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ اشْتَرَى شِقْصًا مَعَ قَوْمٍ فِي أَرْضٍ بِحَيَوَانٍ عَبْدٍ أَوْ وَلِيدَةٍ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْعُرُوضِ فَجَاءَ الشَّرِيكُ يَأْخُذُ بِشُفْعَتِهِ بَعْدَ ذَلِكَ فَوَجَدَ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ قَدْ هَلَكَا وَلَمْ يَعْلَمْ أَحَدٌ قَدْرَ قِيمَتِهِمَا فَيَقُولُ الْمُشْتَرِي قِيمَةُ الْعَبْدِ أَوْ الْوَلِيدَةِ مِائَةُ دِينَارٍ وَيَقُولُ صَاحِبُ الشُّفْعَةِ الشَّرِيكُ بَلْ قِيمَتُهَا خَمْسُونَ دِينَارًا قَالَ مَالِك يَحْلِفُ الْمُشْتَرِي أَنَّ قِيمَةَ مَا اشْتَرَى بِهِ مِائَةُ دِينَارٍ ثُمَّ إِنْ شَاءَ أَنْ يَأْخُذَ صَاحِبُ الشُّفْعَةِ أَخَذَ أَوْ يَتْرُكَ إِلَّا أَنْ يَأْتِيَ الشَّفِيعُ بِبَيِّنَةٍ أَنَّ قِيمَةَ الْعَبْدِ أَوْ الْوَلِيدَةِ دُونَ مَا قَالَ الْمُشْتَرِي قَالَ مَالِك مَنْ وَهَبَ شِقْصًا فِي دَارٍ أَوْ أَرْضٍ مُشْتَرَكَةٍ فَأَثَابَهُ الْمَوْهُوبُ لَهُ بِهَا نَقْدًا أَوْ عَرْضًا فَإِنَّ الشُّرَكَاءَ يَأْخُذُونَهَا بِالشُّفْعَةِ إِنْ شَاءُوا وَيَدْفَعُونَ إِلَى الْمَوْهُوبِ لَهُ قِيمَةَ مَثُوبَتِهِ دَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ قَالَ مَالِك مَنْ وَهَبَ هِبَةً فِي دَارٍ أَوْ أَرْضٍ مُشْتَرَكَةٍ فَلَمْ يُثَبْ مِنْهَا وَلَمْ يَطْلُبْهَا فَأَرَادَ شَرِيكُهُ أَنْ يَأْخُذَهَا بِقِيمَتِهَا فَلَيْسَ ذَلِكَ لَهُ مَا لَمْ يُثَبْ عَلَيْهَا فَإِنْ أُثِيبَ فَهُوَ لِلشَّفِيعِ بِقِيمَةِ الثَّوَابِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ اشْتَرَى شِقْصًا فِي أَرْضٍ مُشْتَرَكَةٍ بِثَمَنٍ إِلَى أَجَلٍ فَأَرَادَ الشَّرِيكُ أَنْ يَأْخُذَهَا بِالشُّفْعَةِ قَالَ مَالِك إِنْ كَانَ مَلِيًّا فَلَهُ الشُّفْعَةُ بِذَلِكَ الثَّمَنِ إِلَى ذَلِكَ الْأَجَلِ وَإِنْ كَانَ مَخُوفًا أَنْ لَا يُؤَدِّيَ الثَّمَنَ إِلَى ذَلِكَ الْأَجَلِ فَإِذَا جَاءَهُمْ بِحَمِيلٍ مَلِيٍّ ثِقَةٍ مِثْلِ الَّذِي اشْتَرَى مِنْهُ الشِّقْصَ فِي الْأَرْضِ الْمُشْتَرَكَةِ فَذَلِكَ لَهُ قَالَ مَالِك لَا تَقْطَعُ شُفْعَةَ الْغَائِبِ غَيْبَتُهُ وَإِنْ طَالَتْ غَيْبَتُهُ وَلَيْسَ لِذَلِكَ عِنْدَنَا حَدٌّ تُقْطَعُ إِلَيْهِ الشُّفْعَةُ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُوَرِّثُ الْأَرْضَ نَفَرًا مِنْ وَلَدِهِ ثُمَّ يُولَدُ لِأَحَدِ النَّفَرِ ثُمَّ يَهْلِكُ الْأَبُ فَيَبِيعُ أَحَدُ وَلَدِ الْمَيِّتِ حَقَّهُ فِي تِلْكَ الْأَرْضِ فَإِنَّ أَخَا الْبَائِعِ أَحَقُّ بِشُفْعَتِهِ مِنْ عُمُومَتِهِ شُرَكَاءِ أَبِيهِ قَالَ مَالِك وَهَذَا الْأَمْرُ عِنْدَنَا قَالَ مَالِك الشُّفْعَةُ بَيْنَ الشُّرَكَاءِ عَلَى قَدْرِ حِصَصِهِمْ يَأْخُذُ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ بِقَدْرِ نَصِيبِهِ إِنْ كَانَ قَلِيلًا فَقَلِيلًا وَإِنْ كَانَ كَثِيرًا فَبِقَدْرِهِ وَذَلِكَ إِنْ تَشَاحُّوا فِيهَا قَالَ مَالِك فَأَمَّا أَنْ يَشْتَرِيَ رَجُلٌ مِنْ رَجُلٍ مِنْ شُرَكَائِهِ حَقَّهُ فَيَقُولُ أَحَدُ الشُّرَكَاءِ أَنَا آخُذُ مِنْ الشُّفْعَةِ بِقَدْرِ حِصَّتِي وَيَقُولُ الْمُشْتَرِي إِنْ شِئْتَ أَنْ تَأْخُذَ الشُّفْعَةَ كُلَّهَا أَسْلَمْتُهَا إِلَيْكَ وَإِنْ شِئْتَ أَنْ تَدَعَ فَدَعْ فَإِنَّ الْمُشْتَرِيَ إِذَا خَيَّرَهُ فِي هَذَا وَأَسْلَمَهُ إِلَيْهِ فَلَيْسَ لِلشَّفِيعِ إِلَّا أَنْ يَأْخُذَ الشُّفْعَةَ كُلَّهَا أَوْ يُسْلِمَهَا إِلَيْهِ فَإِنْ أَخَذَهَا فَهُوَ أَحَقُّ بِهَا وَإِلَّا فَلَا شَيْءَ لَهُ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي الْأَرْضَ فَيَعْمُرُهَا بِالْأَصْلِ يَضَعُهُ فِيهَا أَوْ الْبِئْرِ يَحْفِرُهَا ثُمَّ يَأْتِي رَجُلٌ فَيُدْرِكُ فِيهَا حَقًّا فَيُرِيدُ أَنْ يَأْخُذَهَا بِالشُّفْعَةِ إِنَّهُ لَا شُفْعَةَ لَهُ فِيهَا إِلَّا أَنْ يُعْطِيَهُ قِيمَةَ مَا عَمَرَ فَإِنْ أَعْطَاهُ قِيمَةَ مَا عَمَرَ كَانَ أَحَقَّ بِالشُّفْعَةِ وَإِلَّا فَلَا حَقَّ لَهُ فِيهَا قَالَ مَالِك مَنْ بَاعَ حِصَّتَهُ مِنْ أَرْضٍ أَوْ دَارٍ مُشْتَرَكَةٍ فَلَمَّا عَلِمَ أَنَّ صَاحِبَ الشُّفْعَةِ يَأْخُذُ بِالشُّفْعَةِ اسْتَقَالَ الْمُشْتَرِيَ فَأَقَالَهُ قَالَ لَيْسَ ذَلِكَ لَهُ وَالشَّفِيعُ أَحَقُّ بِهَا بِالثَّمَنِ الَّذِي كَانَ بَاعَهَا بِهِ قَالَ مَالِك مَنْ اشْتَرَى شِقْصًا فِي دَارٍ أَوْ أَرْضٍ وَحَيَوَانًا وَعُرُوضًا فِي صَفْقَةٍ وَاحِدَةٍ فَطَلَبَ الشَّفِيعُ شُفْعَتَهُ فِي الدَّارِ أَوْ الْأَرْضِ فَقَالَ الْمُشْتَرِي خُذْ مَا اشْتَرَيْتُ جَمِيعًا فَإِنِّي إِنَّمَا اشْتَرَيْتُهُ جَمِيعًا قَالَ مَالِك بَلْ يَأْخُذُ الشَّفِيعُ شُفْعَتَهُ فِي الدَّارِ أَوْ الْأَرْضِ بِحِصَّتِهَا مِنْ ذَلِكَ الثَّمَنِ يُقَامُ كُلُّ شَيْءٍ اشْتَرَاهُ مِنْ ذَلِكَ عَلَى حِدَتِهِ عَلَى الثَّمَنِ الَّذِي اشْتَرَاهُ بِهِ ثُمَّ يَأْخُذُ الشَّفِيعُ شُفْعَتَهُ بِالَّذِي يُصِيبُهَا مِنْ الْقِيمَةِ مِنْ رَأْسِ الثَّمَنِ وَلَا يَأْخُذُ مِنْ الْحَيَوَانِ وَالْعُرُوضِ شَيْئًا إِلَّا أَنْ يَشَاءَ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَمَنْ بَاعَ شِقْصًا مِنْ أَرْضٍ مُشْتَرَكَةٍ فَسَلَّمَ بَعْضُ مَنْ لَهُ فِيهَا الشُّفْعَةُ لِلْبَائِعِ وَأَبَى بَعْضُهُمْ إِلَّا أَنْ يَأْخُذَ بِشُفْعَتِهِ إِنَّ مَنْ أَبَى أَنْ يُسَلِّمَ يَأْخُذُ بِالشُّفْعَةِ كُلِّهَا وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَأْخُذَ بِقَدْرِ حَقِّهِ وَيَتْرُكَ مَا بَقِيَ قَالَ مَالِك فِي نَفَرٍ شُرَكَاءَ فِي دَارٍ وَاحِدَةٍ فَبَاعَ أَحَدُهُمْ حِصَّتَهُ وَشُرَكَاؤُهُ غُيَّبٌ كُلُّهُمْ إِلَّا رَجُلًا فَعُرِضَ عَلَى الْحَاضِرِ أَنْ يَأْخُذَ بِالشُّفْعَةِ أَوْ يَتْرُكَ فَقَالَ أَنَا آخُذُ بِحِصَّتِي وَأَتْرُكُ حِصَصَ شُرَكَائِي حَتَّى يَقْدَمُوا فَإِنْ أَخَذُوا فَذَلِكَ وَإِنْ تَرَكُوا أَخَذْتُ جَمِيعَ الشُّفْعَةِ قَالَ مَالِك لَيْسَ لَهُ إِلَّا أَنْ يَأْخُذَ ذَلِكَ كُلَّهُ أَوْ يَتْرُكَ فَإِنْ جَاءَ شُرَكَاؤُهُ أَخَذُوا مِنْهُ أَوْ تَرَكُوا إِنْ شَاءُوا فَإِذَا عُرِضَ هَذَا عَلَيْهِ فَلَمْ يَقْبَلْهُ فَلَا أَرَى لَهُ شُفْعَةً

وحدثني مالك انه بلغه عن سليمان بن يسار مثل ذلك قال مالك في رجل اشترى شقصا مع قوم في ارض بحيوان عبد او وليدة او ما اشبه ذلك من العروض فجاء الشريك ياخذ بشفعته بعد ذلك فوجد العبد او الوليدة قد هلكا ولم يعلم احد قدر قيمتهما فيقول المشتري قيمة العبد او الوليدة ماىة دينار ويقول صاحب الشفعة الشريك بل قيمتها خمسون دينارا قال مالك يحلف المشتري ان قيمة ما اشترى به ماىة دينار ثم ان شاء ان ياخذ صاحب الشفعة اخذ او يترك الا ان ياتي الشفيع ببينة ان قيمة العبد او الوليدة دون ما قال المشتري قال مالك من وهب شقصا في دار او ارض مشتركة فاثابه الموهوب له بها نقدا او عرضا فان الشركاء ياخذونها بالشفعة ان شاءوا ويدفعون الى الموهوب له قيمة مثوبته دنانير او دراهم قال مالك من وهب هبة في دار او ارض مشتركة فلم يثب منها ولم يطلبها فاراد شريكه ان ياخذها بقيمتها فليس ذلك له ما لم يثب عليها فان اثيب فهو للشفيع بقيمة الثواب قال مالك في رجل اشترى شقصا في ارض مشتركة بثمن الى اجل فاراد الشريك ان ياخذها بالشفعة قال مالك ان كان مليا فله الشفعة بذلك الثمن الى ذلك الاجل وان كان مخوفا ان لا يودي الثمن الى ذلك الاجل فاذا جاءهم بحميل ملي ثقة مثل الذي اشترى منه الشقص في الارض المشتركة فذلك له قال مالك لا تقطع شفعة الغاىب غيبته وان طالت غيبته وليس لذلك عندنا حد تقطع اليه الشفعة قال مالك في الرجل يورث الارض نفرا من ولده ثم يولد لاحد النفر ثم يهلك الاب فيبيع احد ولد الميت حقه في تلك الارض فان اخا الباىع احق بشفعته من عمومته شركاء ابيه قال مالك وهذا الامر عندنا قال مالك الشفعة بين الشركاء على قدر حصصهم ياخذ كل انسان منهم بقدر نصيبه ان كان قليلا فقليلا وان كان كثيرا فبقدره وذلك ان تشاحوا فيها قال مالك فاما ان يشتري رجل من رجل من شركاىه حقه فيقول احد الشركاء انا اخذ من الشفعة بقدر حصتي ويقول المشتري ان شىت ان تاخذ الشفعة كلها اسلمتها اليك وان شىت ان تدع فدع فان المشتري اذا خيره في هذا واسلمه اليه فليس للشفيع الا ان ياخذ الشفعة كلها او يسلمها اليه فان اخذها فهو احق بها والا فلا شيء له قال مالك في الرجل يشتري الارض فيعمرها بالاصل يضعه فيها او البىر يحفرها ثم ياتي رجل فيدرك فيها حقا فيريد ان ياخذها بالشفعة انه لا شفعة له فيها الا ان يعطيه قيمة ما عمر فان اعطاه قيمة ما عمر كان احق بالشفعة والا فلا حق له فيها قال مالك من باع حصته من ارض او دار مشتركة فلما علم ان صاحب الشفعة ياخذ بالشفعة استقال المشتري فاقاله قال ليس ذلك له والشفيع احق بها بالثمن الذي كان باعها به قال مالك من اشترى شقصا في دار او ارض وحيوانا وعروضا في صفقة واحدة فطلب الشفيع شفعته في الدار او الارض فقال المشتري خذ ما اشتريت جميعا فاني انما اشتريته جميعا قال مالك بل ياخذ الشفيع شفعته في الدار او الارض بحصتها من ذلك الثمن يقام كل شيء اشتراه من ذلك على حدته على الثمن الذي اشتراه به ثم ياخذ الشفيع شفعته بالذي يصيبها من القيمة من راس الثمن ولا ياخذ من الحيوان والعروض شيىا الا ان يشاء ذلك قال مالك ومن باع شقصا من ارض مشتركة فسلم بعض من له فيها الشفعة للباىع وابى بعضهم الا ان ياخذ بشفعته ان من ابى ان يسلم ياخذ بالشفعة كلها وليس له ان ياخذ بقدر حقه ويترك ما بقي قال مالك في نفر شركاء في دار واحدة فباع احدهم حصته وشركاوه غيب كلهم الا رجلا فعرض على الحاضر ان ياخذ بالشفعة او يترك فقال انا اخذ بحصتي واترك حصص شركاىي حتى يقدموا فان اخذوا فذلك وان تركوا اخذت جميع الشفعة قال مالك ليس له الا ان ياخذ ذلك كله او يترك فان جاء شركاوه اخذوا منه او تركوا ان شاءوا فاذا عرض هذا عليه فلم يقبله فلا ارى له شفعة


Malik related to me that he heard the like of that from Sulayman ibn Yasar.

Malik spoke about a man who bought out one of the partners in a shared property, by paying the man with an animal, a slave, a slave-girl, or the equivalent of that in goods. Then another partner decided to exercise his right of pre-emption after that, and he found that the slave or slave-girl had died, and no one knew what her value had been. The buyer claimed, "The value of the slave or slave-girl was 100 dinars." The partner with the right of pre-emption claimed, "The value was 50 dinars."

Malik said, "The buyer takes an oath that the value of what he payed was 100 dinars. Then if the one with the right of pre-emption wishes, he can compensate him, or else he can leave it, unless he can bring a clear proof that the slave or slave-girl's value is less than what the buyer said. If someone gives away his portion of a shared house or land and the recipient repays him for it by cash or goods, the partners can take it by pre-emption if they wish and pay off the recipient the value of what he gave in dinars or dirhams. If someone makes a gift of his portion of a shared house or land, and does not take any remuneration and does not seek to, and a partner wants to take it for its value, he cannot do so as long as the original partner has not been given recompense for it. If there is any recompense, the one with the right of pre-emption can have it for the price of the recompense."

Malik spoke about a man who bought into a piece of shared land for a price on credit, and one of the partners wanted to possess it by right of pre-emption . Malik said, "If it seems likely that the partner can meet the terms, he has right of pre-emption for the same credit terms. If it is feared that he will not be able to meet the terms, but he can bring a wealthy and reliable guarantor of equal standing to the one who bought into the land, he can also take possession."

Malik said, "A person's absence does not sever his right of pre-emption. Even if he is a way for a long time, there is no time limit after which the right of preemption is cut off."

Malik said that if a man left land to a number of his children, then one of them who had a child died and the child of the deceased sold his right in that land, the brother of the seller was more entitled to pre-empt him than his paternal uncles, the partners of his father.

Malik said, "This is what is done in our community."

Malik said, "Pre- emption is shared between partners according to their existing shares. Each of them takes according to his portion. If it is small, he has little. If it is great, it is according to that. That is if they are tenacious and contend with each other about it."

Malik said, "As for a man who buys out the share of one of his partners, and one of the other partners says, 'I will take a portion according to my share,' and the first partner says, 'If you wish to take all the preemption, I will give it up to you. If you wish to leave it, then leave it.' If the first partner gives him the choice and hands it over to him, the second partner can only take all the pre-emption or give it back. If he takes it, he is entitled to it. If not, he has nothing."

Malik spoke about a man who bought land, and developed it by planting trees or digging a well etc., and then someone came, and seeing that he had a right in the land, wanted to take possession of it by pre-emption. Malik said "He has no right of preemption unless he compensates the other for his expenditure. If he gives him the price of what he has developed, he is entitled to pre- emption . If not, he has no right in it."

Malik said that someone who sold off his portion of a shared house or land and then, on learning that some one with a right of pre-emption was to take possession by that right, asked the buyer to revoke the sale, and he did so, did not have the right to do that. The pre-emptor has more right to the property for the price for which he sold it.

In the case of some one who bought along with a section of a shared house or land, an animal and goods (that were not shared), so that when any one demanded his right of pre-emption in the house or land he said, "Take what I have bought altogether, for I bought it altogether," Malik said, "The pre-emptor need only take possession of the house or land. Each thing the man bought is assessed according to its share of the lump sum the man paid. Then the pre-emptor takes possession of his right for a price which is appropriate on that basis. He does not take any animals or goods unless he wants to do that."

Malik said, "If someone sells a section of shared land, and one of those who have the right of preemption surrenders it to the buyer and another refuses to do other than take his pre-emption, the one who refuses to surrender has to take all the preemption, and he cannot take according to his right and leave what remains.

In the case where one of a number of partners in one house sold his share when all his partners were away except for one man, the one present was given the choice of either taking the pre-emption or leaving it, and he said, 'I will take my portion and leave the portions of my partners until they are present. If they take it, that is that. If they leave it, I will take all the pre-emption,' Malik said, 'He can only take it all or leave it. If his partners come, they can take from him or leave it as they wish. If this is offered to him and he does not accept, I think that he has no pre-emption.'


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫. শুফ’আ অধ্যায় (كتاب الشفعة ) 35/ Pre-emption in Property
১৪১৪

পরিচ্ছেদঃ ২. কি কি জিনিসের মধ্যে শুক’জা চলে না

রেওয়ায়ত ৪. উসমান ইবন আফফান (রাঃ) বলেন যে, জমির সীমানা নির্ধারিত হইয়া গেলে তখন আর উহাতে শুফ’আ চলে না এবং কূপের মধ্যেও শুফ’আ চলে না, আর চলিবে না নর খেজুর গাছেও। মালিক (রহঃ) বলেন যে, আমাদের নিকট এই হুকুমই গ্রহণযোগ্য।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ পথের মধ্যে শুফ’আ চলিবে না, তাহা বন্টনের যোগ্য হউক অথবা বন্টনের যোগ্য নাই হউক।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের কাছে ঘরের বারান্দায়ও শুফ’আ চলিবে না, তাহা বন্টনের উপযোগী হউক বা না হউক। মালিক (রহঃ) বলেন, যদি কেহ অনেকে মালিক এমন কোন জমির কোন অংশ খেয়ারের শর্তে খরিদ করে এবং বিক্রেতার শরীকদারগণ ইচ্ছা করিল যে, তাহাদের শরীকদার যাহা বিক্রয় করিয়াছে তাহা শুফআর মাধ্যমে লইয়া লইবে, খরিদ্দারের ইখতিয়ার পূর্ণ হইবার পূর্বে এইরূপ ক্ষেত্রে তাহদের জন্য শুফ’আ জায়েয হইবে না। যতক্ষণ খরিদ্দারের খরিদ পাকাপোক্ত না হয়, অতঃপর যদি তাহার খরিদ পাকাপোক্ত হয় তবেই তাহাদের জন্য শুফ’আ জায়েয হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি এক ব্যক্তি একটি জমি খরিদ করিয়া অনেক দিন পর্যন্ত নিজ দখলে রাখে। অতঃপর এক ব্যক্তি আসিয়া তার মীরাসের দাবি করিয়া শুফ’আর অধিকার দাবি করিল। যদি তাহার মীরাসের হক প্রমাণিত হয় তবে তাহার জন্য শুফআর দাবি থাকিবে। এই সময় যাহা উৎপন্ন হইয়াছে তাহা খরিদ্দারের থাকিবে, যে দিন হইতে দ্বিতীয় জনের হক প্রতিষ্ঠিত হয় সেই দিন পর্যন্ত। কেননা যদি জমি বন্যায় নষ্ট হইয়া যাইত তবে সে তাহারই অধীনে থাকিত। আর যদি অনেক দিন চলিয়া যায় অথবা সাক্ষী কিংবা বিক্রেতা ও ক্রেতা মরিয়া যায় অথবা তাহারা জীবিতই, কিন্তু বেচাকেনার মূল্য অনেক দিন অতিবাহিত হওয়ার কারণে ভুলিয়া গিয়াছে এই অবস্থায় তাহার শুফ’আ চলিবে না। কিন্তু তাহার (মীরাসের) হক পাইবে যাহা প্রমাণিত হয়। আর যদি ব্যাপার অন্য রকম হয় যেমন বেশি দিন অতিবাহিত হয় নাই কিন্তু বিক্রেতা বিক্রয়কে এইজন্য গোপন করিতেছে যেন প্রতিবেশী শুফ’আর দাবি না করিতে পারে; তবে আসল জমির দাম যাচাই করিয়া দেখিতে হইবে, তাহার দাম কত। অতঃপর জমি যদি আরো বাড়িয়া থাকে - যেমন ঘরবাড়ি বাগ-বাগিচা তবে তাহার মূল্য আদায় করিয়া প্রতিবেশী শুফ’আর দাবিতে লইয়া লইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ জীবিতদের সম্পত্তির নয়, মৃত ব্যক্তিদের সম্পত্তিতেও শুফ’আ চলিবে। কিন্তু যদি অংশীদাররা অংশ বন্টন করিয়া নেয় এবং বিক্রয় করিয়া ফেলে তবে আর শুফ’আ চলিবে না।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমার মতে গোলাম, বাদী, উট, গরু, বকরী ও জীব-জন্তুতে এবং কাপড়-চোপড় ও কূপে যাহার আশেপাশে জমি নাই শুফআর দাবি চলিবে না, কেননা শুফ’আ তো ঐখানেই হইয়া থাকে যেখানে সীমানা নির্ধারিত করা যায়। সুতরাং যেখানে ভাগবাটোয়ারা চলে না সেখানে শুফ আও চলিবে না।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কেহ এমন জমি খরিদ করে যেখানে মানুষের শুফ’আর অধিকার চলে, তবে তাহার উচিত সে যেন সমস্ত প্রতিবেশীকে বিচারকের নিকট লইয়া যায় এবং বলে যে, হয়তো তোমরা লইয়া যাও অথবা শুফ’আর দাবি পরিত্যাগ কর। আর সে যদি সকল প্রতিবেশীকে লইয়া যায় নাই কিন্তু বেচাকেনার বিষয় (সময় মতো) সকল প্রতিবেশীই খবর পাইয়াছিল এবং এতদসত্ত্বেও অনেক দিন পর্যন্ত শুফআর দাবি করে নাই, অতঃপর শুফ’আর দাবি করিলে তাহাদের দাবি অগ্রাহ্য হইবে।

بَاب مَا لَا تَقَعُ فِيهِ الشُّفْعَةُ

قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَارَةَ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ قَالَ إِذَا وَقَعَتْ الْحُدُودُ فِي الْأَرْضِ فَلَا شُفْعَةَ فِيهَا وَلَا شُفْعَةَ فِي بِئْرٍ وَلَا فِي فَحْلِ النَّخْلِ قَالَ مَالِك وَعَلَى هَذَا الْأَمْرُ عِنْدَنَا
قَالَ مَالِك وَلَا شُفْعَةَ فِي طَرِيقٍ صَلُحَ الْقَسْمُ فِيهَا أَوْ لَمْ يَصْلُحْ قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا شُفْعَةَ فِي عَرْصَةِ دَارٍ صَلُحَ الْقَسْمُ فِيهَا أَوْ لَمْ يَصْلُحْ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ اشْتَرَى شِقْصًا مِنْ أَرْضٍ مُشْتَرَكَةٍ عَلَى أَنَّهُ فِيهَا بِالْخِيَارِ فَأَرَادَ شُرَكَاءُ الْبَائِعِ أَنْ يَأْخُذُوا مَا بَاعَ شَرِيكُهُمْ بِالشُّفْعَةِ قَبْلَ أَنْ يَخْتَارَ الْمُشْتَرِي إِنَّ ذَلِكَ لَا يَكُونُ لَهُمْ حَتَّى يَأْخُذَ الْمُشْتَرِي وَيَثْبُتَ لَهُ الْبَيْعُ فَإِذَا وَجَبَ لَهُ الْبَيْعُ فَلَهُمْ الشُّفْعَةُ وَقَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي أَرْضًا فَتَمْكُثُ فِي يَدَيْهِ حِينًا ثُمَّ يَأْتِي رَجُلٌ فَيُدْرِكُ فِيهَا حَقًّا بِمِيرَاثٍ إِنَّ لَهُ الشُّفْعَةَ إِنْ ثَبَتَ حَقُّهُ وَإِنَّ مَا أَغَلَّتْ الْأَرْضُ مِنْ غَلَّةٍ فَهِيَ لِلْمُشْتَرِي الْأَوَّلِ إِلَى يَوْمِ يَثْبُتُ حَقُّ الْآخَرِ لِأَنَّهُ قَدْ كَانَ ضَمِنَهَا لَوْ هَلَكَ مَا كَانَ فِيهَا مِنْ غِرَاسٍ أَوْ ذَهَبَ بِهِ سَيْلٌ قَالَ فَإِنْ طَالَ الزَّمَانُ أَوْ هَلَكَ الشُّهُودُ أَوْ مَاتَ الْبَائِعُ أَوْ الْمُشْتَرِي أَوْ هُمَا حَيَّانِ فَنُسِيَ أَصْلُ الْبَيْعِ وَالِاشْتِرَاءِ لِطُولِ الزَّمَانِ فَإِنَّ الشُّفْعَةَ تَنْقَطِعُ وَيَأْخُذُ حَقَّهُ الَّذِي ثَبَتَ لَهُ وَإِنْ كَانَ أَمْرُهُ عَلَى غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ فِي حَدَاثَةِ الْعَهْدِ وَقُرْبِهِ وَأَنَّهُ يَرَى أَنَّ الْبَائِعَ غَيَّبَ الثَّمَنَ وَأَخْفَاهُ لِيَقْطَعَ بِذَلِكَ حَقَّ صَاحِبِ الشُّفْعَةِ قُوِّمَتْ الْأَرْضُ عَلَى قَدْرِ مَا يُرَى أَنَّهُ ثَمَنُهَا فَيَصِيرُ ثَمَنُهَا إِلَى ذَلِكَ ثُمَّ يُنْظَرُ إِلَى مَا زَادَ فِي الْأَرْضِ مِنْ بِنَاءٍ أَوْ غِرَاسٍ أَوْ عِمَارَةٍ فَيَكُونُ عَلَى مَا يَكُونُ عَلَيْهِ مَنْ ابْتَاعَ الْأَرْضَ بِثَمَنٍ مَعْلُومٍ ثُمَّ بَنَى فِيهَا وَغَرَسَ ثُمَّ أَخَذَهَا صَاحِبُ الشُّفْعَةِ بَعْدَ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَالشُّفْعَةُ ثَابِتَةٌ فِي مَالِ الْمَيِّتِ كَمَا هِيَ فِي مَالِ الْحَيِّ فَإِنْ خَشِيَ أَهْلُ الْمَيِّتِ أَنْ يَنْكَسِرَ مَالُ الْمَيِّتِ قَسَمُوهُ ثُمَّ بَاعُوهُ فَلَيْسَ عَلَيْهِمْ فِيهِ شُفْعَةٌ قَالَ مَالِك وَلَا شُفْعَةَ عِنْدَنَا فِي عَبْدٍ وَلَا وَلِيدَةٍ وَلَا بَعِيرٍ وَلَا بَقَرَةٍ وَلَا شَاةٍ وَلَا فِي شَيْءٍ مِنْ الْحَيَوَانِ وَلَا فِي ثَوْبٍ وَلَا فِي بِئْرٍ لَيْسَ لَهَا بَيَاضٌ إِنَّمَا الشُّفْعَةُ فِيمَا يَصْلُحُ أَنَّهُ يَنْقَسِمُ وَتَقَعُ فِيهِ الْحُدُودُ مِنْ الْأَرْضِ فَأَمَّا مَا لَا يَصْلُحُ فِيهِ الْقَسْمُ فَلَا شُفْعَةَ فِيهِ قَالَ مَالِك وَمَنْ اشْتَرَى أَرْضًا فِيهَا شُفْعَةٌ لِنَاسٍ حُضُورٍ فَلْيَرْفَعْهُمْ إِلَى السُّلْطَانِ فَإِمَّا أَنْ يَسْتَحِقُّوا وَإِمَّا أَنْ يُسَلِّمَ لَهُ السُّلْطَانُ فَإِنْ تَرَكَهُمْ فَلَمْ يَرْفَعْ أَمْرَهُمْ إِلَى السُّلْطَانِ وَقَدْ عَلِمُوا بِاشْتِرَائِهِ فَتَرَكُوا ذَلِكَ حَتَّى طَالَ زَمَانُهُ ثُمَّ جَاءُوا يَطْلُبُونَ شُفْعَتَهُمْ فَلَا أَرَى ذَلِكَ لَهُمْ

قال يحيى قال مالك عن محمد بن عمارة عن ابي بكر بن حزم ان عثمان بن عفان قال اذا وقعت الحدود في الارض فلا شفعة فيها ولا شفعة في بىر ولا في فحل النخل قال مالك وعلى هذا الامر عندنا قال مالك ولا شفعة في طريق صلح القسم فيها او لم يصلح قال مالك والامر عندنا انه لا شفعة في عرصة دار صلح القسم فيها او لم يصلح قال مالك في رجل اشترى شقصا من ارض مشتركة على انه فيها بالخيار فاراد شركاء الباىع ان ياخذوا ما باع شريكهم بالشفعة قبل ان يختار المشتري ان ذلك لا يكون لهم حتى ياخذ المشتري ويثبت له البيع فاذا وجب له البيع فلهم الشفعة وقال مالك في الرجل يشتري ارضا فتمكث في يديه حينا ثم ياتي رجل فيدرك فيها حقا بميراث ان له الشفعة ان ثبت حقه وان ما اغلت الارض من غلة فهي للمشتري الاول الى يوم يثبت حق الاخر لانه قد كان ضمنها لو هلك ما كان فيها من غراس او ذهب به سيل قال فان طال الزمان او هلك الشهود او مات الباىع او المشتري او هما حيان فنسي اصل البيع والاشتراء لطول الزمان فان الشفعة تنقطع وياخذ حقه الذي ثبت له وان كان امره على غير هذا الوجه في حداثة العهد وقربه وانه يرى ان الباىع غيب الثمن واخفاه ليقطع بذلك حق صاحب الشفعة قومت الارض على قدر ما يرى انه ثمنها فيصير ثمنها الى ذلك ثم ينظر الى ما زاد في الارض من بناء او غراس او عمارة فيكون على ما يكون عليه من ابتاع الارض بثمن معلوم ثم بنى فيها وغرس ثم اخذها صاحب الشفعة بعد ذلك قال مالك والشفعة ثابتة في مال الميت كما هي في مال الحي فان خشي اهل الميت ان ينكسر مال الميت قسموه ثم باعوه فليس عليهم فيه شفعة قال مالك ولا شفعة عندنا في عبد ولا وليدة ولا بعير ولا بقرة ولا شاة ولا في شيء من الحيوان ولا في ثوب ولا في بىر ليس لها بياض انما الشفعة فيما يصلح انه ينقسم وتقع فيه الحدود من الارض فاما ما لا يصلح فيه القسم فلا شفعة فيه قال مالك ومن اشترى ارضا فيها شفعة لناس حضور فليرفعهم الى السلطان فاما ان يستحقوا واما ان يسلم له السلطان فان تركهم فلم يرفع امرهم الى السلطان وقد علموا باشتراىه فتركوا ذلك حتى طال زمانه ثم جاءوا يطلبون شفعتهم فلا ارى ذلك لهم


Yahya said that Malik related from Muhammad ibn Umara from Abu Bakr ibn Hazm that Uthman ibn Affan said, "When boundaries are fixed in land, there is no pre-emption in it. There is no pre-emption in a well or in male palm trees. "

Malik said, "This is what is done in our community."

Malik said, "There is no pre-emption in a road, whether or not it is practical to divide it."

Malik said, "What is done in our community is that there is no pre- emption in the courtyard of a house, whether or not it is practical to divide it."

Malik spoke about a man who bought into a shared property provided that he had the option of withdrawal and the partners of the seller wanted to take what their partner was selling by pre-emption before the buyer had exercised his option. Malik said, "They cannot do that until the buyer has taken possession and the sale is confirmed for him. When the sale is confirmed, they have the right of pre-emption."

Malik spoke about a man who bought land and it remained in his hands for some time. Then a man came and saw that he had a share of the land by inheritance. Malik said, "If the man's right of inheritance is established, he also has a right of preemption. If the land has produced a crop, the crop belongs to the buyer until the day when the right of the other is established, because he has tended what was planted against being destroyed or being carried away by a flood."

Malik continued, "If the time has been long, or the witnesses are dead or the seller has died, or the buyer has died, or they are both alive and the basis of the sale and purchase has been forgotten because of the length of time, pre- emption is discontinued. A man only takes his right by inheritance which has been established for him. If his situation differs from this, because the sale transaction is recent and he sees that the seller has concealed the price in order to sever his right of pre- emption, the value of the land is estimated, and he buys the land for that price by his right of pre-emption. Then the buildings, plants, or structures which are extra to the land are looked at, so he is in the position of some one who bought the land for a known price, and then after that built on it and planted. The owner of pre-emption takes possession after that is included."

Malik said, "Pre-emption is applied to the property of the deceased as it is applied to the property of the living. If the family of the deceased fear to break up the property of the deceased, then they share it and sell it, and they have no pre-emption in it."

Malik said, "There is no pre- emption among us in a slave or a slave-girl or a camel, a cow, sheep, or any animal, nor in clothes or a well which does not have any uncultivated land around it. Pre-emption is in what can be usefully divided, and in land in which boundaries occur. As for what cannot be usefully divided, there is no pre-emption in it."

Malik said, "Some one who buys land in which people who are present have a right of pre-emption, refers them to the Sultan and either they claim their right or the Sultan surrenders it to him. If he were to leave them, and not refer their situation to the Sultan and they knew about his purchase, and then they left it until a long time had passed and then came demanding their pre-emption, I do not think that they would have it."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫. শুফ’আ অধ্যায় (كتاب الشفعة ) 35/ Pre-emption in Property
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে