আল-লুলু ওয়াল মারজান ৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৫২

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/১. মাতাপিতার প্রতি সদাচরণ এবং তাঁরা দু’জনই এর বেশি হকদার।

১৬৫২. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। এক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার কাছে কে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার অধিক হকদার? তিনি বললেনঃ তোমার মা। লোকটি বললঃ তারপর কে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার মা। সে বললঃ তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সে বললঃ তারপর কে? তিনি বললেনঃ তারপর তোমার বাবা।

بِرِّ الوَالِدَيْنِ وَأَنَّهُمَا أَحَقُّ بِهِ

حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ الله! مَنْ أَحَقُّ بِحُسْنِ صَحَابَتِي؟ قَالَ: «أُمُّكَ» قَالَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: «أُمُّكَ» قَالَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: «أُمُّكَ» قَالَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ ثُمَّ أَبُوكَ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، قال: جاء رجل الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: يا رسول الله! من احق بحسن صحابتي؟ قال: «امك» قال: ثم من؟ قال: «امك» قال: ثم من؟ قال: «امك» قال: ثم من؟ قال ثم ابوك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৫৩

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/১. মাতাপিতার প্রতি সদাচরণ এবং তাঁরা দু’জনই এর বেশি হকদার।

১৬৫৩. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে জিহাদে যাবার অনুমতি প্রার্থনা করল। তখন তিনি বললেন, তোমার পিতামাতা জীবিত আছেন কি? সে বললঃ হ্যাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তবে তাদের খিদমতের চেষ্টা কর।

بِرِّ الوَالِدَيْنِ وَأَنَّهُمَا أَحَقُّ بِهِ

حَديثُ عَبْدِ الله بْنِ عَمْرٍو رضي الله عنهما، قَالَ: جاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاسْتَأْذَنَهُ فِي الجِهَادِ. فَقَالَ: «أَحَيُّ وَالِدَاكَ؟» قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَفِيهِمَا فَجَاهِدْ

حديث عبد الله بن عمرو رضي الله عنهما، قال: جاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم، فاستاذنه في الجهاد. فقال: «احي والداك؟» قال: نعم. قال: ففيهما فجاهد

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৫৪

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/২. নফল সালাত বা এ জাতীয় ইবাদাতের উপর মাতাপিতার প্রতি সদাচরণকে অগ্রাধিকার দেয়া।

১৬৫৪. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তিনজন শিশু ছাড়া আর কেউ দোলনায় থেকে কথা বলেনি। বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তি যাকে ’জুরাইজ’ নামে ডাকা হতো। একদা ইবাদাতে রত থাকা অবস্থায় তার মা এসে তাকে ডাকল। সে ভাবল আমি কি তার ডাকে সাড়া দেব, না সালাত আদায় করতে থাকব। তার মা বলল, হে আল্লাহ! ব্যভিচারিণীর মুখ না দেখা পর্যন্ত তুমি তাকে মৃত্যু দিও না। জুরাইজ তার ইবাদাত খানায় থাকত। একবার তার নিকট একটি নারী আসল। তার সঙ্গে কথা বলল। কিন্তু জুরাইজ তা অস্বীকার করল। অতঃপর নারীটি একজন রাখালের নিকট গেল এবং তাকে দিয়ে মনোবাসনা পূর্ণ করল। পরে সে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করল।

তাকে জিজ্ঞেস করা হলো। এটি কার থেকে? স্ত্রী লোকটি বলল, জুরাইজ থেকে। লোকরা তার নিকট আসল এবং তার ইবাদাতখানা ভেঙ্গে দিল। আর তাকে নীচে নামিয়ে আনল ও তাকে গালিগালাজ করল। তখন জুরাইজ উযূ সেরে ইবাদাত করল। অতঃপর নবজাত শিশুটির নিকট এসে তাকে জিজ্ঞেস করল। হে শিশু! তোমার পিতা কে? সে জবাব দিল সেই রাখাল। তারা বলল, আমরা আপনার ’ইবাদাতখানাটি স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করে দিচ্ছি। সে বলল, না। তবে মাটি দিয়ে।

বনী ইসরাঈলের একজন নারী তার শিশুকে দুধ পান করাচ্ছিল। তার কাছ দিয়ে একজন সুদৰ্শন পুরুষ আরোহী চলে গেল। নারীটি দু’আ করল, হে আল্লাহ্! আমার ছেলেটি তার মত বানাও। শিশুটি তখনই তার মায়ের স্তন ছেড়ে দিল এবং আরোহীটির দিকে মুখ ফিরালো। আর বলল, হে আল্লাহ! আমাকে তার মত কর না। অতঃপর মুখ ফিরিয়ে স্তন্য পান করতে লাগল।

আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখতে পাচ্ছি তিনি আঙ্গুল চুষছেন।

অতঃপর সেই নারীটির পার্শ্ব দিয়ে একটি দাসী চলে গেল। নারীটি বলল, হে আল্লাহ! আমার শিশুটিকে এর মত করো না। শিশুটি তাৎক্ষণিক তার মায়ের স্তন্য ছেড়ে দিল। আর বলল, হে আল্লাহ্! আমাকে তার মত কর। তার মা বলল, তা কেন? শিশুটি বলল, সেই আরোহীটি ছিল যালিমদের একজন। আর এ দাসীটির ব্যাপারে লোক বলেছে তুমি চুরি করেছ, যিনা করেছ। অথচ সে (দাসীটি) কিছুই করেনি।

تَقْدِيم بِرِّ الوالِدَيْنِ عَلَى التَّطَوُّعِ بِالصَّلاَةِ وَغَيْرِهَا

حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَمْ يَتَكَلَّمْ فِي المَهْدِ إِلاَّ ثَلاَثَةٌ: عِيساى
وَكَانَ فِي بَنِي إِسْرَائيلَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: جُرَيْجٌ، كَانَ يُصَلِّي. جَاءَتْهُ أُمُّهُ فَدَعَتْه، فَقَالَ: أُجِيبُهَا أَوْ أُصلِّي؟ فَقَالَتْ: اللهُمَّ! لاَ تُمِتْهُ حَتَّى تُرِيَهُ وُجُوهَ المُومِسَاتِ. وَكَانَ جُرَيْجٌ فِي صَوْمَعَتِهِ، فَتَعَرَّضَتْ لَهُ امْرَأَةٌ، وَكَلَّمَتْهُ، فَأَبى. فَأَتَتْ رَاعِيًا، فَأَمْكَنَتْهُ مِنْ نَفْسِهَا، فَوَلَدَتْ غُلاَمًا. فَقَالَتْ: مِنْ جُرَيْجٍ. فَأَتَوْهُ فَكَسَرُوا صَوْمَعَتَهُ، وَأَنْزَلُوهُ، وَسَبُّوهُ. فَتَوَضَّأَ وَصَلُّى. ثُمَّ أَتى الغُلاَمَ. فَقَالَ: مَنْ أَبُوكَ يَا غُلاَمُ؟ قَالَ: الرَّاعِي. قَالوا: نَبْنِي صَوْمَعَتَكَ مِنْ ذَهَبٍ. قَالَ: لاَ. إِلاَّ مِنْ طِينٍ
وَكَانَتِ امْرَأَة تُرضِعُ ابْنًا لَهَا، مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ. فَمَرَّ بِهَا رَجُلٌ رَكِبٌ ذو شَارَةٍ. فَقَالَت: اللهُمَّ! اجْعَلِ ابْنِي مِثْلَهُ. فَتَرَكَ ثَدْيَهَا وَأَقْبَلَ عَلَى الرَّاكِبِ، فَقَالَ: اللهُمَّ! لاَ تَجْعَلْنِي مِثْلَهُ. ثُمَّ أَقْبَل عَلَى ثَدْيِهَا يَمَصُّهُ
قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: كَأَنِّي أَنْظر إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَمَصُّ إِصْبَعَهُ
ثمَّ مُرَّ بِأَمَةٍ. فَقَالَتْ: اللهُمَّ! لاَ تَجْعَلِ ابْنِي مِثْلَ هاذِهِ. فَتَركَ ثَدْيَهَا، فَقَالَ: اللهُمَّ! اجْعَلْنِي مِثْلَهَا فَقَالَتْ: لِمَ ذَاكَ؟ فَقَالَ: الرَّاكِبُ جَبَّارٌ مِنَ الجَبَابِرَةِ. وَهاذِهِ الأَمَةُ، يَقُولُونَ: سَرَقْتِ، زَنَيْتِ. وَلَمْ تَفْعَلْ

حديث ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «لم يتكلم في المهد الا ثلاثة: عيساى وكان في بني اسراىيل رجل يقال له: جريج، كان يصلي. جاءته امه فدعته، فقال: اجيبها او اصلي؟ فقالت: اللهم! لا تمته حتى تريه وجوه المومسات. وكان جريج في صومعته، فتعرضت له امراة، وكلمته، فابى. فاتت راعيا، فامكنته من نفسها، فولدت غلاما. فقالت: من جريج. فاتوه فكسروا صومعته، وانزلوه، وسبوه. فتوضا وصلى. ثم اتى الغلام. فقال: من ابوك يا غلام؟ قال: الراعي. قالوا: نبني صومعتك من ذهب. قال: لا. الا من طين وكانت امراة ترضع ابنا لها، من بني اسراىيل. فمر بها رجل ركب ذو شارة. فقالت: اللهم! اجعل ابني مثله. فترك ثديها واقبل على الراكب، فقال: اللهم! لا تجعلني مثله. ثم اقبل على ثديها يمصه قال ابو هريرة: كاني انظر الى النبي صلى الله عليه وسلم، يمص اصبعه ثم مر بامة. فقالت: اللهم! لا تجعل ابني مثل هاذه. فترك ثديها، فقال: اللهم! اجعلني مثلها فقالت: لم ذاك؟ فقال: الراكب جبار من الجبابرة. وهاذه الامة، يقولون: سرقت، زنيت. ولم تفعل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/৬. আত্মীয়তার সম্পর্ক ও তা বিচ্ছিন্ন করা হারাম।

১৬৫৫. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ্ তা’আলা সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করেন। এ থেকে তিনি নিস্ক্রান্ত হলে ’রাহিম (রক্ত সম্পর্কে) দাঁড়িয়ে পরম করুণাময়ের আঁচল টেনে ধরল। তিনি তাকে বললেন, থামো। সে বলল, আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী লোক থেকে আশ্রয় চাওয়ার জন্যই আমি এখানে দাঁড়িয়েছি। আল্লাহ্ বললেন, যে তোমাকে সম্পর্কযুক্ত রাখে, আমিও তাকে সম্পর্কযুক্ত রাখব; আর যে তোমার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে, আমিও তার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করব এতে কি তুমি খুশী নও? সে বলল, নিশ্চয়ই, হে আমার প্রভু। তিনি বললেন, যাও তোমার জন্য তাই করা হল।

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, ইচ্ছে হলে তোরা পড়, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার বাঁধন ছিন্ন করবে।

صِلَةِ الرِّحِمِ وَتَحْرِيمِ قَطِيعَتِهَا

حَديثُ أَبِي هُرَيْرَةَ رضيَ الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «خَلَقَ الله الخَلْقَ. فَلَمَّا فَرَغَ منْهُ، قَامَتِ الرَّحِمُ، فَأَخَذَتْ بِحَقُوِ الرَّحْمانِ، فَقَالَ لَهُ: مَهْ. قَالَتْ: هاذَا مَقَامُ العَائِذِ بِكَ مِنَ القَطِيعَةِ. قَالَ: أَلارَ تَرْضَيْنَ أَنْ أَصِلَ مَنْ وَصَلَكِ، وَأَقْطَعَ مَنْ قَطَعَكِ؟ قَالَتْ: بَلعى يَا رَبِّ! قَالَ: فَذَاكِ» . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: اقْرَؤُوا إِن شِئْتُمْ (فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ)

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «خلق الله الخلق. فلما فرغ منه، قامت الرحم، فاخذت بحقو الرحمان، فقال له: مه. قالت: هاذا مقام العاىذ بك من القطيعة. قال: الار ترضين ان اصل من وصلك، واقطع من قطعك؟ قالت: بلعى يا رب! قال: فذاك» . قال ابو هريرة: اقرووا ان شىتم (فهل عسيتم ان توليتم ان تفسدوا في الارض وتقطعوا ارحامكم)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/৬. আত্মীয়তার সম্পর্ক ও তা বিচ্ছিন্ন করা হারাম।

১৬৫৬. যুবায়র ইবনু মুত’ইম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

صِلَةِ الرِّحِمِ وَتَحْرِيمِ قَطِيعَتِهَا

حدِيثُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِم، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: لاَ يَدْخُلُ الجَنَةَ قَاطِعٌ

حديث جبير بن مطعم، انه سمع النبي صلى الله عليه وسلم يقول: لا يدخل الجنة قاطع

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৫৭

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/৬. আত্মীয়তার সম্পর্ক ও তা বিচ্ছিন্ন করা হারাম।

১৬৫৭. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার জীবিকা বৃদ্ধি হোক অথবা তাঁর মৃত্যুর পরে সুনাম থাকুক, তবে সে যেন আত্মীয়ের সঙ্গে সদাচরণ করে।

صِلَةِ الرِّحِمِ وَتَحْرِيمِ قَطِيعَتِهَا

حَدِيثُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنْ سَرَّهُ أَنْ يُبْسَطَ لَهُ رِزْقُهُ، أَو يُنْسَأَ لَهُ فِي أَثَرِهِ، فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ

حديث انس بن مالك رضي الله عنه، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: من سره ان يبسط له رزقه، او ينسا له في اثره، فليصل رحمه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৫৮

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/৭. হিংসা, ঘৃণা ও কথা বলা নিষেধ।।

১৬৫৮. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণ করো না, পরস্পর হিংসা করো না, পরস্পর বিরুদ্ধাচরণ করো না। তোমরা সবাই আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে থেকো। কোন মুসলিমের জন্য তিন দিনের অধিক তার ভাইকে পরিত্যাগ করে থাকা জায়িয নয়।

النَّهْيِ عَنِ التَّحَاسُدِ وَالتَّبَاغُضِ وَالتَّدَابُرِ

حَدِيثُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه، أَنَّ رَسُولَ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لاَ تَبَاغَضُوا، وَلاَ تَحَاسَدُوا، وَلاَ تَدَابَرُوا. وَكُونُوا عِبَادَ الله إِخْوَاناً. وَلاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ

حديث انس بن مالك رضي الله عنه، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: لا تباغضوا، ولا تحاسدوا، ولا تدابروا. وكونوا عباد الله اخوانا. ولا يحل لمسلم ان يهجر اخاه فوق ثلاثة ايام

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/৮. শারয়ী ওযর ব্যতীত কারো সাথে তিনদিনের বেশি সম্পর্ক ছিন্ন রাখা হারাম।

১৬৫৯. আবু আইউব আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির জন্য হালাল নয় যে, সে তার ভাই-এর সাথে তিন দিনের অধিক এমনভাবে সম্পর্ক ছিন্ন রাখবে যে, দু’জনে সাক্ষাৎ হলেও একজন এদিকে আর অপরজন সে দিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাদের মধ্যে যে সর্বপ্রথম সালামের সূচনা করবে, সেই উত্তম ব্যক্তি।

تحريم الهَجْرِ فَوْقَ ثَلاَث بِلاَ عُذْرٍ شَرْعِيِّ

حَدِيثُ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لاَ يَحِل لِرَجُلٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ. يَلْتَقِيَانِ، فَيُعْرِضُ هاذَا، وَيُعْرِضُ هاذَا. وَخَيْرُهُمَا الَّذِي يَبْدَأُ بِالسَّلاَمِ

حديث ابي ايوب الانصاري، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «لا يحل لرجل ان يهجر اخاه فوق ثلاث ليال. يلتقيان، فيعرض هاذا، ويعرض هاذا. وخيرهما الذي يبدا بالسلام

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৬০

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/৯. কারো প্রতি খারাপ ধারণা করা, গোয়েন্দাগিরি করা, দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করা ও দালালি করা।

১৬৬০. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা অনুমান থেকে বেঁচে থেকো। কারণ অনুমান বড় মিথ্যা ব্যাপার। আর কারো দোষ অনুসন্ধান করো না, গোয়েন্দাগিরী করো না, একে অন্যকে ধোঁকা দিও না, আর পরস্পর হিংসা করো না, একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণ করো না এবং পরস্পর বিরুদ্ধাচরণ করো না। বরং সবাই আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে থেকো।

تَحْرِيمِ الظَّنِّ وَالتَّجَسِّسِ والتَّنَافُسِ والتَّنَاجُشِ وَنَحْوِهَا

حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، أَن رَسُولَ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ، فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيثِ. وَلاَ تَحَسَّسُوا، وَلاَ تَجَسَّسُوا، وَلاَ تَنَاجَشُوا، وَلاَ تَحَاسَدُوا، وَلاَ تَبَاغُضُوا، وَلاَ تَدَابَرُوا. وَكُونوا عِبَادَ الله إِخْوَانًا

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: اياكم والظن، فان الظن اكذب الحديث. ولا تحسسوا، ولا تجسسوا، ولا تناجشوا، ولا تحاسدوا، ولا تباغضوا، ولا تدابروا. وكونوا عباد الله اخوانا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৬১

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/১৪. মু’মিন ব্যক্তি কোন অসুখে পড়লে অথবা চিন্তাগ্রস্ত হলে অথবা এ জাতীয় কোন বিপদে পড়লে এমনকি যদি তার কাটাও ফুটে তাহলে এর বিনিময়ে তাকে সওয়াব দেয়া হবে।

১৬৬১. আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেয়ে অধিক রোগ যাতনা ভােগকারী অন্য কাউকে দেখিনি।

ثَوَابِ المُؤْمِنِ فِيْمَا يُصِيبُهُ مِنْ مَرَضٍ أَوْ حُزْنٍ أَوْ نَحْوِ ذَلِكَ حَتَّى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا

حَدِيثُ عَائِشَةَ رضي الله عنها، قَالَتْ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَشَدَّ عَلَيْهِ الوَجَعُ مِنْ رَسُولِ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حديث عاىشة رضي الله عنها، قالت: ما رايت احدا اشد عليه الوجع من رسول الله صلى الله عليه وسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৬২

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/১৪. মু’মিন ব্যক্তি কোন অসুখে পড়লে অথবা চিন্তাগ্রস্ত হলে অথবা এ জাতীয় কোন বিপদে পড়লে এমনকি যদি তার কাটাও ফুটে তাহলে এর বিনিময়ে তাকে সওয়াব দেয়া হবে।

১৬৬২. ’আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গেলাম। তখন তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তো কঠিন জ্বরে আক্রান্ত। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তোমাদের দু’ব্যক্তি যতটুকু জ্বরে আক্রান্ত হয়, আমি একাই ততটুকু জ্বরে আক্রান্ত হই। আমি বললামঃ এটি এজন্য যে, আপনার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সাওয়াব। তিনি বললেনঃ হ্যা ব্যাপারটি এমনই। কেননা যে কোন মুসলিম মুসীবতে আক্রান্ত হয়, তা একটা কাঁট থােক কিংবা আরো ক্ষুদ্র কিছু হোক না কেন, এর দ্বারা আল্লাহ তার গুনাহগুলোক মুছে দেন, যেভাবে গাছ থেকে পাতাগুলো ঝরে যায়।

ثَوَابِ المُؤْمِنِ فِيْمَا يُصِيبُهُ مِنْ مَرَضٍ أَوْ حُزْنٍ أَوْ نَحْوِ ذَلِكَ حَتَّى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا

حَدِيثُ عَبْدِ الله بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ يُوعَكُ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ الله! إِنَّكَ تُوعَكُ وَعْكًا شَدِيداً. قَالَ: «أَجَلْ. إِنِّي أُوعَكُ كَمَا يُوعَكُ رجُلاَنِ مِنْكُمْ» قُلْتُ: ذالِكَ أَنَّ لَكَ أَجْرَيْنِ. قَالَ: «أَجَلْ. ذالِكَ كَذالِكَ. مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُصِيبُهُ أَذًى، شَوْكَةٌ فَمَا فَوْقَهَا، إِلاَّ كَفَّرَ الله بِهَا سَيِّئَاتِهِ، كَمَا تَحُطُّ الشَّجَرَةُ وَرَقَهَا

حديث عبد الله بن مسعود، قال: دخلت على رسول الله صلى الله عليه وسلم، وهو يوعك، فقلت: يا رسول الله! انك توعك وعكا شديدا. قال: «اجل. اني اوعك كما يوعك رجلان منكم» قلت: ذالك ان لك اجرين. قال: «اجل. ذالك كذالك. ما من مسلم يصيبه اذى، شوكة فما فوقها، الا كفر الله بها سيىاته، كما تحط الشجرة ورقها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৬৩

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/১৪. মু’মিন ব্যক্তি কোন অসুখে পড়লে অথবা চিন্তাগ্রস্ত হলে অথবা এ জাতীয় কোন বিপদে পড়লে এমনকি যদি তার কাটাও ফুটে তাহলে এর বিনিময়ে তাকে সওয়াব দেয়া হবে।

১৬৬৩. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিম ব্যক্তির উপর যে সকল বিপদ-আপদ আপতিত হয় এর দ্বারা আল্লাহ তার পাপ মোচন করে দেন। এমনকি যে কাটা তার শরীরে বিদ্ধ হয় এর দ্বারাও।

ثَوَابِ المُؤْمِنِ فِيْمَا يُصِيبُهُ مِنْ مَرَضٍ أَوْ حُزْنٍ أَوْ نَحْوِ ذَلِكَ حَتَّى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا

حَدِيثُ عَائِشَةَ رضي الله عنها، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا مِنْ مُصِيبَةٍ تُصِيبُ المُسْلِمَ، إِلاَّ كَفَّرَ الله بِهَا عَنْهُ. حَتَّى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا

حديث عاىشة رضي الله عنها، زوج النبي صلى الله عليه وسلم، قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ما من مصيبة تصيب المسلم، الا كفر الله بها عنه. حتى الشوكة يشاكها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৬৪

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/১৪. মু’মিন ব্যক্তি কোন অসুখে পড়লে অথবা চিন্তাগ্রস্ত হলে অথবা এ জাতীয় কোন বিপদে পড়লে এমনকি যদি তার কাটাও ফুটে তাহলে এর বিনিময়ে তাকে সওয়াব দেয়া হবে।

১৬৬৪. আবু সাঈদ খুদরী ও আবু হুরাইরাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিম ব্যক্তির উপর যে সকল যাতনা, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানী আপতিত হয়, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে বিদ্ধ হয়, এ সবের দ্বারা আল্লাহ তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন।

ثَوَابِ المُؤْمِنِ فِيْمَا يُصِيبُهُ مِنْ مَرَضٍ أَوْ حُزْنٍ أَوْ نَحْوِ ذَلِكَ حَتَّى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا

حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ وَأَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا يُصِيبُ المُسْلِمَ مِنْ نَصَبٍ، وَلاَ وَصَبٍ، وَلاَ هَمِّ، وَلاَ حُزْنٍ، وَلاَ أَذًى، وَلاَ غَمِّ، حَتَّى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا؛ إِلاَّ كَفَّرَ الله بِهَا مِنْ خَطَايَاهُ

حديث ابي سعيد الخدري وابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: ما يصيب المسلم من نصب، ولا وصب، ولا هم، ولا حزن، ولا اذى، ولا غم، حتى الشوكة يشاكها؛ الا كفر الله بها من خطاياه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৬৫

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/১৪. মু’মিন ব্যক্তি কোন অসুখে পড়লে অথবা চিন্তাগ্রস্ত হলে অথবা এ জাতীয় কোন বিপদে পড়লে এমনকি যদি তার কাটাও ফুটে তাহলে এর বিনিময়ে তাকে সওয়াব দেয়া হবে।

১৬৬৫. আত্বা ইবনু আবু রাবাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে বললেনঃ আমি কি তোমাকে একজন জান্নাতী মহিলা দেখাব না? আমি বললামঃ অবশ্যই। তখন তিনি বললেনঃ এই কৃষ্ণ বর্ণের মহিলাটি, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসেছিল। তারপর সে বললঃ আমি মৃগী রোগে আক্রান্ত হই এবং এ অবস্থায় আমার ছতর খুলে যায়। সুতরাং আপনি আমার জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করুন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি যদি চাও, ধৈর্য ধারণ করতে পার। তোমার জন্য থাকবে জান্নাত। আর তুমি যদি চাও, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দুআ করি, যেন তোমাকে নিরাময় করেন। মহিলা বললঃ আমি ধৈর্য ধারণ করব। সে বললঃ তবে যে সে অবস্থায় ছতর খুলে যায়। কাজেই আল্লাহর নিকট দু’আ করুন যেন আমার ছতর খুলে না যায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য দুআ করলেন।

ثَوَابِ المُؤْمِنِ فِيْمَا يُصِيبُهُ مِنْ مَرَضٍ أَوْ حُزْنٍ أَوْ نَحْوِ ذَلِكَ حَتَّى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا

حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ. عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، قَالَ: قَالَ لِي ابْنُ عَبَّاسٍ: أَلاَ أُرِيكَ امْرَأَةً مِنْ أَهْلِ الجَنَّةِ؟ قُلْتُ: بَلَى. قَالَ: هاذِهِ المَرْأَةُ السَّوْدَاءُ، أَتَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَلَتْ: إِنِّي أُصْرَعُ، وَإِنِّي أَتكَشَّفُ، فَادْعُ الله لِي. قَالَ: «إِنْ شِئْتِ، صَبَرْتِ؛ وَلَكِ الجَنَّةُ. وَإِنْ شِئْتِ، دَعَوْتُ الله أَنْ يُعَافِيكِ» فَقَالَتْ: أَصْبِرُ. فَقَالَتْ: إِنِّي أَتكَشَّفُ: فَادْعُ الله أَنْ لاَ أَتكَشَّفَ. فَدَعَا لَهَا

حديث ابن عباس. عن عطاء بن ابي رباح، قال: قال لي ابن عباس: الا اريك امراة من اهل الجنة؟ قلت: بلى. قال: هاذه المراة السوداء، اتت النبي صلى الله عليه وسلم، فقلت: اني اصرع، واني اتكشف، فادع الله لي. قال: «ان شىت، صبرت؛ ولك الجنة. وان شىت، دعوت الله ان يعافيك» فقالت: اصبر. فقالت: اني اتكشف: فادع الله ان لا اتكشف. فدعا لها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৬৬

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/১৫. যুলুম করা হারাম।

১৬৬৬. আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যুলম কিয়ামতের দিন অনেক অন্ধকারের রূপ ধারণ করবে।

تَحْرِيمِ الظُّلْمِ

حَدِيثُ عَبْدِ الله بْنِ عُمَرَ رضي الله عنهما. عن النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: الظُّلْمُ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ القِيَامَةِ

حديث عبد الله بن عمر رضي الله عنهما. عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: الظلم ظلمات يوم القيامة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৬৭

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/১৫. যুলুম করা হারাম।

১৬৬৭. আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলিম মুসলিমের ভাই। সে তার উপর যুলম করবে না এবং তাকে যালিমের হাতে সোপর্দ করবে না। যে কেউ তার ভাইয়ের অভাব পূরণ করবে, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তার বিপদসমূহ দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ ঢেকে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ ঢেকে রাখবেন।

تَحْرِيمِ الظُّلْمِ

حَدِيثُ عَبْدِ الله بْنِ عُمَرَ رضي الله عنهما، أَنَّ رَسُولَ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «المُسْلِمُ أَخُو المُسْلِمِ، لاَ يَظْلِمُهُ، وَلاَ يُسْلِمُهُ. وَمَنْ كَانَ فِي حَاجَةِ أَخِيهِ، كَانَ الله فِي حَاجَتِهِ. وَمَنْ فَرَّجَ عَنْ مُسْلِم كُرْبَةً، فَرَّجَ الله عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرُبَاتِ يَوْمِ القِيَامَةِ. وَمَنْ سَتَر مُسْلِمًا، سَتَرَهُ الله يَوْمَ القِيَامَة

حديث عبد الله بن عمر رضي الله عنهما، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «المسلم اخو المسلم، لا يظلمه، ولا يسلمه. ومن كان في حاجة اخيه، كان الله في حاجته. ومن فرج عن مسلم كربة، فرج الله عنه كربة من كربات يوم القيامة. ومن ستر مسلما، ستره الله يوم القيامة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৬৮

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/১৫. যুলুম করা হারাম।

১৬৬৮. আবু মূসা আশ’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ্ তাআলা যালিমদের ঢিল দিয়ে থাকেন। অবশেষে যখন তাকে ধরেন, তখন আর ছাড়েন না। (বর্ণনাকারী বলেন) এরপর তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এ আয়াত পাঠ করেন। "আর এরকমই বটে আপনার রবের পাকড়াও, যখন তিনি কোন জনপদবাসীকে পাকড়াও করেন তাদের যুলুমের দরুন। নিঃসন্দেহে তাঁর পাকড়াও বড় যন্ত্রণাদায়ক, অত্যন্ত কঠিন"- (সূরাহ হুদঃ ১১/১০২)।

تَحْرِيمِ الظُّلْمِ

حدِيثُ أَبِي مُوسى رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الله لَيُمْلِي للظَّالِمِ، حَتَّى إِذَا أَخَطَهُ لَمْ يُفْلِتْهُ» قَالَ: قَرَأَ (وَكَطالِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ القُرَى وَهِيَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ)

حديث ابي موسى رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ان الله ليملي للظالم، حتى اذا اخطه لم يفلته» قال: قرا (وكطالك اخذ ربك اذا اخذ القرى وهي ظالمة ان اخذه اليم شديد)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৬৯

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/১৬. ভাইকে সাহায্য কর সে যালিম হোক অথবা মাযলুম হোক।

১৬৬৯. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক যুদ্ধে আমরা উপস্থিত ছিলাম। এ সময় এক মুহাজির এক আনসারীর নিতম্বে আঘাত করলেন। তখন আনসারী হে আনসারী ভাইগণ! বলে সাহায্য প্রার্থনা করলেন এবং মুহাজির সাহাবী, ওহে মুহাজির ভাইগণ! বলে সাহায্য প্রার্থনা করলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শুনে বললেন, কী খবর, জাহিলী যুগের মত ডাকাডাকি করছ কেন? তখন উপস্থিত লোকরা বললেন, এক মুহাজির এক আনসারীর নিতম্বে আঘাত করে। বললেন, এমন ডাকাডাকি পরিত্যাগ কর। এটা অত্যন্ত গন্ধময় কথা। এরপর ঘটনাটি ’আবদুল্লাহ্ ইবনু উবায়র কানে পৌছল, সে বলল, আচ্ছা, মুহাজিররা এমন কাজ করেছে? “আল্লাহর কসম! আমরা মদীনায় ফিরলে সেখান থেকে প্রবল লোকরা দুর্বল লোকদেরকে অবশ্যই বের করে দিবে।”

এ কথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পৌছল। তখন ’উমার (রাঃ) উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে অনুমতি দিন। আমি এক্ষুণি এ মুনাফিকের গর্দান উড়িয়ে দিচ্ছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে ছেড়ে দাও। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ কথা বলতে না পারে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সঙ্গী-সাথীদেরকে হত্যা করেন।

نَصْرِ الأَخِ ظَالِمًا أَوْ مَظْلُومًا

حَديثُ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ الله رضي الله عنهما. قَالَ: كُنَّا فِي غَزَاةٍ، فَكَسَعَ رَجُلٌ مِنَ المُهَاجِرِينَ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَار! فقَالَ الأَنْصَارِيُّ: يَا لَلأَنصار! وَقَالَ المُهَاجِرِيِّ: يَا لَلْمُهَاجِرِينَ! فَسَمِعَ ذَاكَ رَسُولُ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فقَالَ: «مَا بَالُ دَعْوَى جَاهِلِيَّةٍ؟» قَالُوا: يَا رَسُولَ الله! كَسَعَ رَجُلٌ مِنَ المُهَاجِرِينَ رَجُلاً مِنَ الأَنصَارِ. فَقَالَ: دَعُوهَا، فَإِنَّهَا مُنْتِنَةٌ . فَسَمِعَ بِذَلِكَ عَبْدُ الله بْنُ أُبَيِّ، فَقَالَ: فَعَلوهَا؟ أَمَا وَالله! لَئِنْ رَجَعْنَا إِلى المَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ
فَبَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَامَ عُمَرُ، فَقَالَ يَا رَسُولَ الله! دَعْنِي أَضْرِبْ عُنُقَ هاذَا المُنَافِقِ. فَقَالَ النَّبيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعْهُ. لاَ يَتَحَدَّثُ النَّاسُ أَنَّ مُحَمَّدًا يَقْتُلُ أَصْحَابَهُ

حديث جابر بن عبد الله رضي الله عنهما. قال: كنا في غزاة، فكسع رجل من المهاجرين رجلا من الانصار! فقال الانصاري: يا للانصار! وقال المهاجري: يا للمهاجرين! فسمع ذاك رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: «ما بال دعوى جاهلية؟» قالوا: يا رسول الله! كسع رجل من المهاجرين رجلا من الانصار. فقال: دعوها، فانها منتنة . فسمع بذلك عبد الله بن ابي، فقال: فعلوها؟ اما والله! لىن رجعنا الى المدينة ليخرجن الاعز منها الاذل فبلغ النبي صلى الله عليه وسلم. فقام عمر، فقال يا رسول الله! دعني اضرب عنق هاذا المنافق. فقال النبي صلى الله عليه وسلم: «دعه. لا يتحدث الناس ان محمدا يقتل اصحابه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৭০

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/১৭. মু’মিনদের পরস্পর পরস্পরের প্রতি দয়া, সহযোগিতা ও সহানুভূতি করা।

১৬৭০. আবু মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একজন মু’মিন আরেকজন মুমিনের জন্যে ইমারতস্বরূপ, যার এক অংশ অপর অংশকে শক্তিশালী করে থাকে। এ বলে তিনি তার হাতের আঙুলগুলো একটার মধ্যে আর একটা প্রবেশ করালেন।

تَرَاحُمِ المُؤْمِنينَ وَتَعَاطُفِهِمْ وَتَعَاضُدِهِمْ

حَدِيثُ أَبِي مُوسى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ المُؤْمِنَ لِلْمُؤْمِنِ كَالبُنْيَانِ يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا» وَشَبَّكَ أَصَابِعَهُ

حديث ابي موسى، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «ان المومن للمومن كالبنيان يشد بعضه بعضا» وشبك اصابعه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
১৬৭১

পরিচ্ছেদঃ ৪৫/১৭. মু’মিনদের পরস্পর পরস্পরের প্রতি দয়া, সহযোগিতা ও সহানুভূতি করা।

১৬৭১. নুমান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পারস্পারিক দয়া, ভালবাসা ও সহানুভূতি প্রদর্শনে তুমি মুমিনদের একটি দেহের মত দেখবে। যখন শরীররের একটি অঙ্গ রোগে আক্রান্ত হয়, তখন শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রাত জাগে এবং জ্বরে অংশ নেয়।

تَرَاحُمِ المُؤْمِنينَ وَتَعَاطُفِهِمْ وَتَعَاضُدِهِمْ

حَدِيثُ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِير. قَالَ: قَالَ رَسُولُ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَرَى المُؤْمِنِينَ فِي تَرَاحُمِهِمْ، وَتَوادِّهِمْ، وَتَعَاطُفِهِمْ، كَمَثَلِ الْجَسَدِ. إِذَا اشْتَكَى عضْوًا، تَدَاعَى لَهُ سَائِرُ جَسَدِهِ بِالسَّهَرِ والحُمَّى

حديث النعمان بن بشير. قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ترى المومنين في تراحمهم، وتوادهم، وتعاطفهم، كمثل الجسد. اذا اشتكى عضوا، تداعى له ساىر جسده بالسهر والحمى

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৫/ সদাচরণ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ও শিষ্ঠাচার অধ্যায় (كتاب البر والصلة والآداب)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »