সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী) ১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) - 1. The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ১. ঈমান, ইসলামের পরিচয় এবং আল্লাহ কর্তৃক ভাগ্য সাব্যস্ত করার প্রতি ঈমান ওয়াজিব হওয়া, ভাগ্যলিপির উপর অবিশ্বাসী লোকের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা ও তার ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণের প্রমাণাদির বর্ণনা।

অত্র গ্রন্থের সংকলক ইমাম আবূল হুসায়ন মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ (রহঃ) বলেন, আমরা এ কিতাব আল্লাহর সাহায্যে শুরু করছি এবং তাকেই যথেষ্ট মনে করছি। মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ ভিন্ন আমাদেরকে আর তাওফীকদাতা কেউ নেই।


১—(১/৮) আবূ খাইসামাহ যুহায়র বিন হারব (রহঃ) ..... ইয়াহইয়া ইবনু ইয়ামার থেকে বর্ণিত [1]। তিনি বলেন, বাসরার অধিবাসী মা’বাদ জুহাইনাহ প্রথম ব্যক্তি যে তাকদীর অস্বীকার করে। আমি ও হুমায়দ ইবনু ’আবদুর রহমান উভয়ে হজ্জ অথবা উমরাহ’র উদ্দেশে রওয়ানা করলাম। আমরা বললাম, যদি আমরা এ সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যে কোন সাহাবার সাক্ষাৎ পেয়ে যাই তাহলে ঐ সব লোক তাকদীর সম্বন্ধে যা কিছু বলে সে সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করব। সৌভাগ্যক্রমে আমরা আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ) এর মসজিদে ঢুকার পথে পেয়ে গেলাম। আমি ও আমার সাখী তাকে এমনভাবে ঘিরে নিলাম যে, আমাদের একজন তার ডান এবং অপরজন তার বামে থাকলাম। আমি মনে করলাম আমার সাখী আমাকেই কথা বলার সুযোগ দেবে। (কারণ আমি ছিলাম বাকপটু)। আমি বললামঃ "হে আবূ আবদুর রহমান। আমাদের এলাকায় এমন কিছু লোকের আবির্ভাব ঘটেছে, তারা একদিকে কুরআন পাঠ করে অপরদিকে জ্ঞানের অন্বেষণও করে। ইয়াহইয়া তাদের কিছু গুণাবলীর কথাও উল্লেখ করলেন। তাদের ধারণা (বক্তব্য) হচ্ছে, তাকদীর বলতে কিছু নেই এবং প্রত্যেক কাজ অকস্মাৎ সংঘটিত হয়।"

ইবনু উমর (রাযিঃ) বললেনঃ “যখন তুমি এদের সাথে সাক্ষাৎ করবে তখন তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই, আর আমার সাথেও তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ) আল্লাহর নামে শপথ করে বললেন, এদের কারো কাছে যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকে এবং তা দান-খয়রাত করে দেয় তবে আল্লাহ তার এ দান গ্রহণ করবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত সে তাকদীরের উপর ঈমান না আনবে। অতঃপর তিনি বললেন, আমার পিতা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি আমাদের সামনে আবির্ভূত হলো। তার পরনের কাপড়-চোপড় ছিল ধবধবে সাদা এবং মাথার চুলগুলো ছিল মিশমিশে কালো। সফর করে আসার কোন চিহ্নও তার মধ্যে দেখা যায়নি। আমাদের কেউই তাকে চিনেও না।

অবশেষে সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সামনে বসলো। সে তার হাটুদ্বয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাটুদ্বয়ের সাথে মিলিয়ে দিলো এবং দুই হাতের তালু তার (অথবা নিজের) উরুর উপর রাখলো এবং বলল, হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে ইসলাম সম্বন্ধে বলুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ ইসলাম হচ্ছে এই– তুমি সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ (মাবূদ) নেই, এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল, সালাত কায়িম করবে, যাকাত আদায় করবে, রমযানের সওম পালন করবে এবং যদি পথ অতিক্রম করার সামর্থ্য হয় তখন বাইতুল্লাহর হজ্জ করবে। সে বললো, আপনি সত্যই বলেছেন। বর্ণনাকারী উমর (রাযিঃ) বলেন, আমরা তার কথা শুনে আশ্চর্যাম্বিত হলাম। কেননা সে (অজ্ঞের ন্যায়) প্রশ্ন করছে আর (বিজ্ঞের ন্যায়) সমর্থন করছে।

এরপর সে বললো, আমাকে ঈমান সম্পর্কে বলুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ ঈমান এই যে, তুমি আল্লাহ, তার ফেরেশতাকুল, তার কিতাবসমূহ, তার প্রেরিত নবীগণ ও শেষ দিনের উপর ঈমান রাখবে এবং তুমি তাকদীর ও এর ভালো ও মন্দের প্রতিও ঈমান রাখবে। সে বললো, আপনি সত্যই বলেছেন।

এবার সে বললো, আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ ইহসান এই যে, তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদাত করবে যেন তাকে দেখছো, যদি তাকে না দেখো তাহলে তিনি তোমাকে দেখছেন বলে অনুভব করবে।

এবার সে জিজ্ঞেস করলো। আমাকে কিয়ামত সম্বন্ধে বলুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাকারীর চেয়ে জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি বেশি কিছু জানে না। অতঃপর সে বলল, তাহলে আমাকে এর কিছু নির্দশন বলুন। তিনি বললেন, দাসী তার মনিবকে প্রসব করবে [2] এবং (এককালের) নগ্নপদ, বস্ত্রহীন, দরিদ্র, বকরীর রাখালদের বড় দালান-কোঠা নির্মাণের প্রতিযোগিতায় গৰ্ব-অহংকারে মত্ত দেখতে পাবে [3]।

বর্ণনাকারী উমার (রাযিঃ) বলেন, এরপর লোকটি চলে গেলো। আমি বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন, হে উমার! তুমি জান, এ প্রশ্নকারী কে? আমি আরয করলাম, আল্লাহ ও তার রাসূলই অধিক জ্ঞাত আছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তিনি জিবরীল। তোমাদের কাছে তিনি তোমাদের দীন শিক্ষা দিতে এসেছিলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ১ম খণ্ড, ১; বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার ১ম খণ্ড, ১)

باب بيان الإيمان والإسلام والإحسان ووجوب الإيمان بإثبات قدر الله سبحانه وتعالى وبيان الدليل على التبري ممن لا يؤمن بالقدر وإغلاظ القول في حقه

حَدَّثَنِي أَبُو خَيْثَمَةَ، زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ كَهْمَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، - وَهَذَا حَدِيثُهُ - حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، قَالَ كَانَ أَوَّلَ مَنْ قَالَ فِي الْقَدَرِ بِالْبَصْرَةِ مَعْبَدٌ الْجُهَنِيُّ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيُّ حَاجَّيْنِ أَوْ مُعْتَمِرَيْنِ فَقُلْنَا لَوْ لَقِينَا أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْنَاهُ عَمَّا يَقُولُ هَؤُلاَءِ فِي الْقَدَرِ فَوُفِّقَ لَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ دَاخِلاً الْمَسْجِدَ فَاكْتَنَفْتُهُ أَنَا وَصَاحِبِي أَحَدُنَا عَنْ يَمِينِهِ وَالآخَرُ عَنْ شِمَالِهِ فَظَنَنْتُ أَنَّ صَاحِبِي سَيَكِلُ الْكَلاَمَ إِلَىَّ فَقُلْتُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّهُ قَدْ ظَهَرَ قِبَلَنَا نَاسٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَتَقَفَّرُونَ الْعِلْمَ - وَذَكَرَ مِنْ شَأْنِهِمْ - وَأَنَّهُمْ يَزْعُمُونَ أَنْ لاَ قَدَرَ وَأَنَّ الأَمْرَ أُنُفٌ ‏.‏ قَالَ فَإِذَا لَقِيتَ أُولَئِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنِّي بَرِيءٌ مِنْهُمْ وَأَنَّهُمْ بُرَآءُ مِنِّي وَالَّذِي يَحْلِفُ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَوْ أَنَّ لأَحَدِهِمْ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا فَأَنْفَقَهُ مَا قَبِلَ اللَّهُ مِنْهُ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ ثُمَّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ إِذْ طَلَعَ عَلَيْنَا رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعَرِ لاَ يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلاَ يَعْرِفُهُ مِنَّا أَحَدٌ حَتَّى جَلَسَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَسْنَدَ رُكْبَتَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى فَخِذَيْهِ وَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي عَنِ الإِسْلاَمِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الإِسْلاَمُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَتُقِيمَ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ وَتَحُجَّ الْبَيْتَ إِنِ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ‏.‏ قَالَ صَدَقْتَ ‏.‏ قَالَ فَعَجِبْنَا لَهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ ‏.‏ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ الإِيمَانِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ صَدَقْتَ ‏.‏ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ الإِحْسَانِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ السَّاعَةِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ أَمَارَتِهَا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَنْ تَلِدَ الأَمَةُ رَبَّتَهَا وَأَنْ تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الْعَالَةَ رِعَاءَ الشَّاءِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ انْطَلَقَ فَلَبِثْتُ مَلِيًّا ثُمَّ قَالَ لِي ‏"‏ يَا عُمَرُ أَتَدْرِي مَنِ السَّائِلُ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّهُ جِبْرِيلُ أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ دِينَكُمْ ‏"‏ ‏.‏

حدثني ابو خيثمة، زهير بن حرب حدثنا وكيع، عن كهمس، عن عبد الله بن بريدة، عن يحيى بن يعمر، ح وحدثنا عبيد الله بن معاذ العنبري، - وهذا حديثه - حدثنا ابي، حدثنا كهمس، عن ابن بريدة، عن يحيى بن يعمر، قال كان اول من قال في القدر بالبصرة معبد الجهني فانطلقت انا وحميد بن عبد الرحمن الحميري حاجين او معتمرين فقلنا لو لقينا احدا من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم فسالناه عما يقول هولاء في القدر فوفق لنا عبد الله بن عمر بن الخطاب داخلا المسجد فاكتنفته انا وصاحبي احدنا عن يمينه والاخر عن شماله فظننت ان صاحبي سيكل الكلام الى فقلت ابا عبد الرحمن انه قد ظهر قبلنا ناس يقرءون القران ويتقفرون العلم - وذكر من شانهم - وانهم يزعمون ان لا قدر وان الامر انف ‏.‏ قال فاذا لقيت اولىك فاخبرهم اني بريء منهم وانهم براء مني والذي يحلف به عبد الله بن عمر لو ان لاحدهم مثل احد ذهبا فانفقه ما قبل الله منه حتى يومن بالقدر ثم قال حدثني ابي عمر بن الخطاب قال بينما نحن عند رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات يوم اذ طلع علينا رجل شديد بياض الثياب شديد سواد الشعر لا يرى عليه اثر السفر ولا يعرفه منا احد حتى جلس الى النبي صلى الله عليه وسلم فاسند ركبتيه الى ركبتيه ووضع كفيه على فخذيه وقال يا محمد اخبرني عن الاسلام ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الاسلام ان تشهد ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله وتقيم الصلاة وتوتي الزكاة وتصوم رمضان وتحج البيت ان استطعت اليه سبيلا ‏.‏ قال صدقت ‏.‏ قال فعجبنا له يساله ويصدقه ‏.‏ قال فاخبرني عن الايمان ‏.‏ قال ‏"‏ ان تومن بالله وملاىكته وكتبه ورسله واليوم الاخر وتومن بالقدر خيره وشره ‏"‏ ‏.‏ قال صدقت ‏.‏ قال فاخبرني عن الاحسان ‏.‏ قال ‏"‏ ان تعبد الله كانك تراه فان لم تكن تراه فانه يراك ‏"‏ ‏.‏ قال فاخبرني عن الساعة ‏.‏ قال ‏"‏ ما المسىول عنها باعلم من الساىل ‏"‏ ‏.‏ قال فاخبرني عن امارتها ‏.‏ قال ‏"‏ ان تلد الامة ربتها وان ترى الحفاة العراة العالة رعاء الشاء يتطاولون في البنيان ‏"‏ ‏.‏ قال ثم انطلق فلبثت مليا ثم قال لي ‏"‏ يا عمر اتدري من الساىل ‏"‏ ‏.‏ قلت الله ورسوله اعلم ‏.‏ قال ‏"‏ فانه جبريل اتاكم يعلمكم دينكم ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Explaining Al-Iman (Faith), Al-Islam, and Al-Ihsan, and The Obligations of Al-Iman With Affirmation of The Qadar of Allah, Glorious And Most High is He. And Explaining The Evidence For Declaring One's Innocence Of One Who Does Not Believe In Al-Qadar, And Having A Harsh View Of His Case


It is narrated on the authority of Yahya b. Ya'mur that the first man who discussed qadr (Divine Decree) in Basra was Ma'bad al-Juhani. I along with Humaid b. 'Abdur-Rahman Himyari set out for pilgrimage or for 'Umrah and said:
Should it so happen that we come into contact with one of the Companions of the Messenger of Allah (peace be upon him) we shall ask him about what is talked about taqdir (Divine Decree). Accidentally we came across Abdullah ibn Umar ibn al-Khattab, while he was entering the mosque. My companion and I surrounded him. One of us (stood) on his right and the other stood on his left. I expected that my companion would authorize me to speak. I therefore said: Abu Abdur Rahman! There have appeared some people in our land who recite the Qur'an and pursue knowledge. And then after talking about their affairs, added: They (such people) claim that there is no such thing as Divine Decree and events are not predestined. He (Abdullah ibn Umar) said: When you happen to meet such people tell them that I have nothing to do with them and they have nothing to do with me. And verily they are in no way responsible for my (belief). Abdullah ibn Umar swore by Him (the Lord) (and said): If any one of them (who does not believe in the Divine Decree) had with him gold equal to the bulk of (the mountain) Uhud and spent it (in the way of Allah), Allah would not accept it unless he affirmed his faith in Divine Decree. He further said: My father, Umar ibn al-Khattab, told me: One day we were sitting in the company of Allah's Apostle (peace be upon him) when there appeared before us a man dressed in pure white clothes, his hair extraordinarily black. There were no signs of travel on him. None amongst us recognized him. At last he sat with the Apostle (peace be upon him) He knelt before him placed his palms on his thighs and said: Muhammad, inform me about al-Islam. The Messenger of Allah (peace be upon him) said: Al-Islam implies that you testify that there is no god but Allah and that Muhammad is the messenger of Allah, and you establish prayer, pay Zakat, observe the fast of Ramadan, and perform pilgrimage to the (House) if you are solvent enough (to bear the expense of) the journey. He (the inquirer) said: You have told the truth. He (Umar ibn al-Khattab) said: It amazed us that he would put the question and then he would himself verify the truth. He (the inquirer) said: Inform me about Iman (faith). He (the Holy Prophet) replied: That you affirm your faith in Allah, in His angels, in His Books, in His Apostles, in the Day of Judgment, and you affirm your faith in the Divine Decree about good and evil. He (the inquirer) said: You have told the truth. He (the inquirer) again said: Inform me about al-Ihsan (performance of good deeds). He (the Holy Prophet) said: That you worship Allah as if you are seeing Him, for though you don't see Him, He, verily, sees you. He (the enquirer) again said: Inform me about the hour (of the Doom). He (the Holy Prophet) remarked: One who is asked knows no more than the one who is inquiring (about it). He (the inquirer) said: Tell me some of its indications. He (the Holy Prophet) said: That the slave-girl will give birth to her mistress and master, that you will find barefooted, destitute goat-herds vying with one another in the construction of magnificent buildings. He (the narrator, Umar ibn al-Khattab) said: Then he (the inquirer) went on his way but I stayed with him (the Holy Prophet) for a long while. He then, said to me: Umar, do you know who this inquirer was? I replied: Allah and His Apostle knows best. He (the Holy Prophet) remarked: He was Gabriel (the angel). He came to you in order to instruct you in matters of religion.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ১. ঈমান, ইসলামের পরিচয় এবং আল্লাহ কর্তৃক ভাগ্য সাব্যস্ত করার প্রতি ঈমান ওয়াজিব হওয়া, ভাগ্যলিপির উপর অবিশ্বাসী লোকের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা ও তার ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণের প্রমাণাদির বর্ণনা।

২-(২/...) মুহাম্মাদ ইবনু উবায়দ আল গুবারী (রহঃ) ..... ইয়াহইয়া ইবনু ইয়ামার (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মা’বাদ (আল জুহানী) তাকদীর সম্পর্কে তার মত ব্যক্ত করলে আমরা তা অস্বীকার করি। তিনি (ইয়াহইয়া ইবনু ইয়ামার) বলেন, আমি ও হুমায়দ ইবনু আবদুর রহমান আল হিমইয়ারী হজ্জ পালন করতে গিয়েছিলাম। এরপর কাহমাস এর হাদীসের অনুরূপ সনদসহ হাদীসটি বর্ণিত আছে। তবে এ বর্ণনায় কিছু বেশ কম রয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২, ইসলামিক সেন্টারঃ ২)

باب بيان الإيمان والإسلام والإحسان ووجوب الإيمان بإثبات قدر الله سبحانه وتعالى وبيان الدليل على التبري ممن لا يؤمن بالقدر وإغلاظ القول في حقه

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ قَالُوا حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مَطَرٍ الْوَرَّاقِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، قَالَ لَمَّا تَكَلَّمَ مَعْبَدٌ بِمَا تَكَلَّمَ بِهِ فِي شَأْنِ الْقَدَرِ أَنْكَرْنَا ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ فَحَجَجْتُ أَنَا وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيُّ حِجَّةً ‏.‏ وَسَاقُوا الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ كَهْمَسٍ وَإِسْنَادِهِ ‏.‏ وَفِيهِ بَعْضُ زِيَادَةٍ وَنُقْصَانُ أَحْرُفٍ ‏.‏

حدثني محمد بن عبيد الغبري، وابو كامل الجحدري واحمد بن عبدة قالوا حدثنا حماد بن زيد، عن مطر الوراق، عن عبد الله بن بريدة، عن يحيى بن يعمر، قال لما تكلم معبد بما تكلم به في شان القدر انكرنا ذلك ‏.‏ قال فحججت انا وحميد بن عبد الرحمن الحميري حجة ‏.‏ وساقوا الحديث بمعنى حديث كهمس واسناده ‏.‏ وفيه بعض زيادة ونقصان احرف ‏.‏

Chapter: Explaining Al-Iman (Faith), Al-Islam, and Al-Ihsan, and The Obligations of Al-Iman With Affirmation of The Qadar of Allah, Glorious And Most High is He. And Explaining The Evidence For Declaring One's Innocence Of One Who Does Not Believe In Al-Qadar, And Having A Harsh View Of His Case


It is narrated on the authority of Yahya b. Ya'mur that when Ma'bad discussed the problem pertaining to Divine Decree, we refuted that. He (the narrator) said: I and Humaid b. Abdur-Rahman Himyari argued. And they carried on the conversation about the purport of the hadith related by Kahmas and its chain of transmission too, and there is some variation of words.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ১. ঈমান, ইসলামের পরিচয় এবং আল্লাহ কর্তৃক ভাগ্য সাব্যস্ত করার প্রতি ঈমান ওয়াজিব হওয়া, ভাগ্যলিপির উপর অবিশ্বাসী লোকের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা ও তার ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণের প্রমাণাদির বর্ণনা।

৩-(৩/...) মুহাম্মাদ বিন হাতিম (রহঃ) ..... ইয়াহইয়া বিন ইয়ামার এবং হুমায়দ ইবনু আবদুর রহমান থেকে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেন, একদা আমরা আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করি এবং তার কাছে তাকদীর বিষয়ে ঐ সকল লোকেরা (মাবাদ ও তার অনুসারীরা) যা মন্তব্য করে তা উল্লেখ করি। তঃপর এ হাদীসটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে উমর (রাযিঃ) এর উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনাকারীরা যেরূপ বর্ণনা করেছেন ’আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ ঠিক অনুরূপই বর্ণনা করেছেন। অবশ্য এতে শব্দের কম বেশি আছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩, ইসলামিক সেন্টারঃ ৩)

باب بيان الإيمان والإسلام والإحسان ووجوب الإيمان بإثبات قدر الله سبحانه وتعالى وبيان الدليل على التبري ممن لا يؤمن بالقدر وإغلاظ القول في حقه

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، وَحُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالاَ لَقِينَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ فَذَكَرْنَا الْقَدَرَ وَمَا يَقُولُونَ فِيهِ ‏.‏ فَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ كَنَحْوِ حَدِيثِهِمْ عَنْ عُمَرَ - رضى الله عنه - عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَفِيهِ شَىْءٌ مِنْ زِيَادَةٍ وَقَدْ نَقَصَ مِنْهُ شَيْئًا ‏.‏

وحدثني محمد بن حاتم، حدثنا يحيى بن سعيد القطان، حدثنا عثمان بن غياث، حدثنا عبد الله بن بريدة، عن يحيى بن يعمر، وحميد بن عبد الرحمن، قالا لقينا عبد الله بن عمر فذكرنا القدر وما يقولون فيه ‏.‏ فاقتص الحديث كنحو حديثهم عن عمر - رضى الله عنه - عن النبي صلى الله عليه وسلم وفيه شىء من زيادة وقد نقص منه شيىا ‏.‏

Chapter: Explaining Al-Iman (Faith), Al-Islam, and Al-Ihsan, and The Obligations of Al-Iman With Affirmation of The Qadar of Allah, Glorious And Most High is He. And Explaining The Evidence For Declaring One's Innocence Of One Who Does Not Believe In Al-Qadar, And Having A Harsh View Of His Case


It is narrated on the authority of Yahya b. Ya'mur and Humaid b. 'Abdur-Rahman that they said: We met Abdullah b. 'Umar and we discussed about the Divine Decree, and what they talked about it and he narrated the hadith that has been transmitted by 'Umar (may Allah be pleased with him) from the Apostle (ﷺ). There is a slight variation in that.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ১. ঈমান, ইসলামের পরিচয় এবং আল্লাহ কর্তৃক ভাগ্য সাব্যস্ত করার প্রতি ঈমান ওয়াজিব হওয়া, ভাগ্যলিপির উপর অবিশ্বাসী লোকের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা ও তার ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণের প্রমাণাদির বর্ণনা।

৪-(৪/...) হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ..... উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। হাদীসটি উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪, ইসলামিক সেন্টারঃ ৪)

باب بيان الإيمان والإسلام والإحسان ووجوب الإيمان بإثبات قدر الله سبحانه وتعالى وبيان الدليل على التبري ممن لا يؤمن بالقدر وإغلاظ القول في حقه

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

وحدثني حجاج بن الشاعر، حدثنا يونس بن محمد، حدثنا المعتمر، عن ابيه، عن يحيى بن يعمر، عن ابن عمر، عن عمر، عن النبي صلى الله عليه وسلم بنحو حديثهم ‏.‏

Chapter: Explaining Al-Iman (Faith), Al-Islam, and Al-Ihsan, and The Obligations of Al-Iman With Affirmation of The Qadar of Allah, Glorious And Most High is He. And Explaining The Evidence For Declaring One's Innocence Of One Who Does Not Believe In Al-Qadar, And Having A Harsh View Of His Case


The same hadith is mentioned through a different chain.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ১. ঈমান, ইসলামের পরিচয় এবং আল্লাহ কর্তৃক ভাগ্য সাব্যস্ত করার প্রতি ঈমান ওয়াজিব হওয়া, ভাগ্যলিপির উপর অবিশ্বাসী লোকের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা ও তার ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণের প্রমাণাদির বর্ণনা।

৫-(৫/৯) আবূ বকর ইবনু আবী শাইবাহ ও জুহায়র ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোকেদের নিয়ে বসেছিলেন। এমন সময় একজন লোক এসে তাকে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! ঈমান কি? তিনি বললেন, ঈমান এই যে, তুমি আল্লাহ, তার ফেরেশতাকুল, তার (নাযিলকৃত) কিতাব, (আখিরাত) তার সাথে সাক্ষাৎ ও তার রাসূলগণের প্রতি ঈমান রাখবে এবং পুনরুত্থান দিবসের উপরও ঈমান আনবে। লোকটি আবার জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! ইসলাম কি? তিনি বললেন, ইসলাম এই যে, তুমি আল্লাহর ইবাদাত করতে থাকবে, কিন্তু তার সাথে কাউকে শারীক করবে না, ফরযকৃত সালাত কায়িম করবে, নির্ধারিত ফরয যাকাত আদায় করবে এবং রমযানের সওম পালন করবে। সে আবার জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! ইহসান কি? তিনি বললেন, তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদাত করবে যেন তাকে দেখছো; যদি তাকে না দেখো তা হলে তিনি তোমাকে দেখছেন (বলে অনুভব করবে)।

সে পুনরায় জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! কিয়ামত কখন হবে? তিনি বললেন, এ ব্যাপারে যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে তিনি প্রশ্নকারীর চেয়ে বেশি কিছু জানেন না। তবে আমি তোমাকে তার (কিয়ামতের) কিছু নিদর্শন বলে দিচ্ছিঃ যখন দাসী তার মনিবকে প্রসব করবে এটা তার নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি। আর যখন বস্ত্রহীন, জুতাহীন (ব্যক্তি) জনগণের নেতা হবে, এটাও তার একটি নিদর্শন। আর মেষ শাবক ও ছাগলের রাখালরা যখন সুউচ্চ দালানকোঠা নিয়ে পরস্পর গর্ব করবে, এটাও তার একটি নিদর্শন। প্রকৃতপক্ষে যে পাঁচটি জিনিসের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ রাখেন, কিয়ামতের জ্ঞান তারই অন্তর্ভুক্ত। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিম্নবর্ণিত আয়াত তিলাওয়াত করলেন, "আল্লাহর নিকটই কিয়ামতের জ্ঞান রয়েছে, আর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং মাতৃগর্ভে কি আছে তা তিনিই জানেন। কোন প্রাণীই আগামীকাল কী উপার্জন করবে তা জানে না এবং কোন জমিনে সে মৃত্যুবরণ করবে তাও জানে না। বস্তুতঃ আল্লাহই সব জানেন এবং তিনি সব বিষয়ই অবগত"- (সূরাহ লুকমান ৩১ঃ ৩৪)।

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর লোকটি চলে গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, লোকটিকে আমার নিকট ফিরিয়ে আনো। তারা তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য গেলেন। কিন্তু কাউকে পেলেন না। তারপর রাসূলুল্লাহ বললেন, ইনি জিবরীল (আঃ), লোকেদের দীন শিক্ষা দেয়ার জন্য এসেছিলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫, ইসলামিক সেন্টারঃ ৫)

باب بيان الإيمان والإسلام والإحسان ووجوب الإيمان بإثبات قدر الله سبحانه وتعالى وبيان الدليل على التبري ممن لا يؤمن بالقدر وإغلاظ القول في حقه

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي حَيَّانَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا بَارِزًا لِلنَّاسِ فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِيمَانُ قَالَ ‏"‏ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكِتَابِهِ وَلِقَائِهِ وَرُسُلِهِ وَتُؤْمِنَ بِالْبَعْثِ الآخِرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِسْلاَمُ قَالَ ‏"‏ الإِسْلاَمُ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمَ الصَّلاَةَ الْمَكْتُوبَةَ وَتُؤَدِّيَ الزَّكَاةَ الْمَفْرُوضَةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِحْسَانُ قَالَ ‏"‏ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنَّكَ إِنْ لاَ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى السَّاعَةُ قَالَ ‏"‏ مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ وَلَكِنْ سَأُحَدِّثُكَ عَنْ أَشْرَاطِهَا إِذَا وَلَدَتِ الأَمَةُ رَبَّهَا فَذَاكَ مِنْ أَشْرَاطِهَا وَإِذَا كَانَتِ الْعُرَاةُ الْحُفَاةُ رُءُوسَ النَّاسِ فَذَاكَ مِنْ أَشْرَاطِهَا وَإِذَا تَطَاوَلَ رِعَاءُ الْبَهْمِ فِي الْبُنْيَانِ فَذَاكَ مِنْ أَشْرَاطِهَا فِي خَمْسٍ لاَ يَعْلَمُهُنَّ إِلاَّ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ تَلاَ صلى الله عليه وسلم ‏(‏ إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَىِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ أَدْبَرَ الرَّجُلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ رُدُّوا عَلَىَّ الرَّجُلَ ‏"‏ ‏.‏ فَأَخَذُوا لِيَرُدُّوهُ فَلَمْ يَرَوْا شَيْئًا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَذَا جِبْرِيلُ جَاءَ لِيُعَلِّمَ النَّاسَ دِينَهُمْ ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، وزهير بن حرب، جميعا عن ابن علية، قال زهير حدثنا اسماعيل بن ابراهيم، عن ابي حيان، عن ابي زرعة بن عمرو بن جرير، عن ابي هريرة، قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يوما بارزا للناس فاتاه رجل فقال يا رسول الله ما الايمان قال ‏"‏ ان تومن بالله وملاىكته وكتابه ولقاىه ورسله وتومن بالبعث الاخر ‏"‏ ‏.‏ قال يا رسول الله ما الاسلام قال ‏"‏ الاسلام ان تعبد الله ولا تشرك به شيىا وتقيم الصلاة المكتوبة وتودي الزكاة المفروضة وتصوم رمضان ‏"‏ ‏.‏ قال يا رسول الله ما الاحسان قال ‏"‏ ان تعبد الله كانك تراه فانك ان لا تراه فانه يراك ‏"‏ ‏.‏ قال يا رسول الله متى الساعة قال ‏"‏ ما المسىول عنها باعلم من الساىل ولكن ساحدثك عن اشراطها اذا ولدت الامة ربها فذاك من اشراطها واذا كانت العراة الحفاة رءوس الناس فذاك من اشراطها واذا تطاول رعاء البهم في البنيان فذاك من اشراطها في خمس لا يعلمهن الا الله ‏"‏ ‏.‏ ثم تلا صلى الله عليه وسلم ‏(‏ ان الله عنده علم الساعة وينزل الغيث ويعلم ما في الارحام وما تدري نفس ماذا تكسب غدا وما تدري نفس باى ارض تموت ان الله عليم خبير‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قال ثم ادبر الرجل فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ردوا على الرجل ‏"‏ ‏.‏ فاخذوا ليردوه فلم يروا شيىا ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هذا جبريل جاء ليعلم الناس دينهم ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Explaining Al-Iman (Faith), Al-Islam, and Al-Ihsan, and The Obligations of Al-Iman With Affirmation of The Qadar of Allah, Glorious And Most High is He. And Explaining The Evidence For Declaring One's Innocence Of One Who Does Not Believe In Al-Qadar, And Having A Harsh View Of His Case


Abu Huraira reported:
One day the Messenger of Allah (ﷺ) appeared before the public that a man came to him and said: Prophet of Allah, (tell me) what is Iman. Upon this he (the Holy Prophet) replied: That you affirm your faith in Allah, His angels, His Books, His meeting, His Messengers and that you affirm your faith in the Resurrection hereafter. He (again) said: Messenger of Allah, (tell me) what does al-Islam signify. He (the Holy Prophet) replied: Al-Islam signifies that you worship Allah and do not associate anything with Him and you establish obligatory prayer and you pay the obligatory poor-rate (Zakat) and you observe the fast of Ramadan. He (the inquirer) again said: Messenger of Allah, what does al-Ihsan imply? He (the Holy Prophet) replied: That you worship Allah as if you are seeing Him, and in case you fail to see Him, then observe prayer (with this idea in your mind) that (at least) He is seeing you. He (the inquirer ) again said: Messenger of Allah, when would there be the hour (of Doom)? He (the Holy Prophet) replied: The one who is asked about it is no better informed than the inquirer. I, however, narrate some of its signs (and these are): when the slave-girl will give birth to he master, when the naked, barefooted would become the chiefs of the people - these are some of the signs of (Doom). (Moreover) when the shepherds of the black (camels) would exult themselves in buildings, this is one of the signs of (Doom). (Doom) is one of the five (happenings wrapped in the unseen) which no one knows but Allah. Then he (the Messenger of Allah) recited (the verse):" Verily Allah! with Him alone is the knowledge of the hour and He it is Who sends (down the rain) and knows that which is in the wombs and no person knows whatsoever he shall earn tomorrow, and a person knows not in whatsoever land he shall die. Verily Allah is Knowing, Aware. He (the narrator, Abu Huraira) said: Then the person turned back and went away. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Bring that man back to me. They (the Companions of the Prophet present there) went to bring him back, but they saw nothing there. Upon this the Messenger of Allah remarked: he was Gabriel, who came to teach the people their religion.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ১. ঈমান, ইসলামের পরিচয় এবং আল্লাহ কর্তৃক ভাগ্য সাব্যস্ত করার প্রতি ঈমান ওয়াজিব হওয়া, ভাগ্যলিপির উপর অবিশ্বাসী লোকের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা ও তার ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণের প্রমাণাদির বর্ণনা।

৬-(৬/...) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আবূ হাইয়্যান আত তাইমী (রাযিঃ) থেকে উক্ত সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তার বর্ণনায় "দাসী তার মনিব স্বামী জন্ম দিবে" কথাটির উল্লেখ রয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ৬)

باب بيان الإيمان والإسلام والإحسان ووجوب الإيمان بإثبات قدر الله سبحانه وتعالى وبيان الدليل على التبري ممن لا يؤمن بالقدر وإغلاظ القول في حقه

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّ فِي رِوَايَتِهِ ‏ "‏ إِذَا وَلَدَتِ الأَمَةُ بَعْلَهَا ‏"‏ يَعْنِي السَّرَارِيَّ ‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الله بن نمير، حدثنا محمد بن بشر، حدثنا ابو حيان التيمي، بهذا الاسناد مثله غير ان في روايته ‏ "‏ اذا ولدت الامة بعلها ‏"‏ يعني السراري ‏.‏

Chapter: Explaining Al-Iman (Faith), Al-Islam, and Al-Ihsan, and The Obligations of Al-Iman With Affirmation of The Qadar of Allah, Glorious And Most High is He. And Explaining The Evidence For Declaring One's Innocence Of One Who Does Not Believe In Al-Qadar, And Having A Harsh View Of His Case


This hadith is narrated to us on the authority of Muhammad b. 'Abdullah b. Numair, on the authority of Muhammad b. Bishr, on the authority of Abd Hayyan al-Taymi with the exception that in this narration (instead of the words (Iza Waladat al'amah rabbaha), the words are (Iza Waladat al'amah Ba'laha), i, e, when slave-girl gives birth to her master.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ১. ঈমান, ইসলামের পরিচয় এবং আল্লাহ কর্তৃক ভাগ্য সাব্যস্ত করার প্রতি ঈমান ওয়াজিব হওয়া, ভাগ্যলিপির উপর অবিশ্বাসী লোকের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা ও তার ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণের প্রমাণাদির বর্ণনা।

৭-(৭/১০) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাহাবাদের) বললেন, তোমরা আমাকে প্রশ্ন কর। কিন্তু লোকেরা তাকে প্রশ্ন করতে সংকোচবোধ করল। বর্ণনাকারী বলেন, এমন সময় এক ব্যক্তি এসে হাঁটুর কাছে বসে বললোঃ হে আল্লাহর রাসূল! ইসলাম কি? উত্তরে তিনি বললেনঃ “তুমি আল্লাহর সাথে কাউকে শারীক করবে না, সালাত কায়িম করবে, যাকাত আদায় করবে এবং রমাযানের সওম পালন করবে।" সে বলল, আপনি সত্যই বলেছেন। লোকটি আবার জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! ঈমান কি? তিনি বললেন, ’তুমি আল্লাহ, তার ফেরেশতাকুল, তার কিতাব, আখিরাতে তার সাথে সাক্ষাৎ ও তার রাসূলগণের প্রতি ঈমান রাখবে। মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হওয়ার প্রতি ঈমান রাখবে এবং তাকদীরের উপরও পূর্ণ ঈমান রাখবে। সে বলল, আপনি সত্যই বলেছেন।

এবার সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ইহসান কি? তিনি বললেন, “তুমি এমনভাবে আল্লাহকে ভয় করো যেন তুমি তাকে দেখছো, আর যদি তুমি তাকে না দেখো, তাহলে তিনি তোমাকে দেখছেন বলে অনুভব করো"। সে বলল, আপনি সত্যই বলেছেন। এবার সে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! কিয়ামত কখন হবে? তিনি বললেন, এ ব্যাপারে যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে সে প্রশ্নকারীর চাইতে অধিক কিছু জানে না।

তবে আমি তার নিদর্শন ও লক্ষণসমূহ তোমাকে বলে দিচ্ছিঃ “যখন তুমি দেখবে কোন নারী তার মনিবকে প্রসব করবে এটা কিয়ামতের একটি নিদর্শন। যখন তুমি দেখবে, জুতাবিহীন, বস্ত্রহীন, বধির ও বোবা পৃথিবীতে শাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, এটা একটি নিদর্শন। আর যখন তুমি দেখবে মেষ চালকরা সুউচ্চ দালান-কোঠা নিয়ে গর্ব করছে, এটাও কিয়ামতের নিদর্শন। যে পাঁচটি অদৃশ্য বস্তুর জ্ঞান আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না, কিয়ামতের জ্ঞান তারই অন্তর্ভুক্ত।

অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ আয়াত পাঠ করলেন, “অবশ্যই আল্লাহর নিকটই কিয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। আর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন। মাতৃগর্ভে কী আছে তা তিনিই জানেন। কোন জীবই আগামীকাল কী উপার্জন করবে তা জানে না এবং কোন স্থানে সে মরবে তাও জানেনা"- (সূরাহ লুকমান ৩১ঃ ৩৪) তিনি সূরার শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন।

এরপর লোকটি চলে গেলো। তখন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবাদের বললেন, তোমরা লোকটিকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনো। অথচ অনেক খোজা-খুজি করা হলো কিন্তু তারা তাকে আর পেলো না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ইনি জিবরীল (আঃ) তোমরা প্রশ্ন না করায় তিনি চাইলেন যেন তোমরা দীন সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ কর। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭)

باب بيان الإيمان والإسلام والإحسان ووجوب الإيمان بإثبات قدر الله سبحانه وتعالى وبيان الدليل على التبري ممن لا يؤمن بالقدر وإغلاظ القول في حقه

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ، - وَهُوَ ابْنُ الْقَعْقَاعِ - عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ سَلُونِي ‏"‏ فَهَابُوهُ أَنْ يَسْأَلُوهُ ‏.‏ فَجَاءَ رَجُلٌ فَجَلَسَ عِنْدَ رُكْبَتَيْهِ ‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِسْلاَمُ قَالَ ‏"‏ لاَ تُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ وَتَصُومُ رَمَضَانَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ صَدَقْتَ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِيمَانُ قَالَ ‏"‏ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكِتَابِهِ وَلِقَائِهِ وَرُسُلِهِ وَتُؤْمِنَ بِالْبَعْثِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ كُلِّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ صَدَقْتَ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِحْسَانُ قَالَ ‏"‏ أَنْ تَخْشَى اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنَّكَ إِنْ لاَ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ صَدَقْتَ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى تَقُومُ السَّاعَةُ قَالَ ‏"‏ مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ وَسَأُحَدِّثُكَ عَنْ أَشْرَاطِهَا إِذَا رَأَيْتَ الْمَرْأَةَ تَلِدُ رَبَّهَا فَذَاكَ مِنْ أَشْرَاطِهَا وَإِذَا رَأَيْتَ الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الصُّمَّ الْبُكْمَ مُلُوكَ الأَرْضِ فَذَاكَ مِنْ أَشْرَاطِهَا وَإِذَا رَأَيْتَ رِعَاءَ الْبَهْمِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ فَذَاكَ مِنْ أَشْرَاطِهَا فِي خَمْسٍ مِنَ الْغَيْبِ لاَ يَعْلَمُهُنَّ إِلاَّ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ ‏(‏ إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَىِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ‏)‏ قَالَ ثُمَّ قَامَ الرَّجُلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ رُدُّوهُ عَلَىَّ ‏"‏ فَالْتُمِسَ فَلَمْ يَجِدُوهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَذَا جِبْرِيلُ أَرَادَ أَنْ تَعَلَّمُوا إِذْ لَمْ تَسْأَلُوا ‏"‏ ‏.‏

حدثني زهير بن حرب، حدثنا جرير، عن عمارة، - وهو ابن القعقاع - عن ابي زرعة، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ سلوني ‏"‏ فهابوه ان يسالوه ‏.‏ فجاء رجل فجلس عند ركبتيه ‏.‏ فقال يا رسول الله ما الاسلام قال ‏"‏ لا تشرك بالله شيىا وتقيم الصلاة وتوتي الزكاة وتصوم رمضان ‏"‏ ‏.‏ قال صدقت ‏.‏ قال يا رسول الله ما الايمان قال ‏"‏ ان تومن بالله وملاىكته وكتابه ولقاىه ورسله وتومن بالبعث وتومن بالقدر كله ‏"‏ ‏.‏ قال صدقت ‏.‏ قال يا رسول الله ما الاحسان قال ‏"‏ ان تخشى الله كانك تراه فانك ان لا تكن تراه فانه يراك ‏"‏ ‏.‏ قال صدقت ‏.‏ قال يا رسول الله متى تقوم الساعة قال ‏"‏ ما المسىول عنها باعلم من الساىل وساحدثك عن اشراطها اذا رايت المراة تلد ربها فذاك من اشراطها واذا رايت الحفاة العراة الصم البكم ملوك الارض فذاك من اشراطها واذا رايت رعاء البهم يتطاولون في البنيان فذاك من اشراطها في خمس من الغيب لا يعلمهن الا الله ‏"‏ ‏.‏ ثم قرا ‏(‏ ان الله عنده علم الساعة وينزل الغيث ويعلم ما في الارحام وما تدري نفس ماذا تكسب غدا وما تدري نفس باى ارض تموت ان الله عليم خبير‏)‏ قال ثم قام الرجل فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ردوه على ‏"‏ فالتمس فلم يجدوه فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هذا جبريل اراد ان تعلموا اذ لم تسالوا ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Explaining Al-Iman (Faith), Al-Islam, and Al-Ihsan, and The Obligations of Al-Iman With Affirmation of The Qadar of Allah, Glorious And Most High is He. And Explaining The Evidence For Declaring One's Innocence Of One Who Does Not Believe In Al-Qadar, And Having A Harsh View Of His Case


It is narrated on the authority of Abu Huraira that the Messenger of Allah (ﷺ) said: Ask me (about matters pertaining to religion), but they (the Companions of the Holy Prophet) were too much overawed out of profound respect for him to ask him (anything). In the meanwhile a man came there, and sat near his knees and said: Messenger of Allah, what al-lslam is? -to which he (the Holy Prophet) replied: You must not associate anything with Allah, and establish prayer, pay the poor-rate (Zakat) and observe (the fasts) of Ramadan. He said: You (have) told the truth. He (again) said: Messenger of Allah, what al-Iman (the faith) is? He (the Holy Prophet) said: That you affirm your faith in Allah, His angels, His Books, His meeting, His Apostles, and that you believe in Resurrection and that you believe in Qadr (Divine Decree) in all its entirety, He (the inquirer) said: You (have) told the truth. He (again) said: Messenger of Allah, what al-Ihsan is? Upon this he (the Holy Prophet) said: (Al-Ihsan implies) that you fear Allah as if you are seeing Him, and though you see Him not, verily He is seeing you. He (the inquirer) said: You (have) told the truth. He (the inquirer) said: When there would be the hour (of Doom)? (Upon this) he (the HolyProphet said: The one who is being asked about it is no better informed than the inquirer himself. I, however, narrate some of its signs (and these are): when you see a slave (woman) giving birth to her master - that is one of the signs of (Doom) ; when you see barefooted, naked, deaf and dumb (ignorant and foolish persons) as the rulers of the earth - that is one of the signs of the Doom. And when you see the shepherds of black camels exult in buildings - that is one of the signs of Doom. The (Doom) is one of the five things (wrapped) in the unseen. No one knows them except Allah. Then (the Holy Prophet) recited (the folowing verse):" Verily Allah! with Him alone is the knowledge of the hour and He it is Who sends down the rain and knows that which is in the wombs and no person knows whatsoever he shall earn on morrow and a person knows not in whatsoever land he shall die. Verily Allah is Knowing, Aware. He (the narrator, Abu Huraira) said: Then the person stood up an (made his way). The Messenger of Allah (ﷺ) said: Bring him back to me. He was searched for, but they (the Companions of the Holy Prophet) could not find him. The Messenger of Allah (ﷺ) thereupon said: He was Gabriel and he wanted to teach you (things pertaining to religion) when you did not ask (them yourselves).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ২. সালাতের বর্ণনা যা ইসলামের একটি রুকন।

৮-(৮/১১) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ ইবনু জামীল ইবনু তারীফ ইবনু আবদুল্লাহ আস্ সাকাফী (রহঃ) ..... তালহাহ ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তালহাহ ইবনু উবাইদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, নাজদের বাসিন্দা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খিদমতে আসলো। তার মাথার চুলগুলো ছিল এলোমেলো ও বিক্ষিপ্ত। আমরা তার গুন গুন আওয়াজ শুনছিলাম, কিন্তু সে কী বলছিল তা বুঝা যাচ্ছিলো না। অতঃপর সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অতি নিকটে এসে ইসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত। সে বললো, এ ছাড়া আমার কোন কিছু (সালাত) আছে কি? তিনি বললেন, না তবে নফল আদায় করতে পারো। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে যাকাত প্রদানের কথাও বললেন। সে জিজ্ঞেস করলো, এ ছাড়া আমার উপর আরো কোন কর্তব্য আছে কি? তিনি বললেন, না। তবে নফল দান-সাদাকা করতে পারো[1]। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর লোকটি এ কথা বলতে বলতে চলে গেল, “আমি এর বেশিও করবো না, আর কমও করবো না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, লোকটি যদি তার কথার সত্যতা প্রমাণ করতে পারে তাহলে সফলকাম হয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮, ইসলামিক সেন্টারঃ ৮)

باب بَيَانِ الصَّلَوَاتِ الَّتِي هِيَ أَحَدُ أَرْكَانِ الإِسْلاَمِ ‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ جَمِيلِ بْنِ طَرِيفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، - فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ - عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ طَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ، يَقُولُ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ ثَائِرُ الرَّأْسِ نَسْمَعُ دَوِيَّ صَوْتِهِ وَلاَ نَفْقَهُ مَا يَقُولُ حَتَّى دَنَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا هُوَ يَسْأَلُ عَنِ الإِسْلاَمِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ خَمْسُ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهُنَّ قَالَ ‏"‏ لاَ ‏.‏ إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ وَصِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهُ فَقَالَ ‏"‏ لاَ ‏.‏ إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ ‏"‏ ‏.‏ وَذَكَرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الزَّكَاةَ فَقَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهَا قَالَ ‏"‏ لاَ ‏.‏ إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ ‏"‏ قَالَ فَأَدْبَرَ الرَّجُلُ وَهُوَ يَقُولُ وَاللَّهِ لاَ أَزِيدُ عَلَى هَذَا وَلاَ أَنْقُصُ مِنْهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد بن جميل بن طريف بن عبد الله الثقفي، عن مالك بن انس، - فيما قرى عليه - عن ابي سهيل، عن ابيه، انه سمع طلحة بن عبيد الله، يقول جاء رجل الى رسول الله صلى الله عليه وسلم من اهل نجد ثاىر الراس نسمع دوي صوته ولا نفقه ما يقول حتى دنا من رسول الله صلى الله عليه وسلم فاذا هو يسال عن الاسلام فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ خمس صلوات في اليوم والليلة ‏"‏ ‏.‏ فقال هل على غيرهن قال ‏"‏ لا ‏.‏ الا ان تطوع وصيام شهر رمضان ‏"‏ ‏.‏ فقال هل على غيره فقال ‏"‏ لا ‏.‏ الا ان تطوع ‏"‏ ‏.‏ وذكر له رسول الله صلى الله عليه وسلم الزكاة فقال هل على غيرها قال ‏"‏ لا ‏.‏ الا ان تطوع ‏"‏ قال فادبر الرجل وهو يقول والله لا ازيد على هذا ولا انقص منه ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ افلح ان صدق ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Explaining the prayers which are one of the pillars of Islam


It is reported on the authority of Talha b. 'Ubaidullah that a person with dishevelled hair, one of the people of Nejd, came to the Messenger of Allah (ﷺ). We heard the humming of his voice but could not fully discern what he had been saying, till he came nigh to the Messenger of Allah (ﷺ). It was then (disclosed to us) that he was asking questions pertaining to Islam. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Five prayers during the day and the night. (Upon this he said: Am I obliged to say any other (prayer) besides these? He (the Holy Prophet, ) said: No, but whatever you observe voluntarily, out of your own free will, and the fasts of Ramadan. The inquirer said: Am I obliged to do anything else besides this? He (the Holy Prophet) said: No, but whatever you do out of your own free will. And the Messenger of Allah told him about the Zakat (poor-rate). The inquirer said: Am I obliged to pay anything else besides this? He (the Holy Prophet) said: No, but whatever you pay voluntarily out of your own free will. The man turned back and was saying: I would neither make any addition to this, nor will decrease anything out of it. The Prophet remarked: He is successful, if he is true to what he affirms.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ২. সালাতের বর্ণনা যা ইসলামের একটি রুকন।

৯-(৯/...) তালহাহ ইবনু উবাইদুল্লাহ থেকে বর্ণিত তিনি এ হাদীসটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ইমাম মালিকের বর্ণিত হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এ হাদীসের শেষাংশে বলেছেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “সে সফলকাম হয়েছে তার বাবার কসম! যদি সে সত্য কথা বলে থাকে"। অথবা তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, "সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করেছে, যদি সে সত্য কথা বলে থাকে[1]। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯, ইসলামিক সেন্টারঃ ৯)

باب بَيَانِ الصَّلَوَاتِ الَّتِي هِيَ أَحَدُ أَرْكَانِ الإِسْلاَمِ ‏

حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَفْلَحَ وَأَبِيهِ إِنْ صَدَقَ ‏"‏ ‏.‏ أَوْ ‏"‏ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَأَبِيهِ إِنْ صَدَقَ ‏"‏ ‏.‏

حدثني يحيى بن ايوب، وقتيبة بن سعيد، جميعا عن اسماعيل بن جعفر، عن ابي سهيل، عن ابيه، عن طلحة بن عبيد الله، عن النبي صلى الله عليه وسلم بهذا الحديث نحو حديث مالك غير انه قال فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ افلح وابيه ان صدق ‏"‏ ‏.‏ او ‏"‏ دخل الجنة وابيه ان صدق ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Explaining the prayers which are one of the pillars of Islam


Another hadith, the like of which has been narrated by Malik (b. Anas) (and mentioned above) is also reported by Talha b. 'Ubaidullah, with the only variation that the Prophet remarked:
By his father, he shall succeed if he were true (to what he professed), or: By his father, he would enter heaven if he were true (to what he professed).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith
১০

পরিচ্ছেদঃ ৩. ইসলামের রুকনসমূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার বর্ণনা।

১০-(১০/১২) ’আমর ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু বুকায়ব আন নাকিদ (রহঃ) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করার ব্যাপারে আমাদের নিষেধ করা হয়েছিল। আমরা নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত হয়েছিলাম তাই আমরা চাইতাম যে, গ্রাম থেকে কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তি এসে তাকে প্রশ্ন করুক আর আমরা তা শুনি। তারপর একদিন গ্রাম থেকে এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বললো, হে মুহাম্মাদ! আমাদের কাছে আপনার দূত এসে বলেছে, আপনি দাবী করেছেন যে, আল্লাহ আপনাকে রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সে সত্য বলেছে। আগন্তুক বলল, আসমান কে সৃষ্টি করেছেন? তিনি বললেন, আল্লাহ। আগন্তুক বলল, জমিন কে সৃষ্টি করেছেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহ। আগন্তুক বলল, এসব পর্বতমালা কে স্থাপন করেছেন এবং এর মধ্যে যা কিছু আছে তা কে সৃষ্টি করেছেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ। আগন্তুক বলল, কসম সে সত্তার যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন এবং এসব পর্বতমালা স্থাপন করেছেন। আল্লাহই, আপনাকে রাসূলরূপে পাঠিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হ্যাঁ।

আগন্তুক বলল, আপনার দূত বলেছে যে, আমাদের উপর আমাদের মালের যাকাত দেয়া ফরয। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ ঠিকই বলেছে। আগন্তুক বলল, যিনি আপনাকে রাসূলরূপে পাঠিয়েছেন, তার কসম, আল্লাহই কি আপনাকে এ নির্দেশ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হ্যাঁ। আগন্তুক বলল, আপনার দূত বলেছে যে, আমাদের মধ্যে যে বাইতুল্লায় যেতে সক্ষম তার উপর হজ্জ ফরয। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সত্যি বলেছে। রাবী বলেন যে, তারপর আগন্তুক চলে যেতে যেতে বলল, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন তার কসম, আমি এর অতিরিক্তও করবো না এবং এর কমও করবো না। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, লোকটি সত্য বলে থাকলে অবশ্যই জান্নাতে যাবে[1]। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০, ইসলামিক সেন্টারঃ ১০)

باب السُّؤَالِ عَنْ أَرْكَانِ الْإِسْلَامِ

حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ بُكَيْرٍ النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ نُهِينَا أَنْ نَسْأَلَ، رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ شَىْءٍ فَكَانَ يُعْجِبُنَا أَنْ يَجِيءَ الرَّجُلُ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ الْعَاقِلُ فَيَسْأَلَهُ وَنَحْنُ نَسْمَعُ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَتَانَا رَسُولُكَ فَزَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَكَ قَالَ ‏"‏ صَدَقَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَمَنْ خَلَقَ السَّمَاءَ قَالَ ‏"‏ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَمَنْ خَلَقَ الأَرْضَ قَالَ ‏"‏ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَمَنْ نَصَبَ هَذِهِ الْجِبَالَ وَجَعَلَ فِيهَا مَا جَعَلَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَبِالَّذِي خَلَقَ السَّمَاءَ وَخَلَقَ الأَرْضَ وَنَصَبَ هَذِهِ الْجِبَالَ آللَّهُ أَرْسَلَكَ قَالَ ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي يَوْمِنَا وَلَيْلَتِنَا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ صَدَقَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمْرَكَ بِهَذَا قَالَ ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا زَكَاةً فِي أَمْوَالِنَا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ صَدَقَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمْرَكَ بِهَذَا قَالَ ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا صَوْمَ شَهْرِ رَمَضَانَ فِي سَنَتِنَا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ صَدَقَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا قَالَ ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا حَجَّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ‏.‏ قَالَ ‏"‏ صَدَقَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ وَلَّى ‏.‏ قَالَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لاَ أَزِيدُ عَلَيْهِنَّ وَلاَ أَنْقُصُ مِنْهُنَّ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَئِنْ صَدَقَ لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏

حدثني عمرو بن محمد بن بكير الناقد، حدثنا هاشم بن القاسم ابو النضر، حدثنا سليمان بن المغيرة، عن ثابت، عن انس بن مالك، قال نهينا ان نسال، رسول الله صلى الله عليه وسلم عن شىء فكان يعجبنا ان يجيء الرجل من اهل البادية العاقل فيساله ونحن نسمع فجاء رجل من اهل البادية فقال يا محمد اتانا رسولك فزعم لنا انك تزعم ان الله ارسلك قال ‏"‏ صدق ‏"‏ ‏.‏ قال فمن خلق السماء قال ‏"‏ الله ‏"‏ ‏.‏ قال فمن خلق الارض قال ‏"‏ الله ‏"‏ ‏.‏ قال فمن نصب هذه الجبال وجعل فيها ما جعل ‏.‏ قال ‏"‏ الله ‏"‏ ‏.‏ قال فبالذي خلق السماء وخلق الارض ونصب هذه الجبال الله ارسلك قال ‏"‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ قال وزعم رسولك ان علينا خمس صلوات في يومنا وليلتنا ‏.‏ قال ‏"‏ صدق ‏"‏ ‏.‏ قال فبالذي ارسلك الله امرك بهذا قال ‏"‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ قال وزعم رسولك ان علينا زكاة في اموالنا ‏.‏ قال ‏"‏ صدق ‏"‏ ‏.‏ قال فبالذي ارسلك الله امرك بهذا قال ‏"‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ قال وزعم رسولك ان علينا صوم شهر رمضان في سنتنا ‏.‏ قال ‏"‏ صدق ‏"‏ ‏.‏ قال فبالذي ارسلك الله امرك بهذا قال ‏"‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ قال وزعم رسولك ان علينا حج البيت من استطاع اليه سبيلا ‏.‏ قال ‏"‏ صدق ‏"‏ ‏.‏ قال ثم ولى ‏.‏ قال والذي بعثك بالحق لا ازيد عليهن ولا انقص منهن ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لىن صدق ليدخلن الجنة ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Asking about the pillars of Islam


It is reported on the authority of Anas b. Malik that he said:
We were forbidden that we should ask anything (without the genuine need) from the Holy Prophet. It, therefore, pleased us that an intelligent person from the dwellers of the desert should come and asked him (the Holy Prophet) and we should listen to it. A man from the dwellers of the desert came (to the Holy Prophet) and said: Muhammad, your messenger came to us and told us your assertion that verily Allah had sent you (as a prophet). He (the Holy Prophet) remarked: He told the truth. He (the bedouin) said: Who created the heaven? He (the Holy Prophet) replied: Allah. He (the bedouin again) said: Who created the earth? He (the Holy Prophet) replied: Allah. He (the bedouin again) said: Who raised these mountains and who created in them whatever is created there? He (the Holy Prophet) replied: Allah. Upon this he (the bedouin) remarked: By Him Who created the heaven and created the earth and raised mountains thereupon, has Allah (in fact) sent you? He (the Holy Prophet) said: Yes. He (the bedouin) said: Your messenger also told us that five prayers (had been made) obligatory for us during the day and the night. He (the Holy Prophet) remarked: He told you the truth. He (the bedouin) said: By Him Who sent you, is it Allah Who ordered you about this (i. e. prayers)? He (the Holy Prophet) said: Yes. He (the bedouin) said: Your messenger told us that Zakat had been made obligatory in our riches. He (the Holy Prophet) said. He has told the truth. He (the bedouin) said: By Him Who sent you (as a prophet), is it Allah Who ordered you about it (Zakat)? He (the Holy Prophet) said: Yes. He (the bedouin) said: Your messenger told us that it had been made obligatory for us to fast every year during the month of Ramadan. He (the Holy Prophet) said: He has told the truth. He (the bedouin) said: By Him Who sent you (as a prophet), is it Allah Who ordered you about it (the fasts of Ramadan)? He (the Holy Prophet) said: Yes. He (the bedouin) said: Your messenger also told us that pilgrimage (Hajj) to the House (of Ka'bah) had been made obligatory for him who is able to undertake the journey to it. He (the Holy Prophet) said: Yes. The narrator said that he (the bedouin) set off (at the conclusion of this answer, but at the time of his departure) remarked: 'By Him Who sent you with the Truth, I would neither make any addition to them nor would I diminish anything out of them. Upon this the Prophet remarked: If he were true (to what he said) he must enter Paradise.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith
১১

পরিচ্ছেদঃ ৩. ইসলামের রুকনসমূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার বর্ণনা।

১১-(১১/...) আবদুল্লাহ ইবনু হাশিম আল আব্‌দী ..... আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কোন প্রশ্ন করতে কুরআন মজীদে আমাদের নিষেধ করা হয়েছিল। তারপর তিনি হাদীসটির বাকী অংশ (উল্লিখিত হাদীসের) অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১, ইসলামিক সেন্টারঃ ১১)

باب السُّؤَالِ عَنْ أَرْكَانِ الْإِسْلَامِ

حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، قَالَ قَالَ أَنَسٌ كُنَّا نُهِينَا فِي الْقُرْآنِ أَنْ نَسْأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ شَىْءٍ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِهِ ‏.‏

حدثني عبد الله بن هاشم العبدي، حدثنا بهز، حدثنا سليمان بن المغيرة، عن ثابت، قال قال انس كنا نهينا في القران ان نسال رسول الله صلى الله عليه وسلم عن شىء ‏.‏ وساق الحديث بمثله ‏.‏

Chapter: Asking about the pillars of Islam


It is narrated on the authority of Thabit that Anas said:
We were forbidden in the Holy Qur'an that we should ask about anything from the Messenger of Allah (ﷺ) and then Anas reported the hadith in similar words.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith
১২

পরিচ্ছেদঃ ৪. যে ঈমানের বদৌলত জান্নাতে পাওয়া যাবে এবং যে ব্যক্তি (আল্লাহর) নির্দেশকে আঁকড়ে ধরবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে

১২-(১২/১৩) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আবূ আইয়ূব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। আবূ আইয়ূব (রাযিঃ) বলেন যে, কোন এক সফরে এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সম্মুখে এসে তার উটনীর লাগাম ধরে ফেললো। এ সময় তিনি সফরে ছিলেন। সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! অথবা হে মুহাম্মাদ! আমাকে এমন কিছু কাজের কথা বলুন যা আমাকে জান্নাতের নিকটবর্তী করে দিবে এবং আগুন (জাহান্নাম) থেকে দূরে রাখবে। বর্ণনাকারী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেমে গেলেন। তিনি সাহাবাদের দিকে তাকালেন। অতঃপর বললেনঃ নিশ্চয়ই তাকে অনুগ্রহ করা হয়েছে, অথবা তিনি বললেনঃ তাকে হিদায়াত দান করা হয়েছে। তিনি বললেনঃ তুমি কি বলেছিলে? রাবী বলেন, লোকটি তার কথার পুনরাবৃত্তি করলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহর ইবাদাত করো, তার সাথে কোন কিছুকে অংশী স্থাপন করো না, সালাত কায়িম কর, যাকাত আদায় কর, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখ, এবার উটনীটি ছেড়ে দাও। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১২ ইসলামিক সেন্টারঃ ১২)

باب بَيَانِ الإِيمَانِ الَّذِي يُدْخَلُ بِهِ الْجَنَّةُ وَأَنَّ مَنْ تَمَسَّكَ بِمَا أُمِرَ بِهِ دَخَلَ الجَنَّةَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ طَلْحَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو أَيُّوبَ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، عَرَضَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي سَفَرٍ ‏.‏ فَأَخَذَ بِخِطَامِ نَاقَتِهِ أَوْ بِزِمَامِهَا ثُمَّ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ - أَوْ يَا مُحَمَّدُ - أَخْبِرْنِي بِمَا يُقَرِّبُنِي مِنَ الْجَنَّةِ وَمَا يُبَاعِدُنِي مِنَ النَّارِ ‏.‏ قَالَ فَكَفَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَظَرَ فِي أَصْحَابِهِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ لَقَدْ وُفِّقَ - أَوْ لَقَدْ هُدِيَ - قَالَ كَيْفَ قُلْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَأَعَادَ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ تَعْبُدُ اللَّهَ لاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ وَتَصِلُ الرَّحِمَ دَعِ النَّاقَةَ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الله بن نمير، حدثنا ابي، حدثنا عمرو بن عثمان، حدثنا موسى بن طلحة، قال حدثني ابو ايوب، ان اعرابيا، عرض لرسول الله صلى الله عليه وسلم وهو في سفر ‏.‏ فاخذ بخطام ناقته او بزمامها ثم قال يا رسول الله - او يا محمد - اخبرني بما يقربني من الجنة وما يباعدني من النار ‏.‏ قال فكف النبي صلى الله عليه وسلم ثم نظر في اصحابه ثم قال ‏"‏ لقد وفق - او لقد هدي - قال كيف قلت ‏"‏ ‏.‏ قال فاعاد ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ تعبد الله لا تشرك به شيىا وتقيم الصلاة وتوتي الزكاة وتصل الرحم دع الناقة ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Explaining the faith by means of which a person is admitted into paradise, and that the one who adheres to what is enjoined upon him will enter paradise


It is narrated on the authority of Abu Ayyub Ansari that once during the journey of the Prophet (may peace of Allah be upon him) a bedouin appeared before him and caught hold of the nosestring of his she-camel and then said, Messenger of Allah (or Muhammad), inform me about that which takes me near to Paradise and draws me away from the Fire (of Hell). He (the narrator) said: The Prophet (ﷺ) stopped for a while and cast a glance upon his companions and then said: He was afforded a good opportunity (or he had been guided well). He (the Holy Prophet) addressing the bedouin said: (Repeat) whatever you have uttered. He (the bedouin) repeated that. Upon this the Apostle (ﷺ) remarked: The deed which can draw you near to Paradise and take you away from Hell is, that you worship Allah and associate none with Him, and you establish prayer and pay Zakat, and do good to your kin. After having uttered these words, the Prophet asked the bedouin to release the nosestring of his she-camel.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith
১৩

পরিচ্ছেদঃ ৪. যে ঈমানের বদৌলত জান্নাতে পাওয়া যাবে এবং যে ব্যক্তি (আল্লাহর) নির্দেশকে আঁকড়ে ধরবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে

১৩-(১৩/...) মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ও আবদুর রহমান ইবনু বিশ্বর (রহঃ) ..... আবূ আইয়ূব (রাযিঃ) হতে এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩, ইসলামিক সেন্টারঃ ১৩)

باب بَيَانِ الإِيمَانِ الَّذِي يُدْخَلُ بِهِ الْجَنَّةُ وَأَنَّ مَنْ تَمَسَّكَ بِمَا أُمِرَ بِهِ دَخَلَ الجَنَّةَ

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، وَأَبُوهُ، عُثْمَانُ أَنَّهُمَا سَمِعَا مُوسَى بْنَ طَلْحَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏

وحدثني محمد بن حاتم، وعبد الرحمن بن بشر، قالا حدثنا بهز، حدثنا شعبة، حدثنا محمد بن عثمان بن عبد الله بن موهب، وابوه، عثمان انهما سمعا موسى بن طلحة، يحدث عن ابي ايوب، عن النبي صلى الله عليه وسلم بمثل هذا الحديث ‏.‏

Chapter: Explaining the faith by means of which a person is admitted into paradise, and that the one who adheres to what is enjoined upon him will enter paradise


This hadith is transmitted by Muhammad b. Hatim on the authority of Abu Ayyub Ansari.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith
১৪

পরিচ্ছেদঃ ৪. যে ঈমানের বদৌলত জান্নাতে পাওয়া যাবে এবং যে ব্যক্তি (আল্লাহর) নির্দেশকে আঁকড়ে ধরবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে

১৪-(১৪/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া আত তামিমী (রহঃ) ও আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রাযিঃ) ... আবূ আইয়ুব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খিদমাতে হাযির হয়ে আরয করলো, আমাকে এমন একটি ’আমলের কথা বলে দিন, যে আমল আমাকে জান্নাতের কাছে পৌঁছে দিবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি আল্লাহর ইবাদাত করবে, তার সাথে কোন কিছু শারীক করবে না, সালাত কায়িম করবে, যাকাত দিবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখবে। সে ব্যক্তি চলে গেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তাকে যে ’আমলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা দৃঢ়তার সাথে পালন করলে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর আবূ শইবার বর্ণনায় إِنْ تَمَسَّكَ بِمَا এর স্থলে إِنْ تَمَسَّكَ بِهِ রয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪, ইসলামিক সেন্টারঃ ১৪)

باب بَيَانِ الإِيمَانِ الَّذِي يُدْخَلُ بِهِ الْجَنَّةُ وَأَنَّ مَنْ تَمَسَّكَ بِمَا أُمِرَ بِهِ دَخَلَ الجَنَّةَ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ أَعْمَلُهُ يُدْنِينِي مِنَ الْجَنَّةِ وَيُبَاعِدُنِي مِنَ النَّارِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ تَعْبُدُ اللَّهَ لاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ وَتَصِلُ ذَا رَحِمِكَ ‏"‏ فَلَمَّا أَدْبَرَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنْ تَمَسَّكَ بِمَا أُمِرَ بِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ أَبِي شَيْبَةَ ‏"‏ إِنْ تَمَسَّكَ بِهِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا يحيى بن يحيى التميمي، اخبرنا ابو الاحوص، ح وحدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا ابو الاحوص، عن ابي اسحاق، عن موسى بن طلحة، عن ابي ايوب، قال جاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال دلني على عمل اعمله يدنيني من الجنة ويباعدني من النار ‏.‏ قال ‏"‏ تعبد الله لا تشرك به شيىا وتقيم الصلاة وتوتي الزكاة وتصل ذا رحمك ‏"‏ فلما ادبر قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ان تمسك بما امر به دخل الجنة ‏"‏ ‏.‏ وفي رواية ابن ابي شيبة ‏"‏ ان تمسك به ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Explaining the faith by means of which a person is admitted into paradise, and that the one who adheres to what is enjoined upon him will enter paradise


It is narrated on the authority of Abu Ayyub that a man came to the Prophet (ﷺ) and said: Direct me to a deed which draws me near to Paradise and takes me away from the Fire (of Hell). Upon this he (the Holy Prophet) said: You worship Allah and never associate anything with Him, establish prayer, and pay Zakat, and do good to your kin. When he turned his back, the Messenger of Allah (ﷺ) remarked: If he adheres to what he has been ordered to do, he would enter Paradise.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith
১৫

পরিচ্ছেদঃ ৪. যে ঈমানের বদৌলত জান্নাতে পাওয়া যাবে এবং যে ব্যক্তি (আল্লাহর) নির্দেশকে আঁকড়ে ধরবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে

১৫-(১৫/১৪) আবূ বকর ইবনু ইসহাক (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে আরয করলো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন কাজের নির্দেশ দিন, যা করলে আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি। তিনি বললেন, আল্লাহর ইবাদাত করো, তার সাথে কাউকে অংশীদার করো না, ফরয সালাত কায়িম করো, নির্ধারিত যাকাত আদায় করো এবং রমাযানের সওম পালন করো। সে লোক বললোঃ সে সত্তার শপথ। যার হাতে আমার প্রাণ, আমি কখনো এর মধ্যে বৃদ্ধিও করবো না, আর তা থেকে কমাবও না। লোকটি যখন চলে গেলো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ যদি কেউ কোন জান্নাতী লোক দেখে আনন্দিত হতে চায়, সে যেন এ ব্যক্তিকে দেখে নেয়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৫, ইসলামিক সেন্টারঃ ১৫)

باب بَيَانِ الإِيمَانِ الَّذِي يُدْخَلُ بِهِ الْجَنَّةُ وَأَنَّ مَنْ تَمَسَّكَ بِمَا أُمِرَ بِهِ دَخَلَ الجَنَّةَ

وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ إِذَا عَمِلْتُهُ دَخَلْتُ الْجَنَّةَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ تَعْبُدُ اللَّهَ لاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ الْمَكْتُوبَةَ وَتُؤَدِّي الزَّكَاةَ الْمَفْرُوضَةَ وَتَصُومُ رَمَضَانَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ أَزِيدُ عَلَى هَذَا شَيْئًا أَبَدًا وَلاَ أَنْقُصُ مِنْهُ ‏.‏ فَلَمَّا وَلَّى قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا ‏"‏ ‏.‏

وحدثني ابو بكر بن اسحاق، حدثنا عفان، حدثنا وهيب، حدثنا يحيى بن سعيد، عن ابي زرعة، عن ابي هريرة، ان اعرابيا، جاء الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله دلني على عمل اذا عملته دخلت الجنة ‏.‏ قال ‏"‏ تعبد الله لا تشرك به شيىا وتقيم الصلاة المكتوبة وتودي الزكاة المفروضة وتصوم رمضان ‏"‏ ‏.‏ قال والذي نفسي بيده لا ازيد على هذا شيىا ابدا ولا انقص منه ‏.‏ فلما ولى قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ من سره ان ينظر الى رجل من اهل الجنة فلينظر الى هذا ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Explaining the faith by means of which a person is admitted into paradise, and that the one who adheres to what is enjoined upon him will enter paradise


It is reported on the authority of Abu Huraira that a bedouin came to the Messenger of Allah (ﷺ) and said: Messenger of Allah, direct me to a deed by which I may be entitled to enter Paradise. Upon this he (the Holy Prophet) remarked: You worship Allah and never associate anything with Him, establish the obligatory prayer, and pay the Zakat which is incumbent upon you, and observe the fast of Ramadan. He (the bedouin) said: By Him in Whose hand is my life, I will never add anything to it, nor will I diminish anything from it. When he (the bedouin) turned his back, the Prophet (ﷺ) said: He who is pleased to see a man from the dwellers of Paradise should catch a glimpse of him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith
১৬

পরিচ্ছেদঃ ৪. যে ঈমানের বদৌলত জান্নাতে পাওয়া যাবে এবং যে ব্যক্তি (আল্লাহর) নির্দেশকে আঁকড়ে ধরবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে

১৬-(১৬/১৫) আবূ বকর ইবনু শাইবাহ ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, নু’মান ইবনু কাওকাল (রাযিঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি বলুন, যদি আমি হারামকে জেনে বর্জন করি এবং হালালকে হালাল বলে গ্রহণ করি তাহলে আমি কি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হ্যাঁ। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ১৬)

باب بَيَانِ الإِيمَانِ الَّذِي يُدْخَلُ بِهِ الْجَنَّةُ وَأَنَّ مَنْ تَمَسَّكَ بِمَا أُمِرَ بِهِ دَخَلَ الجَنَّةَ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ - وَاللَّفْظُ لأَبِي كُرَيْبٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم النُّعْمَانُ بْنُ قَوْقَلٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِذَا صَلَّيْتُ الْمَكْتُوبَةَ وَحَرَّمْتُ الْحَرَامَ وَأَحْلَلْتُ الْحَلاَلَ أَأَدْخُلُ الْجَنَّةَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، وابو كريب - واللفظ لابي كريب - قالا حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن ابي سفيان، عن جابر، قال اتى النبي صلى الله عليه وسلم النعمان بن قوقل فقال يا رسول الله ارايت اذا صليت المكتوبة وحرمت الحرام واحللت الحلال اادخل الجنة فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ نعم ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Explaining the faith by means of which a person is admitted into paradise, and that the one who adheres to what is enjoined upon him will enter paradise


It is narrated on the authority of Jabir that Nu'man b. Qaufal came to the Prophet (ﷺ) and said: Would I enter Paradise if I say the obligatory prayers and deny myself that which is forbidden and treat that as lawful what has been made permissible (by the Shari'ah)? The Prophet (ﷺ) replied in the affirmative.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith
১৭

পরিচ্ছেদঃ ৪. যে ঈমানের বদৌলত জান্নাতে পাওয়া যাবে এবং যে ব্যক্তি (আল্লাহর) নির্দেশকে আঁকড়ে ধরবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে

১৭-(১৭/...) হাজ্জাজ ইবনু শাইর ও কাসিন ইবনু যাকারিয়্যা (রহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নুমান ইবনু কাওকাল (রাযিঃ) বলেছেন, হে আল্লাহর রাসূল! বাকী অংশ উপরোক্ত বর্ণনার অনুরূপ। তবে তিনি তার বর্ণনায় "তাতে কোন কিছু বর্ধিত করব না" কথাটি অতিরিক্ত উল্লেখ করেছেন (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭, ইসলামিক সেন্টারঃ ১৭)

باب بَيَانِ الإِيمَانِ الَّذِي يُدْخَلُ بِهِ الْجَنَّةُ وَأَنَّ مَنْ تَمَسَّكَ بِمَا أُمِرَ بِهِ دَخَلَ الجَنَّةَ

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، وَالْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، وَأَبِي، سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ النُّعْمَانُ بْنُ قَوْقَلٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ بِمِثْلِهِ ‏.‏ وَزَادَ فِيهِ وَلَمْ أَزِدْ عَلَى ذَلِكَ شَيْئًا ‏.‏

وحدثني حجاج بن الشاعر، والقاسم بن زكرياء، قالا حدثنا عبيد الله بن موسى، عن شيبان، عن الاعمش، عن ابي صالح، وابي، سفيان عن جابر، قال قال النعمان بن قوقل يا رسول الله ‏.‏ بمثله ‏.‏ وزاد فيه ولم ازد على ذلك شيىا ‏.‏

Chapter: Explaining the faith by means of which a person is admitted into paradise, and that the one who adheres to what is enjoined upon him will enter paradise


A similar hadith is narrated on Jabir's authority in which the following words are added: I will do nothing more.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith
১৮

পরিচ্ছেদঃ ৪. যে ঈমানের বদৌলত জান্নাতে পাওয়া যাবে এবং যে ব্যক্তি (আল্লাহর) নির্দেশকে আঁকড়ে ধরবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে

১৮-(১৮/...) সালামাহ ইবনু শাবীব (রহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, কোন এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খিদমাতে আরয করলেন, আপনি কি মনে করেন, যদি আমি ফরয সালাতসমূহ আদায় করি, রমযানের সিয়াম পালন করি, হালালকে হালাল জানি এবং হারামকে হারাম জানি এবং যদি এর অতিরিক্ত কিছু না করি, তাহলে আমি কি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হ্যাঁ। সে ব্যক্তি বললেন, আল্লাহর কসম! আমি এর উপর কিছুমাত্র বাড়াবো না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮, ইসলামিক সেন্টারঃ ১৮)

باب بَيَانِ الإِيمَانِ الَّذِي يُدْخَلُ بِهِ الْجَنَّةُ وَأَنَّ مَنْ تَمَسَّكَ بِمَا أُمِرَ بِهِ دَخَلَ الجَنَّةَ

وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، - وَهُوَ ابْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ - عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَرَأَيْتَ إِذَا صَلَّيْتُ الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوبَاتِ وَصُمْتُ رَمَضَانَ وَأَحْلَلْتُ الْحَلاَلَ وَحَرَّمْتُ الْحَرَامَ وَلَمْ أَزِدْ عَلَى ذَلِكَ شَيْئًا أَأَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَالَ ‏ "‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَاللَّهِ لاَ أَزِيدُ عَلَى ذَلِكَ شَيْئًا ‏.‏

وحدثني سلمة بن شبيب، حدثنا الحسن بن اعين، حدثنا معقل، - وهو ابن عبيد الله - عن ابي الزبير، عن جابر، ان رجلا، سال رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ارايت اذا صليت الصلوات المكتوبات وصمت رمضان واحللت الحلال وحرمت الحرام ولم ازد على ذلك شيىا اادخل الجنة قال ‏ "‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ قال والله لا ازيد على ذلك شيىا ‏.‏

Chapter: Explaining the faith by means of which a person is admitted into paradise, and that the one who adheres to what is enjoined upon him will enter paradise


It is narrated on the authority of Jabir that a man once said to the Messenger of Allah (ﷺ): Shall I enter Paradise in case I say the obligatory prayers, observe the (fasts) of Ramadan and treat that as lawful which has been made permissible (by the Shari'ah) and deny myself that what is forbidden, and make no addition to it? He (the Holy Prophet) replied in the affirmative. He (the inquirer) said: By Allah, I would add nothing to it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith
১৯

পরিচ্ছেদঃ ৫. ইসলামের রুকনসমূহ ও তার গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভসমূহ।

১৯–(১৯/১৬) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র আল হামদানী (রহঃ) ..... ইবনু উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ইসলামের বুনিয়াদ পাঁচটি বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত- আল্লাহকে এক বলে বিশ্বাস করা, সালাত কায়িম করা, যাকাত দেয়া, রমাযানের সিয়াম পালন করা এবং হজ্জ করা। এক ব্যক্তি (এ ক্রম পাঁচটিতে) বলল, হজ্জ করা ও রমাযানের সিয়াম পালন করা। রাবী বললেন, না রমাযানের সিয়াম পালন করা ও হজ্জ করা এভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৯, ইসলামিক সেন্টারঃ ১৯)

باب بَيَانِ أَرْكَانِ الْإِسْلَامِ وَدَعَائِمِهِ الْعِظَامِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، - يَعْنِي سُلَيْمَانَ بْنَ حَيَّانَ الأَحْمَرَ - عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسَةٍ عَلَى أَنْ يُوَحَّدَ اللَّهُ وَإِقَامِ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَصِيَامِ رَمَضَانَ وَالْحَجِّ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ الْحَجِّ وَصِيَامِ رَمَضَانَ قَالَ لاَ ‏.‏ صِيَامِ رَمَضَانَ وَالْحَجِّ ‏.‏ هَكَذَا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الله بن نمير الهمداني، حدثنا ابو خالد، - يعني سليمان بن حيان الاحمر - عن ابي مالك الاشجعي، عن سعد بن عبيدة، عن ابن عمر، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ بني الاسلام على خمسة على ان يوحد الله واقام الصلاة وايتاء الزكاة وصيام رمضان والحج ‏"‏ ‏.‏ فقال رجل الحج وصيام رمضان قال لا ‏.‏ صيام رمضان والحج ‏.‏ هكذا سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏

Chapter: Clarifying the pillars of Islam and its grand supports


It is narrated on the authority of ('Abdullah) son of Umar (may Allah be pleased with them) that the Prophet (may peace of Allah be upon him) said: (The superstructure of) al-Islam is raised on five (pillars), i. e. the oneness of Allah, the establishment of prayer, payment of Zakat, the, fast of Ramadan, Pilgrimage (to Mecca). A person said (to 'Abdullah b. Umar the narrator): Which of the two precedes the other-Pilgrimage or the fasts of Rarnadan? Upon this he (the narrator) replied: No (it is not the Pilgrimage first) but the fasts of Ramadan precede the Pilgrimage.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith
২০

পরিচ্ছেদঃ ৫. ইসলামের রুকনসমূহ ও তার গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভসমূহ।

২০-(২০/...) সাহল ইবনু উসমান আল আসকারী (রহঃ) ..... ইবনু উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ পাঁচটি জিনিসের উপর ইসলামের ভিত্তি স্থাপিত। আল্লাহর ইবাদাত করা এবং তাকে ছাড়া আর সব কিছু অস্বীকার করা (অর্থাৎ ইবাদাতের মালিক তিনি একাই), সালাত কায়িম করা, যাকাত আদায় করা, বাইতুল্লাহর হজ্জ করা ও রমাযানের সওম পালন করা। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২০, ইসলামিক সেন্টারঃ ২০)

باب بَيَانِ أَرْكَانِ الْإِسْلَامِ وَدَعَائِمِهِ الْعِظَامِ

وَحَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ عُثْمَانَ الْعَسْكَرِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ طَارِقٍ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعْدُ بْنُ عُبَيْدَةَ السُّلَمِيُّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ عَلَى أَنْ يُعْبَدَ اللَّهُ وَيُكْفَرَ بِمَا دُونَهُ وَإِقَامِ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَحَجِّ الْبَيْتِ وَصَوْمِ رَمَضَانَ ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا سهل بن عثمان العسكري، حدثنا يحيى بن زكرياء، حدثنا سعد بن طارق، قال حدثني سعد بن عبيدة السلمي، عن ابن عمر، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ بني الاسلام على خمس على ان يعبد الله ويكفر بما دونه واقام الصلاة وايتاء الزكاة وحج البيت وصوم رمضان ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Clarifying the pillars of Islam and its grand supports


It is narrated on the authority of ('Abdullah) son of 'Umar, that the Prophet (may peace of Allah be upon him) said: (The superstructure of) al-Islam is raised on five (pillars), i. e. Allah (alone) should be worshipped, and (all other gods) beside Him should be (categorically) denied. Establishment of prayer, the payment of Zakat, Pilgrimage to the House, and the fast of Ramadan (are the other obligatory acts besides the belief in the oneness of Allah and denial of all other gods).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان) 1. The Book of Faith
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪২১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 · · · 19 20 21 22 পরের পাতা »