আল-লুলু ওয়াল মারজান ৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮২৯

পরিচ্ছেদঃ ৫২/১. ফিতনা নিকটবর্তী হওয়া এবং ইয়াজুজ মাজুজের (দেয়াল) খুলে যাওয়া।

১৮২৯. যায়নাব বিনতে জাহাশ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় তাঁর নিকট আসলেন এবং বলতে লাগলেন, লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আরবের লোকদের জন্য সেই অনিষ্টের কারণে ধ্বংস অনিবার্য বা নিকটবর্তী হয়েছে। আজ ইয়াজুজ ও মাজুজের প্রাচীর এ পরিমাণ খুলে গেছে। এ কথার বলার সময় তিনি তার বৃদ্ধাঙ্গুলির অগ্রভাগকে তাঁর সঙ্গের শাহাদাত আঙ্গুলির অগ্রভাগের সঙ্গে মিলিয়ে গোলাকার করে ছিদ্রের পরিমাণ দেখান। যায়নাব বিনতে জাহশ (রাঃ) বলেন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে পুণ্যবান লোজন থাকা সত্ত্বেও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাব? তিনি বললেন, হ্যাঁ যখন পাপকাজ অতি মাত্রায় বেড়ে যাবে।

اقتراب الفتن وفتح ردم يأجوج ومأجوج

حديث زَيْنَبَ ابْنَةِ جَحْشٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَيْهَا فَزِعًا يَقُولُ: لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَيْلٌ لِلْعَرَبِ مِنْ شَرٍّ قَدِ اقْتَرَبَ فُتِحَ الْيَوْمَ مِنْ رَدْمِ يَأجُوجَ وَمأجُوجَ مِثْلُ هذِهِ وَحَلَّقَ بِإِصْبَعِهِ الإِبْهَامِ وَالَّتِي تَلِيهَا قَالَتْ زَيْنَبُ ابْنةُ جَحْشٍ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ أَنَهْلِكُ وَفِينَا الصَّالِحُونَ قَالَ: نَعَمْ إِذَا كَثُرَ الْخَبَثُ

حديث زينب ابنة جحش، ان النبي صلى الله عليه وسلم دخل عليها فزعا يقول: لا اله الا الله ويل للعرب من شر قد اقترب فتح اليوم من ردم ياجوج وماجوج مثل هذه وحلق باصبعه الابهام والتي تليها قالت زينب ابنة جحش: فقلت: يا رسول الله انهلك وفينا الصالحون قال: نعم اذا كثر الخبث

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৩০

পরিচ্ছেদঃ ৫২/১. ফিতনা নিকটবর্তী হওয়া এবং ইয়াজুজ মাজুজের (দেয়াল) খুলে যাওয়া।

১৮৩০. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইয়াজুজ ও মাজুজের প্রাচীরে আল্লাহ এ পরিমাণ ছিদ্র করে দিয়েছেন। এই বলে, তিনি তাঁর হাতে নব্বই সংখ্যার আকৃতির মত করে দেখালেন।

اقتراب الفتن وفتح ردم يأجوج ومأجوج

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فَتَحَ اللهُ مِنْ رَدْمِ يَاجُوجَ وَمَاجُوجَ مِثْلَ هذَا وَعَقَدَ بِيَدِهِ تِسْعِينَ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: فتح الله من ردم ياجوج وماجوج مثل هذا وعقد بيده تسعين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৩১

পরিচ্ছেদঃ ৫২/২. কাবা আক্রমণকারী সৈন্যদলের যমীনে দেবে যাওয়া।

১৮৩১. আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (পরবর্তী যামানায়) একদল সৈন্য কা’বা (ধ্বংসের উদ্দেশে) অভিযান চালাবে। যখন তারা বায়দা নামক স্থানে পৌছবে তখন তাদের আগের পিছের সকলকে জমিনে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! তাদের অগ্রবাহিনী ও পশ্চাৎবাহিনী সকলকে কিভাবে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে, অথচ সে সেনাবাহিনীতে তাদের বাজারের (পণ্য-সামগ্ৰী বহনকারী) লোকও থাকবে এবং এমন লোকও থাকবে যারা তাদের দলভুক্ত নয়, তিনি বললেন, তাদের আগের পিছের সকলকে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে। তারপরে (কিয়ামতের দিবসে) তাদের নিজেদের নিয়্যাত অনুযায়ী উত্থিত করা হবে।

الخسف بالجيش الذي يؤم البيت

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَغْزُو جَيْشٌ الْكَعْبَةَ، فَإِذَا كَانُوا بِبَيْدَاءَ مِنَ الأَرْضِ، يُخْسَفُ بِأَوَّلِهِمْ وَآخِرِهِمْ قَالَتْ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ يُخْسَفُ بِأَوَّلِهِمْ وَآخِرِهِمْ وَفِيهِمْ أَسْوَاقُهُمْ وَمَنْ لَيْسَ مِنْهُمْ قَالَ: يُخْسَفُ بِأَوَّلِهِمْ وَآخِرِهِمْ، ثُمَّ يُبْعَثُونَ عَلَى نِيَّاتِهِمْ

حديث عاىشة، قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: يغزو جيش الكعبة، فاذا كانوا ببيداء من الارض، يخسف باولهم واخرهم قالت: قلت يا رسول الله كيف يخسف باولهم واخرهم وفيهم اسواقهم ومن ليس منهم قال: يخسف باولهم واخرهم، ثم يبعثون على نياتهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৩২

পরিচ্ছেদঃ ৫২/৩. অজস্র বৃষ্টি ফোটার ন্যায় ফিতনা অবতরণ।

১৮৩২. উসামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনার কোন একটি পাথর নির্মিত গৃহের উপর আরোহণ করে বললেনঃ আমি যা দেখি তোমরা কি তা দেখতে পাচ্ছ? (তিনি বললেন) বৃষ্টি বিন্দু পতিত হওয়ার স্থানসমূহের মত আমি আমাদের গৃহসমূহের মাঝে ফিতনার স্থানসমূহ দেখতে পাচ্ছি।

نزول الفتن كمواقع القطر

حديث أُسَامَةَ رضي الله عنه، قَالَ: أَشْرَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أُطمٍ مِنْ آطَامِ الْمَدِينَةِ، فَقَالَ: هَلْ تَرَوْنَ مَا أَرَى إِنِّي لأَرَى مَوَاقِعَ الْفِتَنِ خِلاَلَ بُيُوتِكُمْ كَمَوَاقِعِ الْقَطْرِ

حديث اسامة رضي الله عنه، قال: اشرف النبي صلى الله عليه وسلم على اطم من اطام المدينة، فقال: هل ترون ما ارى اني لارى مواقع الفتن خلال بيوتكم كمواقع القطر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৫২/৩. অজস্র বৃষ্টি ফোটার ন্যায় ফিতনা অবতরণ।

১৮৩৩. আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, শীঘ্রই ফিতনা রাশি আসতে থাকবে। ঐ সময় উপবিষ্ট ব্যক্তি দাঁড়ানো ব্যক্তির চেয়ে উত্তম (নিরাপদ), দাঁড়ানো ব্যক্তি ভ্ৰাম্যমান ব্যক্তি হতে অধিক রক্ষিত আর ভ্ৰাম্যমান ব্যক্তি ধাবমান ব্যক্তির চেয়ে অধিক বিপদমুক্ত। যে ব্যক্তি ফিতনার দিকে চোখ তুলে তাকাবে ফিতনা তাকে গ্রাস করবে। তখন যদি কোন ব্যক্তি তার দীন রক্ষার জন্য কোন ঠিকানা অথবা নিরাপদ আশ্রয় পায়, তবে সেখানে আশ্রয় গ্রহণ করাই উচিত হবে।

نزول الفتن كمواقع القطر

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: سَتَكُون فِتَنٌ الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ، وَالْقَائِمُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي، وَالْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي، وَمَنْ يُشْرِفْ لَهَا تَسْتَشْرِفْهُ، وَمَنْ وَجَدَ مَلْجَأً أَوْ مَعَاذًا فَلْيَعُذْ بِهِ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ستكون فتن القاعد فيها خير من القاىم، والقاىم فيها خير من الماشي، والماشي فيها خير من الساعي، ومن يشرف لها تستشرفه، ومن وجد ملجا او معاذا فليعذ به

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৫২/৪. দু’জন মুসলিম যখন তরবারি নিয়ে পরস্পরের সম্মুখীন হয়।

১৮৩৪. আহনাফ ইবনু কায়স (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (সিফফীনের যুদ্ধে) এ ব্যক্তিকে (আলী (রাঃ)-কে) সাহায্য করতে যাচ্ছিলাম। আবূ বকরা (রাঃ)-এর সঙ্গে আমার দেখা হলে তিনি বললেনঃ তুমি কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, ’আমি এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে যাচ্ছি। তিনি বললেনঃ ’ফিরে যাও। কারণ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, দু’জন মুসলিম তাদের তরবারি নিয়ে মুখোমুখি হলে হত্যাকারী এবং নিহত ব্যক্তি উভয়ে জাহান্নামে যাবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এ হত্যাকারী (তো অপরাধী), কিন্তু নিহত ব্যক্তির কী অপরাধ? তিনি বললেন, (নিশ্চয়ই) সেও তার সাথীকে হত্যা করার জন্য উদগ্রীব ছিল।

إِذَا تواجه المسلمان بسيفيهما

حديث أَبِي بَكْرَةَ عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ: ذَهَبْتُ لأَنْصُرَ هذَا الرَّجُلَ، فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرَةَ، فَقَالَ: أَيْنَ تُرِيدُ قُلْتُ: أَنْصُرُ هذَا الرَّجُلَ قَالَ: ارْجِعْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِذَا الْتَقَى الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا، فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ هذَا الْقَاتِلُ فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ قَالَ: إِنَّهُ كَانَ حَرِيصًا عَلَى قَتْلِ صَاحِبِهِ

حديث ابي بكرة عن الاحنف بن قيس، قال: ذهبت لانصر هذا الرجل، فلقيني ابو بكرة، فقال: اين تريد قلت: انصر هذا الرجل قال: ارجع فاني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: اذا التقى المسلمان بسيفيهما، فالقاتل والمقتول في النار فقلت: يا رسول الله هذا القاتل فما بال المقتول قال: انه كان حريصا على قتل صاحبه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৩৫

পরিচ্ছেদঃ ৫২/৪. দু’জন মুসলিম যখন তরবারি নিয়ে পরস্পরের সম্মুখীন হয়।

১৮৩৫. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামত হবে না যে পর্যন্ত এমন দু’টি দলের মধ্যে যুদ্ধ না হবে যাদের দাবী হবে এক।

إِذَا تواجه المسلمان بسيفيهما

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَقْتَتِلَ فِئَتَانِ فَيَكُونَ بَيْنَهُمَا مَقْتَلَةٌ عَظِيمَةٌ، دَعْوَاهُمَا وَاحِدةٌ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا تقوم الساعة حتى يقتتل فىتان فيكون بينهما مقتلة عظيمة، دعواهما واحدة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৫২/৬. শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যে সকল ঘটনা ঘটবে সে সম্পর্কে নবী (ﷺ)-এর সংবাদ প্রদান।

১৮৩৬. হুয়াইফাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা) আমাদের মাঝে এমন একটি ভাষণ প্রদান করলেন যাতে কিয়ামত পর্যন্ত যা সংঘটিত হবে এমন কোন কথাই বাদ দেননি। এগুলি স্মরণ রাখা যার সৌভাগ্য হয়েছে সে স্মরণ রেখেছে আর যে ভুলে যাবার সে ভুলে গেছে। আমি ভুলে যাওয়া কোন কিছু যখন দেখতে পাই তখন তা চিনে নিতে পারি এভাবে যেমন, কোন ব্যক্তি কাউকে হারিয়ে ফেললে আবার যখন তাকে দেখতে পায় তখন চিনতে পারে।

إِخبار النبيّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فيما يكون إِلى قيام الساعة

حديث حُذَيْفَةَ رضي الله عنه قَالَ: لَقَدْ خَطَبَنَا النَبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُطْبَةً مَا تَرَكَ فِيهَا شَيْئًا إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ إِلاَّ ذَكَرَهُ، عَلِمَهُ مَنْ عَلِمَهُ، وَجَهِلَهُ مَنْ جَهِلَهُ؛ إِنْ كُنْتُ لأَرَى الشَّيْءَ قَدْ نَسِيتُ فَأَعْرِفُ مَا يَعْرِفُ الرَّجُلُ إِذَا غَابَ عَنْهُ فَرَآهُ فَعَرَفَهُ

حديث حذيفة رضي الله عنه قال: لقد خطبنا النبي صلى الله عليه وسلم خطبة ما ترك فيها شيىا الى قيام الساعة الا ذكره، علمه من علمه، وجهله من جهله؛ ان كنت لارى الشيء قد نسيت فاعرف ما يعرف الرجل اذا غاب عنه فراه فعرفه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৫২/৭. সমুদ্রের ঢেউয়ের ন্যায় ফিতনা ছড়িয়ে পড়বে।

১৮৩৭. হুয়াইফাই (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা ’উমার (রাঃ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। তখন তিনি বললেন, ফিতনা-ফাসাদ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বক্তব্য তোমাদের মধ্যে কে মনে রেখেছাে? হুইফাহ (রাঃ) বললেন, ’যেমনভাবে তিনি বলেছিলেন হুবহু তেমনিই আমি মনে রেখেছি। উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী মনে রাখার ব্যাপারে তুমি খুব দৃঢ়তার পরিচয় দিচ্ছো। আমি বললাম, (রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন) মানুষ নিজের পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি, পাড়া-প্রতিবেশীদের ব্যাপারে যে ফিতনায় পতিত হয়, সালাত, সিয়াম, সাদকাহ, (ন্যায়ের) আদেশ ও (অন্যায়ের) নিষেধ তা দূরীভূত করে দেয়। ’উমার (রাঃ) বললেন, তা আমার উদ্দেশ্য নয়। বরং আমি সেই ফিতনার কথা বলছি, যা সমুদ্র তরঙ্গের ন্যায় ভয়াল হবে।

হুযাইফা (রাঃ) বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! সে ব্যাপারে আপনার ভয়ের কোনো কারণ নেই। কেননা, আপনার ও সে ফিতনার মাঝখানে একটি বন্ধ দরজা রয়েছে। উমার (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, সে দরজাটি ভেঙ্গে ফেলা হবে, না খুলে দেয়া হবে? হুযাইফাহ (রাঃ) বললেন, ভেঙ্গে ফেলা হবে। উমার (রাঃ) বললেন, তাহলে তো আর কোনো দিন তা বন্ধ করা যাবে না। হুযাইফাহ (রাঃ)-এর ছাত্র শাকীক (রহঃ) বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, “উমার (রাঃ) কি সে দরজাটি সম্বন্ধে জানতেন? হুযাইফাহ (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ, দিনের পূর্বে রাতের আগমন যেমন সুনিশ্চিত, তেমনি নিশ্চিতভাবে তিনি জানতেন। কেননা, আমি তাঁর কাছে এমন একটি হাদীস বর্ণনা করেছি, যা মোটেও ক্রুটিযুক্ত নয়। (দরজাটি কী) এ বিষয়ে হুযাইফাহ (রাঃ)-এর নিকট জানতে আমরা ভয় পাচ্ছিলাম। তাই আমরা মাসরূক (রহঃ)-কে বললাম এবং তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, দরজাটি ’উমার (রাঃ) নিজেই।

في الفتنة التي تموج كموج البحر

حديث حُذَيْفَةَ، قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ عُمَرَ رضي الله عنه، فَقَالَ: أَيُّكُمْ يَحْفَظُ قَوْلَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي الْفِتْنَةِ قُلْتُ: أَنَا، كَمَا قَالَهُ قَالَ: إِنَّكَ عَلَيْهِ (أَوْ عَلَيْهَا) لَجَرِيءٌ قُلْتُ: فِتْنَةُ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ وَمَالِهِ وَوَلَدِهِ وَجَارِهِ تُكَفِّرُهَا الصَّلاَةُ وَالصَّوْمُ وَالصَّدَقَةُ وَالأَمْرُ وَالنَّهْيُ قَالَ: لَيْسَ هذَا أُرِيدُ وَلكِنِ الْفِتْنَةُ الَّتِي تَمُوجُ كَمَا يَمُوجُ الْبَحْرُ قَالَ: لَيْسَ عَلَيْكَ مِنْهَا بَأْسٌ، يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا بَابًا مُغْلَقًا قَالَ: أَيُكْسَرُ أَمْ يُفْتَحُ قَالَ: يُكْسَرُ قَالَ: إِذًا لاَ يُغْلَقَ أَبَدًا
قُلْنَا: أَكَانَ عُمَرُ يَعْلَمُ الْبَابَ قَالَ: نَعَمْ كَمَا أَنَّ دُونَ الْغَدِ اللَّيْلَةَ إِنِّي حَدَّثْتُهُ بِحَدِيثٍ لَيْسَ بِالأَغَالِيطِ فَهِبْنَا أَنْ نَسْأَلَ حُذَيْفَةَ فَأَمَرْنَا مَسْرُوقًا، فَسَأَلَهُ فَقَالَ: الْبَابُ عُمَرُ

حديث حذيفة، قال: كنا جلوسا عند عمر رضي الله عنه، فقال: ايكم يحفظ قول رسول الله صلى الله عليه وسلم، في الفتنة قلت: انا، كما قاله قال: انك عليه (او عليها) لجريء قلت: فتنة الرجل في اهله وماله وولده وجاره تكفرها الصلاة والصوم والصدقة والامر والنهي قال: ليس هذا اريد ولكن الفتنة التي تموج كما يموج البحر قال: ليس عليك منها باس، يا امير المومنين ان بينك وبينها بابا مغلقا قال: ايكسر ام يفتح قال: يكسر قال: اذا لا يغلق ابدا قلنا: اكان عمر يعلم الباب قال: نعم كما ان دون الغد الليلة اني حدثته بحديث ليس بالاغاليط فهبنا ان نسال حذيفة فامرنا مسروقا، فساله فقال: الباب عمر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৩৮

পরিচ্ছেদঃ ৫২/৮. ফোরাত নদী সোনার পাহাড় উন্মুক্ত না করা পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না।

১৮৩৮. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অদূর ভবিষ্যতে ফোরাত নদী তার গৰ্ভস্থ স্বর্ণের খনি বের করে দেবে। সে সময় যারা উপস্থিত থাকবে তারা যেন তা থেকে কিছুই গ্রহণ না করে।

لا تقوم الساعة حتى يحسر الفرات عن جبل من الذهب

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُوشِكُ الْفُرَاتُ أَنْ يَحْسِرَ عَنْ كَنْزٍ مِنْ ذَهَبٍ، فَمَنْ حَضَرَهُ فَلاَ يَأْخُذْ مِنْهُ شَيْئًا

حديث ابي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: يوشك الفرات ان يحسر عن كنز من ذهب، فمن حضره فلا ياخذ منه شيىا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৩৯

পরিচ্ছেদঃ ৫২/১৪. হিজাজ থেকে আগুন বের না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না।

১৮৩৯. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামত কায়িম হবে না যতক্ষণ না হিজাযের যমীন থেকে এমন আগুন বের হবে, যা বুস্‌রার উটগুলোর গর্দান আলোকিত করে দেবে।

لا تقوم الساعة حتى تخرج نار من أرض الحجاز

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَخْرُجَ نَارٌ مِنْ أَرْضِ الْحِجَازِ، تُضِيءُ أَعْنَاقَ الإِبْلِ بِبُصْرَى

حديث ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: لا تقوم الساعة حتى تخرج نار من ارض الحجاز، تضيء اعناق الابل ببصرى

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৪০

পরিচ্ছেদঃ ৫২/১৬. ফিতনা পূর্ব দিক থেকে যেখান থেকে শয়তানের শিং বেরিয়ে আসে।

১৮৪০. ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পূর্ব দিকে মুখ করে বলতে শুনেছেন, সাবধান! ফিতনা সে দিকে যে দিক থেকে শয়তানের শিং উদিত হয়।

الفتنة من المشرق من حيث يطلع قرنا الشيطان

حديث ابْنِ عُمَرَ رضي الله عنهما، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ مُسْتَقْبِلٌ الْمَشْرِقَ، يَقُولُ: أَلاَ إِن الْفِتْنَةَ ههُنَا، مِنْ حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ

حديث ابن عمر رضي الله عنهما، انه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم، وهو مستقبل المشرق، يقول: الا ان الفتنة ههنا، من حيث يطلع قرن الشيطان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৪১

পরিচ্ছেদঃ ৫২/১৭. দাউস গোত্র যালখালাসার ইবাদাত না করা পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না।

১৮৪১. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামত কায়িম হবে না, যতক্ষণ ’যুলখালাসার পাশে দাওস গোত্রীয় রমণীদের নিতম্ব দোলায়িত না হবে। যুলুখালাসাহ’ হলো দাওস গোত্রের একটি মূর্তি। জাহিলী যুগে তারা এর উপাসনা করত।

لا تقوم الساعة حتى تعبد دوس ذا الخلصة

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَضْطَرِبَ أَلْيَاتُ نِسَاءِ دَوْسٍ عَلَى ذِي الْخَلَصَةِ وَذُو الْخَلَصَةِ طَاغِيَةُ دَوْسٍ الَّتِي كَانُوا يَعْبُدُونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ

حديث ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: لا تقوم الساعة حتى تضطرب اليات نساء دوس على ذي الخلصة وذو الخلصة طاغية دوس التي كانوا يعبدون في الجاهلية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৪২

পরিচ্ছেদঃ ৫২/১৮. কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত না কবরের পার্শ্ব দিয়ে অতিক্রমকারী ব্যক্তি বলবে, মৃতের জায়গায় যদি আমি থাকতাম (বালা মুসিবতের কারণে)।

১৮৪২. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ কিয়ামত কায়িম হবে না, যতক্ষণ এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় না বলবে হায়! যদি আমি তার স্থলে হতাম।

لا تقوم الساعة حتى يمر الرجل بقبر الرجل فيتمنى أن يكون مكان الميت من البلاء

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَمُرَّ الرَّجُلُ بِقَبْرِ الرَّجُلِ فَيَقُولُ: يَا لَيْتَنِي مَكَانَهُ

حديث ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: لا تقوم الساعة حتى يمر الرجل بقبر الرجل فيقول: يا ليتني مكانه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৪৩

পরিচ্ছেদঃ ৫২/১৮. কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত না কবরের পার্শ্ব দিয়ে অতিক্রমকারী ব্যক্তি বলবে, মৃতের জায়গায় যদি আমি থাকতাম (বালা মুসিবতের কারণে)।

১৮৪৩. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, হাবাশার অধিবাসী পায়ের সরু নলা বিশিষ্ট লোকরা কাবাগৃহ ধ্বংস করবে।

لا تقوم الساعة حتى يمر الرجل بقبر الرجل فيتمنى أن يكون مكان الميت من البلاء

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: يُخَرِّبُ الْكَعْبَةَ ذُو السُّوَيْقَتَيْنِ مِنَ الْحَبَشَةِ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: يخرب الكعبة ذو السويقتين من الحبشة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৪৪

পরিচ্ছেদঃ ৫২/১৮. কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত না কবরের পার্শ্ব দিয়ে অতিক্রমকারী ব্যক্তি বলবে, মৃতের জায়গায় যদি আমি থাকতাম (বালা মুসিবতের কারণে)।

১৮৪৪. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত কাহতান গোত্র হতে এমন এক ব্যক্তির আগমন না হবে যে মানুষ জাতিকে তার লাঠির সাহায্যে পরিচালিত করবে।

لا تقوم الساعة حتى يمر الرجل بقبر الرجل فيتمنى أن يكون مكان الميت من البلاء

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ تَقُوم السَّاعَةُ حَتَّى يَخْرُجَ رَجُلٌ مِنْ قَحْطَانَ يَسُوقُ النَّاسَ بِعَصَاهُ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: لا تقوم الساعة حتى يخرج رجل من قحطان يسوق الناس بعصاه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৪৫

পরিচ্ছেদঃ ৫২/১৮. কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত না কবরের পার্শ্ব দিয়ে অতিক্রমকারী ব্যক্তি বলবে, মৃতের জায়গায় যদি আমি থাকতাম (বালা মুসিবতের কারণে)।

১৮৪৫. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ততদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতদিন না তোমরা এমন এক জাতির বিপক্ষে যুদ্ধ করবে, যাদের জুতা হবে পশমের। আর ততদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে না যতদিন না তোমরা এমন জাতির বিপক্ষে যুদ্ধ করবে, মুখমণ্ডল পেটানো চামড়ার ঢালের মত।

لا تقوم الساعة حتى يمر الرجل بقبر الرجل فيتمنى أن يكون مكان الميت من البلاء

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا قَوْمًا نِعَالُهُمُ الشَّعَرُ، وَلاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوا قَوْمًا كَأَنَّ وُجُوهَهُمُ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: لا تقوم الساعة حتى تقاتلوا قوما نعالهم الشعر، ولا تقوم الساعة حتى تقاتلوا قوما كان وجوههم المجان المطرقة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৪৬

পরিচ্ছেদঃ ৫২/১৮. কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত না কবরের পার্শ্ব দিয়ে অতিক্রমকারী ব্যক্তি বলবে, মৃতের জায়গায় যদি আমি থাকতাম (বালা মুসিবতের কারণে)।

১৮৪৬. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কুরাইশ গোত্রের এ লোকগুলি (যুবকগণ) মানুষের ধ্বংস ডেকে আনবে। সাহাবাগণ বললেন, তখন আমাদেরকে আপনি কী করতে বলেন? তিনি বললেন, মানুষেরা যদি এদের সংসৰ্গ ত্যাগ করত তবে ভালই হত।

لا تقوم الساعة حتى يمر الرجل بقبر الرجل فيتمنى أن يكون مكان الميت من البلاء

حديث أَبِي هُرَيْرَة رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُهْلِكُ النَّاسَ هذَا الْحَيُّ مِنْ قُرَيْشٍ قَالُوا: فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ: لَوْ أَنَّ النَّاسَ اعْتَزَلُوهُمْ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: يهلك الناس هذا الحي من قريش قالوا: فما تامرنا قال: لو ان الناس اعتزلوهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৪৭

পরিচ্ছেদঃ ৫২/১৮. কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত না কবরের পার্শ্ব দিয়ে অতিক্রমকারী ব্যক্তি বলবে, মৃতের জায়গায় যদি আমি থাকতাম (বালা মুসিবতের কারণে)।

১৮৪৭. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কিসরা ধ্বংস হবে, অতঃপর আর কি হবে না। আর কায়সার অবশ্যই ধ্বংস হবে, অতঃপর আর কায়সার হবে না এবং এটা নিশ্চিত যে, তাদের ধনভাণ্ডার আল্লাহর পথে বণ্টিত হবে।

لا تقوم الساعة حتى يمر الرجل بقبر الرجل فيتمنى أن يكون مكان الميت من البلاء

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: هَلَكَ كِسْرَى، ثُمَّ لاَ يَكُونُ كِسْرَى بَعْدَهُ وَقَيْصَرٌ لَيَهْلِكَنَّ، ثُمَّ لاَ يَكُونُ قَيْصَرٌ بَعْدَهُ وَلَتُقْسَمَنَّ كُنَوزُهُمَا فِي سَبِيلِ اللهِ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: هلك كسرى، ثم لا يكون كسرى بعده وقيصر ليهلكن، ثم لا يكون قيصر بعده ولتقسمن كنوزهما في سبيل الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
১৮৪৮

পরিচ্ছেদঃ ৫২/১৮. কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত না কবরের পার্শ্ব দিয়ে অতিক্রমকারী ব্যক্তি বলবে, মৃতের জায়গায় যদি আমি থাকতাম (বালা মুসিবতের কারণে)।

১৮৪৮. জাবির ইবনু সামূরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কিস্‌রা ধ্বংস হয়ে যাবে অতঃপর আর কোন কিস্‌রা হবে না। আর যখন কায়সার ধ্বংস হয়ে যাবে, তারপরে আর কোন কায়সার হবে না। যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম, অবশ্যই উভয় সাম্রাজ্যের ধনভাণ্ডার আল্লাহর পথে ব্যয়িত হবে।

لا تقوم الساعة حتى يمر الرجل بقبر الرجل فيتمنى أن يكون مكان الميت من البلاء

حديث جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلاَ كِسْرَى بَعْدَهُ وَإِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ، فَلاَ قَيْصَرَ بَعْدَهُ وَالَّذِي نَفْسِي بَيَدِهِ لَتُنْفَقَنَّ كُنُوزُهُمَا فِي سَبِيلِ اللهِ

حديث جابر بن سمرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اذا هلك كسرى فلا كسرى بعده واذا هلك قيصر، فلا قيصر بعده والذي نفسي بيده لتنفقن كنوزهما في سبيل الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »