মুয়াত্তা মালিক ২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح)
১০৯৮

পরিচ্ছেদঃ ১. বিবাহের পয়গাম

রেওয়ায়ত ১. আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করিয়াছেন, কেউ যেন তাহার ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়।

بَاب مَا جَاءَ فِي الْخِطْبَةِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَخْطُبُ أَحَدُكُمْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ

حدثني يحيى عن مالك عن محمد بن يحيى بن حبان عن الاعرج عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا يخطب احدكم على خطبة اخيه


Yahya related to me from Malik from Muhammad ibn Yahya ibn Habban from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Do not ask for a woman in marriage when another muslim has already done so."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১০৯৯

পরিচ্ছেদঃ ১. বিবাহের পয়গাম

রেওয়ায়ত ২. আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বর্ণনা করেন-রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, কেউ যেন তাহার ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের মতে (আল্লাহ সর্বজ্ঞ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের বাণী, “কেউ যেন তাহার ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়।” ইহার ব্যাখ্যা এই— যদি কোন পুরুষ কোন মহিলাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়, মহিলাটি তার প্রস্তাবের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং উভয়ে একটি নির্দিষ্ট মোহরের উপর ঐকমত্যে পৌছে। উভয়ে এই ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার উপর রাযী হইয়াছে এবং উক্ত মহিলা তাহাকে বিবাহ করার জন্য প্রস্তাবকারীর উপর শর্ত করিয়াছে। এমতাবস্থায় পুরুষের পক্ষে তাহার ভাইয়ের এই প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দেওয়া নিষেধ। এক ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহের প্রস্তাব দিল। কিন্তু উক্ত মহিলা তাহার এই প্রস্তাবের প্রতি সম্মতি জ্ঞাপন করে নাই এবং তাহার দিকে আকৃষ্টও হয় নাই। এরূপ মহিলার বিবাহের জন্য কেউ প্রস্তাব দিবে না। এই হাদীসের অর্থ ইহা নহে। কারণ ইহাতে লোকের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টির দরজা উন্মুক্ত হইবে।

بَاب مَا جَاءَ فِي الْخِطْبَةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَخْطُبُ أَحَدُكُمْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ
قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا نُرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ لَا يَخْطُبُ أَحَدُكُمْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ أَنْ يَخْطُبَ الرَّجُلُ الْمَرْأَةَ فَتَرْكَنَ إِلَيْهِ وَيَتَّفِقَانِ عَلَى صَدَاقٍ وَاحِدٍ مَعْلُومٍ وَقَدْ تَرَاضَيَا فَهِيَ تَشْتَرِطُ عَلَيْهِ لِنَفْسِهَا فَتِلْكَ الَّتِي نَهَى أَنْ يَخْطُبَهَا الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ وَلَمْ يَعْنِ بِذَلِكَ إِذَا خَطَبَ الرَّجُلُ الْمَرْأَةَ فَلَمْ يُوَافِقْهَا أَمْرُهُ وَلَمْ تَرْكَنْ إِلَيْهِ أَنْ لَا يَخْطُبَهَا أَحَدٌ فَهَذَا بَابُ فَسَادٍ يَدْخُلُ عَلَى النَّاسِ

وحدثني عن مالك عن نافع عن عبد الله بن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا يخطب احدكم على خطبة اخيه قال مالك وتفسير قول رسول الله صلى الله عليه وسلم فيما نرى والله اعلم لا يخطب احدكم على خطبة اخيه ان يخطب الرجل المراة فتركن اليه ويتفقان على صداق واحد معلوم وقد تراضيا فهي تشترط عليه لنفسها فتلك التي نهى ان يخطبها الرجل على خطبة اخيه ولم يعن بذلك اذا خطب الرجل المراة فلم يوافقها امره ولم تركن اليه ان لا يخطبها احد فهذا باب فساد يدخل على الناس


Yahya related to me from Malik from Nafi from Abdullah ibn Umar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Do not ask for a woman in marriage when another muslim has already done so."

Malik said, "The explanation of the statement of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, according to what we think - and Allah knows best - is that 'Do not ask for a woman in marriage when another muslim has already done so' means that when a man has asked for a woman in marriage, and she has inclined to him and they have agreed on a bride-price, which she has suggested and with which they are mutually satisfied, it is forbidden for another man to ask for that woman in marriage. It does not mean that when a man has asked for a woman in marriage, and his suit does not agree with her and she does not incline to him that no one else can ask for her in marriage. That is a door to misery for people."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১০০

পরিচ্ছেদঃ ১. বিবাহের পয়গাম

রেওয়ায়ত ৩. “স্ত্রীলোকদের নিকট তোমরা ইঙ্গিতে বিবাহ প্রস্তাব করিলে অথবা তোমাদের অন্তরে গোপন রাখিলে তোমাদের কোন পাপ নাই।” আল্লাহ জানেন যে, তোমরা তাহাদের সম্বন্ধে আলোচনা করিবে; কিন্তু বিধিমত কথাবার্তা ব্যতীত গোপনে তাহাদের নিকট কোন অঙ্গীকার করিও না। (বাকারাঃ ২৩৫)

আবদুর রহমান ইবন কাসেম (রহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিতেন, “আল্লাহ্ তা’আলার এই বাণীর ব্যাখ্যা এই — কোন পুরুষ কর্তৃক কোন মহিলাকে তার স্বামীর ওফাতের ইদ্দত পালনের সময়ে এইরূপ বলা – “তুমি আমার নিকট সম্মানিত,” “আমি তোমাকে পছন্দ করি” “আল্লাহ তা’আলা নিশ্চয়ই তোমার জন্য মঙ্গল ও জীবিকা প্রেরণ করিবেন।” আরও এই জাতীয় উক্তি।

بَاب مَا جَاءَ فِي الْخِطْبَةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي قَوْلِ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا عَرَّضْتُمْ بِهِ مِنْ خِطْبَةِ النِّسَاءِ أَوْ أَكْنَنْتُمْ فِي أَنْفُسِكُمْ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ سَتَذْكُرُونَهُنَّ وَلَكِنْ لَا تُوَاعِدُوهُنَّ سِرًّا إِلَّا أَنْ تَقُولُوا قَوْلًا مَعْرُوفًا أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلْمَرْأَةِ وَهِيَ فِي عِدَّتِهَا مِنْ وَفَاةِ زَوْجِهَا إِنَّكِ عَلَيَّ لَكَرِيمَةٌ وَإِنِّي فِيكِ لَرَاغِبٌ وَإِنَّ اللَّهَ لَسَائِقٌ إِلَيْكِ خَيْرًا وَرِزْقًا وَنَحْوَ هَذَا مِنْ الْقَوْلِ

وحدثني عن مالك عن عبد الرحمن بن القاسم عن ابيه انه كان يقول في قول الله تبارك وتعالى ولا جناح عليكم فيما عرضتم به من خطبة النساء او اكننتم في انفسكم علم الله انكم ستذكرونهن ولكن لا تواعدوهن سرا الا ان تقولوا قولا معروفا ان يقول الرجل للمراة وهي في عدتها من وفاة زوجها انك علي لكريمة واني فيك لراغب وان الله لساىق اليك خيرا ورزقا ونحو هذا من القول


Yahya related to me from Malik from Abd ar-Rahman ibn al-Qasim that his father said about the word of Allah, the Blessed, the Exalted, "There is no fault in you about the proposal you offer to women, or hide in yourselves. Allah knows that you will be mindful of them; but do not make troth with them secretly without honourable words," (Sura 2 ayat 235) that it referred to a man saying to a woman while she was still in her idda after the death of her husband, "You are dear to me, and I desire you, and Allah brings provision and blessing to you," and words such as these.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১০১

পরিচ্ছেদঃ ২. কুমারী ও তালাকপ্রাপ্তা এবং বিধবা হইতে বিবাহের সম্মতি লওয়া সম্পর্কে বিধান

রেওয়ায়ত ৪. আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত-রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করিয়াছেনঃ আইয়্যেম[1] তাহার ব্যাপারে অভিভাবকের তুলনায় অধিক হকদার এবং কুমারীর বিবাহের ব্যাপারে তাহার অনুমতি লইতে হইবে। চুপ থাকাই হইতেছে তাহার অনুমতি।

بَاب اسْتِئْذَانِ الْبِكْرِ وَالْأَيِّمِ فِي أَنْفُسِهِمَا

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا وَالْبِكْرُ تُسْتَأْذَنُ فِي نَفْسِهَا وَإِذْنُهَا صُمَاتُهَا

حدثني مالك عن عبد الله بن الفضل عن نافع بن جبير بن مطعم عن عبد الله بن عباس ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الايم احق بنفسها من وليها والبكر تستاذن في نفسها واذنها صماتها


Malik related to me from Abdullah ibn al-Fadl from Nafi ibn Jubayr ibn Mutim from Abdullah ibn Abbas that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "A woman who has been previously married is more entitled to her person than her guardian, and a virgin must be asked for her consent for herself, and her consent is her silence "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১০২

পরিচ্ছেদঃ ২. কুমারী ও তালাকপ্রাপ্তা এবং বিধবা হইতে বিবাহের সম্মতি লওয়া সম্পর্কে বিধান

রেওয়ায়ত ৫. মালিক (রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) বলিয়াছেন, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলিয়াছেনঃ অভিভাবক বা উক্ত পরিবারের বুদ্ধিমান ব্যক্তি অথবা রাষ্ট্রপ্রধানের অনুমতি ব্যতীত কোন মহিলাকে যেন বিবাহ দেওয়া না হয় না।

بَاب اسْتِئْذَانِ الْبِكْرِ وَالْأَيِّمِ فِي أَنْفُسِهِمَا

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لَا تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ إِلَّا بِإِذْنِ وَلِيِّهَا أَوْ ذِي الرَّأْيِ مِنْ أَهْلِهَا أَوْ السُّلْطَانِ

وحدثني عن مالك انه بلغه عن سعيد بن المسيب انه قال قال عمر بن الخطاب لا تنكح المراة الا باذن وليها او ذي الراي من اهلها او السلطان


Yahya related to me from Malik that he had heard that Said ibn al-Musayyab had said that Umar ibn al-Khattab said, "A woman is only married with the consent of her guardian, someone of her family with sound judgement or the Sultan.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১০৩

পরিচ্ছেদঃ ২. কুমারী ও তালাকপ্রাপ্তা এবং বিধবা হইতে বিবাহের সম্মতি লওয়া সম্পর্কে বিধান

রেওয়ায়ত ৬. মালিক (রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, কাসেম ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ও সালিম ইবন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) তাহারা উভয়ে নিজেদের কুমারী কন্যাদিগকে তাহাদের অনুমতি না লইয়া বিবাহ দিতেন।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ কুমারীদের বিবাহের ব্যাপারে আমাদের নিকটও ইহা পছন্দনীয়। মালিক (রহঃ) বলেনঃ স্বামীর গৃহে না আসা (স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন না করা) এবং তাহার যোগ্যতার যাচাই না হওয়া পর্যন্ত কুমারী মেয়ে তাহার সম্পদের উপর ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকারী হয় না।[1]

بَاب اسْتِئْذَانِ الْبِكْرِ وَالْأَيِّمِ فِي أَنْفُسِهِمَا

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ وَسَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ كَانَا يُنْكِحَانِ بَنَاتِهِمَا الْأَبْكَارَ وَلَا يَسْتَأْمِرَانِهِنَّ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي نِكَاحِ الْأَبْكَارِ قَالَ مَالِك وَلَيْسَ لِلْبِكْرِ جَوَازٌ فِي مَالِهَا حَتَّى تَدْخُلَ بَيْتَهَا وَيُعْرَفَ مِنْ حَالِهَا

وحدثني عن مالك انه بلغه ان القاسم بن محمد وسالم بن عبد الله كانا ينكحان بناتهما الابكار ولا يستامرانهن قال مالك وذلك الامر عندنا في نكاح الابكار قال مالك وليس للبكر جواز في مالها حتى تدخل بيتها ويعرف من حالها


Yahya related to me from Malik that he had heard that al-Qasim ibn Muhammad and Salim ibn Abdullah were marrying off their daughters and they did not consult them.

Malik said, "That is what is done among us about the marriage of virgins."

Malik said, "A virgin has no right to her property until she enters her house and her state (competence, maturity etc.) is known for sure."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১০৪

পরিচ্ছেদঃ ২. কুমারী ও তালাকপ্রাপ্তা এবং বিধবা হইতে বিবাহের সম্মতি লওয়া সম্পর্কে বিধান

রেওয়ায়ত ৭. মালিক (রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, কাসেম ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) সালিম ইবন আবদুল্লাহ্ (রহঃ) সুলায়মান ইবন ইয়াসার (রহঃ) তাহারা সকলেই কুমারীর ব্যাপারে বলিতেন, তাহার পিতা তাহার অনুমতি না চাহিয়া তাহাকে বিবাহ দিলে সে বিবাহ প্রযোজ্য হইবে।

بَاب اسْتِئْذَانِ الْبِكْرِ وَالْأَيِّمِ فِي أَنْفُسِهِمَا

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ وَسَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ كَانُوا يَقُولُونَ فِي الْبِكْرِ يُزَوِّجُهَا أَبُوهَا بِغَيْرِ إِذْنِهَا إِنَّ ذَلِكَ لَازِمٌ لَهَا

وحدثني عن مالك انه بلغه ان القاسم بن محمد وسالم بن عبد الله وسليمان بن يسار كانوا يقولون في البكر يزوجها ابوها بغير اذنها ان ذلك لازم لها


Yahya related to me from Malik that he had heard that al-Qasim ibn Muhammad and Salim ibn Abdullah and Sulayman ibn Yasar said about the virgin given by her father in marriage without her permission, "That is binding on her."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১০৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. মহর ও উপঢৌকন

রেওয়ায়ত ৮. সাহল ইবন সা’দ সায়িদী (রাঃ) হইতে বর্ণিত—রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট একজন মহিলা আসিয়া বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমি আমার সত্তাকে আপনার জন্য হিবা (দান) করিলাম। ইহা বলার পর সে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করিল। অতঃপর এক ব্যক্তি দাঁড়াইয়া বলিলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার প্রয়োজন না থাকিলে এই মহিলাকে আমার সঙ্গে বিবাহ দিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলিলেন, এই মহিলাকে মোহরানা বাবদ দিবার মতো তোমার কিছু আছে কি? লোকটি বলিল, আমার নিকট আমার এই তাহবন্দ (পরিচ্ছদ-লুঙ্গি অথবা পায়জামা) ব্যতীত আর কিছু নাই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ তোমার এই তাহবন্দ উহাকে প্রদান করিলে তোমার নিকট কোন পরিচ্ছদ থাকিবে না। তাই তুমি অন্য কিছু তালাশ কর। সে ব্যক্তি বলিল, আমি কিছু পাইব না। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ তুমি একটি লোহার আংটিও পাও কিনা দেখ। সে তালাশ করিল। কিন্তু কিছুই পাইল না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাকে বলিলেন, কুরআনের কিছু অংশ তোমার জানা আছে কি? সে সূরার নাম উল্লেখ করিয়া বলিল, অমুক অমুক সূরা আমার কণ্ঠস্থ আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, কুরআন শরীফের যে কয়টি সূরা তোমার কণ্ঠস্থ আছে সেইগুলির বিনিময়ে (সম্মানে) এই মহিলাকে আমি তোমার নিকট বিবাহ দিলাম।

بَاب مَا جَاءَ فِي الصَّدَاقِ وَالْحِبَاءِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَتْهُ امْرَأَةٌ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ وَهَبْتُ نَفْسِي لَكَ فَقَامَتْ قِيَامًا طَوِيلًا فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ زَوِّجْنِيهَا إِنْ لَمْ تَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ عِنْدَكَ مِنْ شَيْءٍ تُصْدِقُهَا إِيَّاهُ فَقَالَ مَا عِنْدِي إِلَّا إِزَارِي هَذَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ أَعْطَيْتَهَا إِيَّاهُ جَلَسْتَ لَا إِزَارَ لَكَ فَالْتَمِسْ شَيْئًا فَقَالَ مَا أَجِدُ شَيْئًا قَالَ الْتَمِسْ وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ فَالْتَمَسَ فَلَمْ يَجِدْ شَيْئًا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ شَيْءٌ فَقَالَ نَعَمْ مَعِي سُورَةُ كَذَا وَسُورَةُ كَذَا لِسُوَرٍ سَمَّاهَا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَنْكَحْتُكَهَا بِمَا مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ

حدثني يحيى عن مالك عن ابي حازم بن دينار عن سهل بن سعد الساعدي ان رسول الله صلى الله عليه وسلم جاءته امراة فقالت يا رسول الله اني قد وهبت نفسي لك فقامت قياما طويلا فقام رجل فقال يا رسول الله زوجنيها ان لم تكن لك بها حاجة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم هل عندك من شيء تصدقها اياه فقال ما عندي الا ازاري هذا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان اعطيتها اياه جلست لا ازار لك فالتمس شيىا فقال ما اجد شيىا قال التمس ولو خاتما من حديد فالتمس فلم يجد شيىا فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم هل معك من القران شيء فقال نعم معي سورة كذا وسورة كذا لسور سماها فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم قد انكحتكها بما معك من القران


Yahya related to me from Malik from Malik from Abu Hazim ibn Dinar from Sahl ibn Sad as-Saidi that a woman came to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and said, "Messenger of Allah! I have given myself to you." She stood for a long time, and then a man got up and said, "Messenger of Allah, marry her to me if you have no need of her." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Do you have anything to give her as a bride-price?" He said, "I possess only this lower garment of mine." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "If you give it to her you will not have a garment to wear so look for something else." He said, "I have nothing else." He said, "Look for something else, even if it is only an iron ring." He looked, and found that he had nothing. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Do you know any of the Qur'an?" He said, "Yes. I know such-and-such a sura and such-and-such a sura," which he named. The Messengerof Allah, may Allah bless him and grant him peace, said to him, "I have married her to you for what you know of the Qur'an."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১০৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. মহর ও উপঢৌকন

রেওয়ায়ত ৯. সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত—উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি এমন কোন মহিলাকে বিবাহ করিল যেই মহিলার পাগলামি, কুষ্ঠ ও শ্বেত রোগ রহিয়াছে, উক্ত ব্যক্তি সেই মহিলার সাথে সহবাস করিলে সে মহিলা পূর্ণ মোহরানার হকদার হইবে এবং উক্ত মহিলার অভিভাবকের উপর সেই মোহরানার অর্থদণ্ড বর্তাইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি উক্ত মহিলার অভিভাবক, যে তাহাকে বিবাহ দিয়াছে তাহার পিতা বা ভাই অথবা এমন কোন আত্মীয় হয়, যে মহিলার রোগের খবর জানে, তবে তাহার স্বামীকে মোহরানার অর্থ ফেরত দিতে হইবে। পক্ষান্তরে যদি উক্ত মহিলার অভিভাবক তাহার চাচাত ভাই অথবা তাহার আযাদকৃত গোলাম অথবা তাহার গোত্রের অন্য কোন লোক হয়, যাহার সম্পর্কে ধারণা করা যায় যে, সে তাহার রোগের খবর জানে না। তবে তাহার উপর অর্থদণ্ড বর্তাইবে না। উক্ত মহিলা মোহরানার নিম্নতম পরিমাণ অর্থ রাখিয়া মোহরানার অবশিষ্ট অংশ স্বামীকে ফেরত দিবে।

بَاب مَا جَاءَ فِي الصَّدَاقِ وَالْحِبَاءِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَيُّمَا رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةً وَبِهَا جُنُونٌ أَوْ جُذَامٌ أَوْ بَرَصٌ فَمَسَّهَا فَلَهَا صَدَاقُهَا كَامِلًا وَذَلِكَ لِزَوْجِهَا غُرْمٌ عَلَى وَلِيِّهَا
قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا يَكُونُ ذَلِكَ غُرْمًا عَلَى وَلِيِّهَا لِزَوْجِهَا إِذَا كَانَ وَلِيُّهَا الَّذِي أَنْكَحَهَا هُوَ أَبُوهَا أَوْ أَخُوهَا أَوْ مَنْ يُرَى أَنَّهُ يَعْلَمُ ذَلِكَ مِنْهَا فَأَمَّا إِذَا كَانَ وَلِيُّهَا الَّذِي أَنْكَحَهَا ابْنَ عَمٍّ أَوْ مَوْلًى أَوْ مِنْ الْعَشِيرَةِ مِمَّنْ يُرَى أَنَّهُ لَا يَعْلَمُ ذَلِكَ مِنْهَا فَلَيْسَ عَلَيْهِ غُرْمٌ وَتَرُدُّ تِلْكَ الْمَرْأَةُ مَا أَخَذَتْهُ مِنْ صَدَاقِهَا وَيَتْرُكُ لَهَا قَدْرَ مَا تُسْتَحَلُّ بِهِ

وحدثني عن مالك عن يحيى بن سعيد عن سعيد بن المسيب انه قال قال عمر بن الخطاب ايما رجل تزوج امراة وبها جنون او جذام او برص فمسها فلها صداقها كاملا وذلك لزوجها غرم على وليها قال مالك وانما يكون ذلك غرما على وليها لزوجها اذا كان وليها الذي انكحها هو ابوها او اخوها او من يرى انه يعلم ذلك منها فاما اذا كان وليها الذي انكحها ابن عم او مولى او من العشيرة ممن يرى انه لا يعلم ذلك منها فليس عليه غرم وترد تلك المراة ما اخذته من صداقها ويترك لها قدر ما تستحل به


Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that Said ibn al-Musayyab had said that Umar ibn al-Khattab said, "If a man marries a woman who is insane, or has leprosy or white leprosy, without being told of her condition by her guardian, and he has sexual relations with her, she keeps her bride-price in its entirety. Her husband has damages against her guardian."

Malik said, "The husband has damages against her guardian when the guardian is her father, brother, or one who is deemed to have knowledge of her condition. If the guardian who gives her in marriage is a nephew, a mawla or a member of her tribe who is not deemed to have knowledge of her condition, there are no damages against him, and the woman returns what she has taken of her bride-price, and the husband leaves her whatever amount is thought to be fair."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১০৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. মহর ও উপঢৌকন

রেওয়ায়ত ১০. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উবায়দুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-এর কন্যা আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ)-এর পুত্রের স্ত্রী ছিলেন এবং তাহার মাতা ছিলেন যায়দ ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর কন্যা। তাহার সহিত তলব সহবাসের পূর্বে তাহার স্বামীর মৃত্যু হইল। অথচ তাহার মহর ধার্যকৃত ছিল না। স্বামীর মৃত্যুর পর তাহার মাতা মোহরানা দাবি করিলেন। আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলিলেন, তিনি মহর পাইবেন না। যদি তাহার পাওনা থাকিত, তবে আমরা অবশ্যই দিতাম এবং তাহার হক আদায় করিতে কোন প্রকার ক্রটি করিতাম না। কন্যার মাতা এই কথা মানিলেন না। যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ) তাহাদের উভয়ের মীমাংসাকারী নিযুক্ত হইলেন। তিনি রায় দিলেন যে, কন্যা মোহরানা পাইবেন না। তিনি স্বামীর সম্পদে উত্তরাধিকারিণী হইবেন।

بَاب مَا جَاءَ فِي الصَّدَاقِ وَالْحِبَاءِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَةَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَأُمُّهَا بِنْتُ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ كَانَتْ تَحْتَ ابْنٍ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَمَاتَ وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا وَلَمْ يُسَمِّ لَهَا صَدَاقًا فَابْتَغَتْ أُمُّهَا صَدَاقَهَا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَيْسَ لَهَا صَدَاقٌ وَلَوْ كَانَ لَهَا صَدَاقٌ لَمْ نُمْسِكْهُ وَلَمْ نَظْلِمْهَا فَأَبَتْ أُمُّهَا أَنْ تَقْبَلَ ذَلِكَ فَجَعَلُوا بَيْنَهُمْ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَقَضَى أَنْ لَا صَدَاقَ لَهَا وَلَهَا الْمِيرَاثُ

وحدثني عن مالك عن نافع ان ابنة عبيد الله بن عمر وامها بنت زيد بن الخطاب كانت تحت ابن لعبد الله بن عمر فمات ولم يدخل بها ولم يسم لها صداقا فابتغت امها صداقها فقال عبد الله بن عمر ليس لها صداق ولو كان لها صداق لم نمسكه ولم نظلمها فابت امها ان تقبل ذلك فجعلوا بينهم زيد بن ثابت فقضى ان لا صداق لها ولها الميراث


Yahya related to me from Malik from Nafi that the daughter of Ubaydullah ibn Umar whose mother was the daughter of Zayd ibn al- Khattab, married the son of Abdullah ibn Umar. He died and had not yet consummated the marriage or specified her bride-price. Her mother wanted the bride-price, and Abdullah ibn Umar said, "She is not entitled to a bride-price. Had she been entitled to a bride-price, we would not have kept it and we would not do her an injustice. "The mother refused to accept that. Zayd ibn Thabit was brought to adjudicate between them and he decided that she had no bride-price, but that she did inherit.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১০৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. মহর ও উপঢৌকন

রেওয়ায়ত ১১. মালিক (রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) তাহার খিলাফতকালে জনৈক কর্মকর্তার নিকট এই মর্মে পত্র লিখিলেন যে, বিবাহ প্রদানকারী তিনি পিতা হউক বা অন্য কেহ স্বামীর নিকট হইতে কোন প্রকার উপঢৌকন বা সম্মানীর শর্ত করিয়া থাকিলে স্ত্রী দাবি করিলে সে উহা পাইবে।

মালিক (রহঃ) সেই মহিলা সম্পর্কে বলেন, যে মহিলাকে তাহার পিতা বিবাহ দিয়াছে এবং কন্যার মোহরানাতে কন্যার পিতা নিজের জন্য কিছু উপঢৌকনের শর্ত করিয়াছে। তবে যেই সব শর্তে বিবাহ সংঘটিত হইয়াছে, সেই সব প্রাপ্য হইবে কন্যার, যদি সে দাবি করে। আর যদি তাহার স্বামী সহবাসের পূর্বে তাহাকে তালাক দেয় তবে শর্তকৃত উপঢৌকন হইতে স্বামী অর্ধেক পাইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি তাহার অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্রকে বিবাহ দেয়, যে পুত্র কোন সম্পদের মালিক নয়। বিবাহ অনুষ্ঠানে যদি সে পুত্র সম্পদের মালিক না থাকে তবে মহর ওয়াজিব হইবে তাহার পিতার উপর। আর যদি পুত্র সম্পদের মালিক থাকে তবে পিতা স্বয়ং মহর-এর দায়িত্ব গ্রহণ না করিয়া থাকে তবে পুত্রের সম্পদ হইতে মহর আদায় করিতে হইবে। কেননা পুত্র পিতার কর্তৃত্বাধীন থাকিলে এবং পুত্র অপ্রাপ্ত বয়স্ক হইলে এই বিবাহ পুত্রের জন্য অপরিহার্য হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি সহবাসের পূর্বে তাহার কুমারী স্ত্রীকে তালাক দিল। কন্যার পিতা তাহার কন্যার অর্ধেক মহর মাফ করিয়া দিল। কন্যার পিতা যে পরিমাণ মহর মাফ করিয়া দিল সে পরিমাণ মহর না দেওয়া স্বামীর জন্য বৈধ হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ উপরিউক্ত মাস’আলার দলীল এই যে, আল্লাহ তা’আলা কুরআনুল করীমে ইরশাদ করিয়াছেন ‏(‏إِلاَّ أَنْ يَعْفُونَ‏) “যদি না স্ত্রী মাফ করিয়া দেয়।” ইহাতে ঐ সকল স্ত্রীলোকের কথা বলা হইয়াছে যাহাঁদের সহিত তাহাদের স্বামীগণ সহবাস করিয়াছে। (‏أَوْ يَعْفُوَ الَّذِي بِيَدِهِ عُقْدَةُ النِّكَاحِ‏) অথবা যাহার হাতে বিবাহ বন্ধন রহিয়াছে সে মাফ করিয়া দেয়।[1]

আয়াতে উল্লিখিত “যাহার হাতে বিবাহ বন্ধন রহিয়াছে” দ্বারা উদ্দেশ্য হইতেছে, কুমারী কন্যার পিতা এবং ক্রীতদাসীর মালিক যাহাদের হাতে বিবাহ বন্ধনের অধিকার রহিয়াছে।”

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে আমি এইরূপ শুনিয়াছি এবং আমাদের মদীনাবাসীর আমলও অনুরূপ।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহুদী অথবা খ্রিস্টান মহিলা ইহুদী অথবা খ্রিস্টান স্বামীর বিবাহ বন্ধনে থাকিলে এবং ইহুদী অথবা খ্রিস্টান মহিলা স্বামীর সহিত সহবাসের পূর্বে মুসলিম হইলে তবে মহর তাহদের প্রাপ্য হইবে না ।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ দীনার-এর এক-চতুর্থাংশের কম পরিমাণ মহর-এর বিনিময়ে মহিলাকে বিবাহ দেওয়া আমি বৈধ মনে করি না। এই পরিমাণই হইতেছে সর্বনিম্ন পরিমাণ, যাহাতে চোরের হাত কাটা হয়।

بَاب مَا جَاءَ فِي الصَّدَاقِ وَالْحِبَاءِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَتَبَ فِي خِلَافَتِهِ إِلَى بَعْضِ عُمَّالِهِ أَنَّ كُلَّ مَا اشْتَرَطَ الْمُنْكِحُ مَنْ كَانَ أَبًا أَوْ غَيْرَهُ مِنْ حِبَاءٍ أَوْ كَرَامَةٍ فَهُوَ لِلْمَرْأَةِ إِنْ ابْتَغَتْهُ قَالَ مَالِك فِي الْمَرْأَةِ يُنْكِحُهَا أَبُوهَا وَيَشْتَرِطُ فِي صَدَاقِهَا الْحِبَاءَ يُحْبَى بِهِ إِنَّ مَا كَانَ مِنْ شَرْطٍ يَقَعُ بِهِ النِّكَاحُ فَهُوَ لِابْنَتِهِ إِنْ ابْتَغَتْهُ وَإِنْ فَارَقَهَا زَوْجُهَا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا فَلِزَوْجِهَا شَطْرُ الْحِبَاءِ الَّذِي وَقَعَ بِهِ النِّكَاحُ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُزَوِّجُ ابْنَهُ صَغِيرًا لَا مَالَ لَهُ إِنَّ الصَّدَاقَ عَلَى أَبِيهِ إِذَا كَانَ الْغُلَامُ يَوْمَ تَزَوَّجَ لَا مَالَ لَهُ وَإِنْ كَانَ لِلْغُلَامِ مَالٌ فَالصَّدَاقُ فِي مَالِ الْغُلَامِ إِلَّا أَنْ يُسَمِّيَ الْأَبُ أَنَّ الصَّدَاقَ عَلَيْهِ وَذَلِكَ النِّكَاحُ ثَابِتٌ عَلَى الْابْنِ إِذَا كَانَ صَغِيرًا وَكَانَ فِي وِلَايَةِ أَبِيهِ قَالَ مَالِك فِي طَلَاقِ الرَّجُلِ امْرَأَتَهُ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا وَهِيَ بِكْرٌ فَيَعْفُو أَبُوهَا عَنْ نِصْفِ الصَّدَاقِ إِنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ لِزَوْجِهَا مِنْ أَبِيهَا فِيمَا وَضَعَ عَنْهُ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ فِي كِتَابِهِ إِلَّا أَنْ يَعْفُونَ فَهُنَّ النِّسَاءُ اللَّاتِي قَدْ دُخِلَ بِهِنَّ أَوْ يَعْفُوَ الَّذِي بِيَدِهِ عُقْدَةُ النِّكَاحِ فَهُوَ الْأَبُ فِي ابْنَتِهِ الْبِكْرِ وَالسَّيِّدُ فِي أَمَتِهِ قَالَ مَالِك وَهَذَا الَّذِي سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ وَالَّذِي عَلَيْهِ الْأَمْرُ عِنْدَنَا قَالَ مَالِك فِي الْيَهُودِيَّةِ أَوْ النَّصْرَانِيَّةِ تَحْتَ الْيَهُودِيِّ أَوْ النَّصْرَانِيِّ فَتُسْلِمُ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا إِنَّهُ لَا صَدَاقَ لَهَا قَالَ مَالِك لَا أَرَى أَنْ تُنْكَحَ الْمَرْأَةُ بِأَقَلَّ مِنْ رُبْعِ دِينَارٍ وَذَلِكَ أَدْنَى مَا يَجِبُ فِيهِ الْقَطْعُ

وحدثني عن مالك انه بلغه ان عمر بن عبد العزيز كتب في خلافته الى بعض عماله ان كل ما اشترط المنكح من كان ابا او غيره من حباء او كرامة فهو للمراة ان ابتغته قال مالك في المراة ينكحها ابوها ويشترط في صداقها الحباء يحبى به ان ما كان من شرط يقع به النكاح فهو لابنته ان ابتغته وان فارقها زوجها قبل ان يدخل بها فلزوجها شطر الحباء الذي وقع به النكاح قال مالك في الرجل يزوج ابنه صغيرا لا مال له ان الصداق على ابيه اذا كان الغلام يوم تزوج لا مال له وان كان للغلام مال فالصداق في مال الغلام الا ان يسمي الاب ان الصداق عليه وذلك النكاح ثابت على الابن اذا كان صغيرا وكان في ولاية ابيه قال مالك في طلاق الرجل امراته قبل ان يدخل بها وهي بكر فيعفو ابوها عن نصف الصداق ان ذلك جاىز لزوجها من ابيها فيما وضع عنه قال مالك وذلك ان الله تبارك وتعالى قال في كتابه الا ان يعفون فهن النساء اللاتي قد دخل بهن او يعفو الذي بيده عقدة النكاح فهو الاب في ابنته البكر والسيد في امته قال مالك وهذا الذي سمعت في ذلك والذي عليه الامر عندنا قال مالك في اليهودية او النصرانية تحت اليهودي او النصراني فتسلم قبل ان يدخل بها انه لا صداق لها قال مالك لا ارى ان تنكح المراة باقل من ربع دينار وذلك ادنى ما يجب فيه القطع


Yahya related to me from Malik that he had heard that Umar ibn Abd al-Aziz during his khalifate, wrote to one of his governors, "Whatever a father, or guardian, who gives someone in marriage, makes a condition in the way of unreturnable gift or of favour, belongs to the woman if she wants it."

Malik spoke about a woman whose father gave her in marriage and made an unreturnable gift a condition of the bride-price which was to be given. He said, "Whatever is given as a condition by which marriage occurs belongs to the woman if she wants it. If the husband parts from her before the marriage is consummated, the husband has half of the unreturnable gift by which the marriage occurred."

Malik said about a man who married off his young son and the son had no wealth at all, that the bride- price was obliged of the father if the young man had no property on the day of marriage. If the young man did have property the bride- price was taken from his property unless the father stipulated that he would pay the bride-price. The marriage was affirmed for the son if he was a minor only if he was under the guardianship of his father.

Malik said that if a man divorced his wife before he had consummated the marriage and she was a virgin, her father returned half of the bride-price to him. That half was permitted to the husband from the father to compensate him for his expenses.

Malik said that that was because Allah, the Blessed, the Exalted, said in His Book, "Unless they (women with whom he had not consummated marriage) make remission or he makes remission to him in whose hand is the knot of marriage." (Sura 2 ayat 237). (He being the father of a virgin daughter or the master of a female slave.)

Malik said, "That is what I have heard about the matter, and that is how things are done among us."

Malik said that a jewish or christian woman who was married to a jew or christian and then became muslim before the marriage had been consummated, did not keep anything from the bride-price.

Malik said, "I do not think that women should be married for less than a quarter of a dinar. That is the lowest amount for which cutting off the hand is obliged ."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১০৯

পরিচ্ছেদঃ ৪. পর্দা টাঙানো

রেওয়ায়ত ১২. সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) ফায়সালা দিয়াছেন যে, কোন মহিলাকে কোন পুরুষ বিবাহ করিলে এবং বিবাহের পর (স্বামী-স্ত্রী গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করার পর) পর্দা টাঙ্গান হইলে তবে স্বামীর উপর মহর ওয়াজিব হইবে।[1]

بَاب إِرْخَاءِ السُّتُورِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَضَى فِي الْمَرْأَةِ إِذَا تَزَوَّجَهَا الرَّجُلُ أَنَّهُ إِذَا أُرْخِيَتْ السُّتُورُ فَقَدْ وَجَبَ الصَّدَاقُ

حدثني يحيى عن مالك عن يحيى بن سعيد عن سعيد بن المسيب ان عمر بن الخطاب قضى في المراة اذا تزوجها الرجل انه اذا ارخيت الستور فقد وجب الصداق


Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said from Said ibn al-Musayyab that 'Umar ibn al-Khattab decided about the woman who was married by a man and the marriage had been consummated, that the bride-price was obligatory.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১১০

পরিচ্ছেদঃ ৪. পর্দা টাঙানো

রেওয়ায়ত ১৩. ইবন শিহাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ) বলিতেনঃ কোন ব্যক্তি তাহার স্ত্রীর নিকট প্রবেশ করার পর পর্দা টাঙ্গানো হইলে তাহার মহরানা ওয়াজিব হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) বলিতেন— কোন ব্যক্তি তাহার স্ত্রীর সহিত স্ত্রীর গৃহে মিলিত হইলে সঙ্গম সম্পর্কে স্বামীর কথাই সত্য বলিয়া গণ্য হইবে। আর যদি স্ত্রী স্বামীর গৃহে আগমন করে এবং মিলিত হয় সেই ক্ষেত্রে স্ত্রীর কথাই গ্রাহ্য করা হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমি মনে করি, উহা হইতেছে স্পর্শ করার ব্যাপার স্বামী স্ত্রীর গৃহে তাহার সহিত মিলিত হইলে তবে স্ত্রী যদি বলে, “সে আমাকে স্পর্শ (সহবাস) করিয়াছে” আর স্বামী বলে, “আমি তাহাকে স্পর্শ করি নাই।” এমতাবস্থায় স্বামীর দাবি বিশ্বাসযোগ্য হইবে। পক্ষান্তরে যদি স্ত্রী স্বামীর গৃহে মিলিত হয়, অতঃপর (সহবাসের ব্যাপারে) স্বামী দাবি করে, “আমি তাহাকে স্পর্শ করি নাই।” স্ত্রী দাবি করে, “আমাকে সে স্পর্শ করিয়াছে।” এই ক্ষেত্রে স্ত্রীর দাবি বিশ্বাসযোগ্য হইবে।

بَاب إِرْخَاءِ السُّتُورِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ كَانَ يَقُولُ إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بِامْرَأَتِهِ فَأُرْخِيَتْ عَلَيْهِمَا السُّتُورُ فَقَدْ وَجَبَ الصَّدَاقُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ كَانَ يَقُولُ إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بِالْمَرْأَةِ فِي بَيْتِهَا صُدِّقَ الرَّجُلُ عَلَيْهَا وَإِذَا دَخَلَتْ عَلَيْهِ فِي بَيْتِهِ صُدِّقَتْ عَلَيْهِ قَالَ مَالِك أَرَى ذَلِكَ فِي الْمَسِيسِ إِذَا دَخَلَ عَلَيْهَا فِي بَيْتِهَا فَقَالَتْ قَدْ مَسَّنِي وَقَالَ لَمْ أَمَسَّهَا صُدِّقَ عَلَيْهَا فَإِنْ دَخَلَتْ عَلَيْهِ فِي بَيْتِهِ فَقَالَ لَمْ أَمَسَّهَا وَقَالَتْ قَدْ مَسَّنِي صُدِّقَتْ عَلَيْهِ

وحدثني عن مالك عن ابن شهاب ان زيد بن ثابت كان يقول اذا دخل الرجل بامراته فارخيت عليهما الستور فقد وجب الصداق وحدثني عن مالك انه بلغه ان سعيد بن المسيب كان يقول اذا دخل الرجل بالمراة في بيتها صدق الرجل عليها واذا دخلت عليه في بيته صدقت عليه قال مالك ارى ذلك في المسيس اذا دخل عليها في بيتها فقالت قد مسني وقال لم امسها صدق عليها فان دخلت عليه في بيته فقال لم امسها وقالت قد مسني صدقت عليه


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that Zayd ibn Thabit said, "When a man takes his wife to his house and co-habits with her then the bride-price is obliged."

Yahya related to me from Malik that he had heard that Said ibn al-Musayyab said, "When a man comes to his wife in her room, he is believed. When she comes to him in his room, she is believed."

Malik commented, "I think that this refers to sexual intercourse. When he comes in to her in her room and she says, 'He has had intercourse with me' and he says, 'I have not touched her', he is believed. When she comes in to him in his room and he says, 'I have not had intercourse with her' and she says, 'He had intercourse with me', she is believed."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১১১

পরিচ্ছেদঃ ৫. আইয়্যেম ও বাকেরা-এর নিকট অবস্থান করা

রেওয়ায়ত ১৪. আবদুর রহমান ইবন হারিস ইবন হিশাম মাখযুমী (রহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (উম্মুল মু’মিনীন) উম্মে সালামাহ্ (রাঃ)-কে বিবাহ করেন এবং উম্মে সালামাই [রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট রাত্রি যাপন করিয়া] ফজর করিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাকে বলিলেনঃ “তোমার স্বামীর নিকট তোমার মর্যাদা কম নহে। তুমি ইচ্ছা করিলে আমি তোমার নিকট এক সপ্তাহ অবস্থান করিব এবং অন্যান্য স্ত্রীর নিকটও এক এক সপ্তাহ করিয়া অবস্থান করিব। আর যদি তুমি ইচ্ছা কর আমি তোমার নিকট তিনদিন অবস্থান করিব আর অন্যান্য স্ত্রীর নিকট পর্যায়ক্রমে অবস্থান করিব। উম্মে সালামাহ্ (রাঃ) বলিলেনঃ আমার নিকট তিনদিন অবস্থান করুন।

بَاب الْمَقَامِ عِنْدَ الْبِكْرِ وَالْأَيِّمِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ الْمَخْزُومِيِّ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ تَزَوَّجَ أُمَّ سَلَمَةَ وَأَصْبَحَتْ عِنْدَهُ قَالَ لَهَا لَيْسَ بِكِ عَلَى أَهْلِكِ هَوَانٌ إِنْ شِئْتِ سَبَّعْتُ عِنْدَكِ وَسَبَّعْتُ عِنْدَهُنَّ وَإِنْ شِئْتِ ثَلَّثْتُ عِنْدَكِ وَدُرْتُ فَقَالَتْ ثَلِّثْ

حدثني يحيى عن مالك عن عبد الله بن ابي بكر بن محمد بن عمرو بن حزم عن عبد الملك بن ابي بكر بن عبد الرحمن بن الحارث بن هشام المخزومي عن ابيه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم حين تزوج ام سلمة واصبحت عنده قال لها ليس بك على اهلك هوان ان شىت سبعت عندك وسبعت عندهن وان شىت ثلثت عندك ودرت فقالت ثلث


Yahya related to me from Malik from Abdullah ibn Abi Bakr ibn Muhammad ibn Amr ibn Hazm from Abd al-Malik ibn Abi Bakr ibn Abd ar- Rahman ibn al-Harith ibn Hisham al-Makhzumi from his father that when the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, married Umm Salama and then spent the night with her, he said to her, "You are not being humbled in your right. If you wish, I will stay with you for seven nights as I stayed seven nights with the others. If you wish, I will stay with you for three nights, and then visit the others in turn." She said, "Stay three nights."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১১২

পরিচ্ছেদঃ ৫. আইয়্যেম ও বাকেরা-এর নিকট অবস্থান করা

রেওয়ায়ত ১৫. হুমাইদ তাবীল (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আনাস ইবন মালিক (রাঃ) বলিতেনঃ (অবস্থানের হক) কুমারীর জন্য সাত দিন, আর অকুমারীর জন্য তিন দিন। মালিক (রহঃ) বলেন, মদীনাবাসীদের আমলও অনুরূপ।

মালিক (রহঃ) বলেন, নতুন স্ত্রী ব্যতীত যদি কোন ব্যক্তির স্ত্রী থাকে, তবে যে স্ত্রীকে (সদ্য) বিবাহ করিয়াছে সেই স্ত্রীর (নির্দিষ্ট বিশেষ) দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সেই উভয়ের মধ্যে সমান সমান পালা ভাগ করবে। আর (সদ্য) বিবাহিতা স্ত্রীর নিকট যে কয়দিন অবস্থান করিয়াছে পালা বন্টনের মধ্যে সেই দিনগুলি হিসাব করা হইবে না।

بَاب الْمَقَامِ عِنْدَ الْبِكْرِ وَالْأَيِّمِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لِلْبِكْرِ سَبْعٌ وَلِلثَّيِّبِ ثَلَاثٌ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا
قَالَ مَالِك فَإِنْ كَانَتْ لَهُ امْرَأَةٌ غَيْرُ الَّتِي تَزَوَّجَ فَإِنَّهُ يَقْسِمُ بَيْنَهُمَا بَعْدَ أَنْ تَمْضِيَ أَيَّامُ الَّتِي تَزَوَّجَ بِالسَّوَاءِ وَلَا يَحْسِبُ عَلَى الَّتِي تَزَوَّجَ مَا أَقَامَ عِنْدَهَا

وحدثني عن مالك عن حميد الطويل عن انس بن مالك انه كان يقول للبكر سبع وللثيب ثلاث قال مالك وذلك الامر عندنا قال مالك فان كانت له امراة غير التي تزوج فانه يقسم بينهما بعد ان تمضي ايام التي تزوج بالسواء ولا يحسب على التي تزوج ما اقام عندها


Yahya related to me from Malik from Humayd at-Tawil that Anas ibn Malik said, "A virgin has seven nights, and a woman who has been previously married has three nights."

Malik affirmed, "That is what is done among us."

Malik added, "If the man has another wife, he divides his time equally between them after the wedding nights. He does not count the wedding nights against the one he has just married."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১১৩

পরিচ্ছেদঃ ৬. বিবাহে যে সকল শর্ত বৈধ নহে

রেওয়ায়ত ১৬. মালিক (রহঃ) বলেন, তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল, কোন স্ত্রীলোক স্বামীর উপর এই শর্ত আরোপ করিয়াছে যে, স্বামী তাহাকে নিজ শহর হইতে বাহির করিবে না। উত্তরে সাঈদ ইবন মুসায়্যাব বললেনঃ স্বামী ইচ্ছা করিলে উহাকে তাহার শহরের বাহিরে নিতে পারিবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত এই, যদি বিবাহ বন্ধন স্থির করার সময় পুরুষ মহিলার জন্য এই শর্ত মানিয়া লয়, “আমি তোমার উপর অন্য বিবাহ করিব না-এবং কোন ক্রীতদাসীও রাখিব না”-এইরূপ শর্ত অর্থহীন। কিন্তু এইরূপ করিলে স্ত্রীর তালাক এবং ক্রীতদাসীর আযাদ হওয়ার কথা যুক্ত করা হয়, তবে সেই শর্ত স্বামীর উপর ওয়াজিব হইবে এবং (শর্ত লঙ্ঘন করিলে) তালাক ও আযাদী প্রযোজ্য হইবে।

بَاب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ الشُّرُوطِ فِي النِّكَاحِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ سُئِلَ عَنْ الْمَرْأَةِ تَشْتَرِطُ عَلَى زَوْجِهَا أَنَّهُ لَا يَخْرُجُ بِهَا مِنْ بَلَدِهَا فَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ يَخْرُجُ بِهَا إِنْ شَاءَ قَالَ مَالِك فَالْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ إِذَا شَرَطَ الرَّجُلُ لِلْمَرْأَةِ وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ عِنْدَ عُقْدَةِ النِّكَاحِ أَنْ لَا أَنْكِحَ عَلَيْكِ وَلَا أَتَسَرَّرَ إِنَّ ذَلِكَ لَيْسَ بِشَيْءٍ إِلَّا أَنْ يَكُونَ فِي ذَلِكَ يَمِينٌ بِطَلَاقٍ أَوْ عِتَاقَةٍ فَيَجِبُ ذَلِكَ عَلَيْهِ وَيَلْزَمُهُ

حدثني يحيى عن مالك انه بلغه ان سعيد بن المسيب سىل عن المراة تشترط على زوجها انه لا يخرج بها من بلدها فقال سعيد بن المسيب يخرج بها ان شاء قال مالك فالامر عندنا انه اذا شرط الرجل للمراة وان كان ذلك عند عقدة النكاح ان لا انكح عليك ولا اتسرر ان ذلك ليس بشيء الا ان يكون في ذلك يمين بطلاق او عتاقة فيجب ذلك عليه ويلزمه


Yahya related to me from Malik that he had heard that Said ibn al-Musayyab was asked about a woman who made a stipulation on her husband not to take her away from her town. Said ibn al-Musayyab said, "He takes her away if he wishes."

Malik said, "The custom among us is that when a man marries a woman, and he makes a condition in the marriage contract that he will not marry after her or take a concubine, it means nothing unless there is an oath of divorce or setting-free attached to it. Then it is obliged and required of him."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১১৪

পরিচ্ছেদঃ ৭. মুহাল্লিল এর বিবাহ এবং এই জাতীয় অন্যান্য বিবাহ

রেওয়ায়ত ১৭. যুবাইর ইবন আবদুর রহমান ইবন যবীর (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রিফা’আ ইবন সিমওয়াল (রহঃ) তাহার স্ত্রী তামীম বিনতে ওয়াহবকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের সময়ে তিন তালাক দিলেন। অতঃপর তামীম আবদুর রহমান ইবন যীরকে বিবাহ করিলেন। কিন্তু তাহার সহিত মিলিত হইতে বিপত্তি ঘটিল যদ্দরুন আবদুর রহমান তাহাকে স্পর্শ করিতে পারিল না। তাই তিনি তামীমাকে ত্যাগ করিলেন। অতঃপর রিফা’আ তাহাকে বিবাহ করিতে ইচ্ছা করিলেন। এই রিফা’আ তাহার প্রথম স্বামী যিনি তাহাকে তালাক দিয়াছিলেন। রিফা’আ এই বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের নিকট উত্থাপন করিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তামীমাকে বিবাহ করিতে তাহাকে নিষেধ করিলেন এবং বলিলেন لاَ تَحِلُّ لَكَ حَتَّى تَذُوقَ الْعُسَيْلَةَ “(অন্য স্বামী) সহবাস না করা পর্যন্ত তামীমা তোমার জন্য হালাল হইবে না।”

بَاب نِكَاحِ الْمُحَلِّلِ وَمَا أَشْبَهَهُ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ الْمِسْوَرِ بْنِ رِفَاعَةَ الْقُرَظِيِّ عَنْ الزُّبَيْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الزَّبِيرِ أَنَّ رِفَاعَةَ بْنَ سِمْوَالٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ تَمِيمَةَ بِنْتَ وَهْبٍ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثًا فَنَكَحَتْ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الزَّبِيرِ فَاعْتَرَضَ عَنْهَا فَلَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يَمَسَّهَا فَفَارَقَهَا فَأَرَادَ رِفَاعَةُ أَنْ يَنْكِحَهَا وَهُوَ زَوْجُهَا الْأَوَّلُ الَّذِي كَانَ طَلَّقَهَا فَذَكَرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَهَاهُ عَنْ تَزْوِيجِهَا وَقَالَ لَا تَحِلُّ لَكَ حَتَّى تَذُوقَ الْعُسَيْلَةَ

حدثني يحيى عن مالك عن المسور بن رفاعة القرظي عن الزبير بن عبد الرحمن بن الزبير ان رفاعة بن سموال طلق امراته تميمة بنت وهب في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم ثلاثا فنكحت عبد الرحمن بن الزبير فاعترض عنها فلم يستطع ان يمسها ففارقها فاراد رفاعة ان ينكحها وهو زوجها الاول الذي كان طلقها فذكر ذلك لرسول الله صلى الله عليه وسلم فنهاه عن تزويجها وقال لا تحل لك حتى تذوق العسيلة


Yahya related to me from Malik from al-Miswar ibn Rifaa al- Quradhi from az-Zubayr ibn Abd ar-Rahman ibn az-Zubayr that Rifaa ibn Simwal divorced his wife, Tamima bint Wahb, in the time of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, three times. Then she married Abd ar-Rahman ibn az-Zubayr and he turned from her and could not consummate the marriage and so he parted from her. Rifaa wanted to marry her again and it was mentioned to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and he forbade him to marry her. He said, "She is not halal for you until she has tasted the sweetness of intercourse."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১১৫

পরিচ্ছেদঃ ৭. মুহাল্লিল এর বিবাহ এবং এই জাতীয় অন্যান্য বিবাহ

রেওয়ায়ত ১৮. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তাহার নিকট প্রশ্ন করা হইল এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে যে তাহার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়াছে। তারপর তাহাকে অন্য এক ব্যক্তি বিবাহ করিয়াছে। কিন্তু সে তাহাকে স্পর্শ (সহবাস) করার পূর্বেই তালাক দিয়াছে। এই অবস্থাতে প্রথম স্বামীর জন্য তাহাকে পুনরায় বিবাহ বৈধ হবে কি? আয়েশা (রাঃ) বলিলেনঃ না, তাহাকে স্পর্শ (সহবাস) না করা পর্যন্ত বৈধ হবে না।

بَاب نِكَاحِ الْمُحَلِّلِ وَمَا أَشْبَهَهُ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا سُئِلَتْ عَنْ رَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ الْبَتَّةَ فَتَزَوَّجَهَا بَعْدَهُ رَجُلٌ آخَرُ فَطَلَّقَهَا قَبْلَ أَنْ يَمَسَّهَا هَلْ يَصْلُحُ لِزَوْجِهَا الْأَوَّلِ أَنْ يَتَزَوَّجَهَا فَقَالَتْ عَائِشَةُ لَا حَتَّى يَذُوقَ عُسَيْلَتَهَا

وحدثني عن مالك عن يحيى بن سعيد عن القاسم بن محمد عن عاىشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم انها سىلت عن رجل طلق امراته البتة فتزوجها بعده رجل اخر فطلقها قبل ان يمسها هل يصلح لزوجها الاول ان يتزوجها فقالت عاىشة لا حتى يذوق عسيلتها


Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said from al-Qasim ibn Muhammad that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said when asked whether it was permissible for a man to marry again a wife he had divorced irrevocably if she had married another man who divorced her before consummating the marriage, "Not until she has tasted the sweetness of intercourse."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১১৬

পরিচ্ছেদঃ ৭. মুহাল্লিল এর বিবাহ এবং এই জাতীয় অন্যান্য বিবাহ

রেওয়ায়ত ১৯. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, কাশেম ইবন মুহাম্মদ (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল, যে ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে তিন তালাক দিল, ইহার পর অন্য এক ব্যক্তি তাহাকে বিবাহ করিল। স্ত্রীকে স্পর্শ করার পূর্বেই সে ব্যক্তির মৃত্যু হইল। এইরূপ অবস্থাতে তাহার প্রথম স্বামীর পক্ষে তাহাকে পুনরায় গ্রহণ করা হালাল হইবে কি? কাশেম ইবন মুহাম্মদ বলিলেনঃ প্রথম স্বামীর পক্ষে সেই স্ত্রীকে পুনরায় গ্রহণ করা হালাল হইবে না।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ পূর্ব স্বামী যে স্ত্রীকে তালাক দিয়াছে সেই স্বামীর জন্য স্ত্রীকে হালাল করার উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তি বিবাহ করিবে তাহার সেই বিবাহ ভাঙ্গিয়া দেওয়া হইবে। এবং (হালাল করার নিয়ত ছাড়া) নূতনভাবে দ্বিতীয়বার বিবাহ করিবে। কিন্তু (উপরিউক্ত অবৈধ বিবাহে) যদি সে স্ত্রীর সহিত সহবাস করিয়া থাকে তবে স্ত্রী মহর পাইবে।

بَاب نِكَاحِ الْمُحَلِّلِ وَمَا أَشْبَهَهُ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ الْبَتَّةَ ثُمَّ تَزَوَّجَهَا بَعْدَهُ رَجُلٌ آخَرُ فَمَاتَ عَنْهَا قَبْلَ أَنْ يَمَسَّهَا هَلْ يَحِلُّ لِزَوْجِهَا الْأَوَّلِ أَنْ يُرَاجِعَهَا فَقَالَ الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ لَا يَحِلُّ لِزَوْجِهَا الْأَوَّلِ أَنْ يُرَاجِعَهَا قَالَ مَالِك فِي الْمُحَلِّلِ إِنَّهُ لَا يُقِيمُ عَلَى نِكَاحِهِ ذَلِكَ حَتَّى يَسْتَقْبِلَ نِكَاحًا جَدِيدًا فَإِنْ أَصَابَهَا فِي ذَلِكَ فَلَهَا مَهْرُهَا

وحدثني عن مالك انه بلغه ان القاسم بن محمد سىل عن رجل طلق امراته البتة ثم تزوجها بعده رجل اخر فمات عنها قبل ان يمسها هل يحل لزوجها الاول ان يراجعها فقال القاسم بن محمد لا يحل لزوجها الاول ان يراجعها قال مالك في المحلل انه لا يقيم على نكاحه ذلك حتى يستقبل نكاحا جديدا فان اصابها في ذلك فلها مهرها


Yahya related to me from Malik that he had heard that when asked whether it was permissible for a man to return to his wife if he had divorced her irrevocably and then another man had married her after him and died before consummating the marriage, al-Qasim ibn Muhammad said, "It is not halal for the first husband to return to her."

Malik said, about the muhallil, that he could not remain in the marriage until he undertook a new marriage. If he had intercourse with her in that marriage, she had her dowry.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
১১১৭

পরিচ্ছেদঃ ৮. যে মহিলাকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ করা বৈধ নহে

রেওয়ায়ত ২০. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ কোন নারীকে তাহার ফুফুর সহিত এবং কোন নারীকে তাহার খালার সহিত বিবাহে একত্র করা যাইবে না অর্থাৎ একই পুরুষ এইরূপ দুই নারীকে এক সঙ্গে দুই স্ত্রীরূপে গ্রহণ করিবে না।

بَاب مَا لَا يُجْمَعُ بَيْنَهُ مِنْ النِّسَاءِ

وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يُجْمَعُ بَيْنَ الْمَرْأَةِ وَعَمَّتِهَا وَلَا بَيْنَ الْمَرْأَةِ وَخَالَتِهَا

وحدثني يحيى عن مالك عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا يجمع بين المراة وعمتها ولا بين المراة وخالتها


Yahya related to me from Malik from Abu'z-Zinad from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said "One cannot be married to a woman and her paternal aunt, or a woman and her maternal aunt at the same time."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح) 28/ Marriage
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »