১৫৪৪

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

আল্লাহ সু্বহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন,

وَقُلْ رَبِّ زِدْنِي عِلْمَاً

অর্থাৎ, বল, হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি কর। (ত্বা-হা ১১৪)

তিনি সু্বহানাহু ওয়া তা’আলা অন্যত্র বলেন,

قُلْ هَلْ يَسْتَوي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لاَ يَعْلَمُونَ

অর্থাৎ, বল, যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি সমান? (যুমার ৯)

আল্লাহ সু্বহানাহু ওয়া তা’আলা আরো বলেন,

يَرْفَعِ اللهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا العِلْمَ دَرَجَاتٍ

অর্থাৎ, যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে বহু মর্যাদায় উন্নত করবেন। (মুজাদালা ১১) তিনি অন্য জায়গায় বলেন,

إنَّمَا يَخْشَى اللهَ مِنْ عِبَادِهِ العُلَمَاءُ

অর্থাৎ, আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই তাঁকে ভয় ক’রে থাকে। (ফাত্বের ২৮)

আর এ কথা বিদিত যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’ইলম অনুসন্ধান করা প্রত্যেক (নর-নারী) মুসলিমের জন্য আবশ্যক।’’ (সঃ জামে’ ২৯১৩, সঃ তারগীব ৭২)


(১৫৪৪) মুআবিয়াহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকেই দ্বীনী জ্ঞান দান করেন।

وَعَن مُعَاوِيةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ يُرِدِ اللهُ بِهِ خَيْراً يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن معاوية قال: قال رسول الله ﷺ من يرد الله به خيرا يفقهه في الدين متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৪৫

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৪৫) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেবল দু’জন ব্যক্তি ঈর্ষার পাত্র। সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ ধন-সম্পদ দান করেছেন এবং তাকে তা সৎপথে ব্যয় করার শক্তিও দিয়েছেন। আর সেই লোক যাকে আল্লাহ জ্ঞান-বুদ্ধি দান করেছেন, যার বদৌলতে সে বিচার-ফায়সালা করে থাকে ও তা অপরকে শিক্ষা দেয়।

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لاَ حَسَدَ إِلاَّ فِي اثْنَتَيْنِ : رَجُلٌ آتَاهُ اللهُ مَالاً، فَسَلَّطَهُ عَلَى هَلَكَتِهِ فِي الحَقِّ، وَرَجُلٌ آتَاهُ اللهُ الحِكْمَةَ فَهُوَ يَقْضِي بِهَا وَيُعَلِّمُهَا متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابن مسعود قال : قال رسول الله ﷺ لا حسد الا في اثنتين : رجل اتاه الله مالا، فسلطه على هلكته في الحق، ورجل اتاه الله الحكمة فهو يقضي بها ويعلمها متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৪৬

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৪৬) আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’যে সরল পথ ও জ্ঞান দিয়ে আমাকে পাঠানো হয়েছে তা ঐ বৃষ্টি সদৃশ যা যমীনে পৌঁছে। অতঃপর তার উর্বর অংশ নিজের মধ্যে শোষণ করে। অতঃপর তা ঘাস এবং প্রচুর শাক-সবজি উৎপন্ন করে এবং তার এক অংশ চাষের অযোগ্য (খাল জমি); যা পানি আটকে রাখে। ফলে আল্লাহ তাআলা তার দ্বারা মানুষকে উপকৃত করেন। সুতরাং তারা তা হতে পান করে এবং (পশুদেরকে) পান করায়, জমি সেচে ও ফসল ফলায়। তার আর এক অংশ শক্ত সমতল ভূমি; যা না পানি শোষণ করে, না ঘাস উৎপন্ন করে। এই দৃষ্টান্ত ঐ ব্যক্তির যে আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে জ্ঞানার্জন করল এবং আমি যে হিদায়াত ও জ্ঞান দিয়ে প্রেরিত হয়েছি, তার দ্বারা আল্লাহ তাকে উপকৃত করলেন। সুতরাং সে (নিজেও) শিক্ষা করল এবং (অপরকেও) শিক্ষা দিল। আর এই দৃষ্টান্ত ঐ ব্যক্তিরও যে এ ব্যাপারে মাথাও উঠাল না এবং আল্লাহর সেই হিদায়াতও গ্রহণ করল না, যা দিয়ে আমি প্রেরিত হয়েছি।

وَعَن أَبي مُوسَى قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ ﷺ مَثَلُ مَا بَعَثَنِي الله بِهِ مِنَ الهُدَى وَالعِلْمِ كَمَثَلِ غَيْثٍ أَصَابَ أَرْضاً ؛ فَكَانَتْ مِنْهَا طَائِفَةٌ طَيِّبةٌ قَبِلَتِ المَاءَ فَأَنْبَتَتِ الكَلأَ وَالعُشْبَ الكَثِيرَ وَكَانَ مِنْهَا أَجَادِبُ أَمْسَكَتِ المَاءَ فَنَفَعَ اللهُ بِهَا النَّاسَ فَشَرِبُوا مِنْهَا وَسَقَوْا وَزَرَعُوا، وَأَصَابَ طَائِفَةً مِنْهَا أُخْرَى إِنَّمَا هِيَ قِيعَانٌ ؛ لاَ تُمْسِكُ مَاءً وَلاَ تُنْبِتُ كَلأً فَذَلِكَ مَثَلُ مَنْ فَقُهَ فِي دِينِ اللهِ وَنَفَعَهُ مَا بَعَثَنِي اللهُ بِهِ فَعَلِمَ وَعَلَّمَ وَمَثَلُ مَنْ لَمْ يَرْفَعْ بِذَلِكَ رَأساً وَلَمْ يَقْبَلْ هُدَى اللهِ الَّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي موسى قال : قال النبي ﷺ مثل ما بعثني الله به من الهدى والعلم كمثل غيث اصاب ارضا ؛ فكانت منها طاىفة طيبة قبلت الماء فانبتت الكلا والعشب الكثير وكان منها اجادب امسكت الماء فنفع الله بها الناس فشربوا منها وسقوا وزرعوا، واصاب طاىفة منها اخرى انما هي قيعان ؛ لا تمسك ماء ولا تنبت كلا فذلك مثل من فقه في دين الله ونفعه ما بعثني الله به فعلم وعلم ومثل من لم يرفع بذلك راسا ولم يقبل هدى الله الذي ارسلت به متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৪৭

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৪৭) সাহল ইবনে সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (খায়বার যুদ্ধের সময়) আলী (রাঃ) কে সম্বোধন করে বললেন, আল্লাহর শপথ! তোমার দ্বারা একটি মানুষকেও যদি আল্লাহ সৎপথ দেখান, তবে তা (আরবের মহামূল্যবান) লাল উট অপেক্ষা উত্তম হবে।

وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ لِعَلِيٍّ فَوَاللهِ لأَنْ يَهْدِيَ اللهُ بِكَ رَجُلاً وَاحِداً خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ يَكُونَ لَكَ حُمْرُ النَّعَمِ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن سهل بن سعد ان رسول الله ﷺ قال لعلي فوالله لان يهدي الله بك رجلا واحدا خير لك من ان يكون لك حمر النعم متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৪৮

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৪৮) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার পক্ষ থেকে জনগণকে (আল্লাহর বিধান) পৌঁছে দাও, যদিও একটি আয়াত হয়। বনী-ইস্রাঈল থেকে (ঘটনা) বর্ণনা কর, তাতে কোন ক্ষতি নেই। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা (বা জাল হাদীস) আরোপ করল, সে যেন নিজ আশ্রয় জাহান্নামে বানিয়ে নিল। (বুখারী ৩৪৬১)

وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلاَ حَرَجَ وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّداً فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ رواه البخاري

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما: ان النبي ﷺ قال بلغوا عني ولو اية وحدثوا عن بني اسراىيل ولا حرج ومن كذب علي متعمدا فليتبوا مقعده من النار رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৪৯

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৪৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন পথ অবলম্বন করে চলে যাতে সে ইলম (শরয়ী জ্ঞান) অম্বেষণ করে, আল্লাহ তার বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে যাওয়ার পথ সহজ করে দেন। যখনই কোন একদল মানুষ আল্লাহর গৃহসমূহের কোন এক গৃহে (মসজিদে) সমবেত হয়ে আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং আপোসে তা অধ্যয়ন করে তখনই ফিরিশতাবর্গ তাদেরকে পরিবেষ্টিত করে নেন, তাদের উপর প্রশান্তি অবতীর্ণ হয়, করুণা তাদেরকে আচ্ছাদন করে নেয় এবং তাদের কথা আল্লাহ তাঁর নিকটবর্তী ফিরিশতাবর্গের মধ্যে আলোচনা করেন। আর যাকে তার আমল পশ্চাদ্বর্তী করেছে, তাকে তার বংশ অগ্রবর্তী করতে পারে না।

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ وَمَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا سَهَّلَ اللهُ لَهُ بِهِ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ وَمَا اجْتَمَعَ قَوْمٌ فِى بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللهِ يَتْلُونَ كِتَابَ اللهِ وَيَتَدَارَسُونَهُ بَيْنَهُمْ إِلاَّ نَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السَّكِينَةُ وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ وَحَفَّتْهُمُ الْمَلاَئِكَةُ وَذَكَرَهُمُ اللهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ وَمَنْ بَطَّأَ بِهِ عَمَلُهُ لَمْ يُسْرِعْ بِهِ نَسَبُهُ

عن ابى هريرة قال قال رسول الله ﷺ ومن سلك طريقا يلتمس فيه علما سهل الله له به طريقا الى الجنة وما اجتمع قوم فى بيت من بيوت الله يتلون كتاب الله ويتدارسونه بينهم الا نزلت عليهم السكينة وغشيتهم الرحمة وحفتهم الملاىكة وذكرهم الله فيمن عنده ومن بطا به عمله لم يسرع به نسبه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৫০

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৫০) উক্ত রাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সৎপথের দিকে আহ্বান জানাবে, সে তার অনুসারীদের সমতুল্য নেকীর অধিকারী হবে; তাতে তাদের নেকীর কিছুই হ্রাস পাবে না।

وَعَنه أَيضاً أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَمَنْ دَعَا إِلَى هُدىً كَانَ لَهُ مِنَ الأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئاً رواه مسلم

وعنه ايضا ان رسول الله ﷺ قالمن دعا الى هدى كان له من الاجر مثل اجور من تبعه لا ينقص ذلك من اجورهم شيىا رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৫১

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৫১) উক্ত রাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আদম সন্তান যখন মারা যায়, তখন তার তিন প্রকার আমল ছাড়া অন্য সব রকম আমলের ধারা বন্ধ হয়ে যায়; সাদকাহ জারিয়াহ (বহমান দান খয়রাত, মসজিদ নির্মাণ করা, কূপ খনন ক’রে দেওয়া ইত্যাদি) অথবা ইলম (জ্ঞান সম্পদ) যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় অথবা সুসন্তান যে তার জন্য নেক দু’আ করতে থাকে।

وَعَنه قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِذَا مَاتَ ابْنُ آدَمَ انْقَطَعَ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاثٍ : صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ، أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ رواه مسلم

وعنه قال : قال رسول الله ﷺ اذا مات ابن ادم انقطع عمله الا من ثلاث : صدقة جارية، او علم ينتفع به او ولد صالح يدعو له رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৫২

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৫২) আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুমিনের মৃত্যুর পর তার আমল ও পুণ্যকর্মসমূহ হতে নিশ্চিতভাবে যা এসে তার সাথে মিলিত হয় তা হল; সেই ইলম, যা সে শিক্ষা করে প্রচার করেছে অথবা নেক সন্তান যাকে রেখে সে মারা গেছে, অথবা কুরআন শরীফ যা সে মীরাসরূপে ছেড়ে গেছে, অথবা মসজিদ যা সে নিজে নির্মাণ করে গেছে, অথবা মুসাফিরখানা যা সে মুসাফিরদের সুবিধার্থে নির্মাণ করে গেছে, অথবা পানির নালা যা সে (সেচ ইত্যাদির উদ্দেশ্যে) প্রবাহিত করে গেছে, অথবা সাদকাহ যা সে নিজের মাল থেকে তার সুস্থ ও জীবিতাবস্থায় বের (দান) করে গেছে এসব কর্মের সওয়াব তার মৃত্যুর পরও তার সাথে এসে মিলিত হবে।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ مِمَّا يَلْحَقُ الْمُؤْمِنَ مِنْ عَمَلِهِ وَحَسَنَاتِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ عِلْمًا عَلَّمَهُ وَنَشَرَهُ وَوَلَدًا صَالِحًا تَرَكَهُ وَمُصْحَفًا وَرَّثَهُ أَوْ مَسْجِدًا بَنَاهُ أَوْ بَيْتًا لاِبْنِ السَّبِيلِ بَنَاهُ أَوْ نَهْرًا أَجْرَاهُ أَوْ صَدَقَةً أَخْرَجَهَا مِنْ مَالِهِ فِي صِحَّتِهِ وَحَيَاتِهِ يَلْحَقُهُ مِنْ بَعْدِ مَوْتِهِ

عن ابي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان مما يلحق المومن من عمله وحسناته بعد موته علما علمه ونشره وولدا صالحا تركه ومصحفا ورثه او مسجدا بناه او بيتا لابن السبيل بناه او نهرا اجراه او صدقة اخرجها من ماله في صحته وحياته يلحقه من بعد موته

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৫৩

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৫৩) উক্ত রাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, পৃথিবী অভিশপ্ত এবং অভিশপ্ত তার সকল বস্তু। তবে আল্লাহর যিকর ও তার আনুষঙ্গিক বিষয়, এবং আলেম (দ্বীন শিক্ষক) ও তালেবে ইলম (দ্বীন শিক্ষার্থী অভিশপ্ত) নয়।

وَعَنه قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُالدُّنْيَا مَلْعُونَةٌ مَلْعُونٌ مَا فِيهَا إِلاَّ ذِكْرَ اللهِ تَعَالَى وَمَا وَالاَهُ وَعَالِماً أَوْ مُتَعَلِّماً رواه الترمذي وقال حديث حسن

وعنه قال : سمعت رسول الله ﷺ يقولالدنيا ملعونة ملعون ما فيها الا ذكر الله تعالى وما والاه وعالما او متعلما رواه الترمذي وقال حديث حسن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৫৪

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৫৪) আবূ উমামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আলেমের ফযীলত আবেদের উপর ঠিক সেই রূপ, যেরূপ আমার ফযীলত তোমাদের উপর। তারপর আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন, তাঁর ফিরিশতাকুল, আসমান-যমীনের সকল বাসিন্দা এমনকি গর্তের মধ্যে পিপড়ে এবং (পানির মধ্যে) মাছ পর্যন্ত মানবমণ্ডলীর শিক্ষাগুরুদের জন্য মঙ্গল কামনা ও নেক দু’আ ক’রে থাকে।

وَعَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ أنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ فَضْلُ العَالِمِ عَلَى العَابِدِ كَفَضْلِي عَلَى أَدْنَاكُمْ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ اللهَ وَمَلاَئِكَتَهُ وَأَهْلَ السَّماوَاتِ وَالأَرْضِ حَتَّى النَّمْلَةَ فِي جُحْرِهَا وَحَتَّى الحُوْتَ لَيُصَلُّونَ عَلَى مُعَلِّمِي النَّاسِ الخَيْرَ رواه الترمذي، وقال حديث حسن

وعن ابي امامة ان رسول الله ﷺ قال فضل العالم على العابد كفضلي على ادناكم ثم قال رسول الله ﷺ ان الله وملاىكته واهل السماوات والارض حتى النملة في جحرها وحتى الحوت ليصلون على معلمي الناس الخير رواه الترمذي، وقال حديث حسن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৫৫

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৫৫) উবাদাহ বিন স্বামেত (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সে ব্যক্তি আমার উম্মতের দলভুক্ত নয়, যে ব্যক্তি আমাদের বড়দেরকে সম্মান দেয় না, ছোটদেরকে স্নেহ করে না এবং আলেমের অধিকার চেনে না।

عنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ لَيْسَ مِنْ أُمَّتِي مَنْ لَمْ يُجِلَّ كَبِيرَنَا وَيَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَيَعْرِفْ لِعَالِمِنَا حَقَّهُ

عن عبادة بن الصامت ان رسول الله ﷺ قال ليس من امتي من لم يجل كبيرنا ويرحم صغيرنا ويعرف لعالمنا حقه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৫৬

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৫৬) হুযাইফাহ বিন ইয়ামান (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’ইলমের (শরয়ী জ্ঞানের) মর্যাদা ইবাদতের মর্যাদা অপেক্ষা উচ্চতর। আর তোমাদের শ্রেষ্ঠতম দ্বীন হল সংযমশীলতা। (পরহেযগারী; অর্থাৎ, সর্বপ্রকার অবৈধ, সন্দিগ্ধ ও ঘৃণিত আচরণ, কর্ম ও বস্তু থেকে নিজেকে সংযত রাখা।)

عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَضْلُ الْعِلْمِ خَيْرٌ مِنْ فَضْلِ الْعِبَادَةِ وَخَيْرُ دِينِكُمُ الْوَرَعُ

عن حذيفة بن اليمان قال: قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم: فضل العلم خير من فضل العبادة وخير دينكم الورع

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৫৭

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৫৭) মুআয বিন আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন ইলম শিক্ষা দেয়, তার জন্য রয়েছে সেই ব্যক্তির সমপরিমাণ সওয়াব, যে সেই ইলম অনুযায়ী আমল করে। এতে আমলকারীরও সওয়াব কিঞ্চিৎ পরিমাণ হ্রাস হবে না।

عَنْ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قال مَنْ عَلَّمَ عِلْماً فَلَهُ أَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهِ لاَ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِ الْعَامِلِ

عن معاذ بن انس عن النبي ﷺ قال من علم علما فله اجر من عمل به لا ينقص من اجر العامل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৫৮

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৫৮) আবূ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি এমন পথে গমন করে, যাতে সে জ্ঞানার্জন করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সুগম ক’রে দেন। আর ফিরিশতাবর্গ তালেবে ইলমের জন্য তার কাজে প্রসন্ন হয়ে নিজেদের ডানাগুলি বিছিয়ে দেন। অবশ্যই আলেম ব্যক্তির জন্য আকাশ-পৃথিবীর সকল বাসিন্দা এমনকি পানির মাছ পর্যন্ত ক্ষমা প্রার্থনা ক’রে থাকে। আবেদের উপর আলেমের ফযীলত ঠিক তেমনি, যেমন সমস্ত নক্ষত্রপুঞ্জের উপর পূর্ণিমার চাঁদের ফযীলত। উলামা সম্প্রদায় পয়গম্বরদের উত্তরাধিকারী। আর এ কথা সুনিশ্চিত যে, পয়গম্বরগণ কোন রৌপ্য বা স্বর্ণ মুদ্রার কাউকে উত্তরাধিকারী বানিয়ে যাননি; বরং তাঁরা ইলমের (দ্বীনী জ্ঞানভান্ডারের) উত্তরাধিকারী বানিয়ে গেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তা অর্জন করল, সে পর্যাপ্ত অংশ লাভ করল।

وَعَن أَبي الدَّردَاءِ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُمَنْ سَلَكَ طَرِيقاً يَبْتَغِي فِيهِ عِلْماً سَهَّلَ اللهُ لَهُ طَرِيقاً إِلَى الجَنَّةِ، وَإِنَّ المَلاَئِكَةَ لَتَضَعُ أَجْنِحَتَهَا لِطَالِبِ العِلْمِ رِضاً بِمَا يَصْنَعُ وَإِنَّ العَالِمَ لَيَسْتَغْفِرُ لَهُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَمَنْ فِي الأَرْضِ حَتَّى الحِيتَانُ فِي المَاءِ وَفَضْلُ العَالِمِ عَلَى العَابِدِ كَفَضْلِ القَمَرِ عَلَى سَائِرِ الكَوَاكِبِ وَإِنَّ العُلَمَاءَ وَرَثَةُ الأَنْبِيَاءِ وَإِنَّ الأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِينَاراً وَلاَ دِرْهَماً وَإِنَّمَا وَرَّثُوا العِلْمَ فَمَنْ أَخَذَهُ أَخَذَ بحَظٍّ وَافِرٍرواه أَبُو داود والترمذي

وعن ابي الدرداء قال : سمعت رسول الله ﷺ يقولمن سلك طريقا يبتغي فيه علما سهل الله له طريقا الى الجنة، وان الملاىكة لتضع اجنحتها لطالب العلم رضا بما يصنع وان العالم ليستغفر له من في السماوات ومن في الارض حتى الحيتان في الماء وفضل العالم على العابد كفضل القمر على ساىر الكواكب وان العلماء ورثة الانبياء وان الانبياء لم يورثوا دينارا ولا درهما وانما ورثوا العلم فمن اخذه اخذ بحظ وافررواه ابو داود والترمذي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৫৯

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৫৯) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ সেই ব্যক্তির শ্রীবৃদ্ধি করুন, যে ব্যক্তি আমার নিকট থেকে (আমার কোন) হাদীস শুনে যথাযথরূপে হুবহু অপরকে পৌঁছে দেয়। কেননা, যাকে হাদীস বর্ণনা করা হয় এমনও হতে পারে যে, সে শ্রোতা অপেক্ষা অধিক উপলব্ধিকারী ও স্মৃতিধর।

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُنَضَّرَ اللهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا شَيْئاً فَبَلَّغَهُ كَمَا سَمِعَهُ، فَرُبَّ مُبَلَّغٍ أَوْعَى مِنْ سَامِعٍ رواه الترمذي، وقال حديث حَسَنٌ صَحِيْحٌ

وعن ابن مسعود قال : سمعت رسول الله ﷺ يقولنضر الله امرا سمع منا شيىا فبلغه كما سمعه، فرب مبلغ اوعى من سامع رواه الترمذي، وقال حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৬০

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৬০) আবূ বকরাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (হজ্জের খুতবায়) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তিকে (এই বাণী বা ইলম) পৌঁছে দেয়। সম্ভবতঃ উপস্থিত ব্যক্তি এমন ব্যক্তির কাছে তা পৌঁছে দেবে, যে তার থেকে বেশী স্মৃতিধর।

عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ﷺ فَلْيُبَلِّغْ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ فَرُبَّ مُبَلَّغٍ أَوْعَى مِنْ سَامِعٍ

عن ابي بكرة رضي الله عنه قال قال النبي ﷺ فليبلغ الشاهد الغاىب فرب مبلغ اوعى من سامع

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৬১

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৬১) আবূ যায়েদ আমর ইবনে আখত্বাব আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে ফজরের নামায পড়লেন, অতঃপর মিম্বরে চড়ে ভাষণ দিলেন। শেষ পর্যন্ত যোহরের সময় হয়ে গেল। সুতরাং তিনি নীচে নামলেন ও নামায পড়লেন। তারপর আবার মিম্বরে চাপলেন (ও ভাষণ দানে প্রবৃত্ত হলেন) শেষ পর্যন্ত আসরের সময় হয়ে গেল। তিনি পুনরায় নীচে অবতরণ করলেন ও নামায পড়লেন। অতঃপর তিনি আবার মিম্বরে উঠলেন এবং খুতবা পরিবেশনে ব্রতী হলেন, শেষ পর্যন্ত সূর্য অস্ত গেল। সুতরাং অতীতে যা ঘটেছে এবং ভবিষ্যতে যা ঘটবে সে সমস্ত বিষয়গুলি তিনি আমাদেরকে জানালেন। অতএব আমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বাধিক বড় জ্ঞানী, যিনি এসব কথাগুলি সবার চাইতে বেশি মনে রেখেছেন।’

وَعَنْ أَبي زَيدٍ عَمرِو بنِ أَخْطَبَ الأنصاريِّ قَالَ : صلَّى بِنَا رَسُول اللهِ ﷺ الفَجْرَ وَصَعِدَ المِنْبَرَ فَخَطَبَنَا حَتَّى حَضَرَتِ الظُّهْرُ فَنَزَلَ فَصَلَّى ثُمَّ صَعِدَ المِنْبَرَ فَخَطَبَنَا حَتَّى حَضَرَتِ العَصْرُ ثُمَّ نَزَلَ فَصَلَّى ثُمَّ صَعِدَ المِنْبَرَ فَخَطَبَنَا حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ فَأَخْبَرَنَا بِمَا كَانَ وَبِمَا هُوَ كَائِنٌ فَأَعْلَمُنَا أَحْفَظُنَا رواه مسلم

وعن ابي زيد عمرو بن اخطب الانصاري قال : صلى بنا رسول الله ﷺ الفجر وصعد المنبر فخطبنا حتى حضرت الظهر فنزل فصلى ثم صعد المنبر فخطبنا حتى حضرت العصر ثم نزل فصلى ثم صعد المنبر فخطبنا حتى غربت الشمس فاخبرنا بما كان وبما هو كاىن فاعلمنا احفظنا رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৬২

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৬২) স্বাফওয়ান বিন আসসাল মুরাদী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম। তিনি মসজিদে তাঁর এক লাল রঙের চাদরে হেলান দিয়ে বসেছিলেন। আমি তাঁকে বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আমি ইলম অন্বেষণ করতে এলাম।’ আমার এ কথা শুনে তিনি বললেন, ইলম অন্বেষী (দ্বীন শিক্ষার্থী) কে আমি স্বাগত জানাই। অবশ্যই ইলম অন্বেষীকে ফিরিশতাগণ তাঁদের পক্ষ দ্বারা পরিবেষ্টিত করে নেন। অতঃপর একে অন্যের উপর আরোহণ করেন। অনুরূপভাবে তাঁরা নিম্ন আসমান পর্যন্ত পৌঁছে যান। এতদ্বারা তাঁরা তার ঐ ইলম অন্বেষণের প্রতি নিজেদের ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকেন।

عن صَفْوَانِ بن عَسَّالٍ الْمُرَادِيُّ، قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ وَهُوَ مُتَّكِئٌ فِي الْمَسْجِدِ عَلَى بُرْدٍ لَهُ، فَقُلْتُ لَهُ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنِّي جِئْتُ أَطْلُبُ الْعِلْمَ، فَقَالَ مَرْحَبًا بطالبِ الْعِلْمِ، طَالِبُ الْعِلْمِ لَتَحُفُّهُ الْمَلائِكَةُ وَتُظِلُّهُ بِأَجْنِحَتِهَا، ثُمَّ يَرْكَبُ بَعْضُهُ بَعْضًا حَتَّى يَبْلُغُوا السَّمَاءَ الدُّنْيَا مِنْ حُبِّهِمْ لِمَا يَطْلُبُ

عن صفوان بن عسال المرادي، قال: اتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو متكى في المسجد على برد له، فقلت له: يا رسول الله، اني جىت اطلب العلم، فقال مرحبا بطالب العلم، طالب العلم لتحفه الملاىكة وتظله باجنحتها، ثم يركب بعضه بعضا حتى يبلغوا السماء الدنيا من حبهم لما يطلب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
১৫৬৩

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৬৩) আবু উমামা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কেবলমাত্র কল্যাণমূলক কিছু (দ্বীন) শিক্ষা করা অথবা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই মসজিদের প্রতি যাত্রা করে, তার জন্য (তার আমলনামায়) এক পূর্ণ হজ্জের সমপরিমাণ নেকী লিপিবদ্ধ করা হয়।

عَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ قَالَ مَنْ غَدَا إِلَى الْمَسْجِدِ لا يُرِيدُ إِلا أَنْ يَتَعَلَّمَ خَيْرًا أَوْ يَعْلَمَهُ، كَانَ لَهُ كَأَجْرِ حَاجٍّ تَامًّا حِجَّتُهُ

عن ابي امامة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من غدا الى المسجد لا يريد الا ان يتعلم خيرا او يعلمه، كان له كاجر حاج تاما حجته

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৪/ ইলম
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »