মুয়াত্তা মালিক ১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة )

পরিচ্ছেদঃ ১ : পাঁচ ওয়াক্তের সময়

রেওয়ায়ত ১. ইবন শিহাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) একদিন নামায বিলম্বে পড়িলেন। উরওয়াহ ইবন যুবায়র (রাঃ) তাহার নিকট আসিয়া খবর দিলেন যে, মুগীরা ইবন শু’বা যখন কূফায় ছিলেন তখন তিনি একদিন নামায বিলম্বে পড়িলেন। তারপর আবূ মাসউদ আনসারী (রহঃ) তাহার নিকট আসিয়া বলিলেনঃ মুগীরা এই বিলম্ব কেন? আপনার জানা নাই কি জিবরীল (আঃ) অবতরণ করিলেন, অতঃপর নামায পড়িলেন? (তাহার সাথে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও নামায পড়লেন, অতঃপর জিবরীল (আঃ) নামায পড়িলেন, (তাহার সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও নামায পড়লেন, জিবরীল (আঃ) নামায পড়লেন, (তাহার সাথে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও নামায পড়লেন, তারপর জিবরীল (আঃ) নামায পড়িলেন, (তাহার সাথে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও নামায পড়িলেন। তারপর জিবরীল (আঃ) নামায পড়লেন, (তাহার সাথে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও নামায পড়িলেন। তারপর বললেনঃ আপনার প্রতি ইহারই (এইভাবে নামায আদায় করার) নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে।

উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) বলিলেনঃ উরওয়াহ! তুমি কি বর্ণনা করিতেছ ভাবিয়া দেখ। জিবরীল (আঃ)-ই কি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য নামাযের সময় ঠিক করিয়াছেন? উরওয়াহ বলিলেনঃ বশীর ইবনে আবূ মাসউদ আনসারী তাহার পিতা হইতে এইরূপ হাদীস বর্ণনা করিতেন।

قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثِيُّ عَنْ مَالِك بْن أَنَس عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَخَّرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا فَدَخَلَ عَلَيْهِ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ أَخَّرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا وَهُوَ بِالْكُوفَةِ فَدَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيُّ فَقَالَ مَا هَذَا يَا مُغِيرَةُ أَلَيْسَ قَدْ عَلِمْتَ أَنَّ جِبْرِيلَ نَزَلَ فَصَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ بِهَذَا أُمِرْتُ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ اعْلَمْ مَا تُحَدِّثُ بِهِ يَا عُرْوَةُ أَوَ إِنَّ جِبْرِيلَ هُوَ الَّذِي أَقَامَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقْتَ الصَّلَاةِ قَالَ عُرْوَةُ كَذَلِكَ كَانَ بَشِيرُ بْنُ أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيُّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ

قال حدثني الليثي عن مالك بن انس عن ابن شهاب ان عمر بن عبد العزيز اخر الصلاة يوما فدخل عليه عروة بن الزبير فاخبره ان المغيرة بن شعبة اخر الصلاة يوما وهو بالكوفة فدخل عليه ابو مسعود الانصاري فقال ما هذا يا مغيرة اليس قد علمت ان جبريل نزل فصلى فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم صلى فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم صلى فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم صلى فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم صلى فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم قال بهذا امرت فقال عمر بن عبد العزيز اعلم ما تحدث به يا عروة او ان جبريل هو الذي اقام لرسول الله صلى الله عليه وسلم وقت الصلاة قال عروة كذلك كان بشير بن ابي مسعود الانصاري يحدث عن ابيه


He said, "Yahya ibn Yahya al-Laythi related to me from Malik ibn Anas from Ibn Shihab that one day Umar ibn Abdal-Aziz delayed the prayer. Urwa ibn az-Zubayr came and told him that al-Mughira ibn Shuba had delayed the prayer one day while he was in Kufa and Abu Masud al- Ansari had come to him and said, 'What's this, Mughira? Don't you know that the angel Jibril came down and prayed and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, prayed.' Then he prayed again, and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, prayed. Then he prayed again, and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, prayed. Then he prayed again, and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, prayed. Then he prayed again, and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, prayed. Then Jibril said, 'This is what you have been ordered to do.' Umar ibn Abd al-Aziz said, 'Be sure of what you relate, Urwa. Was it definitely Jibril who established the time of the prayer for the Messenger of Allah?' " Urwa said, "That's how it was related to Bashir ibn Abi Masud al-Ansari by his father."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer

পরিচ্ছেদঃ ১ : পাঁচ ওয়াক্তের সময়

রেওয়ায়ত ২. উরওয়াহ (রহঃ) বলিলেনঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করিয়াছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আসর পড়িতেন তখনও সূর্যের আলো আয়েশার হুজরাতে থাকিত, আলো ঘরের মেঝে হইতে প্রাচীরে উঠার পূর্বে।

قَالَ عُرْوَةُ وَلَقَدْ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا قَبْلَ أَنْ تَظْهَرَ

قال عروة ولقد حدثتني عاىشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يصلي العصر والشمس في حجرتها قبل ان تظهر


Urwa said that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace used to pray asr while the sunlight was pouring into her room, before the sun itself had become visible (i.e. because it was still high in the sky).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer

পরিচ্ছেদঃ ১ : পাঁচ ওয়াক্তের সময়

রেওয়ায়ত ৩. আতা ইবন ইয়াসার (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসিল এবং ফজর নামাযের সময় সম্পর্কে প্রশ্ন করিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই লোকের প্রশ্নের উত্তরদানে বিরত রহিলেন । দ্বিতীয় দিন ফজর (সূবহ-এ সাদিক) হইলে পর তিনি ফজরের নামায পড়িলেন। তারপরের দিন ফজর পড়িলেন (ভোরের আলো) পূর্ণাঙ্গ প্রকাশিত হওয়ার পর। অতঃপর তিনি বলিলেনঃ নামাযের সময় সম্পর্কে প্রশ্নকারী কোথায়? (সেইলোক) বলিলঃ আমিই সেই ব্যক্তি ইয়া রাসূলাল্লাহ। তিনি বলিলেনঃ এতদুভয়ের মধ্যবর্তী মুহুর্তগুলিই ফজর নামাযের সময়।

وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ عَنْ وَقْتِ صَلَاةِ الصُّبْحِ قَالَ فَسَكَتَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ الْغَدِ صَلَّى الصُّبْحَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ ثُمَّ صَلَّى الصُّبْحَ مِنْ الْغَدِ بَعْدَ أَنْ أَسْفَرَ ثُمَّ قَالَ أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ وَقْتِ الصَّلَاةِ قَالَ هَأَنَذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ مَا بَيْنَ هَذَيْنِ وَقْتٌ

وحدثني يحيى عن مالك عن زيد بن اسلم عن عطاء بن يسار انه قال جاء رجل الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فساله عن وقت صلاة الصبح قال فسكت عنه رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى اذا كان من الغد صلى الصبح حين طلع الفجر ثم صلى الصبح من الغد بعد ان اسفر ثم قال اين الساىل عن وقت الصلاة قال هانذا يا رسول الله فقال ما بين هذين وقت


Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam that Ata ibn Yasar said, "A man came to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and asked him about the time of the subh prayer. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, did not answer him, but in the morning he prayed subh at first light. The following morning he prayed subh when it was much lighter, and then said, 'Where is the man who was asking about the time of the prayer?' The man replied, 'Here I am, Messenger of Allah.' He said,'The time is between these two.' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer

পরিচ্ছেদঃ ১ : পাঁচ ওয়াক্তের সময়

রেওয়ায়ত ৪. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফজর পড়িতেন তখন মেয়েলোকেরা নামায আদায়ের পর তাহদের চাদর মুড়ি দিয়া (ঘরের দিকে) ফিরিতেন, অন্ধকারের জন্য তাহাদিগকে চেনা যাইত না।

وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيُصَلِّي الصُّبْحَ فَيَنْصَرِفُ النِّسَاءُ مُتَلَفِّعَاتٍ بِمُرُوطِهِنَّ مَا يُعْرَفْنَ مِنْ الْغَلَسِ

وحدثني يحيى عن مالك عن يحيى بن سعيد عن عمرة بنت عبد الرحمن عن عاىشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم انها قالت ان كان رسول الله صلى الله عليه وسلم ليصلي الصبح فينصرف النساء متلفعات بمروطهن ما يعرفن من الغلس


Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said from Amra bint Abd ar-Rahman that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to pray subh and the women would leave wrapped in their garments and they could not yet be recognised in the darkness."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer

পরিচ্ছেদঃ ১ : পাঁচ ওয়াক্তের সময়

রেওয়ায়ত ৫. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি সূর্য ওঠার পূর্বে ফজরের এক রাকাত পাইয়াছে সে ফজর নামায পাইয়াছে। আর যে ব্যক্তি সূর্য ডুবার পূর্বে আসরের এক রাকাত পাইয়াছে সে আসর পাইয়াছে।

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ وَعَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ وَعَنْ الْأَعْرَجِ كُلُّهُمْ يُحَدِّثُونَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ الصُّبْحِ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَقَدْ أَدْرَكَ الصُّبْحَ وَمَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ الْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَقَدْ أَدْرَكَ الْعَصْرَ

وحدثني عن مالك عن زيد بن اسلم عن عطاء بن يسار وعن بسر بن سعيد وعن الاعرج كلهم يحدثونه عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من ادرك ركعة من الصبح قبل ان تطلع الشمس فقد ادرك الصبح ومن ادرك ركعة من العصر قبل ان تغرب الشمس فقد ادرك العصر


Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam from Ata ibn Yasar and from Busr ibn Said and from al-Araj-all of whom related it from Abu Hurayra - that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Whoever manages to do a raka of subh before the sun has risen has done subh in time, and whoever manages to do a raka of asr before the sun has set has done asr in time."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer

পরিচ্ছেদঃ ১ : পাঁচ ওয়াক্তের সময়

রেওয়ায়ত ৬. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) তাহার (অধীনস্থ) কর্মকর্তাদের নিকট লিখিয়াছেনঃ আমার মতে তোমাদের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হইতেছে নামায, তাই যে উহার রক্ষণাবেক্ষণ করিল এবং (নিষ্ঠার সহিত) বরাবর আঞ্জাম দিল সে নিজের দীনের হিফাজত করিল, আর যে নামাযকে নষ্ট করিল, সে নামায ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় দীনি কাজেরও অধিক নষ্টকারী হইবে। তিনি আরও লিখিলেনঃ তোমরা যোহরের নামায পড়িও যখন ফাই (সূর্য পশ্চিমে হেলিয়া পড়ার পর যে ছায়া হয় তাহা) এক হাত হয়। এই নামাযের সময় তোমাদের প্রত্যেকের ছায়া তাহার সমপরিমাণ হওয়া পর্যন্ত। আর আসরের নামায পড়িও যখন সূর্য উর্ধ্বে উজ্জ্বল ও পরিচ্ছন্ন থাকে। (সেই সময় হইতে) সূর্যাস্তের পূর্বে সওয়ারী ব্যক্তি দুই অথবা তিন ফরসখ চলিতে পারে এতটুকু সময় পর্যন্ত। আর মাগরিব পড়িও যখন সূর্য ডুবিয়া যায়, আর ইশা পড়িও (শফক) (شفق) অদৃশ্য হওয়ার পর হইতে এক-তৃতীয়াংশ রাত পর্যন্ত। আর যে (ঈশা না পড়িয়া) নিদ্রা যায় তাহার চক্ষুর যেন নিদ্রা নসিব না হয়, আর যে নিদ্রা যায় তাহার চক্ষুর যেন নিদ্রা নসিব না হয়, আর যে নিদ্রা যায় তাহার চক্ষুর যেন নিদ্রা নসিব না হয়। আর ফজর (পড়িও) যখন নক্ষত্রসমূহ পরিষ্কারভাবে প্রকাশিত হয় এবং পরস্পর খাপিয়া যায়।

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، كَتَبَ إِلَى عُمَّالِهِ إِنَّ أَهَمَّ أَمْرِكُمْ عِنْدِي الصَّلاَةُ فَمَنْ حَفِظَهَا وَحَافَظَ عَلَيْهَا حَفِظَ دِينَهُ وَمَنْ ضَيَّعَهَا فَهُوَ لِمَا سِوَاهَا أَضْيَعُ ‏.‏ ثُمَّ كَتَبَ أَنْ صَلُّوا الظُّهْرَ إِذَا كَانَ الْفَىْءُ ذِرَاعًا إِلَى أَنْ يَكُونَ ظِلُّ أَحَدِكُمْ مِثْلَهُ وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ قَدْرَ مَا يَسِيرُ الرَّاكِبُ فَرْسَخَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ وَالْمَغْرِبَ إِذَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَالْعِشَاءَ إِذَا غَابَ الشَّفَقُ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ فَمَنْ نَامَ فَلاَ نَامَتْ عَيْنُهُ فَمَنْ نَامَ فَلاَ نَامَتْ عَيْنُهُ فَمَنْ نَامَ فَلاَ نَامَتْ عَيْنُهُ وَالصَّبْحَ وَالنُّجُومُ بَادِيَةٌ مُشْتَبِكَةٌ

وحدثني عن مالك، عن نافع، مولى عبد الله بن عمر ان عمر بن الخطاب، كتب الى عماله ان اهم امركم عندي الصلاة فمن حفظها وحافظ عليها حفظ دينه ومن ضيعها فهو لما سواها اضيع ‏.‏ ثم كتب ان صلوا الظهر اذا كان الفىء ذراعا الى ان يكون ظل احدكم مثله والعصر والشمس مرتفعة بيضاء نقية قدر ما يسير الراكب فرسخين او ثلاثة قبل غروب الشمس والمغرب اذا غربت الشمس والعشاء اذا غاب الشفق الى ثلث الليل فمن نام فلا نامت عينه فمن نام فلا نامت عينه فمن نام فلا نامت عينه والصبح والنجوم بادية مشتبكة


Yahya related to me from Malik from Nafi', the mawla of Abdullah ibn Umar, that Umar ibn al-Khattab wrote to his governors saying, "The most important of your affairs in my view is the prayer. Whoever protects it and observes it carefully is protecting his deen, while whoever is negligent about it will be even more negligent about other things." Then he added, "Pray dhuhr any time from when the afternoon shade is the length of your forearm until the length of your shadow matches your height. Pray asr when the sun is still pure white, so that a rider can travel two or three farsakhs before the sun sets. Pray maghrib when the sun has set. Pray isha any time from when the redness in the western sky has disappeared until a third of the night has passed - and a person who sleeps, may he have no rest, a person who sleeps, may he have no rest. And pray subh when all the stars are visible and like a haze in the sky."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer

পরিচ্ছেদঃ ১ : পাঁচ ওয়াক্তের সময়

রেওয়ায়ত ৭. মালিক ইবন আসবাহী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ)-এর নিকট (পত্র) লিখিয়াছেনঃ সূর্য ঢলিয়া পড়িলে পর তুমি যোহর পড়, আর আসর পড় যখন সূর্য উজ্জ্বল ও পরিচ্ছন্ন থাকে, উহাতে হলুদ বর্ণ প্রকাশ হওয়ার পূর্বে। সূর্যাস্তের পর মাগরিব পড়। আর ইশা পড় নিদ্রার পূর্বে। আর নক্ষত্রসমূহ যখন (ফজরের আলোতে) উদ্ভাসিত হয় এবং একে অপরের সহিত খপিয়া যায় তখন ফজর পড়। আর ফজর নামাযে মুফাছছল (مفصل) হইতে দুইটি দীর্ঘ সূরা পাঠ কর।

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، كَتَبَ إِلَى أَبِي مُوسَى أَنْ صَلِّ الظُّهْرَ، إِذَا زَاغَتِ الشَّمْسُ وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَهَا صُفْرَةٌ وَالْمَغْرِبَ إِذَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَأَخِّرِ الْعِشَاءَ مَا لَمْ تَنَمْ وَصَلِّ الصُّبْحَ وَالنُّجُومُ بَادِيَةٌ مُشْتَبِكَةٌ وَاقْرَأْ فِيهَا بِسُورَتَيْنِ طَوِيلَتَيْنِ مِنَ الْمُفَصَّلِ

وحدثني عن مالك، عن عمه ابي سهيل، عن ابيه، ان عمر بن الخطاب، كتب الى ابي موسى ان صل الظهر، اذا زاغت الشمس والعصر والشمس بيضاء نقية قبل ان يدخلها صفرة والمغرب اذا غربت الشمس واخر العشاء ما لم تنم وصل الصبح والنجوم بادية مشتبكة واقرا فيها بسورتين طويلتين من المفصل


Yahya related to me from Malik, from his uncle Abu Suhayl from his father that Umar ibn al-Khattab wrote to Abu Musa saying that he should pray dhuhr when the sun had started to decline, asr when the sun was still pure white before any yellowness had entered it maghrib when the sun had set, and to delay isha as long as he did not sleep, and to pray subh when the stars were all visible and like a haze in the sky and to read in it two long suras from the mufassal.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer

পরিচ্ছেদঃ ১ : পাঁচ ওয়াক্তের সময়

রেওয়ায়ত ৮. উরওয়া ইবন যুবায়র (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ)-এর নিকট লিখিয়াছেনঃ তুমি আসর পড়িও যখন সূর্য উজ্জ্বল ও পরিষ্কার থাকে; আরোহী তিন ফরসখ পথ চলিতে পারে সেই পরিমাণ সময় পর্যন্ত। আর ইশা পড় তোমার সম্মুখে যখন ইশা উপস্থিত হয় সেই সময় হইতে এক-তৃতীয়াংশ রাত্রি পর্যন্ত। যদি তুমি আরও বিলম্ব কর তবে অর্ধরাত্রি পর্যন্ত করিও। তবে তুমি অলসদের অন্তর্ভুক্ত হইও না।

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، كَتَبَ إِلَى أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ أَنْ صَلِّ الْعَصْرَ، وَالشَّمْسُ، بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ قَدْرَ مَا يَسِيرُ الرَّاكِبُ ثَلاَثَةَ فَرَاسِخَ وَأَنْ صَلِّ الْعِشَاءَ مَا بَيْنَكَ وَبَيْنَ ثُلُثِ اللَّيْلِ فَإِنْ أَخَّرْتَ فَإِلَى شَطْرِ اللَّيْلِ وَلاَ تَكُنْ مِنَ الْغَافِلِينَ

وحدثني عن مالك، عن هشام بن عروة، عن ابيه، ان عمر بن الخطاب، كتب الى ابي موسى الاشعري ان صل العصر، والشمس، بيضاء نقية قدر ما يسير الراكب ثلاثة فراسخ وان صل العشاء ما بينك وبين ثلث الليل فان اخرت فالى شطر الليل ولا تكن من الغافلين


Yahya related to me from Malik from Hisham ibn Urwa from his father that Umar ibn al-Khattab wrote to Abu Musa al-Ashari that he should pray asr when the sun was still pure white so that a man could ride three farsakhs (before maghrib) and that he should pray Isha during the first third of the night, or, if he delayed it, then up until the middle of the night, and he warned him not to be forgetful.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer

পরিচ্ছেদঃ ১ : পাঁচ ওয়াক্তের সময়

রেওয়ায়ত ৯. আবদুল্লাহ্ ইবন রাফি (রহঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর নিকট নামাযের সময় সম্পর্কে প্রশ্ন করিলেন। উত্তরে আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলিলেনঃ আমি তোমাকে নামাযের সময়ের সংবাদ দিব, যোহর পড় যখন তোমার ছায়া তোমার সমপরিমাণ হয়। আর আসর পড় যখন তোমার ছায়া তোমার দ্বিগুণ হয়। মাগরিব পড় যখন সূর্য অস্ত যায়। আর ইশা পড় তোমার সম্মুখ (অর্থাৎ তোমার সামনে উপস্থিত ইশার প্রথম সময়) হইতে এক তৃতীয়াংশ রাত্রি পর্যন্ত। আর ফজর পড় গাবস অর্থাৎ গলসে-রাত্রির অন্ধকার কিছুটা অবশিষ্ট থাকিতে।

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعٍ، مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا هُرَيْرَةَ عَنْ وَقْتِ الصَّلاَةِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَا أُخْبِرُكَ صَلِّ الظُّهْرَ إِذَا كَانَ ظِلُّكَ مِثْلَكَ وَالْعَصْرَ إِذَا كَانَ ظِلُّكَ مِثْلَيْكَ وَالْمَغْرِبَ إِذَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَالْعِشَاءَ مَا بَيْنَكَ وَبَيْنَ ثُلُثِ اللَّيْلِ وَصَلِّ الصُّبْحَ بِغَبَشٍ ‏.‏ يَعْنِي الْغَلَسَ

وحدثني عن مالك، عن يزيد بن زياد، عن عبد الله بن رافع، مولى ام سلمة زوج النبي صلى الله عليه وسلم انه سال ابا هريرة عن وقت الصلاة فقال ابو هريرة انا اخبرك صل الظهر اذا كان ظلك مثلك والعصر اذا كان ظلك مثليك والمغرب اذا غربت الشمس والعشاء ما بينك وبين ثلث الليل وصل الصبح بغبش ‏.‏ يعني الغلس


Yahya related to me from Malik from Yazid ibn Ziyad that Abdullah ibn Rafi, the mawla of Umm Salama, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, asked Abu Hurayra about the time of the prayer. Abu Hurayra said, "Let me tell you. Pray dhuhr when the length of your shadow matches your height, asr when your shadow is twice your height, maghrib when the sun has set, isha in the first third of the night, and subh in the very first light of dawn," i.e. when the dawn has definitely come.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer
১০

পরিচ্ছেদঃ ১ : পাঁচ ওয়াক্তের সময়

রেওয়ায়ত ১০. আনাস ইবন মালিক (রাঃ) বলিয়াছেনঃ আমরা আসর পড়িতাম, অতঃপর লোকজন বাহির হইতেন (কুবায় অবস্থিত) বনি আমর ইবন আউফ-এর বস্তির দিকে, তথায় তাহাদিগকে এই অবস্থায় পাইতেন যে, তাহারা আসরের নামায পড়িতেছেন।

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ قَالَ كُنَّا نُصَلِّي الْعَصْرَ ثُمَّ يَخْرُجُ الإِنْسَانُ إِلَى بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ فَيَجِدُهُمْ يُصَلُّونَ الْعَصْرَ ‏

وحدثني عن مالك، عن اسحاق بن عبد الله بن ابي طلحة، عن انس بن مالك، انه قال كنا نصلي العصر ثم يخرج الانسان الى بني عمرو بن عوف فيجدهم يصلون العصر ‏


Yahya related to me from Malik from Ishaq ibn Abdullah ibn Abi Talha that Anas ibn Malik said, "We would pray asr and anyone who then went to the Bani Amr ibn Awf would find them praying asr."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer
১১

পরিচ্ছেদঃ ১ : পাঁচ ওয়াক্তের সময়

রেওয়ায়ত ১১. আনাস ইবন মালিক (রাঃ) বলেনঃ আমরা আসর পড়িতাম। অতঃপর গমনকারী কুবার দিকে গমন করিতেন এবং তাঁহাদের (কুবাবাসীদের) নিকট আসিয়া পৌছতেন (এমন সময় যে), সূর্য তখনও উঁচুতে।

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ قَالَ كُنَّا نُصَلِّي الْعَصْرَ ثُمَّ يَذْهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى قُبَاءٍ فَيَأْتِيهِمْ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ ‏‏

وحدثني عن مالك، عن ابن شهاب، عن انس بن مالك، انه قال كنا نصلي العصر ثم يذهب الذاهب الى قباء فياتيهم والشمس مرتفعة ‏‏


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that Anas ibn Malik said, "We would pray asr and anyone who then went to Quba would arrive there while the sun was still high."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer
১২

পরিচ্ছেদঃ ১ : পাঁচ ওয়াক্তের সময়

রেওয়ায়ত ১২. কাসিম ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) বলেন, যোহরের নামায লোকদিগকে সূর্য ঢলার বেশ কিছুক্ষণ পর পড়িতে আমি পাইয়াছি।

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، أَنَّهُ قَالَ مَا أَدْرَكْتُ النَّاسَ إِلاَّ وَهُمْ يُصَلُّونَ الظُّهْرَ بِعَشِيٍّ

وحدثني عن مالك، عن ربيعة بن ابي عبد الرحمن، عن القاسم بن محمد، انه قال ما ادركت الناس الا وهم يصلون الظهر بعشي


Yahya related to me from Malik from Rabia ibn Abi Abd ar-Rahman that al Qasim ibn Muhammad said, "None of the companions that I met prayed dhuhr until well after noon,"(i.e.until when the sun had lost its fierceness).


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer
১৩

পরিচ্ছেদঃ ২. জুম'আর সময়

রেওয়ায়ত ১৩. আবূ সুহায়ল (রহঃ) বর্ণনা করিয়াছেন যে, তাহার পিতা মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন, আমি জুম’আর দিবসে আকীল ইবন আবূ তালিবের একটি ছোট চাটাই (অথবা চাদর) দেখিতে পাইতাম। উহা মসজিদের পশ্চিম প্রাচীরের দিকে ফেলিয়া রাখা হইত। প্রচীরের ছায়া যখন চাটাইকে সম্পূর্ণরূপে আবূত করিয়া ফেলিত, তখন উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বাহির হইতেন এবং জুম’আ পড়াইতেন। জুম’আর নামাযান্তে আমরা প্রত্যাবর্তন করিতাম এবং দুপুরের বিশ্রাম গ্রহণ করিতাম।

باب وقت الجمعة

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ أَرَى طِنْفِسَةً لِعَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ يَوْمَ الْجُمُعَةِ تُطْرَحُ إِلَى جِدَارِ الْمَسْجِدِ الْغَرْبِيِّ فَإِذَا غَشِيَ الطِّنْفِسَةَ كُلَّهَا ظِلُّ الْجِدَارِ خَرَجَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَصَلَّى الْجُمُعَةَ قَالَ مَالِكٌ ثُمَّ نَرْجِعُ بَعْدَ صَلَاةِ الْجُمُعَةِ فَنَقِيلُ قَائِلَةَ الضَّحَاءِ

حدثني يحيى عن مالك عن عمه ابي سهيل بن مالك عن ابيه انه قال كنت ارى طنفسة لعقيل بن ابي طالب يوم الجمعة تطرح الى جدار المسجد الغربي فاذا غشي الطنفسة كلها ظل الجدار خرج عمر بن الخطاب وصلى الجمعة قال مالك ثم نرجع بعد صلاة الجمعة فنقيل قاىلة الضحاء


Yahya related to me from Malik from his uncle Abu Suhayl ibn Malik that his father said, "I used to see a carpet belonging to Aqil ibn Abi Talib spread out on the day of jumua up to the west wall of the mosque. When the shadow of the wall covered the whole carpet, Umar ibn al-Khattab would come out and pray the jumua prayer."

Malik, Abu Suhayl's father, added, "We would then return after the jumua prayer and take our midday sleep."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer
১৪

পরিচ্ছেদঃ ২. জুম'আর সময়

রেওয়ায়ত ১৪. ইবন আবী সালিত (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উসমান ইবন আফফান (রাঃ) জুম'আর নামায মদীনায় পড়িয়াছেন, আর আসর মলল[1] নামক স্থানে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহা তানজীর (সূর্য পশ্চিমে ঢলার পরপরই জুম'আ আদায় করা) ও দ্রুতগতিতে পথ অতিক্রমের জন্য ।

باب وقت الجمعة

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ عَنْ ابْنِ أَبِي سَلِيطٍ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ صَلَّى الْجُمُعَةَ بِالْمَدِينَةِ وَصَلَّى الْعَصْرَ بِمَلَلٍ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ لِلتَّهْجِيرِ وَسُرْعَةِ السَّيْرِ

وحدثني عن مالك عن عمرو بن يحيى المازني عن ابن ابي سليط ان عثمان بن عفان صلى الجمعة بالمدينة وصلى العصر بملل قال مالك وذلك للتهجير وسرعة السير


Yahya related to me from Malik from Amr ibn Yahya ibn Yahya al- Mazini from Ibn Abi Salit that Uthman ibn Affan prayed jumua in Madina and asr in Malal (a place seventeen miles from Madina).

Malik commented, "That was by praying jumua just past midday and then travelling fast."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer
১৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. যে ব্যক্তি নামাযের এক রাকআত পায়

রেওয়ায়ত ১৫. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করিয়াছেন, যে নামাযের এক রাকাত পাইয়াছে সে অবশ্য নামায পাইয়াছে।

بَاب مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ الصَّلَاةِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ الصَّلَاةِ فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ

حدثني يحيى عن مالك عن ابن شهاب عن ابي سلمة بن عبد الرحمن عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من ادرك ركعة من الصلاة فقد ادرك الصلاة


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Abu Salama ibn Abdar-Rahman from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said "Whoever catches a raka of the prayer has caught the prayer."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer
১৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. যে ব্যক্তি নামাযের এক রাকআত পায়

রেওয়ায়ত ১৬. নাফি (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলিতেনঃ যদি তোমার রুকু ফাউত হইয়া গেল (পাওয়া গেল না) তবে তোমার সিজদাও ফাউত হইয়া গেল।

بَاب مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ الصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ كَانَ يَقُولُ إِذَا فَاتَتْكَ الرَّكْعَةُ فَقَدْ فَاتَتْكَ السَّجْدَةُ

وحدثني عن مالك عن نافع ان عبد الله بن عمر بن الخطاب كان يقول اذا فاتتك الركعة فقد فاتتك السجدة


Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar ibn al-Khattab used to say, "If the ruku has passed you by, so has the sajda."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer
১৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. যে ব্যক্তি নামাযের এক রাকআত পায়

রেওয়ায়ত ১৭. মালিক (রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আবদুল্লাহ্ ইবন উমর ও যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ) তাহারা উভয়ে বলিতেনঃ যে লোক রুকু পাইয়াছে সে সিজদাও পাইয়াছে।

بَاب مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ الصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ وَزَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ كَانَا يَقُولَانِ مَنْ أَدْرَكَ الرَّكْعَةَ فَقَدْ أَدْرَكَ السَّجْدَةَ وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يَقُولُ مَنْ أَدْرَكَ الرَّكْعَةَ فَقَدْ أَدْرَكَ السَّجْدَةَ وَمَنْ فَاتَهُ قِرَاءَةُ أُمِّ الْقُرْآنِ فَقَدْ فَاتَهُ خَيْرٌ كَثِيرٌ

وحدثني عن مالك انه بلغه ان عبد الله بن عمر وزيد بن ثابت كانا يقولان من ادرك الركعة فقد ادرك السجدة وحدثني يحيى عن مالك انه بلغه ان ابا هريرة كان يقول من ادرك الركعة فقد ادرك السجدة ومن فاته قراءة ام القران فقد فاته خير كثير


Yahya related to me from Malik that he had heard that Abdullah ibn Umar and Zayd ibn Thabit used to say, "Whoever catches the raka`ah has caught the sajda."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer
১৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. যে ব্যক্তি নামাযের এক রাকআত পায়

রেওয়ায়ত ১৮. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলিতেনঃ যে রুকু পাইয়াছে সে সিদজাও পাইয়াছে। আর যাহার উম্মুল-কুরআন (সূরা ফাতিহা) ফাউত হইয়াছে তাহার অনেক সওয়াব ফাউত হইয়াছে।

بَاب مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ الصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ وَزَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ كَانَا يَقُولَانِ مَنْ أَدْرَكَ الرَّكْعَةَ فَقَدْ أَدْرَكَ السَّجْدَةَ وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يَقُولُ مَنْ أَدْرَكَ الرَّكْعَةَ فَقَدْ أَدْرَكَ السَّجْدَةَ وَمَنْ فَاتَهُ قِرَاءَةُ أُمِّ الْقُرْآنِ فَقَدْ فَاتَهُ خَيْرٌ كَثِيرٌ

وحدثني عن مالك انه بلغه ان عبد الله بن عمر وزيد بن ثابت كانا يقولان من ادرك الركعة فقد ادرك السجدة وحدثني يحيى عن مالك انه بلغه ان ابا هريرة كان يقول من ادرك الركعة فقد ادرك السجدة ومن فاته قراءة ام القران فقد فاته خير كثير


Yahya related to me from Malik that he had heard that Abu Hurayra used to say, "Whoever catches the ruku has caught the sajda and whoever misses the recitation of the umm al-Qur'an has missed much good."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer
১৯

পরিচ্ছেদঃ ৪. ‘দুলুকুশ শামস’ ও ‘গাসাকুল লাইল’ এর বর্ণনা

রেওয়ায়ত ১৯. নাফি' (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) বলিতেনঃ ‘দুলুকুশ শামস’ হইতেছে (মধ্যাকাশ হইতে) সূর্য পশ্চিমে হেলিয়া পড়া।

بَاب مَا جَاءَ فِي دُلُوكِ الشَّمْسِ وَغَسَقِ اللَّيْلِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ دُلُوكُ الشَّمْسِ مَيْلُهَا

حدثني يحيى عن مالك عن نافع ان عبد الله بن عمر كان يقول دلوك الشمس ميلها


Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar used to say, "Duluk ash-shams begins from when the sun passes the meridian."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer
২০

পরিচ্ছেদঃ ৪. ‘দুলুকুশ শামস’ ও ‘গাসাকুল লাইল’ এর বর্ণনা

রেওয়ায়ত ২০. আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) বলিতেনঃ দুলুকুশ শামস যখন ছায়া (পশ্চিম দিকে) ঝুঁকে আর ‘গাসাকুল লাইল’ হইতেছে রজনী ও উহার অন্ধকার।

بَاب مَا جَاءَ فِي دُلُوكِ الشَّمْسِ وَغَسَقِ اللَّيْلِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُخْبِرٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، كَانَ يَقُولُ دُلُوكُ الشَّمْسِ إِذَا فَاءَ الْفَىْءُ وَغَسَقُ اللَّيْلِ اجْتِمَاعُ اللَّيْلِ وَظُلْمَتُهُ

وحدثني عن مالك، عن داود بن الحصين، قال اخبرني مخبر، ان عبد الله بن عباس، كان يقول دلوك الشمس اذا فاء الفىء وغسق الليل اجتماع الليل وظلمته


Yahya related to me from Malik that Da'ud ibn al-Husayn said that someone had told him Abdullah ibn Abbas used to say, "Duluk ash-shams begins from when the sun passes the meridian. Ghasaq al-layl is the gathering of the night and its darkness.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. নামাযের সময় ( كتاب وقوت الصلاة ) 1/ The Times of Prayer
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »