সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان)
৫৭৯৪

পরিচ্ছেদঃ ২৫৬১. সালামের সূচনা

৫৭৯৪। ইয়াহইয়া ইবনু জাফর (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা আদম (আলাইহিস সালাম) কে তার যথাযথ আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন, তার উচ্চতা ছিল ষাট হাত। তিনি তাঁকে সৃষ্টি করে বললেনঃ তুমি যাও। উপবিষ্ট ফিরিশতাদের এই দলকে সালাম করো এবং তুমি মনোযোগ সহকারে শুনবে তারা তোমার সালামের কি জবাব দেয়? কারন এটাই হবে তোমার ও তোমার বংশধরের সম্ভাষন (তাহিয়্যা) তাই তিনি গিয়ে বললেন ’আস সালামু আলাইকুম’। তারা জবাবে বললেনঃ “আসসালামুআলাইকা ওয়া রহমাতুল্লাহ। তারা বাড়িয়ে বললেনঃ ওয়া রহমাতুল্লাহ বাক্যটি। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বললেন যারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তারা আদম (আলাইহিস সালাম) এর আকৃতি বিশিষ্ট হবে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত মানুষের আকৃতি ক্রমাগত হ্রাস পেয়ে আসছে।

باب بَدْءِ السَّلاَمِ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ عَلَى صُورَتِهِ، طُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا، فَلَمَّا خَلَقَهُ قَالَ اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُولَئِكَ النَّفَرِ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ جُلُوسٌ، فَاسْتَمِعْ مَا يُحَيُّونَكَ، فَإِنَّهَا تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذُرِّيَّتِكَ‏.‏ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ‏.‏ فَقَالُوا السَّلاَمُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ‏.‏ فَزَادُوهُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ، فَكُلُّ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ آدَمَ، فَلَمْ يَزَلِ الْخَلْقُ يَنْقُصُ بَعْدُ حَتَّى الآنَ ‏"‏‏.‏

حدثنا يحيى بن جعفر، حدثنا عبد الرزاق، عن معمر، عن همام، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ خلق الله ادم على صورته، طوله ستون ذراعا، فلما خلقه قال اذهب فسلم على اولىك النفر من الملاىكة جلوس، فاستمع ما يحيونك، فانها تحيتك وتحية ذريتك‏.‏ فقال السلام عليكم‏.‏ فقالوا السلام عليك ورحمة الله‏.‏ فزادوه ورحمة الله، فكل من يدخل الجنة على صورة ادم، فلم يزل الخلق ينقص بعد حتى الان ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "Allah created Adam in His picture, sixty cubits (about 30 meters) in height. When He created him, He said (to him), "Go and greet that group of angels sitting there, and listen what they will say in reply to you, for that will be your greeting and the greeting of your offspring." Adam (went and) said, 'As-Salamu alaikum (Peace be upon you).' They replied, 'AsSalamu-'Alaika wa Rahmatullah (Peace and Allah's Mercy be on you) So they increased 'Wa Rahmatullah' The Prophet (ﷺ) added 'So whoever will enter Paradise, will be of the shape and picture of Adam Since then the creation of Adam's (offspring) (i.e. stature of human beings is being diminished continuously) to the present time."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৭৯৫

পরিচ্ছেদঃ ২৫৬২. আল্লাহ তা’আলার বানীঃ হে ঈমানদারগন! তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্য কারো ঘরে, যে পর্যন্ত সে ঘরের লোকেরা অনুমতি না দেবে এবং তোমরা গৃহবাসীকে সালাম না করবে, প্রবেশ করো না। এ ব্যবস্থা তোমাদের জন্য অতি কল্যাণকর, যাতে তোমরা নসীহত গ্রহন কর। যদি তোমরা সে ঘরে কাউকে জবাবদাতা না পাও, তবে তোমাদের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত তাতে প্রবেশ করবে না। যদি তোমাদের বলা হয় ফিরে যাও তবে তোমরা ফিরে যাবে, এই তোমাদের জন্য পবিত্রতম কাজ। আর তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ বিশেষ অবহিত। অবশ্য যে সব ঘরে কেউ বসবাস করে না, আর তাতে যদি তোমাদের মাল আসবাব থাকে, সে সব ঘরে প্রবেশ করলে তোমাদের কোন গুনাহ হবে না। তোমরা প্রকাশ্যে অথবা গোপনে যা কিছুই কর না কেন, তা সবই আল্লাহ জানেন। সাঈদ ইবন আবুল হাসান হাসান (রাঃ) কে বললেনঃ অনারব মহিলারা তাদের মাথা ও বক্ষ খোলা রাখে। তিনি বললেনঃ তোমার চোখ ফিরিয়ে রেখো। আল্লাহ তা’আলার বানীঃ হে নবী! আপনি ঈমানদার পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি অবনত করে চলে এবং নিজেদের লজ্জাস্থান সংরক্ষন করে। কাতাদা (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ যারা তাদের জন্য হালাল নয়, তাদের থেকে। হে নবী! আপনি ঈমানদার মহিলাদেরকেও বলে দিন, তারাও যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থান হিফাযত করে। আর আল্লাহ তা’আলার বানীঃ خَائِنَةَ الأَعْيُنِ (অর্থাৎ খেয়ানতকারী চোখ) অর্থাৎ নিষিদ্ধ স্থানের দিকে তাকানো সম্পর্কে। আর ঋতুমতী হয়নি, এমন মেয়েদের দিকে তাকানো সম্পর্কে। ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্কা হলেও এসব মেয়েদের এমন কিছু অঙ্গ প্রত্যঙ্গের দিকে তাকানো নাজায়েয, যা দেখলে লোভ সৃষ্টি হতে পারে আতা ইবন রাবাহ ঐসব কুমারীদের দিকে তাকানোও মাকরূহ বলতেন, যাদের মক্কার বাজারে বিক্রির জন্য আনা হতো। তবে কেনার উদ্দেশ্যে তা হল সতন্ত্র করা।

৫৭৯৫। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন কুরবানীর দিনে ফাযল ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে আপন সাওয়ারীর পিঠে নিজের পেছনে বসালেন। ফাযল (রাঃ) একজন সুন্দর ব্যাক্তি ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের মাসায়েল বাতলিয়ে দেওয়ার জন্য আসলেন। এ সময় খাশ’আম গোত্রের একজন সুন্দরী মহিলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট একটা মাসায়েল জিজ্ঞাসা করার জন্য আসল। তখন ফাযল (রাঃ) তার দিকে তাকাতে লাগলেন। মহিলাটির সৌন্দর্য তাকে আকৃষ্ট করে দিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাযল (রাঃ) এর দিকে ফিরে দেখলেন যে, ফাযল তার দিকে তাকাচ্ছেন। তিনি নিজের হাত পেছনের দিকে নিয়ে ফাযল (রাঃ) এর চিবুক ধরে ঐ মহিলার দিকে না তাকানোর জন্য তার চেহারা অন্য দিকে ফিরিয়ে দিলেন। এরপর মহিলাটি জিজ্ঞাসা করলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে তার বান্দাদের উপর যে হাজ্জ (হজ্জ) ফরয হওয়ার বিধান দেওয়া হয়েছে, আমার পিতার উপর তা এমন অবস্থায় এসেছে যে, বয়োবৃদ্ধ হওয়ার কারণে সাওয়ারীর উপর বসতে তিনি সক্ষম নন। যদি আমি তার তরফ থেকে হাজ্জ (হজ্জ) আদায় করে নেই, তবে কি তার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।

بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّى تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَى أَهْلِهَا ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَّكَّرُونَ فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فِيهَا أَحَدًا فَلاَ تَدْخُلُوهَا حَتَّى يُؤْذَنَ لَكُمْ وَإِنْ قِيلَ لَكُمُ ارْجِعُوا فَارْجِعُوا هُوَ أَزْكَى لَكُمْ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ مَسْكُونَةٍ فِيهَا مَتَاعٌ لَكُمْ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا تَكْتُمُونَ} وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ أَبِي الْحَسَنِ لِلْحَسَنِ إِنَّ نِسَاءَ الْعَجَمِ يَكْشِفْنَ صُدُورَهُنَّ وَرُءُوسَهُنَّ قَالَ اصْرِفْ بَصَرَكَ عَنْهُنَّ. قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهْمَ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ}. وَقَالَ قَتَادَةُ عَمَّا لاَ يَحِلُّ لَهُمْ: {وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ}، {خَائِنَةَ الأَعْيُنِ} مِنَ النَّظَرِ إِلَى مَا نُهِيَ عَنْهُ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ فِي النَّظَرِ إِلَى الَّتِي لَمْ تَحِضْ مِنَ النِّسَاءِ لاَ يَصْلُحُ النَّظَرُ إِلَى شَيْءٍ مِنْهُنَّ مِمَّنْ يُشْتَهَى النَّظَرُ إِلَيْهِ، وَإِنْ كَانَتْ صَغِيرَةً. وَكَرِهَ عَطَاءٌ النَّظَرَ إِلَى الْجَوَارِي يُبَعْنَ بِمَكَّةَ، إِلاَّ أَنْ يُرِيدَ أَنْ يَشْتَرِيَ

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ أَرْدَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْفَضْلَ بْنَ عَبَّاسٍ يَوْمَ النَّحْرِ خَلْفَهُ عَلَى عَجُزِ رَاحِلَتِهِ، وَكَانَ الْفَضْلُ رَجُلاً وَضِيئًا، فَوَقَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِلنَّاسِ يُفْتِيهِمْ، وَأَقْبَلَتِ امْرَأَةٌ مِنْ خَثْعَمَ وَضِيئَةٌ تَسْتَفْتِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَطَفِقَ الْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا، وَأَعْجَبَهُ حُسْنُهَا، فَالْتَفَتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَنْظُرُ إِلَيْهَا، فَأَخْلَفَ بِيَدِهِ فَأَخَذَ بِذَقَنِ الْفَضْلِ، فَعَدَلَ وَجْهَهُ عَنِ النَّظَرِ إِلَيْهَا، فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ فَرِيضَةَ اللَّهِ فِي الْحَجِّ عَلَى عِبَادِهِ أَدْرَكَتْ أَبِي شَيْخًا كَبِيرًا، لاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَسْتَوِيَ عَلَى الرَّاحِلَةِ، فَهَلْ يَقْضِي عَنْهُ أَنْ أَحُجَّ عَنْهُ قَالَ ‏ "‏ نَعَمْ ‏"‏‏.‏

حدثنا ابو اليمان، اخبرنا شعيب، عن الزهري، قال اخبرني سليمان بن يسار، اخبرني عبد الله بن عباس ـ رضى الله عنهما ـ قال اردف رسول الله صلى الله عليه وسلم الفضل بن عباس يوم النحر خلفه على عجز راحلته، وكان الفضل رجلا وضيىا، فوقف النبي صلى الله عليه وسلم للناس يفتيهم، واقبلت امراة من خثعم وضيىة تستفتي رسول الله صلى الله عليه وسلم فطفق الفضل ينظر اليها، واعجبه حسنها، فالتفت النبي صلى الله عليه وسلم ينظر اليها، فاخلف بيده فاخذ بذقن الفضل، فعدل وجهه عن النظر اليها، فقالت يا رسول الله ان فريضة الله في الحج على عباده ادركت ابي شيخا كبيرا، لا يستطيع ان يستوي على الراحلة، فهل يقضي عنه ان احج عنه قال ‏ "‏ نعم ‏"‏‏.‏


Narrated `Abdullah bin `Abbas:

Al-Fadl bin `Abbas rode behind the Prophet (ﷺ) as his companion rider on the back portion of his she camel on the Day of Nahr (slaughtering of sacrifice, 10th Dhul-Hijja) and Al-Fadl was a handsome man. The Prophet (ﷺ) stopped to give the people verdicts. In the meantime, a beautiful woman From the tribe of Khath'am came, asking the verdict of Allah's Messenger (ﷺ). Al-Fadl started looking at her as her beauty attracted him. The Prophet (ﷺ) looked behind while Al-Fadl was looking at her; so the Prophet (ﷺ) held out his hand backwards and caught the chin of Al-Fadl and turned his face (to the owner sides in order that he should not gaze at her. She said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! The obligation of Performing Hajj enjoined by Allah on His worshipers, has become due (compulsory) on my father who is an old man and who cannot sit firmly on the riding animal. Will it be sufficient that I perform Hajj on his behalf?" He said, "Yes."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৭৯৬

পরিচ্ছেদঃ ২৫৬২. আল্লাহ তা’আলার বানীঃ হে ঈমানদারগন! তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্য কারো ঘরে, যে পর্যন্ত সে ঘরের লোকেরা অনুমতি না দেবে এবং তোমরা গৃহবাসীকে সালাম না করবে, প্রবেশ করো না। এ ব্যবস্থা তোমাদের জন্য অতি কল্যাণকর, যাতে তোমরা নসীহত গ্রহন কর। যদি তোমরা সে ঘরে কাউকে জবাবদাতা না পাও, তবে তোমাদের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত তাতে প্রবেশ করবে না। যদি তোমাদের বলা হয় ফিরে যাও তবে তোমরা ফিরে যাবে, এই তোমাদের জন্য পবিত্রতম কাজ। আর তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ বিশেষ অবহিত। অবশ্য যে সব ঘরে কেউ বসবাস করে না, আর তাতে যদি তোমাদের মাল আসবাব থাকে, সে সব ঘরে প্রবেশ করলে তোমাদের কোন গুনাহ হবে না। তোমরা প্রকাশ্যে অথবা গোপনে যা কিছুই কর না কেন, তা সবই আল্লাহ জানেন। সাঈদ ইবন আবুল হাসান হাসান (রাঃ) কে বললেনঃ অনারব মহিলারা তাদের মাথা ও বক্ষ খোলা রাখে। তিনি বললেনঃ তোমার চোখ ফিরিয়ে রেখো। আল্লাহ তা’আলার বানীঃ হে নবী! আপনি ঈমানদার পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি অবনত করে চলে এবং নিজেদের লজ্জাস্থান সংরক্ষন করে। কাতাদা (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ যারা তাদের জন্য হালাল নয়, তাদের থেকে। হে নবী! আপনি ঈমানদার মহিলাদেরকেও বলে দিন, তারাও যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থান হিফাযত করে। আর আল্লাহ তা’আলার বানীঃ خَائِنَةَ الأَعْيُنِ (অর্থাৎ খেয়ানতকারী চোখ) অর্থাৎ নিষিদ্ধ স্থানের দিকে তাকানো সম্পর্কে। আর ঋতুমতী হয়নি, এমন মেয়েদের দিকে তাকানো সম্পর্কে। ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্কা হলেও এসব মেয়েদের এমন কিছু অঙ্গ প্রত্যঙ্গের দিকে তাকানো নাজায়েয, যা দেখলে লোভ সৃষ্টি হতে পারে আতা ইবন রাবাহ ঐসব কুমারীদের দিকে তাকানোও মাকরূহ বলতেন, যাদের মক্কার বাজারে বিক্রির জন্য আনা হতো। তবে কেনার উদ্দেশ্যে তা হল সতন্ত্র করা।

৫৭৯৬। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা রাস্তায় বসা থেকে বিরত থাকো। তারা বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের রাস্তায় বসা ছাড়া গত্যন্তর নেই, আমরা সেখানে কথাবার্তা বলি। তিনি বললেনঃ যদি তোমাদের রাস্তায় মজলিস করা ছাড়া উপায় না থাকে, তবে তোমরা রাস্তার হক আদায় করবে। তারা বলল ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাস্তার দাবী কি? তিনি বললেন, তা হল চোখ অবনত রাখা, কাউকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা। সালামের জবাব দেওয়া এবং সৎকাজের নির্দেশ দেওয়া আর অসৎকাজ থেকে নিষেধ করা।

بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّى تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَى أَهْلِهَا ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَّكَّرُونَ فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فِيهَا أَحَدًا فَلاَ تَدْخُلُوهَا حَتَّى يُؤْذَنَ لَكُمْ وَإِنْ قِيلَ لَكُمُ ارْجِعُوا فَارْجِعُوا هُوَ أَزْكَى لَكُمْ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ مَسْكُونَةٍ فِيهَا مَتَاعٌ لَكُمْ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا تَكْتُمُونَ} وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ أَبِي الْحَسَنِ لِلْحَسَنِ إِنَّ نِسَاءَ الْعَجَمِ يَكْشِفْنَ صُدُورَهُنَّ وَرُءُوسَهُنَّ قَالَ اصْرِفْ بَصَرَكَ عَنْهُنَّ. قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهْمَ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ}. وَقَالَ قَتَادَةُ عَمَّا لاَ يَحِلُّ لَهُمْ: {وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ}، {خَائِنَةَ الأَعْيُنِ} مِنَ النَّظَرِ إِلَى مَا نُهِيَ عَنْهُ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ فِي النَّظَرِ إِلَى الَّتِي لَمْ تَحِضْ مِنَ النِّسَاءِ لاَ يَصْلُحُ النَّظَرُ إِلَى شَيْءٍ مِنْهُنَّ مِمَّنْ يُشْتَهَى النَّظَرُ إِلَيْهِ، وَإِنْ كَانَتْ صَغِيرَةً. وَكَرِهَ عَطَاءٌ النَّظَرَ إِلَى الْجَوَارِي يُبَعْنَ بِمَكَّةَ، إِلاَّ أَنْ يُرِيدَ أَنْ يَشْتَرِيَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ـ رضى الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِيَّاكُمْ وَالْجُلُوسَ بِالطُّرُقَاتِ ‏"‏‏.‏ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَنَا مِنْ مَجَالِسِنَا بُدٌّ نَتَحَدَّثُ فِيهَا‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ إِذَا أَبَيْتُمْ إِلاَّ الْمَجْلِسَ فَأَعْطُوا الطَّرِيقَ حَقَّهُ ‏"‏‏.‏ قَالُوا وَمَا حَقُّ الطَّرِيقِ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ غَضُّ الْبَصَرِ، وَكَفُّ الأَذَى، وَرَدُّ السَّلاَمِ، وَالأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْىُ عَنِ الْمُنْكَرِ ‏"‏‏.‏

حدثنا عبد الله بن محمد، اخبرنا ابو عامر، حدثنا زهير، عن زيد بن اسلم، عن عطاء بن يسار، عن ابي سعيد الخدري ـ رضى الله عنه ان النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اياكم والجلوس بالطرقات ‏"‏‏.‏ فقالوا يا رسول الله ما لنا من مجالسنا بد نتحدث فيها‏.‏ فقال ‏"‏ اذا ابيتم الا المجلس فاعطوا الطريق حقه ‏"‏‏.‏ قالوا وما حق الطريق يا رسول الله قال ‏"‏ غض البصر، وكف الاذى، ورد السلام، والامر بالمعروف والنهى عن المنكر ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:

The Prophet (ﷺ) said, 'Beware! Avoid sitting on the roads." They (the people) said, "O Allah s Apostle! We can't help sitting (on the roads) as these are (our places) here we have talks." The Prophet (ﷺ) said, ' l f you refuse but to sit, then pay the road its right ' They said, "What is the right of the road, O Allah's Apostle?" He said, 'Lowering your gaze, refraining from harming others, returning greeting, and enjoining what is good, and forbidding what is evil."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৭৯৭

পরিচ্ছেদঃ ২৫৬৩. আল্লাহ তা'আলার নামের মধ্যে 'সালাম একটি নাম। আল্লাহ তা'আলার বানীঃ আর যখন তোমাদের সালাম দেওয়া হয়, তখন তোমরা এর চেয়ে উত্তমভাবে জবাব দিবে, না হয় তার অনুরূপ উত্তর দিবে

৫৭৯৭। উমর ইবনু হাফস (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলাম, তখন (বসা অবস্থায়) আমরা আল্লাহর প্রতি তার বান্দাদের পক্ষ থেকে সালাম, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) এর প্রতি সালাম, মীকাঈল (আলাইহিস সালাম) এর প্রতি সালাম এবং অমুকের প্রতি সালাম দিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করলেন, তখন আমাদের দিকে চেহারা মুবারক ফিরিয়ে বললেন আল্লাহ তা’আলা সালাম। অতএব যখন তোমাদের কেউ সালাত (নামায/নামাজ) এর মধ্যে বসবে, তখন বলবেঃ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ، وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ‏ যখন এ কথাটি বলবে, তখনই আসমান যমীনে সব নেক বান্দাদের নিকট এ সালাম পৌছে যাবে। তারপর বলবে أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ তারপর বসে তার পছন্দমত দুআ নির্বাচন করে নেবে।

بَابُ السَّلاَمُ اسْمٌ مِنْ أَسْمَاءِ اللَّهِ تَعَالَى {وَإِذَا حُيِّيتُمْ بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوا بِأَحْسَنَ مِنْهَا أَوْ رُدُّوهَا}

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ حَدَّثَنِي شَقِيقٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قُلْنَا السَّلاَمُ عَلَى اللَّهِ قَبْلَ عِبَادِهِ، السَّلاَمُ عَلَى جِبْرِيلَ، السَّلاَمُ عَلَى مِيكَائِيلَ، السَّلاَمُ عَلَى فُلاَنٍ، فَلَمَّا انْصَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ هُوَ السَّلاَمُ، فَإِذَا جَلَسَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَلْيَقُلِ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ، وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ‏.‏ فَإِنَّهُ إِذَا قَالَ ذَلِكَ أَصَابَ كُلَّ عَبْدٍ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالأَرْضِ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ‏.‏ ثُمَّ يَتَخَيَّرْ بَعْدُ مِنَ الْكَلاَمِ مَا شَاءَ ‏"‏‏.‏

حدثنا عمر بن حفص، حدثنا ابي، حدثنا الاعمش، قال حدثني شقيق، عن عبد الله، قال كنا اذا صلينا مع النبي صلى الله عليه وسلم قلنا السلام على الله قبل عباده، السلام على جبريل، السلام على ميكاىيل، السلام على فلان، فلما انصرف النبي صلى الله عليه وسلم اقبل علينا بوجهه فقال ‏ "‏ ان الله هو السلام، فاذا جلس احدكم في الصلاة فليقل التحيات لله، والصلوات والطيبات السلام عليك ايها النبي ورحمة الله وبركاته، السلام علينا وعلى عباد الله الصالحين‏.‏ فانه اذا قال ذلك اصاب كل عبد صالح في السماء والارض، اشهد ان لا اله الا الله واشهد ان محمدا عبده ورسوله‏.‏ ثم يتخير بعد من الكلام ما شاء ‏"‏‏.‏


Narrated `Abdullah:

When we prayed with the Prophet (ﷺ) we used to say: As-Salam be on Allah from His worshipers, As- Salam be on Gabriel, As-Salam be on Michael, As-Salam be on so-and-so. When the Prophet (ﷺ) finished his prayer, he faced us and said, "Allah Himself is As-Salam (Peace), so when one sits in the prayer, one should say, 'at-Tahiyatu-li l-lahi Was-Salawatu, Wat-Taiyibatu, As-Salamu 'Alaika aiyuhan- Nabiyyu wa Rah-matul-iahi wa Barakatuhu, As-Salamu 'Alaina wa 'ala 'Ibadillahi assalihin, for if he says so, then it will be for all the pious slave of Allah in the Heavens and the Earth. (Then he should say), 'Ash-hadu an la ilaha illalllahu wa ash-hadu anna Muhammadan `Abduhu wa rasulu-hu,' and then he can choose whatever speech (i.e. invocation) he wishes "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৭৯৮

পরিচ্ছেদঃ ২৫৬৪. অল্প সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যক লোকদের সালাম করবে

৫৭৯৮। আবূল হাসান মুহাম্মদ ইবনু মুকাতিল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ছোট বড়কে, পথচারী উপবিষ্ট লোককে এবং আর অল্প সংখ্যক লোক বেশী সংখ্যক লোকদের সালাম দিবে।

باب تَسْلِيمِ الْقَلِيلِ عَلَى الْكَثِيرِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَبُو الْحَسَنِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ يُسَلِّمُ الصَّغِيرُ عَلَى الْكَبِيرِ، وَالْمَارُّ عَلَى الْقَاعِدِ، وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ ‏"‏‏.‏

حدثنا محمد بن مقاتل ابو الحسن، اخبرنا عبد الله، اخبرنا معمر، عن همام بن منبه، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ يسلم الصغير على الكبير، والمار على القاعد، والقليل على الكثير ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "The young should greet the old, the passer by should greet the sitting one, and the small group of persons should greet the large group of persons.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৭৯৯

পরিচ্ছেদঃ ২৫৬৫. আরাহী ব্যক্তি পদচারীকে সালাম করবে

৫৭৯৯। মুহাম্মদ ইবনু সালাহ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আরোহী ব্যাক্তি পদচারীকে, পদচারী ব্যাক্তি উপবিষ্টকে এবং অল্প সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যককে সালাম দিবে।

باب تَسْلِيمِ الرَّاكِبِ عَلَى الْمَاشِي

حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، أَخْبَرَنَا مَخْلَدٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي زِيَادٌ، أَنَّهُ سَمِعَ ثَابِتًا، مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يُسَلِّمُ الرَّاكِبُ عَلَى الْمَاشِي، وَالْمَاشِي عَلَى الْقَاعِدِ، وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ ‏"‏‏.‏

حدثنا محمد، اخبرنا مخلد، اخبرنا ابن جريج، قال اخبرني زياد، انه سمع ثابتا، مولى عبد الرحمن بن زيد انه سمع ابا هريرة، يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يسلم الراكب على الماشي، والماشي على القاعد، والقليل على الكثير ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "The riding one should greet the walking one, and the walking one should greet the sitting one, and the small number of persons should greet the large number of persons."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৮০০

পরিচ্ছেদঃ ২৫৬৬. পদচারী উপবিষ্ট লোককে সালাম করবে

৫৮০০। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আরোহী পদচারীকে, পদচারী উপবিষ্টকে এবং অল্প সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যক লোককে সালাম দিবে।

باب تَسْلِيمِ الْمَاشِي عَلَى الْقَاعِدِ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي زِيَادٌ، أَنَّ ثَابِتًا، أَخْبَرَهُ ـ وَهْوَ، مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدٍ ـ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ يُسَلِّمُ الرَّاكِبُ عَلَى الْمَاشِي وَالْمَاشِي عَلَى الْقَاعِدِ، وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ ‏"‏‏.‏

حدثنا اسحاق بن ابراهيم، اخبرنا روح بن عبادة، حدثنا ابن جريج، قال اخبرني زياد، ان ثابتا، اخبره ـ وهو، مولى عبد الرحمن بن زيد ـ عن ابي هريرة ـ رضى الله عنه ـ عن رسول الله صلى الله عليه وسلم انه قال ‏ "‏ يسلم الراكب على الماشي والماشي على القاعد، والقليل على الكثير ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "The riding person should greet the walking one, and the walking one should greet the sitting one, and the small number of persons should greet the large number of persons."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৮০১

পরিচ্ছেদঃ ২৫৬৮. সালাম প্রসারিত করা

بَاب تَسْلِيمِ الصَّغِيرِ عَلَى الْكَبِيرِ وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسَلِّمُ الصَّغِيرُ عَلَى الْكَبِيرِ وَالْمَارُّ عَلَى الْقَاعِدِ وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ

২৫৬৭. পরিচ্ছেদঃ ছোট বড়কে সালাম করবে। ইব্রাহিম (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ছোট বড়কে, পথচারী উপবিষ্টকে এবং কম সংখ্যক বেশী সংখ্যককে সালাম করবে।


৫৮০১। কুতায়বা (রহঃ) ... বারা’আ ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সাতটি কাজেরঃ রোগীর খোঁজ-খবর নেওয়া, জানাযার সঙ্গে যাওয়া, ঋন দাতার জনা দুআ করা। দুর্বলকে সাহায্য করা, মাযলুমের সহায়তা করা, সালাম প্রসারিত করা এবং কসমকারীর কসম পূর্ন করা। আর নিষেধ করেছেন (সাতটি কাজ থেকে) রুপার পাত্রে পানাহার, সোনার আংটি পরিধান রেশমী জ্বীনের উপর সাওয়ার হওয়া, মিহিন রেশমী কাপড় পরিধান, পাতলা রেশম কাপড় ব্যবহার, রেশম মিশ্রিত কাতান কাপড় পরিধান, এবং গাঢ় রেশমী কাপড় পরিধান করা।

باب إِفْشَاءِ السَّلاَمِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسَبْعٍ بِعِيَادَةِ الْمَرِيضِ، وَاتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ، وَتَشْمِيتِ الْعَاطِسِ، وَنَصْرِ الضَّعِيفِ، وَعَوْنِ الْمَظْلُومِ، وَإِفْشَاءِ السَّلاَمِ، وَإِبْرَارِ الْمُقْسِمِ، وَنَهَى عَنِ الشُّرْبِ فِي الْفِضَّةِ، وَنَهَانَا عَنْ تَخَتُّمِ الذَّهَبِ، وَعَنْ رُكُوبِ الْمَيَاثِرِ، وَعَنْ لُبْسِ الْحَرِيرِ، وَالدِّيبَاجِ، وَالْقَسِّيِّ، وَالإِسْتَبْرَقِ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا جرير، عن الشيباني، عن اشعث بن ابي الشعثاء، عن معاوية بن سويد بن مقرن، عن البراء بن عازب ـ رضى الله عنهما ـ قال امرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم بسبع بعيادة المريض، واتباع الجناىز، وتشميت العاطس، ونصر الضعيف، وعون المظلوم، وافشاء السلام، وابرار المقسم، ونهى عن الشرب في الفضة، ونهانا عن تختم الذهب، وعن ركوب المياثر، وعن لبس الحرير، والديباج، والقسي، والاستبرق‏.‏


Narrated Al-Bara' bin 'Azib:

Allah's Messenger (ﷺ) ordered us to do seven (things): to visit the sick, to follow the funeral processions, to say Tashmit to a sneezer, to help the weak, to help the oppressed ones, to propagate As-Salam (greeting), and to help others to fulfill their oaths (if it is not sinful). He forbade us to drink from silver utensils, to wear gold rings, to ride on silken saddles, to wear silk clothes, Dibaj (thick silk cloth), Qassiy and Istabraq (two kinds of silk).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৮০২

পরিচ্ছেদঃ ২৫৬৯. পরিচিত ও অপরিচিত সকলকে সালাম করা

৫৮০২। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যাক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলঃ ইসলামের কোন কাজ উত্তম? তিনি বললেনঃ তুমি ক্ষুধার্তকে খাবার দেবে, আর সালাম দিবে যাকে তুমি চেন এবং যাকে তুমি চেননা।

باب السَّلاَمِ لِلْمَعْرِفَةِ وَغَيْرِ الْمَعْرِفَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الإِسْلاَمِ خَيْرٌ قَالَ ‏ "‏ تُطْعِمُ الطَّعَامَ، وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ، وَعَلَى مَنْ لَمْ تَعْرِفْ ‏"‏‏.‏

حدثنا عبد الله بن يوسف، حدثنا الليث، قال حدثني يزيد، عن ابي الخير، عن عبد الله بن عمرو، ان رجلا، سال النبي صلى الله عليه وسلم اى الاسلام خير قال ‏ "‏ تطعم الطعام، وتقرا السلام على من عرفت، وعلى من لم تعرف ‏"‏‏.‏


Narrated 'Abdullah bin 'Amr:

A man asked the Prophet, "What Islamic traits are the best?" The Prophet said, "Feed the people, and greet those whom you know and those whom you do not know."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৮০৩

পরিচ্ছেদঃ ২৫৬৯. পরিচিত ও অপরিচিত সকলকে সালাম করা

৫৮০৩। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবূ আইউব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিমের পক্ষে তার কোন ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশী এমনভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করে থাকা বৈধ নয় যে, তারা দুজনের দেখা সাক্ষাত হলেও একজন এদিকে অপরজন অন্যদিকে চেহারা ফিরিয়ে রাখে। তাদের মধ্যে উত্তম ঐ ব্যাক্তি যে প্রথম সালাম দিবে। আবূ সুফিয়ান (রহঃ) বলেন যে, এ হাদীসটি আমি যুহরী (রহঃ) থেকে তিনবার শুনেছি।

باب السَّلاَمِ لِلْمَعْرِفَةِ وَغَيْرِ الْمَعْرِفَةِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلاَثٍ، يَلْتَقِيَانِ فَيَصُدُّ هَذَا، وَيَصُدُّ هَذَا، وَخَيْرُهُمَا الَّذِي يَبْدَأُ بِالسَّلاَمِ ‏"‏‏.‏ وَذَكَرَ سُفْيَانُ أَنَّهُ سَمِعَهُ مِنْهُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ‏.‏

حدثنا علي بن عبد الله، حدثنا سفيان، عن الزهري، عن عطاء بن يزيد الليثي، عن ابي ايوب ـ رضى الله عنه ـ عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ لا يحل لمسلم ان يهجر اخاه فوق ثلاث، يلتقيان فيصد هذا، ويصد هذا، وخيرهما الذي يبدا بالسلام ‏"‏‏.‏ وذكر سفيان انه سمعه منه ثلاث مرات‏.‏


Narrated Abu Aiyub:

The Prophet (ﷺ) said, "It is not lawful for a Muslim to desert (not to speak to) his brother Muslim for more than three days while meeting, one turns his face to one side and the other turns his face to the other side. Lo! The better of the two is the one who starts greeting the other."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৮০৪

পরিচ্ছেদঃ ২৫৭০. পর্দার আয়াত

৫৮০৪। ইয়াহইয়া ইবনু সুলায়মান (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করেন, তখন তার বয়স ছিল দশ বছর। তিনি বললেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনের দশ বছর আমি তার খিদমত করি। আর পর্দার বিধান সম্পর্কে আমি সব চেয়ে বেশী অবগত ছিলাম, যখন তা নাযিল হয়। উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) প্রায়ই আমাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন। যায়নাব বিনত জাহস (রাঃ) এর সঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাসরের দিন প্রথম পর্দার আয়াত নাযিল হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নতুন দুলহা হিসেবে সে দিন লোকদের দাওয়াত করেন এবং এরপর অনেকেই দাওয়াত খেয়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু কয়েকজন তার কাছে রয়ে যান এবং তাদের অবস্থান দীর্ঘায়িত করেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান এবং আমিও তার সঙ্গে যাই, যাতে তারা বের হয়ে যায়।

তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলেন এবং আমিও তার সঙ্গে চলি। এমনকি তিনি আয়িশা (রাঃ) এর হুজরার দরজায় এসে পৌছেন। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ধারণা করেন যে, নিশ্চয়ই তারা বেরিয়ে গেছে। তখন তিনি ও তার সঙ্গে আমি ফিরে আসি। তিনি যায়নাব (রাঃ) এর গৃহে প্রবেশ করে দেখেন যে, তারা তখনও বসেই আছে, চলে যায়নি। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে গেলেন এবং আমিও তার সঙ্গে ফিরে যাচ্ছি। এমন কি তিনি আয়িশা (রাঃ) এর দরজার চৌকাঠ পর্যন্ত এসে পৌছেন। এরপর তিনি ধারণা করেন যে, এখন তারা অবশ্যই বেরিয়ে গেছে। তাই তিনি ফিরে এসে দেখেন যে, তারা বেরিয়ে গেছেন। এই সময় পর্দার আয়াত নাযিল হয় এবং তিনি তার ও আমার মধ্যে পর্দা টেনে দেন।

باب آيَةِ الْحِجَابِ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّهُ كَانَ ابْنَ عَشْرِ سِنِينَ مَقْدَمَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ، فَخَدَمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَشْرًا حَيَاتَهُ، وَكُنْتُ أَعْلَمَ النَّاسِ بِشَأْنِ الْحِجَابِ حِينَ أُنْزِلَ، وَقَدْ كَانَ أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ يَسْأَلُنِي عَنْهُ، وَكَانَ أَوَّلَ مَا نَزَلَ فِي مُبْتَنَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِزَيْنَبَ ابْنَةِ جَحْشٍ، أَصْبَحَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِهَا عَرُوسًا فَدَعَا الْقَوْمَ، فَأَصَابُوا مِنَ الطَّعَامِ ثُمَّ خَرَجُوا، وَبَقِيَ مِنْهُمْ رَهْطٌ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَطَالُوا الْمُكْثَ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ وَخَرَجْتُ مَعَهُ كَىْ يَخْرُجُوا، فَمَشَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَشَيْتُ مَعَهُ حَتَّى جَاءَ عَتَبَةَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ، ثُمَّ ظَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمْ خَرَجُوا فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ، حَتَّى دَخَلَ عَلَى زَيْنَبَ فَإِذَا هُمْ جُلُوسٌ لَمْ يَتَفَرَّقُوا، فَرَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَجَعْتُ مَعَهُ، حَتَّى بَلَغَ عَتَبَةَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ، فَظَنَّ أَنْ قَدْ خَرَجُوا، فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ، فَإِذَا هُمْ قَدْ خَرَجُوا، فَأُنْزِلَ آيَةُ الْحِجَابِ، فَضَرَبَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ سِتْرًا‏.‏

حدثنا يحيى بن سليمان، حدثنا ابن وهب، اخبرني يونس، عن ابن شهاب، قال اخبرني انس بن مالك، انه كان ابن عشر سنين مقدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة، فخدمت رسول الله صلى الله عليه وسلم عشرا حياته، وكنت اعلم الناس بشان الحجاب حين انزل، وقد كان ابى بن كعب يسالني عنه، وكان اول ما نزل في مبتنى رسول الله صلى الله عليه وسلم بزينب ابنة جحش، اصبح النبي صلى الله عليه وسلم بها عروسا فدعا القوم، فاصابوا من الطعام ثم خرجوا، وبقي منهم رهط عند رسول الله صلى الله عليه وسلم فاطالوا المكث فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم فخرج وخرجت معه كى يخرجوا، فمشى رسول الله صلى الله عليه وسلم ومشيت معه حتى جاء عتبة حجرة عاىشة، ثم ظن رسول الله صلى الله عليه وسلم انهم خرجوا فرجع ورجعت معه، حتى دخل على زينب فاذا هم جلوس لم يتفرقوا، فرجع رسول الله صلى الله عليه وسلم ورجعت معه، حتى بلغ عتبة حجرة عاىشة، فظن ان قد خرجوا، فرجع ورجعت معه، فاذا هم قد خرجوا، فانزل اية الحجاب، فضرب بيني وبينه سترا‏.‏


Narrated Anas bin Malik:

that he was a boy of ten at the time when the Prophet (ﷺ) emigrated to Medina. He added: I served Allah's Apostle for ten years (the last part of his life time) and I know more than the people about the occasion whereupon the order of Al-Hijab was revealed (to the Prophet). Ubai b n Ka`b used to ask me about it. It was revealed (for the first time) during the marriage of Allah's Messenger (ﷺ) with Zainab bint Jahsh. In the morning, the Prophet (ﷺ) was a bride-groom of her and he Invited the people, who took their meals and went away, but a group of them remained with Allah's Messenger (ﷺ) and they prolonged their stay. Allah's Messenger (ﷺ) got up and went out, and I too, went out along with him till he came to the lintel of `Aisha's dwelling place. Allah's Messenger (ﷺ) thought that those people had left by then, so he returned, and I too, returned with him till he entered upon Zainab and found that they were still sitting there and had not yet gone. The Prophet (ﷺ) went out again, and so did I with him till he reached the lintel of `Aisha's dwelling place, and then he thought that those people must have left by then, so he returned, and so did I with him, and found those people had gone. At that time the Divine Verse of Al-Hijab was revealed, and the Prophet (ﷺ) set a screen between me and him (his family).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৮০৫

পরিচ্ছেদঃ ২৫৭০. পর্দার আয়াত

৫৮০৫। আবূ নু’মান (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যায়নাব (রাঃ) কে বিয়ে করলেন, তখন (দাওয়াত প্রাপ্ত) একদল লোক তার ঘরে এসে খাওয়া দাওয়া করলেন। এরপর তারা ঘরে বসেই আলাপ-আলোচনা করতে লাগলেন। তিনি দাঁড়ানোর পর কিছু লোক উঠে বেরিয়ে গেলেন কিন্তু অবশিষ্ট কিছু লোক বসেই থাকলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশ করার জন্য ফিরে এসে দেখলেন যে, তারা বসেই আছে কিছুক্ষণ পরে তারা উঠে চলে গেলেন। তারপর আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ওদের চলে যাওয়ার সংবাদ দিলে তিনি এসে প্রবেশ করলেন। তখন আমি ভেতরে যেতে চাইলে তিনি আমার ও তার মাঝখানে পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন। এই সময় আল্লাহ তাআলা এই আয়াত নাযিল করেনঃ হে ঈমানদারগণ! তোমরা নবীর ঘরগুলোতে প্রবেশ করো না ... শেয পর্যন্ত।

باب آيَةِ الْحِجَابِ

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ أَبِي حَدَّثَنَا أَبُو مِجْلَزٍ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ لَمَّا تَزَوَّجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم زَيْنَبَ دَخَلَ الْقَوْمُ فَطَعِمُوا، ثُمَّ جَلَسُوا يَتَحَدَّثُونَ فَأَخَذَ كَأَنَّهُ يَتَهَيَّأُ لِلْقِيَامِ فَلَمْ يَقُومُوا، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَامَ، فَلَمَّا قَامَ قَامَ مَنْ قَامَ مِنَ الْقَوْمِ وَقَعَدَ بَقِيَّةُ الْقَوْمِ، وَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَاءَ لِيَدْخُلَ، فَإِذَا الْقَوْمُ جُلُوسٌ، ثُمَّ إِنَّهُمْ قَامُوا فَانْطَلَقُوا فَأَخْبَرْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ حَتَّى دَخَلَ، فَذَهَبْتُ أَدْخُلُ فَأَلْقَى الْحِجَابَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ، وَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏(‏يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ‏)‏ الآيَةَ‏.‏

حدثنا ابو النعمان، حدثنا معتمر، قال ابي حدثنا ابو مجلز، عن انس ـ رضى الله عنه ـ قال لما تزوج النبي صلى الله عليه وسلم زينب دخل القوم فطعموا، ثم جلسوا يتحدثون فاخذ كانه يتهيا للقيام فلم يقوموا، فلما راى ذلك قام، فلما قام قام من قام من القوم وقعد بقية القوم، وان النبي صلى الله عليه وسلم جاء ليدخل، فاذا القوم جلوس، ثم انهم قاموا فانطلقوا فاخبرت النبي صلى الله عليه وسلم فجاء حتى دخل، فذهبت ادخل فالقى الحجاب بيني وبينه، وانزل الله تعالى ‏(‏يا ايها الذين امنوا لا تدخلوا بيوت النبي‏)‏ الاية‏.‏


Narrated Anas:

When the Prophet (ﷺ) married Zainab, the people came and were offered a meal, and then they sat down (after finishing their meals) and started chatting. The Prophet (ﷺ) showed as if he wanted to get up, but they did not get up. When he noticed that, he got up, and some of the people also got up and went away, while some others kept on sitting. When the Prophet (ﷺ) returned to enter, he found the people still sitting, but then they got up and left. So I told the Prophet (ﷺ) of their departure and he came and went in. I intended to go in but the Prophet (ﷺ) put a screen between me and him, for Allah revealed:-- 'O you who believe! Enter not the Prophet's houses..' (33.53)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৮০৬

পরিচ্ছেদঃ ২৫৭০. পর্দার আয়াত

৫৮০৬। ইসহাক (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট প্রায়ই বলতেন যে, আপনি আপনার সহধর্মিণীদের পর্দা করান। কিন্তু তিনি তা করেননি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীগণ প্রাকৃতিক প্রয়োজনে রাতে মাঠের দিকে বেরিয়ে যেতেন। একবার সাওদা বিনত যামআ (রাঃ) বেরিয়ে গেলেন। তিনি ছিলেন লম্বাকৃতির মহিলা। উমর (রাঃ) মজলিসে উপস্থিত ছিলেন। তাই তিনি তাকে দেখে ফেললেন এবং পর্দার নির্দেশ নাযিল হওয়ার আগ্রহে বললেনঃ ওহে সাওদা! আমি আপনাকে চিনে ফেলেছি। অতঃপর আল্লাহ তায়াআলা পর্দার আয়াত নাযিল করেন।

باب آيَةِ الْحِجَابِ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَقُولُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم احْجُبْ نِسَاءَكَ‏.‏ قَالَتْ فَلَمْ يَفْعَلْ، وَكَانَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَخْرُجْنَ لَيْلاً إِلَى لَيْلٍ قِبَلَ الْمَنَاصِعِ، خَرَجَتْ سَوْدَةُ بِنْتُ زَمْعَةَ، وَكَانَتِ امْرَأَةً طَوِيلَةً فَرَآهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهْوَ فِي الْمَجْلِسِ فَقَالَ عَرَفْتُكِ يَا سَوْدَةُ‏.‏ حِرْصًا عَلَى أَنْ يُنْزَلَ الْحِجَابُ‏.‏ قَالَتْ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ آيَةَ الْحِجَابِ‏.‏

حدثنا اسحاق، اخبرنا يعقوب، حدثنا ابي، عن صالح، عن ابن شهاب، قال اخبرني عروة بن الزبير، ان عاىشة ـ رضى الله عنها ـ زوج النبي صلى الله عليه وسلم قالت كان عمر بن الخطاب يقول لرسول الله صلى الله عليه وسلم احجب نساءك‏.‏ قالت فلم يفعل، وكان ازواج النبي صلى الله عليه وسلم يخرجن ليلا الى ليل قبل المناصع، خرجت سودة بنت زمعة، وكانت امراة طويلة فراها عمر بن الخطاب وهو في المجلس فقال عرفتك يا سودة‏.‏ حرصا على ان ينزل الحجاب‏.‏ قالت فانزل الله عز وجل اية الحجاب‏.‏


Narrated `Aisha:

(the wife of the Prophet) `Umar bin Al-Khattab used to say to Allah's Messenger (ﷺ) "Let your wives be veiled" But he did not do so. The wives of the Prophet (ﷺ) used to go out to answer the call of nature at night only at Al-Manasi.' Once Sauda, the daughter of Zam`a went out and she was a tall woman. `Umar bin Al-Khattab saw her while he was in a gathering, and said, "I have recognized you, O Sauda!" He (`Umar) said so as he was anxious for some Divine orders regarding the veil (the veiling of women.) So Allah revealed the Verse of veiling. (Al-Hijab; a complete body cover excluding the eyes).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৮০৭

পরিচ্ছেদঃ ২৫৭১. তাকানোর অনুমতি

৫৮০৭। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার এক ব্যাক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন এক হুজরায় উঁকি মেরে তাকালো। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একটা ’মিদরা’ ছিলো, যা দিয়ে তিনি তার মাথা চুলকাচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেনঃ যদি আমি জানতাম যে তুমি উঁকি মারবে, তবে এ দিয়ে তোমার চোখ ফুঁড়ে দিতাম। তাকানোর জন্য অনুমতি গ্রহনের বিধান দেওয়া হয়েছে।

باب الاِسْتِئْذَانُ مِنْ أَجْلِ الْبَصَرِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ الزُّهْرِيُّ حَفِظْتُهُ كَمَا أَنَّكَ هَا هُنَا عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ اطَّلَعَ رَجُلٌ مِنْ جُحْرٍ فِي حُجَرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِدْرًى يَحُكُّ بِهِ رَأْسَهُ فَقَالَ ‏ "‏ لَوْ أَعْلَمُ أَنَّكَ تَنْظُرُ لَطَعَنْتُ بِهِ فِي عَيْنِكَ، إِنَّمَا جُعِلَ الاِسْتِئْذَانُ مِنْ أَجْلِ الْبَصَرِ ‏"‏‏.‏

حدثنا علي بن عبد الله، حدثنا سفيان، قال الزهري حفظته كما انك ها هنا عن سهل بن سعد قال اطلع رجل من جحر في حجر النبي صلى الله عليه وسلم ومع النبي صلى الله عليه وسلم مدرى يحك به راسه فقال ‏ "‏ لو اعلم انك تنظر لطعنت به في عينك، انما جعل الاستىذان من اجل البصر ‏"‏‏.‏


Narrated Sahl bin Sa`d:

A man peeped through a round hole into the dwelling place of the Prophet, while the Prophet (ﷺ) had a Midray (an iron comb) with which he was scratching his head. the Prophet (ﷺ) said, " Had known you were looking (through the hole), I would have pierced your eye with it (i.e., the comb)." Verily! The order of taking permission to enter has been enjoined because of that sight, (that one should not look unlawfully at the state of others).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৮০৮

পরিচ্ছেদঃ ২৫৭১. তাকানোর অনুমতি

৫৮০৮। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার এক ব্যাক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক কামরায় উঁকি দিল। তখন তিনি একটা তীর ধনুক কিংবা তীর ফলকসমূহ নিয়ে তার দিকে দৌড়ালেন। আনাস (রাঃ) বলেনঃ তা যেন এখনও আমি প্রত্যক্ষ করছি। তিনি ঐ লোকটির চোখ ফুঁড়ে দেওয়ার জন্য তাকে খুঁজছিলেন।

باب الاِسْتِئْذَانُ مِنْ أَجْلِ الْبَصَرِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، اطَّلَعَ مِنْ بَعْضِ حُجَرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمِشْقَصٍ ـ أَوْ بِمَشَاقِصَ ـ فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ يَخْتِلُ الرَّجُلَ لِيَطْعُنَهُ‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا حماد بن زيد، عن عبيد الله بن ابي بكر، عن انس بن مالك، ان رجلا، اطلع من بعض حجر النبي صلى الله عليه وسلم فقام اليه النبي صلى الله عليه وسلم بمشقص ـ او بمشاقص ـ فكاني انظر اليه يختل الرجل ليطعنه‏.‏


Narrated Anas bin Malik:

A man peeped into a room of the Prophet. The Prophet (ﷺ) stood up, holding an arrow head. It is as if I am just looking at him, trying to stab the man.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৮০৯

পরিচ্ছেদঃ ২৫৭২. যৌনাঙ্গ ব্যতীত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যভিচার

৫৮০৯। হুমায়দী ও মাহমূদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা বনী আদমের জন্য যিনার একটা অংশ নির্ধারিত রেখেছেন। সে তাতে অবশ্যই জড়িত হবে। চোখের যিনা হল তাকানো, জিহবার যিনা হল কথা বলা, কুপ্রবৃত্তি কামনা ও খায়েশ সৃষ্টি করে এবং যৌনাংগ তা সত্য মিথ্যা প্রমাণ করে।

باب زِنَا الْجَوَارِحِ دُونَ الْفَرْجِ

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ لَمْ أَرَ شَيْئًا أَشْبَهَ بِاللَّمَمِ مِنْ قَوْلِ أَبِي هُرَيْرَةَ‏.‏ حَدَّثَنِي مَحْمُودٌ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ مَا رَأَيْتُ شَيْئًا أَشْبَهَ بِاللَّمَمِ مِمَّا قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ عَلَى ابْنِ آدَمَ حَظَّهُ مِنَ الزِّنَا، أَدْرَكَ ذَلِكَ لاَ مَحَالَةَ، فَزِنَا الْعَيْنِ النَّظَرُ، وَزِنَا اللِّسَانِ الْمَنْطِقُ، وَالنَّفْسُ تَمَنَّى وَتَشْتَهِي، وَالْفَرْجُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ كُلَّهُ وَيُكَذِّبُهُ ‏"‏‏.‏

حدثنا الحميدي، حدثنا سفيان، عن ابن طاوس، عن ابيه، عن ابن عباس ـ رضى الله عنهما ـ قال لم ار شيىا اشبه باللمم من قول ابي هريرة‏.‏ حدثني محمود اخبرنا عبد الرزاق اخبرنا معمر عن ابن طاوس عن ابيه عن ابن عباس قال ما رايت شيىا اشبه باللمم مما قال ابو هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان الله كتب على ابن ادم حظه من الزنا، ادرك ذلك لا محالة، فزنا العين النظر، وزنا اللسان المنطق، والنفس تمنى وتشتهي، والفرج يصدق ذلك كله ويكذبه ‏"‏‏.‏


Narrated Ibn `Abbas:

I have not seen a thing resembling 'lamam' (minor sins) than what Abu Huraira 'narrated from the Prophet who said "Allah has written for Adam's son his share of adultery which he commits inevitably. The adultery of the eyes is the sight (to gaze at a forbidden thing), the adultery of the tongue is the talk, and the inner self wishes and desires and the private parts testify all this or deny it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৮১০

পরিচ্ছেদঃ ২৫৭৩. তিনবার সালাম দেওয়া ও অনুমতি চাওয়া

৫৮১০। ইসহাক (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাম বলতেন, তখন তিনবার সালাম দিতেন এবং যখন কথা বলতেন তখন তা তিনবার উল্লেখ করতেন।

باب التَّسْلِيمِ وَالاِسْتِئْذَانِ ثَلاَثًا

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ثُمَامَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا سَلَّمَ سَلَّمَ ثَلاَثًا، وَإِذَا تَكَلَّمَ بِكَلِمَةٍ أَعَادَهَا ثَلاَثًا‏.‏

حدثنا اسحاق، اخبرنا عبد الصمد، حدثنا عبد الله بن المثنى، حدثنا ثمامة بن عبد الله، عن انس ـ رضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان اذا سلم سلم ثلاثا، واذا تكلم بكلمة اعادها ثلاثا‏.‏


Narrated Anas:

Whenever Allah's Messenger (ﷺ) greeted somebody, he used to greet him three times, and if he spoke a sentence, he used to repeat it thrice.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৮১১

পরিচ্ছেদঃ ২৫৭৩. তিনবার সালাম দেওয়া ও অনুমতি চাওয়া

৫৮১১। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেনঃ একবার আমি আনসারদের এক মজলিসে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় হঠাৎ আবূ মূসা (রাঃ) ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে এসে বললেনঃ আমি তিনবার উমর (রাঃ) এর নিকট অনুমতি চাইলাম কিন্তু আমাকে অনুমতি দেওয়া হল না। তাই আমি ফিরে এলাম। উমর (রাঃ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমাকে ভেতরে প্রবেশ করতে কিসে বাধা দিল? আমি বললামঃ আমি প্রবেশের জন্য তিনবার অমুমতি চাইলাম কিন্তু আমাকে অনুমতি দেয়া হলো না। তাই আমি ফিরে এলাম। (কারণ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি তোমাদের কেউ তিনবার প্রবেশের অনুমতি চায়। কিন্তু তাকে অনুমতি দেওয়া না হয় তবে সে যেন ফিরে যায়।

তখন উমর বলেনঃ কারন আল্লাহ কসম! তোমারে এ কথার উপর অবশ্যই প্রমান পেশ করতে হবে। তিনি সবাইকে জিজ্ঞেস করলেন তোমাদের মধ্যে কেউ আছে কি? যিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ হাদীস শুনেছে? তখন উবাই ইবনু কাব (রাঃ) বললেন আল্লাহর কসম! আপনার কাছে প্রমাণ দিতে দলের সর্ব কনিষ্ঠ ব্যাক্তিই উঠে দাঁড়াবে। আর আমিই দলের সর্বকনিষ্ঠ ছিলাম। সুতরাং আমি তার সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে বললামঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশ্যই এ কথা বলেছেন।

باب التَّسْلِيمِ وَالاِسْتِئْذَانِ ثَلاَثًا

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خُصَيْفَةَ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كُنْتُ فِي مَجْلِسٍ مِنْ مَجَالِسِ الأَنْصَارِ إِذْ جَاءَ أَبُو مُوسَى كَأَنَّهُ مَذْعُورٌ فَقَالَ اسْتَأْذَنْتُ عَلَى عُمَرَ ثَلاَثًا، فَلَمْ يُؤْذَنْ لِي فَرَجَعْتُ فَقَالَ مَا مَنَعَكَ قُلْتُ اسْتَأْذَنْتُ ثَلاَثًا، فَلَمْ يُؤْذَنْ لِي فَرَجَعْتُ، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا اسْتَأْذَنَ أَحَدُكُمْ ثَلاَثًا فَلَمْ يُؤْذَنْ لَهُ، فَلْيَرْجِعْ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ وَاللَّهِ لَتُقِيمَنَّ عَلَيْهِ بِبَيِّنَةٍ‏.‏ أَمِنْكُمْ أَحَدٌ سَمِعَهُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ وَاللَّهِ لاَ يَقُومُ مَعَكَ إِلاَّ أَصْغَرُ الْقَوْمِ، فَكُنْتُ أَصْغَرَ الْقَوْمِ، فَقُمْتُ مَعَهُ فَأَخْبَرْتُ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ذَلِكَ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ أَخْبَرَنِي ابْنُ عُيَيْنَةَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ عَنْ بُسْرٍ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ بِهَذَا‏.‏

حدثنا علي بن عبد الله، حدثنا سفيان، حدثنا يزيد بن خصيفة، عن بسر بن سعيد، عن ابي سعيد الخدري، قال كنت في مجلس من مجالس الانصار اذ جاء ابو موسى كانه مذعور فقال استاذنت على عمر ثلاثا، فلم يوذن لي فرجعت فقال ما منعك قلت استاذنت ثلاثا، فلم يوذن لي فرجعت، وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اذا استاذن احدكم ثلاثا فلم يوذن له، فليرجع ‏"‏‏.‏ فقال والله لتقيمن عليه ببينة‏.‏ امنكم احد سمعه من النبي صلى الله عليه وسلم فقال ابى بن كعب والله لا يقوم معك الا اصغر القوم، فكنت اصغر القوم، فقمت معه فاخبرت عمر ان النبي صلى الله عليه وسلم قال ذلك‏.‏ وقال ابن المبارك اخبرني ابن عيينة حدثني يزيد عن بسر سمعت ابا سعيد بهذا‏.‏


Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:

While I was present in one of the gatherings of the Ansar, Abu Musa came as if he was scared, and said, "I asked permission to enter upon `Umar three times, but I was not given the permission, so I returned." (When `Umar came to know about it) he said to Abu Musa, "Why did you not enter?'. Abu Musa replied, "I asked permission three times, and I was not given it, so I returned, for Allah's Messenger (ﷺ) said, "If anyone of you asks the permission to enter thrice, and the permission is not given, then he should return.' " `Umar said, "By Allah! We will ask Abu Musa to bring witnesses for it." (Abu Musa went to a gathering of the Ansar and said). "Did anyone of you hear this from the Prophet (ﷺ) ?" Ubai bin Ka`b said, "By Allah, none will go with you but the youngest of the people (as a witness)." (Abu Sa`id) was the youngest of them, so I went with Abu Musa and informed `Umar that the Prophet (ﷺ) had said so.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৮১২

পরিচ্ছেদঃ ২৫৭৪. যখন কোন ব্যক্তিকে ডাকা হয় আর সে আসে, সেও কি প্রবেশের অনুমতি নিবে? আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত । নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ এ ডাকাই তার জন্য অনুমতি।

৫৮১২। আবূ নুয়াঈম ও মুহাম্মদ ইবনু মুকাতিল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন একদিন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে তার ঘরে প্রবেশ করলাম। তিনি ঘরে গিয়ে একটি পেয়ালায় দুধ পেলেন। তিনি আমাকে বললেনঃ হে আবূ হির! তুমি আহলে সুফফার নিকট গিয়ে তাদের আমার নিকট ডেকে আন। তখন আমি তাদের কাছে গিয়ে দাওয়াত দিয়ে এলাম। তারপর তারা এল এবং প্রবেশের অনুমতি চাইলে তাদের অনুমতি দেয়া হলো। তারপর তারা প্রবেশ করলো।

باب إِذَا دُعِيَ الرَّجُلُ فَجَاءَ هَلْ يَسْتَأْذِنُ قَالَ سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ هُوَ إِذْنُهُ ‏"

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ ذَرٍّ،‏.‏ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ ذَرٍّ، أَخْبَرَنَا مُجَاهِدٌ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ دَخَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَ لَبَنًا فِي قَدَحٍ فَقَالَ ‏ "‏ أَبَا هِرٍّ الْحَقْ أَهْلَ الصُّفَّةِ فَادْعُهُمْ إِلَىَّ ‏"‏‏.‏ قَالَ فَأَتَيْتُهُمْ فَدَعَوْتُهُمْ، فَأَقْبَلُوا فَاسْتَأْذَنُوا فَأُذِنَ لَهُمْ، فَدَخَلُوا‏.‏

حدثنا ابو نعيم، حدثنا عمر بن ذر،‏.‏ وحدثنا محمد بن مقاتل، اخبرنا عبد الله، اخبرنا عمر بن ذر، اخبرنا مجاهد، عن ابي هريرة ـ رضى الله عنه ـ قال دخلت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم فوجد لبنا في قدح فقال ‏ "‏ ابا هر الحق اهل الصفة فادعهم الى ‏"‏‏.‏ قال فاتيتهم فدعوتهم، فاقبلوا فاستاذنوا فاذن لهم، فدخلوا‏.‏


Narrated Abu Huraira:

I entered (the house) along with Allah's Messenger (ﷺ) . There he found milk in a basin. He said, "O Abu Hirr! Go and call the people of Suffa to me." I went to them and invited them. They came and asked permission to enter, and when it was given, they entered. (See Hadith No. 459 for details)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
৫৮১৩

পরিচ্ছেদঃ ২৫৭৫. শিশুদের সালাম দেয়া

৫৮১৩। আলী ইবনু জাদ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার তিনি একদল শিশুর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি তাদের সালাম করে বললেনঃ যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তা করতেন।

باب التَّسْلِيمِ عَلَى الصِّبْيَانِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه أَنَّهُ مَرَّ عَلَى صِبْيَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ وَقَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُهُ‏.‏

حدثنا علي بن الجعد، اخبرنا شعبة، عن سيار، عن ثابت البناني، عن انس بن مالك ـ رضى الله عنه انه مر على صبيان فسلم عليهم وقال كان النبي صلى الله عليه وسلم يفعله‏.‏


Narrated Anas bin Malik:

that he passed by a group of boys and greeted them and said, "The Prophet (ﷺ) used to do so."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬৬/ অনুমতি চাওয়া (كتاب الاستئذان) 66/ Asking Permission
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 পরের পাতা »