সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ)
২১৩৬

পরিচ্ছেদঃ তাকদীর নিয়ে আলোচনায় মত্ত হওয়া সম্পর্কে কঠোর সতর্কবাণী।

২১৩৬. আবদুল্লাহ ইবন মুআবিয়া জুমাহী (রহঃ) ....... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে বের হয়ে এলেন। আমরা তখন তাকদীর বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক করছিলাম। তিনি অত্যন্ত রাগান্বিত হলেন। এমনকি তাঁর চেহারা লাল হয়ে উঠল, তাঁর দুই কপালে যেন ডালিম নিংড়ে ঢেলে দেওয়া হয়েছে। তিনি বললেনঃ এই বিষয়েই কি তোমরা নির্দেশিত হয়েছ? আর এই নিয়েই কি আমি তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি? তোমাদের পূর্ববর্তীরা যখন এ বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হয়েছে তখনই তারা ধ্বংস হয়েছে। দৃঢ়ভাবে তোমাদের বলছি, তোমরা যেন এ বিষয়ে বিতর্কে লিপ্ত না হও। হাসান, মিশকাত ৯৮, ৯৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৩৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে উমার, আয়িশা ও আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি গারীব। সালিহ মুররী-এর রিওয়ায়াত হিসাবে এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমরা অবহিত নই, সালিহ মুররি বেশ কিছু গারীব রিওয়ায়াত রয়েছে। যেগুলির বিষয়ে তিনি একা।

باب ما جاء في التشديد في الخوض في القدر

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا صَالِحٌ الْمُرِّيُّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نَتَنَازَعُ فِي الْقَدَرِ فَغَضِبَ حَتَّى احْمَرَّ وَجْهُهُ حَتَّى كَأَنَّمَا فُقِئَ فِي وَجْنَتَيْهِ الرُّمَّانُ فَقَالَ ‏ "‏ أَبِهَذَا أُمِرْتُمْ أَمْ بِهَذَا أُرْسِلْتُ إِلَيْكُمْ إِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ حِينَ تَنَازَعُوا فِي هَذَا الأَمْرِ عَزَمْتُ عَلَيْكُمْ أَلاَّ تَتَنَازَعُوا فِيهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعَائِشَةَ وَأَنَسٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ صَالِحٍ الْمُرِّيِّ ‏.‏ وَصَالِحٌ الْمُرِّيُّ لَهُ غَرَائِبُ يَنْفَرِدُ بِهَا لاَ يُتَابَعُ عَلَيْهَا ‏.‏

حدثنا عبد الله بن معاوية الجمحي البصري، حدثنا صالح المري، عن هشام بن حسان، عن محمد بن سيرين، عن ابي هريرة، قال خرج علينا رسول الله صلى الله عليه وسلم ونحن نتنازع في القدر فغضب حتى احمر وجهه حتى كانما فقى في وجنتيه الرمان فقال ‏ "‏ ابهذا امرتم ام بهذا ارسلت اليكم انما هلك من كان قبلكم حين تنازعوا في هذا الامر عزمت عليكم الا تتنازعوا فيه ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الباب عن عمر وعاىشة وانس ‏.‏ وهذا حديث غريب لا نعرفه الا من هذا الوجه من حديث صالح المري ‏.‏ وصالح المري له غراىب ينفرد بها لا يتابع عليها ‏.‏


Abu Hurairah narrated:
"The Messenger of Allah(s.a.w) came out to us while we were discussing about Al-Qadar. He became angry such that his face became red, as if a pomegranate was bursting through his cheeks. He said: 'Is this what I ordered you to do?' - or: 'Is this what I have been sent to you with? The people before you were only ruined when they differed about this matter. I order you [I order you] to not debate about it.'".


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৩৭

পরিচ্ছেদঃ আদম (আঃ) ও মূসা (আঃ) এর বিতর্ক।

২১৩৭. ইয়াহইয়া ইবন হাবীব ইবন আরাবী (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আদম (আঃ) ও মূসা (আঃ) বিতর্কে প্রবৃত্ত হন। মূসা (আঃ) বললেনঃ হে আদম আপনিই তো তিনি যাকে আল্লাহ তা’আলা স্বহস্তে সৃষ্টি করেছেন, আপনার মাঝে তিনি তাঁর রূহ ফুঁকেছেন আর আপনিই কারণ ঘটলেন মানুষের গুমরাহীর এবং তাদেরকে জান্নাত থেকে বহিস্কারের।

আদম (আঃ) বললেনঃ আপনিই তো মূসা, আল্লাহ তা’আলা আপনাকে তাঁর সাথে কথোপকথনের জন্য নির্ধারিত করেছেন। আপনি এমন একটি কাজের জন্য আমাকে মালামাত করেছেন যা আসমান যমীন সৃষ্টির পূর্বেই তা করা আল্লাহ তা’আলা আমার জন্য লিখে রেখেছেন।

তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ পরিশেষে আদম (আঃ) তর্কে মূসা (আঃ)-এর উপর জয়ী হয়ে গেলেন। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৮০, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৩৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে উমার ও জুন্দুব রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। সুলায়মান তায়মী-আ’মাশ থেকে বর্ণিত হাদীস হিসাবে এ সূত্রে উক্ত হাদীসটি হাসান-গারীব। আ’মাশ (রহঃ)-এর কতিপয় শাগরিদ এটিকে আ’মাশ-আবূ সালিহ-আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ আ’মাশ-আবূ সালিহ-আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু রূপে সনদের উল্লেখ করেছেন। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এ হাদীসটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে।

باب ما جاء في حجاج آدم وموسى عليهما السلام

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى فَقَالَ مُوسَى يَا آدَمُ أَنْتَ الَّذِي خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ أَغْوَيْتَ النَّاسَ وَأَخْرَجْتَهُمْ مِنَ الْجَنَّةِ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ آدَمُ وَأَنْتَ مُوسَى الَّذِي اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِكَلاَمِهِ أَتَلُومُنِي عَلَى عَمَلٍ عَمِلْتُهُ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَىَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ قَالَ فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَجُنْدَبٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ عَنِ الأَعْمَشِ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى بَعْضُ أَصْحَابِ الأَعْمَشِ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا يحيى بن حبيب بن عربي، حدثنا المعتمر بن سليمان، حدثنا ابي، عن سليمان الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ احتج ادم وموسى فقال موسى يا ادم انت الذي خلقك الله بيده ونفخ فيك من روحه اغويت الناس واخرجتهم من الجنة ‏.‏ قال فقال ادم وانت موسى الذي اصطفاك الله بكلامه اتلومني على عمل عملته كتبه الله على قبل ان يخلق السموات والارض قال فحج ادم موسى ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الباب عن عمر وجندب ‏.‏ وهذا حديث حسن صحيح غريب من هذا الوجه من حديث سليمان التيمي عن الاعمش ‏.‏ وقد روى بعض اصحاب الاعمش عن الاعمش عن ابي صالح عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏ وقال بعضهم عن الاعمش عن ابي صالح عن ابي سعيد عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وقد روي هذا الحديث من غير وجه عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Abu Hurairah narrated that the Prophet(S.A.W) said:
"Adam and Musa argued, Musa said: "O Adam! You are the one that Allah created with His Hand, and blew into you of His Spirit, and you misled the people and caused them to be expelled from Paradise.' So Adam said: 'You are Musa, the one Allah selected with His Speech! Are you blaming me for something I did which Allah had decreed for me, before creating the heavens and the earth?'" He said: " So Adam confuted Musa."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৩৮

পরিচ্ছেদঃ দুর্ভাগ্য ও সৌভাগ্য।

২১৩৮. বুন্দার (রহঃ) ...... সালিম ইবন আবদুল্লাহ তার পিতা আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু একদিন বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনি কি মনে করেন আমরা যে কাজ করি এগুলি কি নবঘঠিত বিষয় না কি এমন বিষয় যেগুলি সম্পর্কে আল্লাহ পূর্বেই ফায়সালা করে রেখেছেন? তিনি বললেনঃ হে ইবনুল খাত্তাব, এগুলো হলো এমন বিষয় যেগুলো সম্পর্কে ফায়সালা করে রাখা হয়েছে। আর প্রত্যেকের জন্য তার করনীয় সহজ করে দেওয়া হয়েছে। যে ব্যক্তি নেকবখতগণের অন্তর্ভুক্ত সে করে সৌভাগ্য জনক আমল আর যে ব্যক্তি বদবখতদের অন্তর্ভুক্ত সে করে দুর্ভাগ্য জনক আমল। সহীহ, যিলালুল জান্নাহ ১৬১, ১৬৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৩৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে আলী, হুযায়ফা ইবন উসায়দ, আনাস ও ইমরান ইবন হুসায়ন রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب ما جاء في الشقاء والسعادة

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ مَا نَعْمَلُ فِيهِ أَمْرٌ مُبْتَدَعٌ أَوْ مُبْتَدَأٌ أَوْ فِيمَا قَدْ فُرِغَ مِنْهُ فَقَالَ ‏ "‏ فِيمَا قَدْ فُرِغَ مِنْهُ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ وَكُلٌّ مُيَسَّرٌ أَمَّا مَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ السَّعَادَةِ فَإِنَّهُ يَعْمَلُ لِلسَّعَادَةِ وَأَمَّا مَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الشَّقَاءِ فَإِنَّهُ يَعْمَلُ لِلشَّقَاءِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَحُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ وَأَنَسٍ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا بندار، حدثنا عبد الرحمن بن مهدي، حدثنا شعبة، عن عاصم بن عبيد الله، قال سمعت سالم بن عبد الله، يحدث عن ابيه، قال قال عمر يا رسول الله ارايت ما نعمل فيه امر مبتدع او مبتدا او فيما قد فرغ منه فقال ‏ "‏ فيما قد فرغ منه يا ابن الخطاب وكل ميسر اما من كان من اهل السعادة فانه يعمل للسعادة واما من كان من اهل الشقاء فانه يعمل للشقاء ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الباب عن علي وحذيفة بن اسيد وانس وعمران بن حصين ‏.‏ وهذا حديث حسن صحيح ‏.‏


'Asim bin 'Ubaidullah said:
' I heard Salim bin 'Abdullah narrating a Hadith from his father who said: "'Umar said : "O Messenger of Allah! Do you see that what we do is a new matter- or a matter initiated – or it is a matter already concluded?” He (s.a.w) said: “ O Ibn Al-Khattab! It is a matter already concluded. For everyone is suited (for that for which he is created). As for one who is among the people of happiness, then he works for happiness, and as for the one who is among the people of misery, then he works for his misery.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৩৯

পরিচ্ছেদঃ দুর্ভাগ্য ও সৌভাগ্য।

২১৩৯. হাসান ইবন আলী হুলওয়ানী (রহঃ) ...... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি একটি কাঠি দিয়ে যমীনে দাগ কাটছিলেন। হঠাৎ আকাশের দিকে তাঁর মাথা উঠালেন। এরপর বললেনঃ তোমাদের মাঝে এমন কেউ নেই যে, কার অবস্থান জাহান্নাম এবং কার অবস্থান জান্নাত লিপিবদ্ধ করে না রাখা হয়েছে। তাঁরা (সাহাবীগণ) বললেনঃ আমরা কি তবে ভরসা করে বসে থাকব ইয়া রাসূলাল্লাহ? তিনি বললেনঃ না, আমল করে যাও, যাকে যার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তার জন্য তদনুরূপ আমল সহজ করে দেওয়া হয়েছে। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৭৮, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৩৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب ما جاء في الشقاء والسعادة

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَنْكُتُ فِي الأَرْضِ إِذْ رَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ قَدْ عُلِمَ وَقَالَ وَكِيعٌ إِلاَّ قَدْ كُتِبَ مَقْعَدُهُ مِنَ النَّارِ وَمَقْعَدُهُ مِنَ الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا أَفَلاَ نَتَّكِلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ لاَ اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي الحلواني، حدثنا عبد الله بن نمير، ووكيع، عن الاعمش، عن سعد بن عبيدة، عن ابي عبد الرحمن السلمي، عن علي، قال بينما نحن مع رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو ينكت في الارض اذ رفع راسه الى السماء ثم قال ‏"‏ ما منكم من احد الا قد علم وقال وكيع الا قد كتب مقعده من النار ومقعده من الجنة ‏"‏ ‏.‏ قالوا افلا نتكل يا رسول الله قال ‏"‏ لا اعملوا فكل ميسر لما خلق له ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


'Ali narrated:
"We were with the Messenger of Allah (s.a.w) and he was scraping the ground, when he raised his head to the heavens, then said: 'There is not one of you but (his place) is known' – Waki said: 'His place has been decreed (be it) in the Fire, and (or) his place in Paradise.' They said: 'Shall we not rely upon this O Messenger of Allah?' He said: 'No. Work, for everyone is facilitated for what he was created.'”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৪০

পরিচ্ছেদঃ শেষ অবস্থার উপর ভিত্তি করে আমলের এ'তেবার।

২১৪০. হান্নাদ (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি হচ্ছেন সত্যবাদী এবং সত্যবাদী বলে স্বীকৃতও তিনি আমাদেরকে বর্ণনা করেছেনঃ মার পেটে তোমাদের কারো সৃষ্টি গঠন সমন্বিত হয় চল্লিশ দিনে। এরপর তত দিনে হয় আলাকা এরপর তত দিনে মাংসপিণ্ড। এরপর তার কাছে আল্লাহ এক ফিরিশতা পাঠান। তিনি তার মাঝে রূহ ফুঁকেন এবং তাকে চারটি বিষয়ে নির্দেশ করা হয়। তিনি লিখেন তার রিযক, তার মৃত্যু, তার আমল এবং সে নেক বখত না বদবখত।

সেই সত্তার কসম যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নাই, আমাদের কেউ জান্নাতবাসীর আমল করতে থাকে এমনকি তার এবং জান্নাতের মাঝে মাত্র একহাতের ব্যবধান বাকী থাকতে ভাগ্যের লিখন তার উপর প্রবল হয়ে উঠে আর জাহান্নামবাসীর আমলে তার জীবনের সমাপ্তি ঘটে, অনন্তর সে জাহান্নামেই প্রবেশ করে।

আবার তোমাদের কেউ জাহান্নামবাসীর আমল করতে থাকে এমনকি তার এবং জাহান্নামের মাঝে মাত্র এক হাত ব্যবধান বাকী থাকতে তার উপর ভাগ্যলিপি প্রবল হয়ে উঠে আর জান্নাতবাসীর আমলের মাধ্যমে তার জীবন সমাপ্তি ঘটে। আর সে জান্নাতেই প্রবেশ করে। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৭৬, বুখারি মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৩৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বর্ণনা করেছেন ... অতপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।

এ বিষয়ে অূ হুরায়রা ও আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আহমাদ ইবন হাসান (রহঃ) বলেনঃ আমি আহমাদ ইবন হাম্বাল (রহঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ কাত্তানের মত কাউকে আমার দুই চোখে দেখিনি। এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। শু’বা এবং ছাওরী (রহঃ)-ও এটিকে আ’মাশ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মদ ইবন ’আলা (রহঃ) যায়দ (রহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

باب ما جاء أن الأعمال بالخواتيم

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ ‏ "‏ إِنَّ أَحَدَكُمْ يُجْمَعُ خَلْقُهُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ فِي أَرْبَعِينَ يَوْمًا ثُمَّ يَكُونُ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَكُونُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يُرْسِلُ اللَّهُ إِلَيْهِ الْمَلَكَ فَيَنْفُخُ فِيهِ وَيُؤْمَرُ بِأَرْبَعٍ يَكْتُبُ رِزْقَهُ وَأَجَلَهُ وَعَمَلَهُ وَشَقِيٌّ أَوْ سَعِيدٌ فَوَالَّذِي لاَ إِلَهَ غَيْرُهُ إِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلاَّ ذِرَاعٌ ثُمَّ يَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيُخْتَمُ لَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ فَيَدْخُلُهَا وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلاَّ ذِرَاعٌ ثُمَّ يَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيُخْتَمُ لَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَدْخُلُهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ مِثْلَهُ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ عَنِ الأَعْمَشِ نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ ‏.‏ وَسَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ الْحَسَنِ قَالَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يَقُولُ مَا رَأَيْتُ بِعَيْنِي مِثْلَ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ ‏.‏
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدٍ، نَحْوَهُ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن زيد بن وهب، عن عبد الله بن مسعود، قال حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو الصادق المصدوق ‏ "‏ ان احدكم يجمع خلقه في بطن امه في اربعين يوما ثم يكون علقة مثل ذلك ثم يكون مضغة مثل ذلك ثم يرسل الله اليه الملك فينفخ فيه ويومر باربع يكتب رزقه واجله وعمله وشقي او سعيد فوالذي لا اله غيره ان احدكم ليعمل بعمل اهل الجنة حتى ما يكون بينه وبينها الا ذراع ثم يسبق عليه الكتاب فيختم له بعمل اهل النار فيدخلها وان احدكم ليعمل بعمل اهل النار حتى ما يكون بينه وبينها الا ذراع ثم يسبق عليه الكتاب فيختم له بعمل اهل الجنة فيدخلها ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وهذا حديث حسن صحيح ‏.‏ حدثنا محمد بن بشار، حدثنا يحيى بن سعيد، حدثنا الاعمش، حدثنا زيد بن وهب، عن عبد الله بن مسعود، قال حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكر مثله ‏.‏ وهذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد روى شعبة والثوري عن الاعمش نحوه ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الباب عن ابي هريرة وانس ‏.‏ وسمعت احمد بن الحسن قال سمعت احمد بن حنبل يقول ما رايت بعيني مثل يحيى بن سعيد القطان ‏.‏ حدثنا محمد بن العلاء، حدثنا وكيع، عن الاعمش، عن زيد، نحوه ‏.‏


'Abdullah bin Mas'ud said:
The Messenger of Allah (s.a.w) narrated to us - and he is the truthful and entrusted one: 'Indeed the creation of one of you is gathered inside his mother in forty days. Then, for a similar period, he is a clot. Then, for a similar period, he is a piece of flesh. Then Allah sends the angel to him to blow the soul into him, and he is ordered to write four (things): To write his provision, his life-span, his works, and whether he will be wretched or happy. By the One besides Whom there is none other worthy of worship! One of you will do deeds of the people of Paradise, until there is between him and it but a forearm span, then he is overcome by what is written for him, and he is sealed off with the deeds of the people of the Fire, so that he enters it. And indeed one of you will do deeds of the people of the Fire, until there is between him and it but a forearm span, then he is overcome by what is written for him, and he is sealed off with the deeds of the people of Paradise, so that he enters it.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৪১

পরিচ্ছেদঃ প্রত্যেক সন্তান স্বভাব-প্রকৃতির উপর জন্ম গ্রহন করে।

২১৪১. মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া কুতাঈ (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক সন্তান মিল্লাতে ইসলামিয়ার উপর জন্ম গ্রহণ করে। এরপর তার পিতা-মাতা তাকে ইয়াহুদী, নাসারা এবং মুশরিক বানায়। বলা হয়, ইয়া রাসূলাল্লাহ, এর পূর্বেই যদি কেউ মারা যায়? তিনি বললেনঃ তারা কি আমল করত সে বিষয়ে আল্লাহ তা’আলা সবিশেষ অবহিত আছে। সহীহ, ইরওয়া ১২২০, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৩৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

আবূ কুরায়ব ও হুসায়ন ইবন হুরায়ছ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে উক্ত মর্মে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে এতে মিল্লাত এর স্থানে ফিতরাত এর কথা উল্লেখিত হয়েছে।

এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।

শু’বা প্রমুখ (রহঃ) এটিকে আ’মাশ-আবূ সালিহ-আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ... জন্ম গ্রহণ করে ফিতরাতের উপর।

باب ما جاء كل مولود يولد على الفطرة

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْقُطَعِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ رَبِيعَةَ الْبُنَانِيُّ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الْمِلَّةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ أَوْ يُنَصِّرَانِهِ أَوْ يُشَرِّكَانِهِ ‏"‏ ‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَنْ هَلَكَ قَبْلَ ذَلِكَ قَالَ ‏"‏ اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ بِهِ ‏"‏ ‏.‏
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَالْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ وَقَالَ ‏ "‏ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ وَغَيْرُهُ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ سَرِيعٍ ‏.‏

حدثنا محمد بن يحيى القطعي البصري، حدثنا عبد العزيز بن ربيعة البناني، حدثنا الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ كل مولود يولد على الملة فابواه يهودانه او ينصرانه او يشركانه ‏"‏ ‏.‏ قيل يا رسول الله فمن هلك قبل ذلك قال ‏"‏ الله اعلم بما كانوا عاملين به ‏"‏ ‏.‏ حدثنا ابو كريب، والحسين بن حريث، قالا حدثنا وكيع، عن الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه بمعناه وقال ‏ "‏ يولد على الفطرة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد رواه شعبة وغيره عن الاعمش عن ابي صالح عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم بمعناه ‏.‏ وفي الباب عن الاسود بن سريع ‏.‏


'Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Every child is born upon the Millah, then his parents make him a Jew, a Christian, or a idolater." It was said: "O Messenger of Allah! What about those who die before that?" He said: "Allah knows best what they would have done."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৪২

পরিচ্ছেদঃ দু'আ ছাড়া তাকদীর রদ হয় না।

২১৪২. মুহাম্মদ ইবন হুমায়দ রাযী ও সাঈদ ইবন ইয়াকুব (রহঃ) ...... সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুআ ছাড়া আর কিছুই তাকদীর রদ করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না। হাসান, সহিহাহ ১৫৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৩৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে আবূ আসীদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান-গারীব। ইয়াহইয়া ইবন যুরায়স-এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমরা অবহিত নই। আবূ মাওদূদ দুইজন। একজনকে বলা হয় ফিয্‌যা। অপরজন হলেন আবদুল আযীয ইবন আবূ সুলায়মান। একজন বাসরী অপরজন মাদানী। উভয়েই ছিলেন সমসাময়িক কালের। যে আবূ মাওদূদ এ হাদীসটিকে বর্ণনা করেছেন তার নাম হল ফিয্‌যা বাসরী।

باب ما جاء لا يرد القدر إلا الدعاء

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، وَسَعِيدُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الضُّرَيْسِ، عَنْ أَبِي مَوْدُودٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ يَرُدُّ الْقَضَاءَ إِلاَّ الدُّعَاءُ وَلاَ يَزِيدُ فِي الْعُمُرِ إِلاَّ الْبِرُّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ سَلْمَانَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ الضُّرَيْسِ ‏.‏ وَأَبُو مَوْدُودٍ اثْنَانِ أَحَدُهُمَا يُقَالُ لَهُ فِضَّةٌ وَهُوَ الَّذِي رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ اسْمُهُ فِضَّةٌ بَصْرِيٌّ وَالآخَرُ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ أَحَدُهُمَا بَصْرِيٌّ وَالآخَرُ مَدَنِيٌّ وَكَانَا فِي عَصْرٍ وَاحِدٍ ‏.‏

حدثنا محمد بن حميد الرازي، وسعيد بن يعقوب، قالا حدثنا يحيى بن الضريس، عن ابي مودود، عن سليمان التيمي، عن ابي عثمان النهدي، عن سلمان، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لا يرد القضاء الا الدعاء ولا يزيد في العمر الا البر ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الباب عن ابي اسيد ‏.‏ وهذا حديث حسن غريب من حديث سلمان لا نعرفه الا من حديث يحيى بن الضريس ‏.‏ وابو مودود اثنان احدهما يقال له فضة وهو الذي روى هذا الحديث اسمه فضة بصري والاخر عبد العزيز بن ابي سليمان احدهما بصري والاخر مدني وكانا في عصر واحد ‏.‏


'Salman narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Nothing turns back the Decree except supplication, and nothing increases the life-span except righteousness."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সালমান ফারসী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৪৩

পরিচ্ছেদঃ অন্তর হল রহমানের দুই আঙ্গুলের মাঝে।

২১৪৩. হান্নাদ (রহঃ) ...... আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব বেশী বলতেনঃيَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ হে অন্তর পরিবর্তনকারী, আমার অন্তরকে তোমার দীনের উপ দৃঢ় রাখ।

আমি বললামঃ আপনার এবং আপনি যা কিছু নিয়ে এসেছেন সব বিষয়ের উপর আমরা ঈমান রাখি, আপনি কি আমাদের সম্পর্কে কোন আশংকা পোষণ করেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, অন্তরতো আল্লাহ তা’আলার দুই আঙ্গুলের মাঝে, তিনি যেভাবে ইচ্ছা তা পরিবর্তিত করেন। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৮৩৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৪০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে নাওওয়াস ইবন সামআন, উম্মু সালামা, আয়িশা ও আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। একাধিক রাবী আ’মাশ-আবূ সুফইয়ান-আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কতক রাবী আ’মাশ-আবূ সুফিয়ান জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু সনদে এটি রিওয়ায়াত করেছেন। তবে আবূ সুফইয়ান-আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রটি অধিক সহীহ।

باب ما جاء أن القلوب بين أصبعي الرحمن

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكْثِرُ أَنْ يَقُولَ ‏"‏ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ آمَنَّا بِكَ وَبِمَا جِئْتَ بِهِ فَهَلْ تَخَافُ عَلَيْنَا قَالَ ‏"‏ نَعَمْ إِنَّ الْقُلُوبَ بَيْنَ أَصْبُعَيْنِ مِنْ أَصَابِعِ اللَّهِ يُقَلِّبُهَا كَيْفَ يَشَاءُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَائِشَةَ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ أَنَسٍ ‏.‏ وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَحَدِيثُ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ أَنَسٍ أَصَحُّ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن ابي سفيان، عن انس، قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يكثر ان يقول ‏"‏ يا مقلب القلوب ثبت قلبي على دينك ‏"‏ ‏.‏ فقلت يا رسول الله امنا بك وبما جىت به فهل تخاف علينا قال ‏"‏ نعم ان القلوب بين اصبعين من اصابع الله يقلبها كيف يشاء ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الباب عن النواس بن سمعان وام سلمة وعبد الله بن عمرو وعاىشة ‏.‏ وهذا حديث حسن وهكذا روى غير واحد عن الاعمش عن ابي سفيان عن انس ‏.‏ وروى بعضهم عن الاعمش عن ابي سفيان عن جابر عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وحديث ابي سفيان عن انس اصح ‏.‏


'Anas narrated:
"The Messenger of Allah (s.a.w) would often say: Ya Muqallibal-qulub, thabbit qalbi 'ala dinik('O Changer of the Hearts! Strengthen my heart upon Your Religion.)' So I said: 'O Prophet of Allah! We believe in you and what you have come with, but do you fear for us?' He said: 'Yes. Indeed the hearts are between two Fingers of Allah's Fingers, He changes them as He wills.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৪৪

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌ তা'আলা জান্নাতীদের জন্য এবং জাহান্নামীদের জন্য একটি কিতাব (রেজিষ্ট্রার) লিখে রেখেছেন।

২১৪৪. কুতায়বা ইবন সাঈদ (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন আমাদের কাছে বের হয়ে এলেন। তাঁর হাতে ছিল দু’টি কিতাব। তিনি বললেনঃ তোমরা কি জান এ দুটি কি কিতাব? আমরা বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাদেরকে অবহিত করা ছাড়া আমরা পারব না। তিনি যে কিতাবটি তাঁর ডান হাতে ছিল, সেটি সম্পর্কে বললেনঃ এটি রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে এক গ্রন্থ। এতে রয়েছে জান্নাতবাসীদে নাম এবং তাদের পিতা ও গোত্র সমূহের নাম। এরপর এর শেষে মোট জমা রয়েছে। সুতরাং তাদের মধ্যে কখনো বৃদ্ধি করাও হবেনা বা কমানোও হবে না।

এরপর তিনি যে কিতাবটি তাঁর বাম হাতে ছিল সেটি সম্পর্কে বললেনঃ এটি আল্লাহ পক্ষ থেকে আসা একটি গ্রন্থ। এতে রয়েছে জাহান্নামীদের নাম, তাদের পিতা ও গোত্র সমূহের নাম। এরপর এর শেষে রয়েছে মোট জমা। তাদের মাঝে কখনো বৃদ্ধিও হবেনা এবং কমানোও হবে না। তাঁর (সাহাবীগণ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, বিষয়টি যদি এমন হয় যা সমাধা হয়ে গিয়েছে তবে আমল কিসের জন্য?

তিনি বললেনঃ মধ্যম পন্থা অবলম্বন করে সোজা চলতে থাক আর না হয় কাছাকাছি চলতে থাক। কেননা, সে যাই কিছু করুক জান্নাতীর আমলের মাধ্যমেই জান্নাতবাসীর জীবন সমাপ্তি ঘটবে। আর সে যত কিছুই করুক জাহান্নামীর আমলের মাধ্যমেই ঘটবে জাহান্নামবাসীর জীবন সমাপ্তি।

এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত দিয়ে ইশারা করে এ দুটি কিতাব ছুড়ে ফেললেন। এরপর বললেনঃ তোমাদের প্রভু বান্দাদের বিষয়ে কাজ শেষ করে ফেলেছেনঃ একদল তো জান্নাতে আরেক দল জাহান্নামের। হাসান, মিশকাত ৯৬, সহিহাহ ৮৪৮, আযযিলা-ল ৩৪৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৪১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

কুতায়বা (রহঃ) ... আবু কাবীল (রহঃ) অনুরূপ বর্ণিত আছে। এ বিষয়ে ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب ما جاء أن الله كتب كتابا لأهل الجنة وأهل النار

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي قَبِيلٍ، عَنْ شُفَىِّ بْنِ مَاتِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِي، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي يَدِهِ كِتَابَانِ فَقَالَ ‏"‏ أَتَدْرُونَ مَا هَذَانِ الْكِتَابَانِ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْنَا لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِلاَّ أَنْ تُخْبِرَنَا ‏.‏ فَقَالَ لِلَّذِي فِي يَدِهِ الْيُمْنَى ‏"‏ هَذَا كِتَابٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ فِيهِ أَسْمَاءُ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَأَسْمَاءُ آبَائِهِمْ وَقَبَائِلِهِمْ ثُمَّ أُجْمِلَ عَلَى آخِرِهِمْ فَلاَ يُزَادُ فِيهِمْ وَلاَ يُنْقَصُ مِنْهُمْ أَبَدًا ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ لِلَّذِي فِي شِمَالِهِ ‏"‏ هَذَا كِتَابٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ فِيهِ أَسْمَاءُ أَهْلِ النَّارِ وَأَسْمَاءُ آبَائِهِمْ وَقَبَائِلِهِمْ ثُمَّ أُجْمِلَ عَلَى آخِرِهِمْ فَلاَ يُزَادُ فِيهِمْ وَلاَ يُنْقَصُ مِنْهُمْ أَبَدًا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ أَصْحَابُهُ فَفِيمَ الْعَمَلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ كَانَ أَمْرٌ قَدْ فُرِغَ مِنْهُ فَقَالَ ‏"‏ سَدِّدُوا وَقَارِبُوا فَإِنَّ صَاحِبَ الْجَنَّةِ يُخْتَمُ لَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَإِنْ عَمِلَ أَىَّ عَمَلٍ وَإِنَّ صَاحِبَ النَّارِ يُخْتَمُ لَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ وَإِنْ عَمِلَ أَىَّ عَمَلٍ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدَيْهِ فَنَبَذَهُمَا ثُمَّ قَالَ ‏"‏ فَرَغَ رَبُّكُمْ مِنَ الْعِبَادِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ ‏"‏ ‏.‏ حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ عَنْ أَبِي قَبِيلٍ نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو قَبِيلٍ اسْمُهُ حُيَىُّ بْنُ هَانِئٍ ‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا الليث، عن ابي قبيل، عن شفى بن ماتع، عن عبد الله بن عمرو بن العاصي، قال خرج علينا رسول الله صلى الله عليه وسلم وفي يده كتابان فقال ‏"‏ اتدرون ما هذان الكتابان ‏"‏ ‏.‏ فقلنا لا يا رسول الله الا ان تخبرنا ‏.‏ فقال للذي في يده اليمنى ‏"‏ هذا كتاب من رب العالمين فيه اسماء اهل الجنة واسماء اباىهم وقباىلهم ثم اجمل على اخرهم فلا يزاد فيهم ولا ينقص منهم ابدا ‏"‏ ‏.‏ ثم قال للذي في شماله ‏"‏ هذا كتاب من رب العالمين فيه اسماء اهل النار واسماء اباىهم وقباىلهم ثم اجمل على اخرهم فلا يزاد فيهم ولا ينقص منهم ابدا ‏"‏ ‏.‏ فقال اصحابه ففيم العمل يا رسول الله ان كان امر قد فرغ منه فقال ‏"‏ سددوا وقاربوا فان صاحب الجنة يختم له بعمل اهل الجنة وان عمل اى عمل وان صاحب النار يختم له بعمل اهل النار وان عمل اى عمل ‏"‏ ‏.‏ ثم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم بيديه فنبذهما ثم قال ‏"‏ فرغ ربكم من العباد فريق في الجنة وفريق في السعير ‏"‏ ‏.‏ حدثنا قتيبة حدثنا بكر بن مضر عن ابي قبيل نحوه ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الباب عن ابن عمر ‏.‏ وهذا حديث حسن غريب صحيح ‏.‏ وابو قبيل اسمه حيى بن هانى ‏.‏


'Abdullah bin 'Amr narrated:
"The Messenger of Allah (s.a.w) came out to us with two books in hand. And he said: 'Do you know what these two books are?' We said: 'No, O Messenger of Allah ! Unless you inform us.' He said about the one that was in his right hand: 'This is a book from the Lord of the worlds, in it are the names of the people of Paradise, and the name of their fathers and their tribes. Then there is a summary at the end of them, there being no addition to them nor deduction from them forever.' Then he said about the one that was in his left: 'This is a book from the Lord of the worlds, in it are the names of the people of Fire, and the name of their fathers and their tribes. Then there is a summary at the end of them, there being no addition to them nor deduction from them forever.' The companions said: 'So why work O Messenger of Allah! Since the matter is already decided (and over)?' He said: 'Seek to do what is right and draw nearer, for indeed the inhabitant of Paradise, shall have his work sealed off with the deeds of the people of Paradise, whichever deeds he did. And indeed the inhabitant of Fire, shall have his work sealed off with the deeds of the people of Fire, whichever deeds he did.' Then the Messenger of Allah motioned with his hands, casting them down and said: 'Your Lord finished with the slaves, a group in Paradise, and a group in the Blazing Fire.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৪৫

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌ তা'আলা জান্নাতীদের জন্য এবং জাহান্নামীদের জন্য একটি কিতাব (রেজিষ্ট্রার) লিখে রেখেছেন।

২১৪৫. আলী ইবন হুজর (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ তা’আলা যখন তার বান্দা সম্পর্কে কল্যাণের ইচ্ছা করেন তখন তাকে আমল করতে দেন। বলা হল ইয়া রাসূলাল্লাহ! কিভাবে তিনি তাকে আমল করতে দেন? তিনি বললেনঃ মৃত্যুর পূর্বে তিনি তাকে নেক আমলের তাওফীক দিয়ে দেন।

সহীহ, আর-রওযুন নাযীর ২/৮৭, মিশকাত ৫২৮৮, আয-যিলাল ৩৯৭-৩৯৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৪২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ হাদিসটি হাসান সহীহ।

باب ما جاء أن الله كتب كتابا لأهل الجنة وأهل النار

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدٍ خَيْرًا اسْتَعْمَلَهُ ‏"‏ ‏.‏ فَقِيلَ كَيْفَ يَسْتَعْمِلُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ يُوَفِّقُهُ لِعَمَلٍ صَالِحٍ قَبْلَ الْمَوْتِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا علي بن حجر، حدثنا اسماعيل بن جعفر، عن حميد، عن انس، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اذا اراد الله بعبد خيرا استعمله ‏"‏ ‏.‏ فقيل كيف يستعمله يا رسول الله قال ‏"‏ يوفقه لعمل صالح قبل الموت ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


'Anas narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"When Allah wants good for a slave, He puts him in action." It was said: "How does he put him in action O Messenger Of Allah?" He said: "By making him meet up with the righteous deeds before death."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৪৬

পরিচ্ছেদঃ রোগ সংক্রমন, হামা অর্থাৎ পেচকে বিশ্বাস বা সফর মাস সম্পর্কে কুসংস্কার ইসলামে নেই।

২১৪৬. বুন্দার (রহঃ .... ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে ভাষণ দিতে দাঁড়ালেন, বললেনঃ কোন জিনিসই অন্য কিছুতে রোগ বিস্তার করতে পারে না। তখন জনৈক বেদুঈন বললৎ ইয়া রাসূলাল্লাহ, জননেন্দ্রিয়ে পাঁচড়াযুক্ত একটি উট সবগুলোকেই তো পাঁচড়াক্রান্ত করে ফেলে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে প্রথম উটটিকে কে পাঁচড়াক্রান্ত করেছিল? সংক্রমক বলতে কিছু নেই। প্রতিটি প্রাণ আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন এরপর তিনি এর হায়াত এর রিযক এবং আপদ-বিপদ সব কিছু লিখে দিয়েছেন। সহীহ, সহিহাহ ১১৫২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৪৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে আবূ হুরায়রা, ইবন আব্বাস ও আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। মুহাম্মদ ইবন আমর ইবন ছাফওয়ান ছাকাফী বাসরী (রহঃ) বলেছেন, আলী ইবন মাদানী (রহঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ হাজরে আসওয়াদ এবং মাকামে ইবরাহীমের মাঝে দাঁড়িয়েও যদি কসম করি তবে তা করে বলতে পারি যে, আবদুর রহমান ইবন মাহদী অপেক্ষা বড় আলিম কাউকে দেখিনি।

باب ما جاء لا عدوى ولا هامة ولا صفر

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا صَاحِبٌ، لَنَا عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ لاَ يُعْدِي شَيْءٌ شَيْئًا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ الْبَعِيرُ الْجَرِبُ الْحَشَفَةُ نُدْبِنُهُ فَيُجْرِبُ الإِبِلَ كُلَّهَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فَمَنْ أَجْرَبَ الأَوَّلَ لاَ عَدْوَى وَلاَ صَفَرَ خَلَقَ اللَّهُ كُلَّ نَفْسٍ وَكَتَبَ حَيَاتَهَا وَرِزْقَهَا وَمَصَائِبَهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ صَفْوَانَ الثَّقَفِيَّ الْبَصْرِيَّ قَالَ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ الْمَدِينِيِّ يَقُولُ لَوْ حَلَفْتُ بَيْنَ الرُّكْنِ وَالْمَقَامِ لَحَلفْتُ أَنِّي لَمْ أَرَ أَحَدًا أَعْلَمَ مِنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ ‏.‏

حدثنا بندار، حدثنا عبد الرحمن بن مهدي، حدثنا سفيان، عن عمارة بن القعقاع، حدثنا ابو زرعة بن عمرو بن جرير، قال حدثنا صاحب، لنا عن ابن مسعود، قال قام فينا رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ‏"‏ لا يعدي شيء شيىا ‏"‏ ‏.‏ فقال اعرابي يا رسول الله البعير الجرب الحشفة ندبنه فيجرب الابل كلها ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فمن اجرب الاول لا عدوى ولا صفر خلق الله كل نفس وكتب حياتها ورزقها ومصاىبها ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الباب عن ابي هريرة وابن عباس وانس ‏.‏ قال وسمعت محمد بن عمرو بن صفوان الثقفي البصري قال سمعت علي بن المديني يقول لو حلفت بين الركن والمقام لحلفت اني لم ار احدا اعلم من عبد الرحمن بن مهدي ‏.‏


'Ibn Mas'ud narrated:
"The Messenger of Allah (s.a.w) stood among us and said: 'One thing does not infect another.' So a Bedouin said: 'O Messenger of Allah! If a camel gets mangy glands and we leave it at the resting place of camels, then all of the camels get mange?' The Messenger of Allah (s.a.w) said: 'Who caused the first to get manage? There is no 'Adwa nor safar. Allah created every soul, so he wrote its life, its provision, and its afflictions.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৪৭

পরিচ্ছেদঃ তাকদীরের ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস।

২১৪৭. আবদুল খাত্তাব যিয়াদ ইবন ইয়াহইয়া বাসরী (রহঃ) ...... জাবির ইবন আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তাকদীরের ভাল-মন্দের উপর ঈমান না রাখা পর্যন্ত কোন বান্দা মু’মিন হতে পারবে না। এমনকি তার ইয়াকীন করতে হবে যে, যা তার কাছে পৌছার তা কখনো তাকে ত্যাগ করবে না আর যা তাকে ত্যাগ করার তা কখনো তার কাছে পৌছাবে না। সহীহ, সহিহাহ ২৪৩৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৪৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে উবাদা, জাবির ও আবদুল্লাহ ইবন ’আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীস হিসাবে হাদীসটি গারীব। আবদুল্লাহ ইবন মায়মূনের সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে অবহিত নই। আবদুল্লাহ ইবন মায়মূন হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে মুনকার।

باب ما جاء في الإيمان بالقدر خيره وشره

حَدَّثَنَا أَبُو الْخَطَّابِ، زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ حَتَّى يَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَهُ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَهُ وَأَنَّ مَا أَخْطَأَهُ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُبَادَةَ وَجَابِرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَيْمُونٍ ‏.‏ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَيْمُونٍ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ ‏.‏

حدثنا ابو الخطاب، زياد بن يحيى البصري حدثنا عبد الله بن ميمون، عن جعفر بن محمد، عن ابيه، عن جابر بن عبد الله، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لا يومن عبد حتى يومن بالقدر خيره وشره حتى يعلم ان ما اصابه لم يكن ليخطىه وان ما اخطاه لم يكن ليصيبه ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الباب عن عبادة وجابر وعبد الله بن عمرو ‏.‏ وهذا حديث غريب لا نعرفه الا من حديث عبد الله بن ميمون ‏.‏ وعبد الله بن ميمون منكر الحديث ‏.‏


Jabir bin 'Abdullah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
'A slave (of Allah) shall not believe until he believes in Al-Qadar, its good and its bad, such that he knows that what struck him would not have missed him, and that what missed him would not have struck him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৪৮

পরিচ্ছেদঃ তাকদীরের ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস।

২১৪৮. মুহাম্মদ ইবন গায়লান (রহঃ) .... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চারটি বিষয়ে ঈমান না আনা পর্যন্ত কোন বান্দা মু’মিন হতে পারবে নাঃ সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই আর আমি আল্লাহর রাসূল, তিনি সত্যসহ আমাকে প্রেরণ করেছেন; মৃত্যুর উপর ঈমান আনবে; মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের উপর ঈমান আনবে; তাকদীরের উপর ঈমান আনবে। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৮১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৪৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ক. মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... শু’বা (রহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে এর সনদে বিরঈ-জনৈক ব্যক্তি সূত্রে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আবূ দাউদ-শু’বা (রহঃ) এর রিওয়ায়াতটি (২১৪৮ নং) আমার মতে নাযর (রহঃ) এর রিওয়ায়াত (২১৪৮ ক নং) অপেক্ষা অধিক সহীহ। একাধিক রাবী মানসূর -বিরঈ-আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

জারূদ (রহঃ) বর্ণনা করেন ওয়াকী (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, বিরঈ ইবন হিরাশ ইসলামের জীবনে কোন একটি মিথ্যা কখনো বলেন নি।

باب ما جاء في الإيمان بالقدر خيره وشره

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى يُؤْمِنَ بِأَرْبَعٍ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ بَعَثَنِي بِالْحَقِّ وَيُؤْمِنُ بِالْمَوْتِ وَبِالْبَعْثِ بَعْدَ الْمَوْتِ وَيُؤْمِنُ بِالْقَدَرِ ‏"‏ ‏.‏
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، عَنْ شُعْبَةَ، نَحْوَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ رِبْعِيٌّ عَنْ رَجُلٍ، عَنْ عَلِيٍّ، ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي دَاوُدَ عَنْ شُعْبَةَ، عِنْدِي أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ النَّضْرِ وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ رِبْعِيٍّ عَنْ عَلِيٍّ ‏.‏ حَدَّثَنَا الْجَارُودُ قَالَ سَمِعْتُ وَكِيعًا يَقُولُ بَلَغَنَا أَنَّ رِبْعِيًّا لَمْ يَكْذِبْ فِي الإِسْلاَمِ كِذْبَةً ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا ابو داود، قال انبانا شعبة، عن منصور، عن ربعي بن حراش، عن علي، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لا يومن عبد حتى يومن باربع يشهد ان لا اله الا الله واني محمد رسول الله بعثني بالحق ويومن بالموت وبالبعث بعد الموت ويومن بالقدر ‏"‏ ‏.‏ حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا النضر بن شميل، عن شعبة، نحوه الا انه قال ربعي عن رجل، عن علي، ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي داود عن شعبة، عندي اصح من حديث النضر وهكذا روى غير واحد عن منصور عن ربعي عن علي ‏.‏ حدثنا الجارود قال سمعت وكيعا يقول بلغنا ان ربعيا لم يكذب في الاسلام كذبة ‏.‏


'Ali narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
'A slave (of Allah) shall not believe until he believes in four: The testimony of La Ilaha Illallah, and that I am the Messenger of Allah whom He sent with the Truth, and he believes in the death, and he believes in the Resurrection after death, and he believes in Al-Qadar."

The narration of Abu Dawud from Shu'bah is more authentic in my view than the narration of An-Nadr. This is how it was reported by more than one narrator from Mansur, from Ribi, from 'Ali. Al-Jarud narrated to us, he said:
'I heard Waki' saying: 'It has been conveyed to me that Rabi' bin Hirash did not utter even one lie in Islam (i.e., after he professed Islam).'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৪৯

পরিচ্ছেদঃ যেখানে যার মৃত্যু নির্ধারিত অবশ্যই সেখানে তার মৃত্যু হবে।

২১৪৯. বুনদার (রহঃ) ...... মাতার ইবন ’উকামিস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে যমীনে আল্লাহ তা’আলা কোন বান্দার মৃত্যুর নির্ধারণ করের তিনি তার জন্য সেখানে গমনের প্রয়োজন সৃষ্টি করে দেন। সহীহ, মিশকাত ১১০, সহিহাহ ১২২১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৪৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে আবূ আযযা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-গরীব। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মাতার ইবন উকামিস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর বরাতে এ হাদীসটি ছাড়া আর কোন হাদীস বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নেই। মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) সুফইয়ান (রহঃ) থেকে অনরূপ বর্ণিত আছে।

باب ما جاء أن النفس تموت حيث ما كتب لها

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ مَطَرِ بْنِ عُكَامِسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا قَضَى اللَّهُ لِعَبْدٍ أَنْ يَمُوتَ بِأَرْضٍ جَعَلَ لَهُ إِلَيْهَا حَاجَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي عَزَّةَ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَلاَ يُعْرَفُ لِمَطَرِ بْنِ عُكَامِسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ هَذَا الْحَدِيثِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، وَأَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ عَنْ سُفْيَانَ، نَحْوَهُ ‏.‏

حدثنا بندار، حدثنا مومل، حدثنا سفيان، عن ابي اسحاق، عن مطر بن عكامس، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اذا قضى الله لعبد ان يموت بارض جعل له اليها حاجة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الباب عن ابي عزة ‏.‏ وهذا حديث حسن غريب ‏.‏ ولا يعرف لمطر بن عكامس عن النبي صلى الله عليه وسلم غير هذا الحديث حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا مومل، وابو داود الحفري عن سفيان، نحوه ‏.‏


Matar bin 'Ukamis narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"When Allah decrees that a slave (of His) is to die in a land, He makes him have some need from it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৫০

পরিচ্ছেদঃ যেখানে যার মৃত্যু নির্ধারিত অবশ্যই সেখানে তার মৃত্যু হবে।

২১৫০. আহমাদ ইবন মানী’ ও আলী ইবন হুজর (রহঃ) ... আবু আযযা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দার জন্য যখন আল্লাহ তা’আলা কোন যমীনে মৃত্যুর ফায়সালা করেন তখন সেখানের জন্য তার একটা প্রয়োজন তিনি সৃষ্টি করে দেন। সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৪৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ হাদীসটি সহীহ।

আবূ আযযা রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচার্য্য পেয়েছেন। তাঁর নাম হল ইয়াসার ইবন আবদ রাদিয়াল্লাহু আনহু। রাবী আবুল মালীহ ইবন উসামা এর নাম হল ’আমির ইবন উসামা ইবন উমায়র হুযালী।

باب ما جاء أن النفس تموت حيث ما كتب لها

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ بْنِ أُسَامَةَ، عَنْ أَبِي عَزَّةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا قَضَى اللَّهُ لِعَبْدٍ أَنْ يَمُوتَ بِأَرْضٍ جَعَلَ لَهُ إِلَيْهَا حَاجَةً أَوْ قَالَ بِهَا حَاجَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو عَزَّةَ لَهُ صُحْبَةٌ وَاسْمُهُ يَسَارُ بْنُ عَبْدٍ وَأَبُو الْمَلِيحِ اسْمُهُ عَامِرُ بْنُ أُسَامَةَ بْنِ عُمَيْرٍ الْهُذَلِيُّ وَيُقَالُ زَيْدُ بْنُ أُسَامَةَ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، وعلي بن حجر، - المعنى واحد قالا حدثنا اسماعيل بن ابراهيم، عن ايوب، عن ابي المليح بن اسامة، عن ابي عزة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اذا قضى الله لعبد ان يموت بارض جعل له اليها حاجة او قال بها حاجة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث صحيح ‏.‏ وابو عزة له صحبة واسمه يسار بن عبد وابو المليح اسمه عامر بن اسامة بن عمير الهذلي ويقال زيد بن اسامة ‏.‏


Abu 'Azzah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"When Allah decrees that a slave (of His) is to die in a land, He makes him have some need from it."Or, he said: "In it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৫১

পরিচ্ছেদঃ ঝাড়-ফুঁক বা ঔষধ কিছুই আল্লাহ্‌র নির্ধারিত তাকদীর রদ করতে পারে না।

২১৫১. সাঈদ ইবন আবদুর রহমান মাখযূমী (রহঃ) ..... ইবন আবূ খিযামা তার পিতা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললঃ আপনি কি মনে করেন, এই ঝাড়-ফুঁক যা আমরা করাই, ঔষধ যা দিয়ে আমরা চিকিৎসা করি, পরহেয যার মাধ্যমে আমরা সাবধানতা অবলম্বন করি এগুলি কি আল্লাহর নির্ধারিত তাকদীরের কিছু রদ করতে পারে? তিনি বললেনঃ এ-ও আল্লাহর তাকদীরের অন্তর্গত। যঈফ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৪৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

যুহরীর রিওয়ায়াত ছাড়া এ হাদীসটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। একাধিক রাবী এ হাদীসটি সুফইয়ান-যুহরী-আবূ খিযামা তার পিতা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন। এটিই অধিকতর সহীহ। এ একাধিক রাবী যুহরী-আবূ খিযামা-তার পিতা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

باب ما جاء لا ترد الرقى ولا الدواء من قدر الله شيئا

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي خُزَامَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ رُقًى نَسْتَرْقِيهَا وَدَوَاءً نَتَدَاوَى بِهِ وَتُقَاةً نَتَّقِيهَا هَلْ تَرُدُّ مِنْ قَدَرِ اللَّهِ شَيْئًا فَقَالَ ‏ "‏ هِيَ مِنْ قَدَرِ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا عَنْ سُفْيَانَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي خُزَامَةَ عَنْ أَبِيهِ وَهَذَا أَصَحُّ هَكَذَا قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي خُزَامَةَ عَنْ أَبِيهِ ‏.‏

حدثنا سعيد بن عبد الرحمن المخزومي، حدثنا سفيان بن عيينة، عن الزهري، عن ابن ابي خزامة، عن ابيه، ان رجلا، اتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله ارايت رقى نسترقيها ودواء نتداوى به وتقاة نتقيها هل ترد من قدر الله شيىا فقال ‏ "‏ هي من قدر الله ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث لا نعرفه الا من حديث الزهري وقد روى غير واحد هذا عن سفيان عن الزهري عن ابي خزامة عن ابيه وهذا اصح هكذا قال غير واحد عن الزهري عن ابي خزامة عن ابيه ‏.‏


Ibn Abi Khizamah narrated from his father,that a man came to the Prophet(s.a.w) and said:
"O Messenger of Allah! Do you think that the Ruqyah we use, the treatments we use, and what we seek to protect ourselves with prevent anything from Allah's Decree?' He said: 'They are from Allah's Decree.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৫২

পরিচ্ছেদঃ কাদারিয়া অর্থাৎ তাকদীর অস্বীকারকারী সম্প্রদায়।

২১৫২. ওয়াসিল ইবন আবদুল আলা (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের দুইটি দল এমন যাদের ইসলামের কোন হিস্যা নেইঃ মুরজিয়া - যারা মনে করে বান্দার কুদরত বলতে কিছু নাই এবং আমলে কোন লাভ ক্ষতি নাই; কাদারিয়া - যারা মনে করে বান্দার কুদরতই সবকিছু এবং তাকদীরকে অস্বীকার করে। যঈফ, মিশকাত ১০৫, আযযিলাল ৩৩৪, ৩৩৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৪৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে উমার ইবন আমর ও রাফি ইবন খাদীজ রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। মুহাম্মদ ইবন রাফি-মুহাম্মদ ইবন বিশর-সালামা ইবন আবূ আমারা-ইকরিমা-ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মদ ইবন রাফি অন্য সনদে আলী ইবন নিযার-নিযার-ইকরিমা (রহঃ) -ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

باب ما جاء في القدرية

حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ حَبِيبٍ، وَعَلِيِّ بْنِ نِزَارٍ، عَنْ نِزَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ صِنْفَانِ مِنْ أُمَّتِي لَيْسَ لَهُمَا فِي الإِسْلاَمِ نَصِيبٌ الْمُرْجِئَةُ وَالْقَدَرِيَّةُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَابْنِ عُمَرَ وَرَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا سَلاَّمُ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ وَأَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ نِزَارٍ عَنْ نِزَارٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏

حدثنا واصل بن عبد الاعلى الكوفي، حدثنا محمد بن فضيل، عن القاسم بن حبيب، وعلي بن نزار، عن نزار، عن عكرمة، عن ابن عباس، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ صنفان من امتي ليس لهما في الاسلام نصيب المرجىة والقدرية ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الباب عن عمر وابن عمر ورافع بن خديج ‏.‏ وهذا حديث غريب حسن صحيح ‏.‏ حدثنا محمد بن رافع، حدثنا محمد بن بشر، حدثنا سلام بن ابي عمرة، عن عكرمة، عن ابن عباس، عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال محمد بن رافع واخبرنا محمد بن بشر اخبرنا علي بن نزار عن نزار عن عكرمة عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏


Ibn 'Abbas narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) and said:
"There are two groups in my Ummah for whom there is no share in Islam: The Murji'ah and the Qadariyyah."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৫৩

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

২১৫৩. আবূ হুরায়রা মুহাম্মদ ইবন ফিরাস বাসরী (রহঃ) ...... মুতাররিফ ইবন আবদুল্লাহ ইবন শিখখীর তার পিতা আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আদম সন্তানের রূপক আকৃতির সাথে তার পাশে নিরানব্বই ধরণের মৃত্যু ঘটার মত আপদ জড়িয়ে দেওয়া হয়। যদি সে এ আপদগুলি অতিক্রম করে যায় তবে সে জ্বরায় নিপতিত হয়। শেষে সে মৃত্যু বরণ করবে। হাসান, মিশকাত ১৫৬৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৫০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। রাবী আবুল আওওয়াম হলেন ইমরান আল কাত্তান (রহঃ)।

باب

حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، مُحَمَّدُ بْنُ فِرَاسٍ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَوَّامِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَثَلُ ابْنِ آدَمَ وَإِلَى جَنْبِهِ تِسْعٌ وَتِسْعُونَ مَنِيَّةً إِنْ أَخْطَأَتْهُ الْمَنَايَا وَقَعَ فِي الْهَرَمِ حَتَّى يَمُوتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَأَبُو الْعَوَّامِ هُوَ عِمْرَانُ وَهُوَ ابْنُ دَاوَرَ الْقَطَّانُ ‏.‏

حدثنا ابو هريرة، محمد بن فراس البصري حدثنا ابو قتيبة، سلم بن قتيبة حدثنا ابو العوام، عن قتادة، عن مطرف بن عبد الله بن الشخير، عن ابيه، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ مثل ابن ادم والى جنبه تسع وتسعون منية ان اخطاته المنايا وقع في الهرم حتى يموت ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وهذا حديث حسن غريب لا نعرفه الا من هذا الوجه ‏.‏ وابو العوام هو عمران وهو ابن داور القطان ‏.‏


Mutarrif bin 'Abdullah bin Ash-Shikh-khir narrated from his father, from the Prophet (s.a.w), who said:
'Ibn Adam was fashioned with ninety-nine calamities surrounding him, if the calamities miss him, he is stricken by decrepitude until he dies."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৫৪

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌র ফয়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকা।

২১৫৪. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ....... সা’দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ যা ফায়সালা করে রেখেছেন তাতে সন্তুষ্ট থাকাতেই হল আদম সন্তানের নেকবখতী, আর আল্লাহর কাছে কল্যাণ প্রার্থনা ত্যাগ করা হল মানুষের বদবখতী এবং আল্লাহর ফায়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকাও হল দুর্ভাগ্য। যঈফ, যইফা ১৯০৬, তা’লিকুর রাগীব ১/২৪৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৫১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ হাদীসটি গারীব। মুহাম্মদ ইবন আবূ হুমায়দ-এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। এবং তাকে হাম্মাদ ইবন আবূ হুমায়দ বলা হয়। ইনি হলেন আবূ ইবরাহীম মাদানী। হাদীস বিশেষজ্ঞগণের মতে তিনি শক্তিশালী নন।

باب ما جاء في الرضا بالقضاء

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حُمَيْدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مِنْ سَعَادَةِ ابْنِ آدَمَ رِضَاهُ بِمَا قَضَى اللَّهُ لَهُ وَمِنْ شَقَاوَةِ ابْنِ آدَمَ تَرْكُهُ اسْتِخَارَةَ اللَّهِ وَمِنْ شَقَاوَةِ ابْنِ آدَمَ سَخَطُهُ بِمَا قَضَى اللَّهُ لَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حُمَيْدٍ ‏.‏ وَيُقَالُ لَهُ أَيْضًا حَمَّادُ بْنُ أَبِي حُمَيْدٍ وَهُوَ أَبُو إِبْرَاهِيمَ الْمَدَنِيُّ وَلَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا ابو عامر، عن محمد بن ابي حميد، عن اسماعيل بن محمد بن سعد بن ابي وقاص، عن ابيه، عن سعد، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ من سعادة ابن ادم رضاه بما قضى الله له ومن شقاوة ابن ادم تركه استخارة الله ومن شقاوة ابن ادم سخطه بما قضى الله له ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب لا نعرفه الا من حديث محمد بن ابي حميد ‏.‏ ويقال له ايضا حماد بن ابي حميد وهو ابو ابراهيم المدني وليس هو بالقوي عند اهل الحديث ‏.‏


Sa'd narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
'From (the signs of) the son of Adam's prosperity, is his satisfaction with what Allah decreed for him, and from the son of Adam's misery is his avoiding to request guidance from Allah, and from the son of Adam's misery is his anger with what Allah decreed for him."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
২১৫৫

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

২১৫৫. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ...... নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে এক ব্যক্তি এসে বললঃ অমুক ব্যক্তি আপনাকে সালাম পাঠিয়েছেন তিনি বললেনঃ আমি খবর পেয়েছি যে, সে ব্যক্তি বেদআতী। সে যদি বেদআতী হয়ে থাকে তবে আমার পক্ষ থেকে তাকে সালাম দিবে না। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ আমার এ উম্মাতের কাদরিয়্যা আকীদা পোষণকারীদের মধ্যে ঘটবে ভূমি ধ্বস বা চেহারা বিকৃতি বা প্রস্তর নিক্ষেপ। হাসান, ইবনু মাজাহ ৪০৬১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৫২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। আবূ সাখর (রহঃ) এর নাম হল হুমায়দ ইবন যিয়াদ।

باب

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو صَخْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّ فُلاَنًا يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلاَمَ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّهُ قَدْ أَحْدَثَ فَإِنْ كَانَ قَدْ أَحْدَثَ فَلاَ تُقْرِئْهُ مِنِّي السَّلاَمَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ يَكُونُ فِي هَذِهِ الأُمَّةِ أَوْ فِي أُمَّتِي الشَّكُّ مِنْهُ خَسْفٌ أَوْ مَسْخٌ أَوْ قَذْفٌ فِي أَهْلِ الْقَدَرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَأَبُو صَخْرٍ اسْمُهُ حُمَيْدُ بْنُ زِيَادٍ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا ابو عاصم، حدثنا حيوة بن شريح، اخبرني ابو صخر، قال حدثني نافع، ان ابن عمر، جاءه رجل فقال ان فلانا يقرا عليك السلام ‏.‏ فقال له انه بلغني انه قد احدث فان كان قد احدث فلا تقرىه مني السلام فاني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ يكون في هذه الامة او في امتي الشك منه خسف او مسخ او قذف في اهل القدر ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب ‏.‏ وابو صخر اسمه حميد بن زياد ‏.‏


Nafi' narrated that a man came to Ibn 'Umar and said:
"So-and-so conveys his Salam to you." So he said: "It has been conveyed to me that he has innovated, so if he has indeed innovated, then do not convey my Salam to him, for I heard the Messenger of Allah (s.a.w) saying: 'In this Ummah' or: 'In my Ummah'" - the doubt was his - "a collapse of the earth, or a transformation, or stones shall rain upon the people of Al-Qadr.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ তাকদীর (كتاب القدر عن رسول الله ﷺ) 35/ Chapters On Al-Qadar
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »